Showing posts with label সংশয় নিরসন. Show all posts
Showing posts with label সংশয় নিরসন. Show all posts

May 7, 2023

অনেক মত আছে, অনেক ধর্ম আছে...।

 নাস্তিকদের একটা ফ্যালাসি হচ্ছে, আরে! আরও তো অনেক ধর্ম আছে। দুনিয়ায় কয়েক হাজার ধর্ম। ব্লা ব্লা ব্লা। 

(এখানে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু ইশ্বরে বিশ্বাসীরা কোনো ১টা ধর্মের ব্যপারে একমত না, এজন্য সে কোনো ধর্ম মানবেই না। কোন ধর্ম সঠিক সেটা যাচাইয়ের চেষ্টাই করবে না। আগের গোড়ামি নিয়েই থাকবে।) 

এই একই প্যাটার্নের যুক্তি বেদ্বীন আর ফেমিনিস্টরা অহরহ ইউজ করে। আরে দাড়ি নিয়ে ইখতেলাফ আছে, আরে কতটুকু পর্দা করতে হবে তা নিয়ে তো ইখতেলাফ আছে, আরে ঘরের কাজ করতে হবে নাকি তা নিয়ে ইখতেলাফ আছে...  and so on...

এরাও আগের বেদ্বিনির ওপরেই থাকতে চাচ্ছে। ইসলামের বিধানগুলো মানতে চাচ্ছে না। অস্বীকার করছে। কিন্তু অস্বীকার করতে গিয়ে নিজের প্রবৃত্তি পূজার কথা গোপন করে ইখতেলাফের দোহাই দিচ্ছে। আর প্রবৃত্তির অনুগামী ফাতওয়া শপিং করছে।

ধর্ম হাজারটা থাকুক, যেটা সবচেয়ে সেরা আমরা সেটাই মানি ও মানবো।

--

মূল পোস্ট

Share:

March 25, 2023

ইফতারির ওয়াক্ত এবং ইহুদিপ্রসঙ্গ

[ক]
 গতবছর সিটিতে গিয়েছিলাম কিছু কাজে, ওয়াইফও ছিল সাথে। ইফতারের অল্প কিছুক্ষণ আগে একভাই দেখতে পেয়ে নিয়ে গেলেন বাসায়, উনার বাসায় পৌঁছানোর মিনিটখানেক দূরে থাকতেই আজান দিয়ে দিয়েছে। 
উনি বললেন ভাই! ইফতার করেন - ইফতার করেন!! দেরি করছেন কেন?
-- হ, তাইতো, দুই মিনিট দেরি করলে তো বিরাট সমস্যা,
--- সমস্যা না ভাই, এক মিনিট থামলেই ইহুদি হয়ে যাবেন!! (নাউযুবিল্লাহ) 
-- ফেসবুকের ফেকাহ পড়ে এরকমই লাগে।

[খ]
ভাই, বুঝার চেষ্টা করেন। ইহুদী-খ্রিষ্টানরা দুইচার মিনিট দেরি করে ইফতার করে না। 
সমস্যা হল, আপনি হাদিস আল্লাহর রাসুল থেকে নিবেন সালাফদের সুত্রে, আর হাদিসের অর্থ নিজে উৎপাদন করবেন, তাহলে ঝামেলা হবেই। 
যতদূর জানি ইহুদিদের রোজার পদ্ধতি হল, একদিন সুর্য ডোবা থেকে শুরু করে পরেরদিন সুর্য ডুবে অন্ধকার হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সবকিছু থেকে বিরত থাকে। ইবনু তাইমিয়া রহ. এর কোনো লেখাতে সম্ভবত পড়েছিলাম উনি এই কারণে শিয়াদের এক ফিরকাকে ইহুদিদের সাথে তুলনা করছিলেন। তারা অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত বা শুকতারা ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করে।
হালের কুরানিস্টদের কেউ কেউ এরকম করে শুনছি। হতেও পারে, মিশনারিরা যেহেতু এদের মুভমেন্ট পরিচালনা করে...।

[গ]
ইফা. বা আরও কিছু ক্যালেন্ডারে যে ২-৩মিনিট বাড়িয়ে দেয়, এটা সতর্কতা হিসেবে। যাতে সময়ের আগে ইফতার করে রোজা নষ্ট না হয়। এটায় সমস্যা নাই। এরকম ২-৪মিনিট এর জন্য আপনি ইহুদি-খ্রিষ্টান কোনোটাই হবেন না। ওদের সাথে সাদৃশ্যও হবে না। 

[ঘ]
আচ্ছা, খেয়াল করেন। রাজশাহী জেলার দুইটা এলাকা, পুঠিয়া এবং গোদাগাড়ী। জিপিএস দিয়ে একদম একুরেট হিসেব করলে পুঠিয়ার চেয়ে গোদাগাড়ীতে সুর্য ডোবে পাক্কা ২মিনিট পরে। একই জেলায় ২মিনিটের ব্যবধান। রাজশাহী সিটির সাথে দুই এলাকারই ১মিনিট কম-বেশ তফাত। সাধারণত লেখা হয় শহরের সময়টা। এখন যদি গোদাগাড়ীর মানুষ ক্যালেন্ডার ধরে একদম ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই ইফতার করে, তাহলে সে সুর্য ডোবার ১মিনিট আগেই রোজা ভেঙ্গে দিল, পুঠিয়ার সময় দেখে ইফতার করলে ২মিনিট আগেই রোজা শেষ। আর ভোর বেলা পুঠিয়ার মানুষ যদি একদম সময় পর্যন্ত খেতে থাকে, তাহলে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরেও ১মিনিট খাবার খেল।
তারমানে বিষয়টা এতটা সিম্পল না, যে আলেমরা ৩মিনিট যোগ করে লিখেছে, আপনি ৩মিনিট আগে খাইলেন আর ১০০% সহিহ আমল হয়ে গেল। বরং উল্টা হতে পারে।
সুতরাং সুর্য ডুবেছে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সতর্কতা হিসেবে এক-দুই মিনিট দেরি করা যায়, আর সাহরিতে সতর্কতা হিসেবে একটু আগে শেষ করা যায়। এতে সমস্যা নাই। আলেমরা এটাকে খারাপ বলেনাই। 

[ঙ]
এতকিছুর পরেও অনেকে বুঝতে চায়না, যা বুঝছি বুঝছিই। এরকম ভাব নিয়ে থাকে। 
তাদের জন্য প্রশ্ন হল, নবীজি কি ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার দেখে ইফতার করেছে? করতে বলেছে? বলেনাই। 
আপনি যেটা করবেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় উঁচু গাছ বা টিলা বা এলাকার সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠে দেখবেন সুর্য ডুবেছে কি না। যদি দেখেন ডুবল, তখন ওই গাছের ওপরে থেকেই ইফতার করে নিবেন। নামতে গিয়ে দেরি হলে যদি আবার ইহুদি হয়ে যান...

Share:

April 14, 2022

হাদিস "লা-আদওয়া..." প্রসঙ্গ..

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর "লা-আদওয়া" এর অর্থ সেটাই, যা সর্বযুগের উলামায়ে কিরাম করেছেন। "রোগ নিজে থেকে অন্যজনের মাঝে সংক্রমিত হতে পারে না, আল্লাহ চাইলেই কেবল হতে পারে"।
.
এখন বিষয় হল, আমরা জানি হাঁচি-কাশির সাথে করোনার জিবানু ছড়াচ্ছে। তাহলে এর সামঞ্জস্য আমরা কিভাবে করি?

* হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, স্পর্শ করার মাধ্যমে একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে জিবানু প্রবেশ করলেও ইনফেকশন শুধু তারই হবে, যার ব্যাপারে আল্লাহ চাইবেন। শুধু তারই রোগ হবে যার ব্যাপারে আল্লাহ চাইবেন।

কিভাবে?
*  হয়তো জীবানুটা ফুসফুসে পৌছাতে পৌছাতে মারা যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে, কিংবা শরিরে প্রভাব বিস্তারের আগেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে পরাজিত হবে। 
অথবা সবকিছু আক্রান্ত হওয়ার উপযোগি হওয়া সত্ত্বেও তাক্বদীরে না থাকার কারনে অথবা আল্লাহর ফায়সালা না হওয়ার কারনে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হবে না।
আর কারও শরীরে জীবানু না থাকলেও যদি আল্লাহর সিদ্ধান্ত থাকে, তবে সে রোগ আক্রান্ত হয়ে যাবে।

তাহলে কী আমরা সতর্ক হবো না?
* হ্যা, অবশ্যই হব। আমরা উটও বাঁধবো, আল্লাহর ওপর ভরসাও করব। 
কিন্তু সতর্ক হতে গিয়ে শরিয়তের বিধানের ওপর ছুরি চালাবো না। আমাদের দ্বীনকে বিকৃত করব না। 

যার ঈমান চলে গেল, তার আর কী থাকল?

---
হাইলাইট: কারও শরীরে অন্যের থেকে জীবানু প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু এরপর রোগ আক্রান্ত হওয়া না হওয়া শুধু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়।
Share:

June 20, 2018

একচোখের গল্প

একটা বিষয় জানা উচিত, পাগলা কন্সপাইরেসি থিয়োরিস্ট গ্রুপ এক চোখের একটা সিম্বল দেখিয়ে সেটাকে দাজ্জালের চোখ বলে প্রচার করে।
সেটা মূলত মিশরীয় দেবতা হোরাস (horus) এর চোখ। বিপদ-আপদ থেকে বাঁচতে এই এক চোখের তাবিজ পশ্চিমা দেশগুলোতে বেশ প্রসিদ্ধ। তুরস্কের মুসলমানদের মাঝেও এই কুসংস্কার প্রচলিত আছে।



দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, এখনও বিভিন্ন দেশের যাদুকরেরা মিশরে গিয়ে বিশেষ বিশেষ রিচ্যুয়াল পালন করে, মিশরীয় দেবতাদের নামে বিভিন্ন কিছু উৎসর্গ করে (যার মধ্যে মানুষের প্রাণও উৎসর্গ হয়) এভাবে এই মানুষ শয়তানগুলো জিন শয়তানদের নিকটবর্তী হয়।

তৃতীয় কথা, যাদু বিদ্যার বর্তমানে যতগুলো শাখা প্রচলিত আছে, তারমাঝে বিশেষতঃ লিখিত যাদু (যেমন: তাবিজ), এগুলোর সর্বপ্রথম ব্যপক চর্চা হয়েছে মিশরে। যাদুর সর্বাধিক শাখা প্রশাখা মিশরেই বিস্তৃত হয়েছে। ব্যাবিলনে যাদু চর্চা ছিল, তবে এত প্রকারের না। 

চতুর্থ কথা হচ্ছে, হিন্দুস্থানের যাদু দুনিয়াজুড়ে বিখ্যাত, তবে হিন্দুস্থানিরা নাকি বাংলাদেশি যাদুকে বেশি ভয়াবহ মনে করে!! বাদবাকি আমার মনে হয়েছে, উপমহাদেশি যাদুগুলো কেমন যেন ছোটলোকি টাইপের!! আর এই তন্ত্রমন্ত্রের অনেক কিছুই হিন্দুদের ধর্মের অংশ তো, তাই এতদিন ধরে এখানে টিকে আছে। বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা কমে গেছে আগের (বৃটিশ আমলের) চেয়ে, তাই এখানে যাদুর চর্চাও কমে গেছে।
শেষ কথা, বলছিলাম হোরাস এর গল্প, এ মূলতঃ মিশরের একজন রাজা ছিল। কার সাথে সিংহাসনের জন্য যুদ্ধ করছিল, পরে নাকি দেশ শাসন করেছে। কালক্রমে ওরে কেউ নিরাপত্তার দেবতা, কেউ বাতাসের দেবতা, কেউ আয়-উন্নতির দেবতা বানায় ফেলছে -_-

অহ, হোরাসের চোখ (eye of horus) এর মত আরেকটা চোখ প্রসিদ্ধ আছে, মিশরীয়দের সুর্য এবং সৃষ্টির দেবতা 'রা' এর চোখ (eye of ra) এছাড়া তৃতীয় চোখ (জ্ঞানের চক্ষু / অন্তর্দৃষ্টি) বুঝাতেও এক চোখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লোগোতে ব্যবহার হয়। 

--
যেটাই হোক কেন, এটা যে দাজ্জালের চোখ না, আপনি নিশ্চিত থাকেন
Share:

"অন্য ধর্মের লোকেরা জান্নাতে যাবে না" বিষয়ে চুলকানি এবং খানিক আলাপ

[ক]
পরশুদিন (6-feb-18) ডিএসই গ্রুপে একজন পোস্ট দিয়েছিল, “উনি উনার স্যারের কাছে শুনেছেন, ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীরা যতই ভালো কাজ করুক, জান্নাতে যাবে না। জান্নাতের যাওয়ার জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। এই কথাটা তার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, এটা কি আসলেই সত্যি?” পোস্টের সাথে একজন ফুটবলারের ছবি জুড়ে দিয়েছেন, যেখানে সে সিরিয়ান উদ্বাস্তু শিবিরে সহায়তা করেছে বুঝাচ্ছে।
সারকথা হচ্ছে, মুসলমানরা পাপ করেও একসময় জান্নাতে যাবে, আর অমুসলিমরা ভালো কাজ করেও কখনও জান্নাতে যাবে না? এটা উনার কাছে কেমন যেন লাগছে, জানতে চেয়েছেন স্যার কি সত্যি বলেছে?
.
[খ]
সেখান থেকে কিছু কমেন্ট –
১. ঈমান ছাড়া কৃতকর্মের কোন মূল্যই নেই। মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর ইবাদাত করা, তাঁর কাছে আত্মসমর্পন করা। যে এই আসল উদ্দেশ্য সাধন করতে পারলো না। তাকে কেন জান্নাত দিবে?
২. আপনার স্যার সত্যই বলেছে। ব্যাপারটা এরকম সারাবছর আপনি প্রতিটা ক্লাস করেছেন, অথচ ভার্সিটিতে ভর্তিই হননি। আপনাকে কি অনার্সের সার্টিফিকেট দিবে? নাকি পরীক্ষা দিতে দিবে? আপনি তো বিনা পরীক্ষাতেই ফেইল।
(মুসলমানদের জন্য যেসব পুরষ্কারের ঘোষণা আছে, সেটা পেতে মুসলমানের খাতায় নাম থাকাই লাগবে। যে আমাদের দলের লোকই না, সে আমাদের পুরস্কারে ভাগ পাবে কেন?)

৩. ধরেন ভাই, আপনি এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে ৯০ করে পেয়েছেন, কিন্তু একটি বিষয়ে ৩০ পেয়েছেন, তাহলে কি আপনাকে পাশ দেওয়া হবে? আপনাকে তো অন্তত ৩৩ পেতে হবে। (ভাবার্থঃ সরিষা দানা পরিমাণ ঈমান অন্তত থাকা আবশ্যক, এটা আল্লাহর বিধান, না মানলে উপায় নাই।)
.
[গ]
কিছু বাজে কমেন্ট এবং তার রিপ্লাই:
১. যদি উত্তর হয় না। তবে ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবো। (নাউযুবিল্লাহ)
- উত্তর না। মুখ ফিরায়ে নিয়ার কিছু নাই।
= অবশ্যই আছে। কারণ আমার বিবেক এই বিধানকে সাপোর্ট করতে পারল না।
- আপনি এখন মুখ ফিরিয়ে নেননি। আগেই নিয়েছেন। এখন শুধু লোক দেখানো।
= লোক দেখানোর তো কোন দরকার দেখতেছিনা। এই প্রশ্ন অনেক আগেই আমার মনে আসছে। আজকে আরো স্পষ্ট হল বিষয়টা।
- ভাই আপনি ইসলামের বাইরে যেয়ে কতটূকু ভাল থাকতে পারবেন, কতটুকু একদম ভাল কাজ করতে পারবেন সেটা ২/১ বছর পরেই বুঝবেন।
- ঈশ্বর আপনার চেয়ে সুপেরিয়র, তার সিদ্ধান্তের প্রতি এতটুকু শ্রদ্ধা দেখাতে না পারলে আপনার ধর্মপালন দিয়ে লাভ কি ভাই? (উহ্য কথা, তোর মত কয়েক হাজার আবাল ধর্ম পালন না করলেও আল্লাহর কোন লস নাই)
.
২. তাহলে একজন বিধর্মী আজীবন দুনিয়াতে ভাল কাজ করেও কেন জান্নাতে যেতে পারবে না এটা আমারও নিজের মাথায় ঢুকে না।
- আপনি যদি সারাবছর ক্লাস করেন, কিন্তু ভার্সিটিতে ভর্তিই না হন। সার্টিফিকেট পাবেন? আর একজন বিধর্মী কখনই আজীবন ভালো কাজ করে না। এটা অসম্ভব। শিরক তাদের এমন বড় খারাপ কাজ, যা সব কিছুকে ছাপিয়ে যায়।
- ইসলাম ধর্ম মতে শিরক এমন একটি খারাপ কাজ যা অন্য সকল ভাল কাজের পুণ্য নষ্ট করে, আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন।
.
৩. (একজন ভাদার কমেন্ট) জাস্ট থিঙ্ক এবাউট দ্যাট, ১৯৭১ সালে ধর্ষন করে বেড়ানো, খুন করে বেড়ানো একজন পাকিস্তানী মুসলিম জান্নাতে যাবে। ওয়াও ভাই!!
- যুদ্ধ করতে আসা পাঞ্জাব রেজিমেন্টের বেশিরভাগ সৈন্যই ছিল কাদিয়ানী। আর কাদিয়ানীরাও কাফের। (কমেন্টকারি ভুলে শিয়া বলেছিল, কাদিয়ানীরাও যারা মির্যাকে মানেনা তাদেরকে বিধর্মী বলে)
- খুন ধর্ষণ করে জান্নাতে যাবে এটা কোথায় বলা আছে? মুসলমান হওয়া আর জান্নাতে যাওয়া এত সোজা না ভাই।
- আর রেপ করলে বা হত্যা করলে এ মুসলমান হইলেই মাফ পাবে তাতো না। এজন্য তাদের শাস্তি দেয়া হবে।
- ধরেন, আমি বাবা-মার কথা মাঝেমধ্যে শুনিনা, তাই বলে চিপাগলির আক্কাস তো তাদের কাছে আমার চেয়ে প্রাধান্য পাবে না। কারণ অন্য সময় বাবা-মার কথা যে শুনে, সেটাও তো আমিই।
- আপনার ধর্মে এইটা কোথায় আছে যে কেউ বৌদ্ধ না হয়েও জান্নাতে যাবে। অমিতাভ রেফারেন্স দিলে আমি পড়তাম।
.
৪. (এটা নাম কা ওয়াস্তে মুসলমান) জান্নাতে গেলে তো গেলামই ! bt জাহান্নামে গেলে পৃথিবীর সব বস লোকদের সাথে দেখা হবে! আইনস্টাইন , পল ডিরাক, JC ম্যাক্সওয়েল, ডি ব্রগলি। ভাবতেই কেমন জানি লাগে।
- বস লোকদের সাথে মুগুর খাবেন, ইন্টারেস্টিং না?
- বিপদে পড়লে মানুষ বাপের নামই ভুলে যায়। আর কিয়ের আপনার বস।
- বস লোকদের যে তৈরি করেছে, তারে দেখার ইচ্ছা হয় না?
.
৫. একজন হিন্দুর মন্তব্য ছিল – ‘এখানে কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে মুসলমানরা জান্নাত কিনে নিয়েছে, অন্যরা আর কিনতে পারবে না।’ উনি আরও কিছু বলেছিলেন যার মধ্যে আফসোস ছিল।
- ভাই এই বইটা আপনার পড়া উচিত “মরণের পরে কি হবে - মাওলানা আশেক এলাহী বুলন্দশহরী রহ.” (সাথে রকমারি.কম লিংক)
= ভাইজান এই বইটা যে লিখেছেন এটা তার কল্পনা। আমরা কল্পনাতে কত কি না ভাবি ।
- গল্প পড়েন না? গল্প হিসেবেই পড়বেন..।
- অপু ভাই আপনাদের স্বর্গ আছেনা? আপনার কিসের চিন্তা ? (অর্থাৎ আপনাদের স্বর্গে যান, আমাদের জান্নাত নিয়ে টানাটানি করেন কেন?)
--
আরও বেশ কিছু কমেন্ট ছিল, নাম কা ওয়াস্ত মুসলমানদের কমেন্টগুলো দুঃখজনক হলেও। সব মিলিয়ে পোস্টটা ভালো হয়েছিল। অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর এসেছে...

---------
Share:

আবু হুরায়রা; বিড়ালওয়ালা

আবু হুরায়রা অর্থ 'বিড়ালের বাবা' না। এর অর্থ #বিড়ালওয়ালা
আবু শুধু বাবা অর্থে আসে না। বরং অধিকারী, প্রযত্নে ইত্যাদির জন্যও ইউজ হয়।
আবু হুরাইরা রা. সাথে বিড়াল রাখতেন, কখনও জামার আস্তিনে* বিড়াল রাখতেন।
তাই রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিড়ালওয়ালা বলে ডেকেছিলেন। উনি এটাই পছন্দ করেছেন। ফলে উনার নাম আব্দুর রহমান এর বদলে এটা প্রসিদ্ধি পেয়ে গেছে।

*আগে জামায় পকেটের চল ছিল না, জামার হাতার কলার বড় করে পকেটের মত বানানো হত

..
আবু শব্দ ব্যবহারের আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে, ইমাম আবু হানিফা রহ.
উনার নাম নুমান বিন সাবিত। উপনাম আবু হানিফা। অথচ উনার তো কোন মেয়েই ছিল না, তাহলে এই "হানিফা" টা কে?
.
দ্বীনে হানিফ অর্থ খালিস দ্বীন, যেখানে শুধুই ইসলাম আছে, অন্য কিছু না। যা নির্ভেজাল মিল্লাতে ইবরাহিম। তাই আবু হানিফা অর্থ বিশুদ্ধ বা নির্ভেজাল দ্বীনওয়ালা।
ইমাম আবু হানিফা রহ. বিভিন্ন বাতিল ফিরকা থেকে দ্বীনকে পরিচ্ছন্ন রাখার মেহনত করেছেন তাই, উনি আবু হানিফা। অর্থাৎ বিশুদ্ধ দ্বীনওয়ালা।
..

যেমনঃ আল্লাহ বলেছেন,
وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِّمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ "حَنِيفًا"
তাঁর চেয়ে উত্তম কে হতে পারে? যে আল্লাহর নির্দেশের সামনে আত্মসমর্পন করে, সৎকাজে নিয়োজিত থাকে আর #একনিষ্ঠভাবে মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ করে। (সুরা নিসা, আয়াত ১২৫)

---
রি-প্লে
- আবু হানিফা অর্থ নির্ভেজাল দ্বীনওয়ালা
- আবু হুরায়রা অর্থ বিড়ালওয়ালা
- আবু সবসময় বাবা অর্থেই আসে না

------
উৎসঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/1652282918194565

------
কমেন্ট থেকেঃ
১. আবু হানিফা নাম নিয়ে মিথ্যা গল্প প্রসঙ্গে এটা দেখা যেতে পারে https://www.youtube.com/watch?v=B-bbZOsXLgs
২. হানিফা অর্থ - https://www.almaany.com/ar/name/حَنيفة/
 اسم علم مذكر ومؤنث عربي. والحنيف: المسلم، من اتبع ملة إبراهيم مناسك الحج، والإخلاص للدين، والاختتان، والإذعان لعبوديته، واعتزال الأصنام، والاغتسال من الجنابة، وتحريم الخمر، على ما كان إبراهيم يدعو له. والحنيف: الذي مالت رجله إلى داخل، فهي حنفاء. وأبو حنيفة إمام المذهب الحنفي (ت 150 هـ).
Share:

অধিকাংশ মুসলমানই খারাপ?!!

[ক]
কোরআনুল কারিমের অনেকগুলো আয়াতে এমন কিছু বাক্য এসেছে- অধিকাংশ লোকই পথভ্রষ্ট, অধিকাংশ লোকই কাফির, অধিকাংশ লোকই ঈমান আনে না, অধিকাংশ লোকই আল্লাহকে বিশ্বাস করে সাথে শিরকও করে। ইত্যাদি..
ইদানীং এই আয়াতগুলোর অপব্যবহার হয়। বিশেষত: বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তার লোকেরা এগুলোকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে।
[খ]
তাদের কোন কাজের ব্যাপারে যদি আপনি আপত্তি তোলেন, “মুসলমানদের মাঝে তো এর প্রচলন নাই! কই পাইছেন এটা? অথবা আপনারা দু’চারজনই খালি ইসলাম বুঝলেন? বাকি সব মুসলমান গোমরাহ? অথবা সালাফদের বা বর্তমানের বড় বড় আলেমদের আদর্শের সাথেও তো আপনাদের যায় না।”
তখন তারা কোরআনের এই আয়াতগুলো দেখিয়ে বলবে, দেখসো? এখানে বলছে “অধিকাংশ মানুষই খারাপ”
[গ]
তখন আপনিও হয়তো বলবেন তাইতো!! কিন্তু আপনি যে জিনিসটা মিস করবেন, তা হচ্ছে- এই আয়াতগুলোতে অধিকাংশ মুসলিম বা অধিকাংশ আলেমের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে “অধিকাংশ মানুষ”।
আর মুসলমানদের চেয়ে যেহেতু কাফিরদের সংখ্যা অনেক বেশি। উইকি বলছে বিশ্বের জনসংখ্যার ২৪.১% মুসলমান, এখান থেকে আবার ৪% এর মত বাদ যাবে শিয়া হিসেবে। তাহলে ধরেন ২০% মানুষ মুসলমান। বাকি ৮০% কাফির। তাহলে তো কোরআন কথা ঠিকই আছে। অধিকাংশ মানুষ কাফির, মুশরিক, পথভ্রষ্ট ইত্যাদি…
কিন্তু এর দ্বারা তো কোনভাবেই প্রমাণ হয় না, অধিকাংশ মুসলমান অথবা অধিকাংশ আলেম পথভ্রষ্ট। (আল্লাহর পানাহ)
আল্লাহ যা বলেননি, সেটা দাবি এবং প্রচার করলে স্থায়ী ভ্রষ্টতা অবধারিত হয়।
[ঘ]
তার মানে আবার এটা মনে করবেন না, যে অধিকাংশ মুসলমান কিছু করলেই সেটা সঠিক হয়ে যাবে।
একটা হাদিস আছে এরকম- রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম বলেছেন, নিশ্চয় আমার উম্মত গোমরাহের ওপর একমত হবে না। (ইবনে মাযাহ, তাবারানী)
উম্মত বলতে যদি সমগ্র উম্মত উদ্দেশ্য হয়, তবে কোরআন আয়াত এটার সমর্থন করে এবং সে বিবেচনায় হাদিসের অর্থ সহিহ। কিন্তু এর সনদের ব্যাপারে মুহাদ্দিসিনের আপত্তি আছে, উমদাতুল ক্বারিতে বদরুদ্দিন আইনি রহ. এটাকে জয়ীফ বলেছেন।
এত কিছুর পরেও কেউ কেউ এই হাদিস দেখিয়ে বলতে চান, “অধিকাংশ মুসলমান গোমরাহ হবে না।” দুঃখিত এই হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণ হয় না! আর অধিকাংশ মুসলমান কোন কাজ করার দ্বারা ইজমা প্রমাণ হয় না। ইজমার শর্ত ভিন্ন…
[ঙ]
উপসংহার হচ্ছে, সংখ্যা কখনওই হক্বের মাপকাঠি না। এটা গণতন্ত্রে মোড়লগিরির মাপকাঠি। (কেউ বলেছিল, সংখ্যালঘুর ওপর সংখ্যাগুরুর শাসন চাপিয়ে দেয়াকে গণতন্ত্র বলা হয়!)
.
বেশিরভাগ অথবা অল্প সংখ্যক মুসলমান কোন কাজ করলে সেটা সহিহ বা গলত কোনটাই প্রমাণ হয় না। কোন কাজ সহিহ কিনা জানতে কোরআন-সুন্নাহ দেখতে হবে, সাহাবাদের ইত্তিবা করতে হবে, সালাফের বুঝ গ্রহণ করতে হবে।
.
তবে হ্যাঁ! শরিয়তে জমহুর (অধিকাংশ) আলেমদের মত, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। অনুরূপভাবে যাল্লাত শুযুযাত (বিরল ও বিচ্ছিন্ন মত) বাহ্যদৃষ্টে মজবুত মনে হলেও পরিহার্য।
..
আল্লাহ আমাদের হক্ব বুঝার এবং মানার তাওফিক দিক, আমীন!

--------
Share:

December 9, 2017

কালোজিরা সকল রোগের মহৌষধ, তাহলে…

[ক]
তরুণদের এক মজলিসে আড্ডা হচ্ছে, বিভিন্ন সংশয়মূলক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর চলছিল, একে অপরের কথা খণ্ডন করে তাঁরা নিজেদের উত্তরগুলো ডেভেলপ করছিল।
তো কথা প্রসঙ্গে একজন বলল – ও হুজুর!
- জি হুজুর বলেন..
- আপনারা তো বলেন কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ, তাইনা?
- হ্যাঁ বলি! তো?
- তাহলে যে অসুখই হবে, কালোজিরা কিনে নিয়ে বাড়িতে বসে বসে খাবেন। ডাক্তারের কাছে যান কেন?
পাশের এক ভাই যোগ করলেন, আহমাদ শফি দা.বা. যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন নাস্তিকরা তখন ব্যঙ্গ করছিল – বিদেশ যাওয়া লাগবে কেন? সুরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দাও গিয়ে…
মনে মনে বললাম - হুম… জটিল প্রশ্ন। দেখা যাক জাতি এবার কি বলে?
.
[খ]
আমাদের আকিদা হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ায় এমন কোন রোগ দেননি, যার চিকিৎসা নাই। বুখারি এবং মুসলিমে হাদিসে এমনই আছে আর এই কথা আমভাবে সর্বপ্রকার রোগের ক্ষেত্রেই আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি এইডস, ক্যান্সার, হাঁপানি, ডায়াবেটিক সবকিছুরই চিকিৎসা সম্ভব। তবে রুগীর কপালে মৃত্যু লেখা থাকলে ভিন্ন কথা।
..
আচ্ছা সংলাপে ফিরা যাক..
হুজুর ১ – আচ্ছা, ইদানীং প্রচণ্ড গ্যাস করছে। আমার এন্টাসিড খাওয়া উচিত, তাইনা?
হুজুর ২ – হ্যাঁ!
- আমি যদি একটা মুখের ঘায়ের ঔষধ খাই। লাভ হবে?
- উঁহু!
- আচ্ছা! ভাই প্যারাসিটামল কি জ্বরের ঔষধ? - হ্যাঁ?
- আর এলাট্রল? - এলার্জি, সর্দি..
- আচ্ছা, আমার সর্দি এবং জর হয়েছে। আমি দশ পাতা নাপা এক্সট্রা, দশ পাতা এলাট্রল কিনলাম। সবগুলো ঔষধ বের করে গরুর গোশতের ঝোল দিয়ে মাখিয়ে ৫মিনিট ওভেনে রাখলাম, এরপর ভাতের বদলে এই দেড় প্লেট ঔষধ খেয়ে রাত্রি যাপনের সিদ্ধান্ত নিলাম। আপনার অনুভূতি কি?
- তুই সকাল বেলা মইরা পইড়া থাকবি  -_-
- যদি এই দুই ঔষধের একটা ট্যাবলেট ২০টুকরা করে প্রতিদিন এক টুকরা করে খাই? কিংবা ঔষধ না খেয়ে বরং গুড়া করে পেটে মালিশ করি… রোগ ভালো হবে?
- নাহ!
- কেন ভাই? আমার অসুখের জন্যই তো ঔষধ খাইলাম। জ্বরের জন্য নাপা খেলাম, ঠাণ্ডার জন্য এলাট্রল তুই বলছি অসুখ তো ভালো হবেই না, উল্টা আমি মরে যাব। গ্যাস্ট্রিকের জন্য রিবোফ্লাভিন খাইলাম তুই বলিস কোনই লাভ হবে না!! একেমন বিচার?
.
[গ]
ডাক্তারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দুটি ১. রোগ নির্ণয় করা ২. ডোজ নির্ণয় করা।
কি রোগ এটা খুঁজে বের করা, আর এই রোগের জন্য কোন ঔষধ কি পরিমাণে খেতে হবে বা ব্যবহার করলে আরোগ্য হবে হবে সেটা জানা।
মূলত: চিকিৎসা এটাকেই বলে।
উপরের সংলাপে “হুজুর ১”এর প্রথম রোগ ভালো হবে না কারণ, তার সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আর সে খেয়েছে মুখের ঘায়ের ঔষধ। সে রোগ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
আর পরের রোগ দুটি ভালো না হওয়ার কারণ হচ্ছে, সে ডোজ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
তাহলে শিফার জন্য আমাদের কয়েকটি বিষয় লাগছে –
১. ঔষধ
২. রোগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঔষধ দেয়া
৩. নির্দিষ্ট পরিমাণে ঔষধ খাওয়া অথবা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করা
কালোজিরার ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি – এটা সব রোগের জন্য ঔষধ।
- অর্থাৎ প্রথম দুই ক্রাইটেরিয়া মিলেছে। এবার আমরা যদি প্রতিটা রোগের জন্য সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পন্থায় কালোজিরা নামের ঔষধ ব্যবহার করতে পারি, তাহলে অবশ্যই প্রতিটা রোগ থেকেই শিফা হবে। মৃত্যু ছাড়া!!
.
[ঘ]
সারকথা, খেজুর কালোজিরার মধ্যে শিফা আছে তার মানে তো এটাই আবশ্যক না যে – এক চিমটি কালোজিরা খেলেই শিফা হবে। অন্যান্য ঔষধ-পথ্যের মত এটারও বিভিন্ন মেথড আছে। সুরা ফাতিহার ক্ষেত্রেও একই কথা…
উদাহরণস্বরূপ: কোন রোগের জন্য কালোজিরার তেল সকাল বিকাল মাখতে হবে, কোন রোগের জন্য খালি পেটে মধুর সাথে কারো জিরা খেতে হবে, কোন রোগের জন্য গামছায় মুঠ করে কালোজিরা শুকতে হবে, কখনও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ইউজ করতে হবে। কখনও অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে হালুয়া বানিয়ে খেতে হবে।
যে রোগে যেরকম দরকার, আমরা যদি সেভাবে সঠিক মাপে প্রয়োগ করতে পারি। তাহলেই দেখা যাবে কালোজিরা সকল রোগের শিফা।
এই পরিমাপ আর পদ্ধতি তোমরা গবেষণা করে আবিষ্কার কর। আমরা তো মানা করিনি, বরং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত - রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – তোমরা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা কর, আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা কর না। কারণ, তোমরা এর সামর্থ্য রাখনা!!
---------
এই লেখাটাও দেখা যেতে পারে- https://facebook.com/1181884035245488
Share:

April 25, 2017

পুতিন এই জামানার নাজাশী!? বাদশা নাজাশী কি খ্রিষ্টান ছিল?

[a]
কোন শায়খের অনুসারীরা দিবারাত্রি রাশিয়ার গুণগান গায়, সেটা হয়তো আপনারা জেনে থাকবেন। তবে রাশিয়ার গান গাইতে গাইতে তারা যে পুতিনকে আমিরুল মুমিনিনের চেয়ারে বসানোর যথেষ্ট কসরত করে, এটা কি জানা আছে?
পুতিনের ক্ষেত্রে তারা যে উপমা ব্যবহার করে, তা হচ্ছে "পুতিন যেন এই জামানার নাজ্জাশি!"
তারা বলে থাকে "নাজ্জাশি একজন খ্রিষ্টান ছিল, পুতিনও একজন খ্রিষ্টান! নাজ্জাশির দ্বারা যেমন (মাক্কি যিন্দেগীতে) অনেক মুসলমানকে আল্লাহ হিফাজত করেছেন, তেমন পুতিনের দ্বারা সিরিয়াকে রক্ষা করছেন!!"
.
[b]
প্রথমে আমরা দেখি পুতিনের রাশিয়া এই মাসে সিরিয়ার মুসলমানদের রক্ষার্থে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, এরপর নাজাশির দিকে মনযোগী হবো। আমাদের হাতে এখন 'শুধু ইদলিবের' খবর আছে...
.
এই মাসে রাশিয়া বিশেষভাবে চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রগুলোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। (তথ্যসূত্রঃ আল ফুসতাত মিডিয়া টেলিগ্রাম চ্যানেল) শুধু এই এপ্রিলে ইদলিবের যেসব চিকিৎসা কেন্দ্রে হামলা করেছে করেছে-
১। জাতীয় হাসপাতাল, মাইর্ত [maaert] আল নোমান সিটি (২ এপ্রিল)
২। আর-রাহমাহ হাসপাতাল, খান শাইখুন সিটি (৪-১৬ এপ্রিল)
৩। হেশ ভিলেজের ডিসপেনসারিসমুহ (৭-৮ এপ্রিল)
৪। আল-ইখলাস হাসপাতাল, শিনান ভিলেজ (১৭ এপ্রিল)
৫। সেন্ট্রাল হাসপাতাল, আবিদিন ভিলেজ (২২ এপ্রিল)
৬। ওয়াসিম হিসেনো হাসপাতাল, কাফার তাখারেম সিটি (২৫ এপ্রিল)
.
রাশিয়ার এই সবগুলো বিমান হামলা শুধু এই মাসের মধ্যেই হয়েছে। মাসের আরো ৫দিন এখনো বাকি!  হাসপাতালগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, চিকিৎসা সেবা বন্ধ, বাশারের বাহিনী প্রতিদিন রাসায়নিক বোমা হামলা করছে, রাশিয়া চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে।
.
তবুও ইমরান নজর হোসেনের মুরিদরা প্রচার করছে "বাশার এই জামানার সালাহুদ্দিন আইয়ুবী! পুতিন এই জামানার নাজাশী!! আর রাশিয়া মুসলমানদের বন্ধু!!!"
হায়... এরকম নিষ্ঠুর কৌতুকে স্বয়ং ইবলিস শয়তানও বোধহয় স্তম্ভিত.!
.
[c]
এবার আসুন বাদশাহ নাজাশি প্রসঙ্গে, ইমরান সাহেবের ভক্তরা রাশিয়ার খ্রিষ্টানদের বহুবিধ ফায়দা বর্ণনা করে থাকে। গতদিন আমরা ইমরান নজর হোসেনের যে ভিডিওটি শেয়ার করেছি (bogus jihad in syria) সেখানে উনি রাশিয়ার প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন- "রাশিয়া রিয়েল ক্রিশ্চিয়ানিটির দিকে ফিরছে..."
এছাড়া আজ শুরুতে আমরা উল্লেখ করেছি উনার ভক্তরা পুতিনকে কিভাবে নাজাশির সাথে তুলনা করে থাকে.. (প্রমাণ দেখুন কমেন্টের স্ক্রিনশটে)
.
এবার আপনি প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন, নাজাশী বাদশাহ (রাসুল সা. যার জানাজা পড়েছিলেন) সে কি সত্যিই খ্রিষ্টান ছিল? না ইসলাম কবুল করেছিল?
উত্তর হচ্ছে, নাজাশি অনেক আগেই রাসুল সা. এর চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবি তালেব রা. এর কাছে ইসলাম কবুল করেছে। এজন্যই রাসুল স. তাঁর জানাজা পড়েছেন, কখনওই কোনো কাফিরের জানাজা আমাদের রাসুল স. পড়েননি।
কিন্তু ইমরান সাহেবের মুরিদেরা রাশিয়ার দালালি করার সুবিধার্থে সেটা গোপন করে, একজন মুমিন বাদশাহকে খ্রিস্টান হিসেবে প্রচার করছে।
আমরা এপ্রসঙ্গে muftisays(.)comএর একটি ফাতওয়ার অনুবাদ প্রকাশ করছি..  প্রিয় ভাইয়েরা পড়ে নিবেন। এবং বেশি বেশি প্রচার করবেন।
.
[d]
প্রশ্নঃ সম্মানিত শায়েখ আসসালামু আলাইকুম, এটা কি সত্যি যে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাসি রাসূল সা.এর জীবদ্দশায় মুসলিম হয়েছিলেন? যদি সত্যি হয়, দয়া করে আপনি কি আমাকে উদ্ধৃতি দিতে পারেন কোন গ্রন্থে এটা উল্লেখ হয়েছে?
.
উত্তরঃ
বিসমিল্লাহ্, আল্লাহর দেয়ার তাওফিক অনুযায়ী উত্তর।
হ্যা, নাজ্জাসি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর জীবদ্দশায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
নিচে, আর রাহীকুল মাখতুম (রাসুল সা. এর একটি নির্ভরযোগ্য এবং প্রসিদ্ধ জীবনী) পৃষ্ঠা ২২১,২২২ এর সারকথা উল্লেখ হলঃ
.
"নাজাশী, আবিসিনিয়ার (ইথিওপিয়া) রাজা। তাঁর নাম ছিল আশামা বিন আল-আবজার, নবী সা.এর বাণী গ্রহণ করেছিলেন। চিঠিটি আমর বিন উমাইয়া আল-দামরি রা.এর মাধ্যমে প্রেরিত হয়েছিল, যা আত-তাবারিতে উল্লেখ হয়েছে, সেটি হিজরতের ছয় বছর পরের কিংবা হিজরতের সাত বছর আগের। চিঠিটির তাহকিকে দেখা যায়, এটি হুদায়বিয়াহ সন্ধির পরে পাঠানো হয়নি। চিঠির কথোপকথন বরং ইঙ্গিত দেয় যে, এটা রাজাকে পাঠানো হয়েছিল যখন জাফর রা. এবং তাঁর সঙ্গিরা মাক্কি যুগে আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন।
কারণ, চিঠির একটি বাক্যে খুজে পাওয়া যায়, "আমি আমার চাচাতো ভাই জাফরের সাথে মুসলিমদের একটি জামাত আপনার কাছে পাঠালাম। তাদের প্রতি উদার হবেন এবং অযথা গর্ব করবেন না।"
(এছাড়া চিঠিতে সিল মোহর নেই, যা মদিনার চিঠিগুলোতে রয়েছে,  -অনুবাদক)
ইমাম বাইহাকী, ইবন ইসহাক রহ.এর সুত্রে, নাজাশীর কাছে পাঠানো নবীর চিঠির নিম্নোক্ত বিবরণ দিয়েছেনঃ
.
"চিঠিটি নবী মুহাম্মদের পক্ষ থেকে নাজাশী আল-আশামা, আবিসিনিয়ার (ইথিওপিয়া) রাজার প্রতি প্রেরিত হচ্ছে।
তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক যে হিদায়াতের অনুসরণ করে, এবং আল্লাহর ও তার রাসুলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তাঁর স্ত্রী বা পুত্র নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আপনাকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান করছি; যদি আপনি ইসলাম গ্রহণ করেন, আপনি নিরাপত্তা পাবেন,
"বলুন হে কিতাবীগণ, তোমরা এমন কথার দিকে এসো, যা আমাদের এবং তোমাদের নিকটে সমান। আমরা শুধু আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত করিনা, আর তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করিনা এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আমাদের রব হিসাবে গ্রহণ করিনা। এরপর যদি তারা বিমুখ হয় তবে বল, 'তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা মুসলমান।'" [আলে ইমরান, ৬৪]
যদি আপনি আমার আহ্বান অস্বীকার করেন, তাহলে আপনি আপনার খ্রিষ্টান জনগণের সকল অনিষ্টের কারণ হবেন।"
.
ড. হামিদুল্লাহ (প্যারিস), একজন নির্ভরযোগ্য মুহাক্কিক, উপরের চিঠিটির একটি সংস্করণ কিছুদিন প্রকাশ করেছেন এবং সেটি ইবনুল কাইয়্যিম রহ.এর বর্ণনার অনুরূপ। ড. হামিদুল্লাহ অনেক প্রচেষ্টা করেছিলেন এবং মূল চিঠিটির পাঠোদ্ধারের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সকল মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন, যা নিন্মরূপে পড়ুনঃ
"আল্লাহর নামে, যিনি সবচেয়ে ক্ষমাশীল, সবচেয়ে দয়ালু। মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল থেকে নাজাশী আবিসিনিয়ার রাজার প্রতি। তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক যে সঠিক দিকনির্দেশনার অনুসরণ করেছে। অভিবাদন জানাই, আমি আল্লাহর প্রশংসা করি, তিনি ছাড়া কোনা উপাস্য নেই, তিনি সার্বভৌম, পবিত্র, শান্তির উত্‍স, শান্তিদাতা, বিশ্বাসের প্রতিপালক, নিরাপত্তার রক্ষাকর্তা। আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে মরিয়ম পুত্র ঈসা আলাইহিস সালাম রুহুল্লাহ। এবং আল্লাহর হুকুম কুমারী, সত্‍, পবিত্র মরিয়মের মধ্যে সঞ্চালন করেছিলেন। যার কারনে তিনি ঈসা আলাইহিস সালামকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। আল্লাহ নিজে তাঁর নূর এবং তাঁর রূহের ফুঁক থেকে তাঁকে সৃষ্টি করেছেন, যেমনটি তিনি আদম আ.কে সৃষ্টি করেছিলেন। আমি আল্লাহর একজন রাসূল হিসেবে আপনাকে আল্লাহ এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই এবং তাঁর আনুগত্যের দিকে এবং আমাকে অনুসরণের দিকে এবং আমার উপর যা অবতীর্ন হয়েছে এসবের দিকে আহ্বান করছি। আমি আপনাকে এবং আপনার জনগণকে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর দিকে আহ্বান করছি। আমি এভাবে সাক্ষ দিচ্ছি যে, আমি আমার বার্তা এবং উপদেশের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি আপনাকে আমার উপদেশ শোনার এবং গ্রহণ করার আহ্বান করছি । তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক যিনি হিদায়াতের অনুসরণ করেছে।" [এই চিঠি সম্বলিত হাদিসটি রয়েছে- যাদুল মা'আদ ৩খ/৬০পৃ]
.
চিঠির মূলঅংশটি নিঃসন্দেহে সহীহ, কিন্তু হুদাইবিয়াহের সন্ধির পরে ইহা লিখিত হয়েছিল বলে সমর্থন করার জন্য এখনও নির্দিষ্ট প্রমাণের অভাব রয়েছে। যখন আমর বিন উমাইয়া আদ-দামরি'র (রাঃ) মাধ্যমে নাজাশীর কাছে চিঠি প্রেরণ হয়েছিল, চিঠিটি একটি চামড়ার উপর লেখা হয়েছিল এবং তাঁর চোখের সামনে মেঝেতে রাখা হয়েছিল, তিনি ইসলাম কবুল করেছিলেন এবং নবী'কে (সাঃ) নিচের প্রত্যুত্তর লিখেছিলেনঃ
.
"আল্লাহর নামে, যিনি সবচেয়ে ক্ষমাশীল, সবচেয়ে দয়ালু। নাজাশী আশামা থেকে মুহাম্মদ, আল্লাহর রাসূলের প্রতি। আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, হে আল্লাহর রাসূল! পাশাপাশি আল্লাহর কৃপা ও রহমত বর্ষিত হোক যিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার চিঠি গ্রহণ করেছিলাম, যেখানে আপনি ঈসা আঃ সম্পর্কে এবং পৃথিবী ও জান্নাতের অধিপতি সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন, আপনি যা বলেছেন ঈসা (আঃ) তার চেয়ে বেশি কিছু নন। আমরা সম্পূর্নরূপে স্বীকার করি,  যা দিয়ে আপনাকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর আমরা আপনার চাচাতো ভাই ও তাঁর সঙ্গীদের আপ্যায়ন করেছিলাম। আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে আপনি আল্লাহর রাসূল, সত্য এবং নিশ্চিত যারা আপনার আগে (নবী হিসবে) বিগত হয়েছেন। আমি আপনার চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে আপনার কাছে অঙ্গীকার করেছি এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবীর অধিপতির নিকট নিজেকে সমর্পণ করেছি।"
[যাদুল মা'আদ ৩/৬১]
.
হিজরত পরবর্তী সময়ে নবী সা. নাজাশীকে সংবাদ পাঠিয়ে আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী জাফর এবং তার সঙ্গী সাহাবী রা.দের বাড়ি পাঠানোর জন্য বলেছিলেন। তাঁরা ফিরে এসে নবী'র (সাঃ) সাথে খাইবারে দেখা করেন। নীগাস তাবুক যুদ্ধের কিছুদিন পরে হিজরতের ৯ বর্ষে রজব মাসে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। নবী (সাঃ) তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষনা করেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে জানাযার নামাজ পড়ান।
.
পরবর্তিতে আরেকজন রাজা নাজাশীর অনুসারী হয়ে সিংহাসনে বসেন এবং নবী (সাঃ) তাকে আরেকটি চিঠি প্রেরণ করেন কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন কি করেননি সে ব্যাপারে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। [সহিহ মুসলিম ২/৯৯]
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন..
.
উত্তর লিখেছেন-
মাওলানা কামরুজ জামান
লন্ডন, ইউ কে
....
[e]
রাসুলুল্লাহ সা. এর চিঠির স্ক্যান কপি আমাদের সংগ্রহে রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের জন্য সংযুক্ত করে দেয়া হচ্ছে-
নাজাশির প্রতি রাসূল সা. এর চিঠি, সেখানে সিলমোহর নেই। অর্থাৎ মাক্কি জামানার চিঠি...

.
লেখা অনেক দীর্ঘ হয়ে গেলো, সর্বোপরি আমরা আল্লাহর কাছে রহমত এবং নুসরতের প্রত্যাশী, ওই ভাইদের জন্য হিদায়াতের প্রত্যাশী। আশা করছি ভবিষ্যতে নাজাশীর নামে আপনারা কখনো বিভ্রান্ত হবেন না।
শায়খ ইমরান নজর হোসেনের অনুসারী ভাইদেরকেও আমি তাওবাহ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তাহলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জান্নাতে একসাথে মিলিয়ে দিবেন।
ওয়াসসালাম...
.
-----------
পোস্টের ফেসবুক লিংক
Share:

সিরিয়ার জিহাদ বোগাস !!!

[a]
ইমরান নজর হোসেনের একটি লেকচার, যেখানে উনি যুবকদের সিরিয়ার জিহাদে অংশগ্রহণ থেকে নিরুৎসাহিত করেছেন।
এখানে উনি স্বভাবগত ভাবেই কোরআন হাদিসের কিছু কোটেশন এবং উনার যাদুময় বাচনভঙ্গি ব্যবহার করে সম্মোহিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
.
এটার কয়েকটি পয়েন্ট..
- বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা উচিত নয়, কারণ শায়খ জানেন(!) বাশারের পতন হলে সিরিয়ার অবস্থা লিবিয়ার মত হবে!
- বাশারের বিপরীতে আপনার আকিদা সহীহ হলেও বাশারের সাথে যুদ্ধ করা যাবেনা, কারণ মুজাহিদদেরকে জায়নিস্টরা গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করছে! (নাউযুবিল্লাহ) শিয়া বাশারের বিরুদ্ধে সুন্নি মুজাহিদরা বিজয়ী হলেও লাভের গুড় ইহুদি এলায়েন্স খাবে!!
শেষকথাঃ রাশিয়ার সাথে মুসলমানদের একতাবদ্ধ হওয়া উচিত, মহামতি ইরানের মতো! কেননা, রাশিয়া আস্তে আস্তে প্রকৃত খৃষ্টান ধর্মের দিকে ফিরছে!!
.
লেকচারটি ইমরান সাহেবের বাংলাদেশি  বিশেষ প্রচারক বশির মাহমুদ ইলিয়াস নিজ চ্যানেলে আপলোড করেছেন "Bogus jihad in Syria" নাম দিয়ে!

(লিংক bogus jihad in syria! https://m.youtube.com/watch?v=0szzbNmbj6Y)
.
সিরিয়ায় মুসলমানদের ওপর কশাই বাশার আল আসাদ এবং বাশারের পিতা হাফিজ যে অত্যাচার করেছে এটা আমরা সবাই দেখেছি, এখনো দেখছি। কমপক্ষে ৫ লক্ষ নিরীহ মুসলমান হত্যা করেছে, সিরিয়ার ৫০% এরও বেশি মানুষ গৃহহীন!
এই মজলুমদের পক্ষে অস্ত্র হাতে নিলেও ইমরান সাহেব এখানে কন্সপাইরেসি থিওরি খুঁজে পাচ্ছেন!! সিরিয়ার ঘরে ঘরে কারবালা বইয়ে দেয়ার পরেও রাশিয়াকে মুসলমানদের বন্ধু হিসেবে প্রচার করছেন!! 
মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধ করা মুজাহিদদের বলছেন ইহুদীদের ক্রিড়ানক! আর কাফির বাশারকে বানাচ্ছেন হিরো!!
.
ইয়া লাইতানী কুনতু তুরাব...
.
[b]
আমরা গতদিন ইমরান সাহেবের ব্যাপারে একটা ফাতওয়া অনুবাদ করেছিলাম, যা ইমরান নজর সাহেবের মাতৃভূমি ত্রিনিদাদ এর দারুল ইফতা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাতওয়াটি প্রথমে প্রকাশ হয়েছিলো askimam.org এ। পরবর্তিতে islamqa.org হানাফি সেকশনে সেটাকে মিরর করেছে।
(ফাতওয়ার লিংক
http://islamqa.org/hanafi/askimam/82557)

.
কিন্তু ইমরান সাহেবের ভক্তরা গতদিনের লেখাটির সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেন-- "সারাদিন মাজহাবী লা মাজহাবী ঝগড়ায় লিপ্ত থাকা তালিবে ইলমরা এখন সালাফি আলেমের ফতোয়াকে শায়খের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন"
সুবহানাক! হাযা বুহতানুন আযিম...
.
ইমরান নজর সাহেবের এত বড় বড় ভুঁরাজনীতি বিশারদ অনুসারীরা এই সাধারণ তথ্যটাও জানেনা যে, "ইসলাম কিউএ দুইটা" Islamqa.org সব ফিকহি মাজহাব এর  ফাতওয়া মিরর করে। উনারা জানবেন বা কিভাবে? ফান্ডামেন্টাল নলেজের প্রয়োজন বোধ উনারা করেছেন কখনো?
ইসলামি জ্ঞানে প্রধান সেক্টর "সিয়ার, আদাব, তাফসির, আকাইদ, আহকাম, মানাকিব" সব ছেড়ে উনারা "ফিতান আর আশরাত" এর কিছু হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা নিয়ে সারাদিন পড়ে থাকেন। এই অধ্যায়ের বাকি হাদিস উনাদের অপব্যাখার সাথে না মেলার কারনে অস্বীকার করেন!
.
হায়! আল্লাহ হিদায়াত না দিলে আমার কি করার আছে?
.
[c]
তৃতীয়ত: ইমরান সাহেব এবং উনার অনুসারীরা উম্মাতকে বিভ্রান্ত করছে। এটা মানুষকে জানিয়ে দেয়া নাকি গীবত!!
তাহলে জরাহ তা'দিলের সংকলন তাহযিবুত তাহযিব, তাকরিবুত তাহযিব, সিয়ারু আলামিন নুবালা ধরনের কিতাবগুলোকে 'গীবত বিশ্বকোষ' ছাড়া অন্যকিছু বলা অবকাশ কি আছে?
.
আমার ওই ভাইদেরকে দুইটি অনুরোধ রেখে আজকের লেখায় ইতি টানছি..
১। আপনারা কষ্ট করে সহিহ মুসলিমের মুকাদ্দামা এবং শাইখ আরিফির মহাপ্রলয় বইটি পড়বেন।
২। সালাতের পর আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন 'আমি যদি এগুলো লেখে ভুল করে থাকি তবে আল্লাহ যেন আমাকে হিদায়াত দেয়, আর আপনি যদি ভ্রান্তিতে থাকেন তবে আল্লাহ যেন আপনাকে হিদায়াত দেয়'
.
আশা করছি রাশিয়ার সমর্থক ভাইয়েরা আমার অনুরোধ দুটি রাখবেন...
.

---
মূল ফেবু লিংক-
Share:

April 1, 2017

আল্লাহর ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ কেন ব্যবহার হয়েছে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো এরকম:
কোরআনে আল্লাহর ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ কেন ব্যবহার হয়েছে? অথচ আল্লাহ এসব থেকে পবিত্র!

জবাবঃ
এই আপত্তি মুলতঃ ব্যাকরণ সম্পর্কে মুর্খতার কারনে উঠেছে!
খেয়াল করুন, পাখা বা ফ্যান (আরবী : মিরওয়াহাতুন) তো স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু আসলেই আপনার ঘরের সিলিং ফ্যানটা কি মেয়ে?
কলম (আরবী : কলামুন) পুং লিঙ্গ, আসলে তাই নাকি?
আরো মজা দেখেন.. তালহা (ﻃﻠﺤﺔ ) কিন্তু শব্দের দিক থেকে দেখলে স্ত্রীলিঙ্গ! অথচ এটা পুরুষের নাম, যয়নব (ﺯﻳﻨﺐ) শব্দের দিক থেকে পুংলিঙ্গ অথচ এটা মেয়েদের নাম!!

বাস্তবতা হচ্ছে আরবিতে সব ইসম - ফেয়েল (বিশেষ্য - ক্রিয়া) যেকোনো ক্যাটাগরিতে ভাগ হয়ে যায়। পুং অথবা স্ত্রী, আপনি বললেন "সে করেছে" ( ﻓﻌﻞ ) অটোমেটিক এটা পুং এর ক্যাটাগরিতে পড়েছে। স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে বলতে চাইতে শেষে আলাদাভাবে 'তা' যোগ করতে হবে (ﻓﻌﻠﺖ ) অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে শব্দ পুংলিঙ্গ হিসেবেই প্রকাশ পায়।
মোটকথা, সব ক্ষেত্রে শাব্দিক গঠনের দিকে বিবেচনা করলে হয়না।
আরবী গ্রামারের বিরাট অংশ সিমাঈ.. মানে আরবে এটার এরকম প্রচলন, অতএব এটাই ব্যাকরণ!! এসব আরবদের কাছে শুনে বুঝতে হয়, ঘটনা আসলে কী...
তো আরবী গ্রামারের নুন্যতম ধারনা না থাকলে এগুলা প্যাচাল মাথার উপর দিয়ে যেতেই পারে, এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে।

তবে এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহকে ব্যখ্যা করার মত পর্যাপ্ত শব্দ মানুষের ভাষায় নাই, এজন্য আমরা আমাদের শব্দ দিয়ে সিফাতে বারী তা'আলা অল্পস্বল্প কল্পনা করি...
কবি বলেন.. (উর্দু বাক্য ইয়াদ নাই)
"যাকে এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়েই বুঝে আসে, সে কিভাবে খোদা হতে পারে? অনন্ত অসীম স্রষ্টার ক্ষেত্রে এটাই সমীচীন যে.. তাকে ভাবতে গেলে চিন্তাশক্তি হয়রান হয়ে আত্মসমর্পণ করবে...!"

Share:

আসলেই জিবরীল আ. ওহী নিয়ে আসতেন এর প্রমাণ কি?

একজন ইনবক্সে তিনটা প্রশ্ন করেছিলো, রুকইয়াহ বিষয়ে একটা, বাকি দুইটা ইসলামের ওপর! ইসলামের ওপর প্রশ্ন দুইটা মেসেজদাতার কোনো হিন্দু ফ্রেন্ড করেছে, আমি উনাকে হাদিস এবং তারিখ থেকে আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করলাম।
প্রশ্নগুলো কিঞ্চিত বিভ্রান্তিকর হলেও আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে বুঝতে পারি, হিন্দু যুবক/যুবতিদের বিরাট এক অংশ হিন্দু ধর্মের বাজে অবস্থা দেখে তা থেকে বিমুখ হচ্ছে... আর ইসলামের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।

তো প্রথম প্রশ্নটা ছিলো এরকম-
জিবরাইল আ. আসতেন এটাতো শুধু মুহাম্মাদ স. ই দেখতে পেতেন, তাহলে আসলেই যে এরকম কেউ আসতো সেটার প্রমাণ কী?

জবাবঃ
এটা ভুয়া কথা যে রাসুল সা. ছাড়া কেউ দেখতো না, মুর্খতার কারনে এই আপত্তি করেছে। অনেক সাহাবী জিবরীল আ. কে দেখেছেন। হাদিসে জিবরিলে তো সব সাহাবিদের মজলিসের মাঝে জিবরাইল আ. এসেছিলেন।
দেখুন ওমর রা. ঘটনা কিভাবে বর্ণনা করছেন-
.
ﺑﻴﻨﻤﺎ ﻧﺤﻦ ﺟﻠﻮﺱ ﻋﻨﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺫﺍﺕ ﻳﻮﻡ ، ﺇﺫ ﻃﻠﻊ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﺭﺟﻞ ﺷﺪﻳﺪ ﺑﻴﺎﺽ ﺍﻟﺜﻴﺎﺏ ، ﺷﺪﻳﺪ ﺳﻮﺍﺩ ﺍﻟﺸﻌﺮ ، ﻻ ﻳﺮﻯ ﻋﻠﻴﻪ ﺃﺛﺮ ﺍﻟﺴﻔﺮ ، ﻭﻻ ﻳﻌﺮﻓﻪ ﻣﻨﺎ ﺃﺣﺪ ، ﺣﺘﻰ ﺟﻠﺲ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺄﺳﻨﺪ ﺭﻛﺒﺘﻪ ﺇﻟﻰ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ، ﻭﻭﺿﻊ ﻛﻔﻴﻪ ﻋﻠﻰ ﻓﺨﺬﻳﻪ ، ﻭﻗﺎﻝ : " ﻳﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ ﻋﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ "
.
একদিন আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে বসে আছি, এমতাবস্থায় ধবধবে সাদা পোশাক পরা, কালো কুচকুচে চুলওয়ালা এক ব্যাক্তি এলো। তার চেহারায় সফরের কোন ছাপ দেখা যাচ্ছিল না অথচ আমাদের কেউই তাকে চিনে না। তিনি নাবী সা.-এর সামনে বসলেন, তার হাঁটুদ্বয় মহানাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাঁটুদ্বয়ের সাথে লাগিয়ে এবং দুহাত নিজ উরুর উপর রাখলেন, তারপর জিজ্ঞেস করেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন!! ......
(সুদীর্ঘ এই দীর্ঘ হাদিসটি ইমাম মুসলিম, তিরমিযি, ইবনে মাযাহ, আহমাদ সহ অনেকে বর্ণনা করেছেন)
.......
অসাধারণ অলংকারময় ভাষায় সায়্যিদিনা উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এই ঘটনা শুনিয়েছেন, আবু হুরায়রা রা. থেকেও একই ঘটনা আছে.. তবে সেটা ওমর রা.এর মত বিস্তারিত না।
.
যা'হোক, হাদিসের বাক্যগুলো আমরা খেয়াল করি...
(১) ধবধবে সাদা পোশাক পরা,
(২) কালো কুচকুচে চুলওয়ালা,
(৩) তার চেহারায় সফরের কোন ছাপ দেখা যাচ্ছিল না,
(৪) অথচ আমাদের কেউই তাকে চিনে না।
.
এই চারটে বাক্য দ্বারা ওমর রা. এটাই বুঝাতে চাইলেন, "লোকটা এই এলাকার হলে তো আমরা চিনতাম, আর দূর থেকে আসলে তো চেহারায়, চুলে, জামাকাপড়ে সফরের লক্ষণ থাকতো। অথচ কিছুই ছিলো না... তাহলে লোকটা কোত্থেকে আবির্ভাব হলো?
হাদিসের শেষ অংশে রাসূল সা. সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেন, তোমরা কী জানো লোকটা কে? তিনি জিবরাইল!!
.
এথেকে বুঝা যায় জিবরাইল আ.কে সবাই দেখেছেন সেখানে, এরকম অনেক হাদিস আছে যেখানে সাহাবায়ে কিরাম জিবরীল আ. কে দেখেছেন। রাসূল সা. এর শেষ সময়ের ঘটনাগুলোতেও এরকম পাওয়া যায়।
তবে হ্যা! শুধু জিবরাইল আ. এর মাধ্যমেই ওহী আসতো.. ব্যাপারটা কিন্তু এরকমও না, ওহী ৭ভাবে নাযিল হতো। এটা মাত্র একটা প্রকার। (উলুমে কোরআনের যেকোনো গ্রন্থ দ্রষ্টব্য, বিশেষত তাকি উসমানী সাহেবেরটা)
রাসুল সা. এর ওপর ওহী নাযীল হওয়ার অবস্থাগুলো পাশের সবার পরিচিত ছিলো, (কোন হাদিসে যেন পড়েছিলাম, এখন ইয়াদ নাই) রাসুল সা. উট বা ঘোড়ায় বসা অবস্থায় ওহী নাযিল হলে ঘোড়ার খুর বালুতে দেবে যেত অনেকখানি!!
তো সব মিলিয়ে বলতে পারি, জিবরাইল আ. কে অন্যকেউ দেখেনি এটা সাফ হাদিসের সামনেই ধোপে টিকেনা। যুক্তির কাছে তো মোটেও না।
.
..
[কোরআনের ব্যাপারে আপত্তি করতেই যেহেতু জিবরীল আ. এর কথা তোলা হয়, তাই এবিষয়ে ইফতি ভাইয়ের কমেন্ট থেকে কিছু অংশ উল্লেখ করা যায়]
কোরআন শরীফের সত্যতার কিছু অকাট্য প্রমাণ আছে।
১) ভাষিক বৈশিষ্ট্য । আরবরা সাহিত্যে অত্যন্ত পারদর্শী হলেও বিরোধিতা করতে সক্ষম হয়নি।
২) ভবিষ্যৎ বাণী। বিশেষত রুমের ঘটনা।
৩) ওহি বলে একটা কিছু ছিল, এটা নিশ্চিত। আশেপাশের মানুষজন নবীজির ওহি আসার সময়ের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছে। প্রায় তাওয়াতুর হিসেবে প্রমাণিত। এর ব্যাখ্যা কি?
৪) কোরআন শরীফ এমন অনেক তাত্ত্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যে তত্ত্ব এখনো চমৎকৃত করছে। ( দেখুন, দসতুরুল আখলাক আবদুল্লাহ দাররাজ ও জাহেরাতুল কোরআনিয়াহ মালেক বেন নবী)
সত্যতার বিষয়ে সবচে বড় প্রমাণ হচ্ছে, কখনো নবীজি সাহাবীদের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন ও কখনো জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও অনেক দিন উত্তর দিতে পারেন নি। এ নিয়ে কষ্টেও ভুগেছেন। বিশেষত আয়েশা রাদিঃ এর ঘটনা, কাহাফের ঘটনায় তিনি কিছুদিন ওহি আসেনি। পরবর্তী বিস্তারিত বর্ণনাসহ এসেছে। মনগড়া হলে এগুলো সম্ভব ছিলোনা।

..
দ্বিতীয় প্রশ্ন এবং জবাব: http://thealmahmud.blogspot.com/2017/04/why-Allah-referred-as-m.html
Share:

March 9, 2017

খারাপ নারীরা খারাপ পুরুষদের জন্য, ভাল নারীরা ভাল পুরুষদের জন্য! তাই নাকি??

দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য, সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য!! সত্যিই কি তাই??

[ক]
বিখ্যাত একটি আয়াত.. এটা নিয়ে অনেক রসালো গল্প রচিত হতে দেখা যায়। অবিয়াইত্তা পোলাদের কেউ এজন্য তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, আর কেউ কপাল থাপড়ায়.. যাহোক! নারী দিবস উপলক্ষে এই আয়াতের দিকে আমরা কিছুক্ষণ মনযোগী হতে চাচ্ছি..
.
এই আয়াতের ওপর একটা ইশকাল বা আপত্তি উত্থাপন করে কেউকেউ। যার সারকথা হচ্ছে, "অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী খুব দ্বীনদার অথচ স্বামী বেদ্বীন। স্ত্রী অনেক নম্রভদ্র অথচ স্বামীটা বজ্জাত, কিংবা এর বিপরীতও দেখা যায়.. স্বামী বেচারা ভালো মানুষ, কিন্তু স্ত্রীটা জান ত্যানা ত্যানা করে দিচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে উল্লেখিত আয়াতের যথার্থতা কি? এটা কি ইউনিভারসাল ট্রুথ? অর সামথিং এল্স.."
.
প্রশ্নটা কোনো এক ভাই কয়েকদিন আগে করেছিলো, পরে উত্তর দিব বলে ব্যাপারটা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম, আজ ইয়াদ হওয়ায় কিছু মুতালা'আ করে উনাকে সংক্ষেপে বললাম। আর মনে হলো বিস্তারিত পোস্ট লিখলে মন্দ হয় না..
.
ইসলাম ওয়েবে একটি প্রশ্ন ছিলো উপরেরটার মতই, তবে সাথে উদাহরণ হিসেবে লুত আ. এর স্ত্রীর কথা ছিলো..

যে লুত আ. তো নিখাদ ভালো মানুষ, অথচ উনার স্ত্রী কাফির! ইত্যাদি ইত্যাদি.. তো আমরা সংক্ষেপে আয়াতটার দিকে খেয়াল করি..
.
[খ]
সুরা নূর, ২৬নং আয়াতের শব্দগুলো দেখুন-

الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ

এখানে الْخَبِيثَاتُ এবং َالْخَبِيثُونَ এর বেশ কয়েকটি অর্থ হতে পারে, এর অর্থ যেমন দুশ্চরিত্রের নারী - পুরুষ হতে পারে, তেমনি খবিসাত দ্বারা যেকোনো খারাপ কথা বা কাজও বুঝায়, নাপাকিও বুঝায়। মোটকথা, খারাপ কথা, কাজ, বস্তু, ব্যক্তি, জ্বিন সবকিছুর ক্ষেত্রেই খবীস শব্দ ব্যাবহার হয়।
অনুরূপভাবে, الطَّيِّبَاتُ দ্বারা ভালো বা পবিত্র কথা কাজ ব্যক্তি ইত্যাদি বুঝানো হয়।
.
তো আমাদের বাংলা উর্দুর প্রসিদ্ধ অনুবাদগুলোতে সম্ভবত খবিসাত তায়্যিবাত দ্বারা ব্যক্তি ধরে নিয়ে অনুবাদ করা হয়েছে, এজন্য আমাদের মাঝে "দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য.. সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য" এটা প্রসিদ্ধ।
আমি বলছিনা যে, সালাফের মাঝে এর নজির নাই বরং আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের অনুবাদপ্রিয়তা এবং ভাষার সীমাবদ্ধতার দরুন এটা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। যার কারণে উপরিউক্ত আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ হচ্ছে- "কতশত ভালো মহিলা আছে যার স্বামী বজ্জাত!"
পক্ষান্তরে আপনি ইংলিশ অনুবাদ Saheeh International টা যদি দেখেন.. সেখানে কিন্তু আমাদের মত অনুবাদ নাই!
সেখানে আপনি পাবেন: "Evil words are for evil men, and evil men are [subjected] to evil words. And good words are for good men, and good men are [an object] of good words. Those [good people] are declared innocent of what the slanderers say. For them is forgiveness and noble provision."
দেখুন- https://quran.com/24/26
.
[গ]
এই প্রশ্নটা উত্থাপনই হতো না, যদি আমাদের অধিকাংশ মুফাসসিরিনে কিরামের মতামতটা জানা থাকতো। আচ্ছা, প্রথমে প্রচলিত অর্থের ব্যাপারে আলাপ করি, এর নিকটবর্তী মন্তব্য পাওয়া যায় ইমাম কুরতুবী রহ. এর। যা মুফতি শফি রহ. এর মারিফুল কোরআন মন্তব্যের অনুরূপ।
উনারা খবিসাত - তায়্যিবাত এর ক্ষেত্রে ব্যক্তি অর্থ নিয়ে ব্যাপারটা এভাবে ব্যখ্যা করেছেন-
"স্বাভাবিকভাবে খারাপ লোকদের আকর্ষণ খারাপ মেয়েদের প্রতি থাকে, আর পরহেজগার লোকদের আকর্ষণ দ্বীনদার পরহেজগার মেয়েদের প্রতি থাকে। আর জীবনসঙ্গী হিসেবে এরকমই মানানসই! মানে দ্বীনদারদের উচিত দ্বীনদার সঙ্গি বেছে নেয়া.." (মানে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা বর্ণিত হয়েছে এখানে..) এই আর কি...!
.
খুবই চমৎকার এবং সাধাসিধা ব্যাখ্যা, এটা মেনে নিলেও কোনো আপত্তির অবকাশ থাকে না।
.
[ঘ]
তবে মুফাসসিরিনে কিরামের মাঝে আরেকধরণের ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে, যা আয়াতের শানে নুযুলের সাথে অধিক মানানসই।
জমহুর (অধিকাংশ) মুফাসসির এটার যা ব্যাখ্যা দেন তার সারকথা হচ্ছে-
"এখানে খবিসাত বা তায়্যিবাত দ্বারা ব্যাক্তি নয় বরং কথা বা কাজ উদ্দেশ্য! অর্থাৎ ভালো কথা ভালো লোকেরাই বলে, খারাপ কথা খারাপ লোকেরা বলে এটা তাদের জন্য মানানসই..."
মুলতঃ আয়েশা রা. এর ওপর অপবাদ দেয়ার ঘটনায় যেসব আয়াতটা নাযিল হয়েছিল, তার মাঝে এটা একটা.. আয়াতের বাকি অংশও খেয়াল করুন-
أُوْلَئِكَ مُبَرَّؤُونَ مِمَّا يَقُولُونَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ

.
অধিকাংশ সালাফের মত বিবেচনায় নিলে পুরো আয়াতের অর্থ এরকম দাড়াচ্ছে-
"নোংরা কথা বা কাজ নোংরা লোক বা নারীদের জন্য, পবিত্র কাজ পবিত্র লোক বা নারীদের জন্য। তাদের সম্পর্কে লোকেরা যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।"
.
তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আয়াতের ভাবার্থ এরকম,
"আয়েশা রা. এর নামে যারা অপবাদ ছড়িয়েছে, ওরা খারাপ লোক.. খারাপ কাজ খারাপ লোকদেরকেই মানায়, ওসব খারাপ কাজের সাথে আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-র কোনো সম্পর্ক নাই। উনি এসব থেকে পবিত্র, বরং উনার জন্য দুনিয়া আখিরাতের উত্তম প্রতিদান রয়েছে।"
.
এই ব্যাখ্যাটা যারা করেছেন তারা হচ্ছে- "আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, সাঈদ ইবনে যুবায়ের, মুজাহিদ রা. পরবর্তি আলেমদের মাঝে ইবনে কাসির রহ. এবং ইবনে তাইমিয়া রহ.-ও এরকমই অর্থ করেছেন।"
.
এই আয়াতের আলোচনায় আর বাকি থাকে লুত আ.এর স্ত্রীর কথা, ইবনে কাসিরওয়ালা উত্তরে বলেছেন- কাফির হওয়া আর চরিত্র খারাপ হওয়া আলাদা বিষয়, লুত আ. স্ত্রী কাফের ছিলেন কিন্তু তবুও উনি কখনো ব্যভিচার করেননি।
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন...
.
[চ]
বিস্তারিত জানতে তাফসিরে কুরতুবী, ইবনে কাসীর, মারিফুল কোরআন, রুহুল মা'আনীতে সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর দেখা যেতে পারে। এছাড়াও ইসলাম ওয়েবের সুওয়াল জাওয়াবের লিংক দিয়ে দিচ্ছি, আগ্রহীরা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
১. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=198413
২. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=53577
৩. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=33972
.
যাহোক, সব মিলিয়ে আশা করছি আপনাদের কাছে বিষয়টা এখন পরিষ্কার।
নারী দিবস শেষে আপাতত আপাতত এটাই ছিল আমার নারী দিবসের স্ট্যাটাস... :) :)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
.
---
লেখাটি ফেসবুকে- https://facebook.com/thealmahmud/posts/1247195052036689
Share:

February 11, 2017

মিসাল / উদাহরণ

[ক.]
আজকে আমরা দুটি সন্দেহ নিয়ে আলোকপাত করবো…
- সাহাবাদের মত ঈমান!
- রাসুলের মত বা উনার চেয়ে বেশি আমল!
.
শুরুতে সন্দেহ দুটি বুঝে নিন ভালোমতো, তারপর সমাধান..
প্রথমতঃ সুরা বাকারায় আল্লাহ্‌ তা'আলা নির্দেশ দিয়েছেন সাহাবায়ে কিরামের মত ঈমান আনতে। কিন্তু যেখানে রাসুলের মজলিস থেকে উঠে ঘরদোরের কাজে গেলে সাহাবাদের ঈমানই কমে যেত, সেখানে দেড় হাজার বছর পর.. এই ফিতনার সময়ে সাহাবাদের মত ঈমান আনা আমাদের পক্ষে কিভাবে সম্ভব?
দ্বিতীয় সন্দেহ হচ্ছে, উসমান রা. ইমাম আবু হানিফা রহ. ইমাম বুখারী রহ. প্রমুখ সালাফে সালেহীনের ব্যাপারে জানা যায় উনাদের কেউ দীর্ঘকাল যাবত লাগাতার রোজা রাখতেন, সারারাত ইবাদাত করতেন। তাহলে উনারা কি রাসূলের চেয়ে বেশি ইবাদতগুজার হয়ে গেলেন না?
.
[খ]
ব্যাপার দুটি বুঝতে হলে প্রথমে মিসাল বা উদাহরণের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। মিসাল দুই ধরণের হয়
১. কাইফ (রকম, ধরণ)
২. কাইল (পরিমাণ, পরিমাপ, ওজন)
.
১০০গ্রাম লোহা আর ১০০গ্রাম স্বর্ণ ওজনের দিকে এক হলেও, মূল্যতে কিন্তু আকাশপাতাল তফাৎ
.
[গ]
ইলিয়াস গুম্মান হাফিযাহুল্লাহু সাহাবাদের মত ঈমান প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলছিলেন-
সাহাবায়ে কিরামের সামনে কোরআন নাযিল হয়েছে, ফেরেশতারা উনাদের সাথে একই ময়দানে যুদ্ধ করেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম এর সাথে এক দস্তখানায় বসে উনারা খানা খেয়েছেন... উনাদের মত দামী ঈমান তো আমাদের আনা সম্ভব না।
তাই সাহাবাদের মত ঈমান আনতে হবে; মানে সাহাবারা যে যে বিষয়ে ঈমান এনেছিলেন সেই সেই বিষয়ে ঈমান আনতে হবে।
অর্থাৎ এখানে "মিসাল মা'আল কাইফ" উদ্দেশ্য।
.
[ঘ]
'উম্মতের আমল রাসূলের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভব কি না' বিষয়টা ইলিয়াস গুম্মান হাফিযাহুল্লাহু সেদিন চমৎকারভাবে বুঝাচ্ছিলেন (কমেন্টে লিংক দিচ্ছি)
.
আচ্ছা খেয়াল করুন, যথাসম্ভব নবুওতের ৫ম বছরের পাঞ্জেগানা নামাজ ফরজ হয়। (২৩-৫=১৮) তাহলে রাসূল সা. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন সর্বমোট ১৮বছর, পক্ষান্তরে উম্মতের এমন অনেকেই আছে যারা ৪০-৫০ বছর ধরে ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়েছে/ পড়ছে। কেউ তো ১০০বছরও বাচতে পারে। তাহলে বাহ্যদৃষ্টিতে সে তো রাসূলের চেয়ে বেশি নামাজ পড়লো... তাইনা?
.
হজ্জ তো রাসূল সা. মাত্র একবার করেছেন... অথচ এমন বহুত মানুষ আছে যারা প্রতি বছরেই হজ্জে যায়, বাংলাদেশেরই অসংখ্য মানুষ ৮-১০বার হজ্জ করেছে। সেতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে বেশিবার হজ্জ করলো..
.
রমজানের রোজা ফরজ হয়েছে ২য় হিজরিতে, অর্থাৎ রাসূল সা. রমজানে রোজা রেখেছেন ৯বছর। অথচ কত মানুষ আছে যারা ৪০-৫০বছর ধরে রমজানে রোজা রাখে। ইমাম বুখারী রহ. এর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ আছে, উনি ১৬বছর লাগাতার রোজা রেখে সহিহ বুখারী সংকলন করেছেন।।  (আল্লাহু আকবার...)
.
.
[ঙ]
আসলে এখানেও ওই মিসালের ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে।
বাহ্যদৃষ্টিতে উম্মতের কারো কারো আমলের পরিমাণ রাসূলের চেয়ে বেশি হতেই পারে, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আমলের মূল্য রাসূল সা. এর চেয়ে বেশি হবেনা।
ওইযে লোহা বনাম স্বর্ণের মত..
.
একটা সহজ ব্যাপার খেয়াল করুণ, একজন বেখেয়ালে মনে মনে বাজারের হিসাব কশতে কশতে, ঢুশঢাশ রুকু সাজদা দিয়ে যেইসেইভাবে ১০রাকাত নামাজ পড়লো।
অপর একজন ধীরেসুস্থে পূর্ণ মনোযোগ ও বিনয়ের সাথে, সব সুন্নাত মেনে ২রাকাত নামাজ পড়লো। আপনিই বলুন তো, কার নামাজের মূল্য বেশি?
.
বাস্তবতা হচ্ছে, একজন কমান্ডারের সাথে সৈনিকের কাজের তুলনা হয়না, বাহ্যদৃষ্টে কমান্ডার যদিও অল্প কাজ করছে... তবে তার কাজের দাম সৈনিকের চেয়ে অনেক বেশি।
.
ইলিয়াস গুম্মান সাহেব বলছিলেন, "আমলের পূর্ণতা হয় মা'রিফাতের দ্বারা, রাসূল সা. এর মা'রিফাত (জানা) যে স্তরের ছিল.. পৃথিবীর কারো জ্ঞান সে স্তরের না। অতএব, আমরা সারাজীবন নামাজ পড়লেও রাসূল সা. এর একটা সাজদার সমতুল্য হবে না।"
.
- আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন
.
.
[লিংক]
১। সাহাবীদের মত ঈমান
https://m.youtube.com/watch?v=jfvphBe3gDE
২। উম্মতের আমল বেশি হওয়া
https://m.youtube.com/watch?v=KCqAJ4Hlu9o
৩। পোস্টের ফেসবুক লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1222570551165806&id=100002386190185

Share:

January 7, 2017

"জাযাক আল্লাহ" নয়, বলুন জাযাকাল্লাহ!

একটা ভুল প্রচলন মহামারির মত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যার কোনো ইলাজ করা হচ্ছেনা। জানা লোকেরা যেন দেখেও দেখতে পাচ্ছেনা, অথবা পজিটিভলি নিলে উনাদের সময়ের অনেক মূল্য বিধায় শুধরে দেয়ার সময়টা পাচ্ছেনা।
.
ইদানীং অনেক ঈমানদার ভাই-বোনকে বলতে দেখা যাচ্ছে "জাযাক আল্লাহ" আমি আপনার জ্ঞাতার্থে সবিনয়পূর্বক বলছি শব্দটি ভূল।
আসলে শব্দটি সেটাই যা আমরা আগে ব্যবহার করতাম, অর্থাৎ জাযাকাল্লাহ। উচ্চারণ এরকম "জাঝা-কাল্ল-হ"
.
বিস্তারিত তাহকীক
----
আরবি ভাষা সম্পর্কে প্রাইমারী লেভেলের জ্ঞান যার আছে তাকেও এই ভূল গেলানো সম্ভব না। এই বাক্যে তিনটা অংশ আছে-
জাযা - ক্রিয়া (ফেয়েল), কা - সর্বনাম (যমির), লফয আল্লাহ ( ফায়েল)
.
এখানে জাযা ফেয়েল, কাফ জমির লফযে আল্লাহ ফায়েলের সাথে ইযাফত হয়েছে। ইযাফত হলে লফযে আল্লাহর আলিফে যায়েদা পড়ে যায়।
তখন শব্দটা এমন হবে- জাযাকাল্লাহ
.
আরবিতে "কা - কি" (তুমি) সর্বনাম শব্দের শেষে আসে। এটা 'যমিরে মানসুবে মুত্তাসিল' জাতীয় সর্বনামের অন্তর্ভুক্ত। এই ধরণের সর্বনাম ১৪টি। এগুলো সবসময় পূর্বের শব্দের সাথে লেগে থাকে। (এজন্যই মুত্তাসিল)
.
হাদিস থেকে উদাহরণ-
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার ভাইকে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলে তাহলে সে পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং- ৩৬৬৪)
.
খেয়াল করুন
----
ﺟﺰﺍﻙ ﺍﻟﻠﻪ সঠিক
ﺟﺰﻙ ﺍﻟﻠﻪ ভূল
.
জাযাক আল্লাহ বললে জাযা শব্দের মাদ্দা/মূলধাতুর আলিফ বাদ পড়ে যাচ্ছে, শব্দটাই পরিপূর্ণ হচ্ছেনা। হাদিসের পূর্ণ ইবারত কমেন্টে দিচ্ছি, লিংকও দিচ্ছি চাইলে দেখে নিতে পারেন। লিংকঃ  (লিংক) সেখানে 'ইযহারুত তাশকিল' এ ক্লিক করে যবর-যেরও দেখতে পারবেন।
....
এই ভুলের যারা প্রচলন করেছে দোষ শুধু তাদের একার না, আমাদেরও আছে! আমরা নতুন কিছু পেলেই ভাবি আগেরটা বোধহয় ভূল আর নতুনটাই সঠিক। এই কুধারনা থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা উচিত।
.......
আগামীতে কাউকে ভূল করতে দেখলে অবশ্যই শুধরে দিবেন, অথবা জাস্ট এই পোস্টের লিংক দিয়ে দিবেন।
আর কোরআন-হাদিসের, আরবী ভাষার জ্ঞান ছাড়া ফেসবুকে এসে দাওয়াতের নামে যারা এসব ভাইরাস ছড়ায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।


.
- ৭ জানুয়ারি ২০১৭
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1191390490950479&id=100002386190185
Share:

December 9, 2016

তাহলে ইহুদীদের বানানো ফেসবুক ইউজ করেন কেন?

[ক.]
"..তাহলে ইহুদীদের বানানো ফেসবুক ইউজ করেন কেন?"
.
অনলাইনে দাওয়াতি কাজ করতে গেলে অনেকেই এই কমন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, বিশেষত যারা কিতাল বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে লেখালেখি করে..। সমালোচকদের সারকথা হচ্ছে, ইহুদী খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে এত কথাবার্তা বলেন, কাইট্টালবাম - খায়ালবাম.. কিন্তু ইহুদী বংশোদ্ভূত নাস্তিক জুকারবার্গের ফেবু ইউজান কেন?
.
প্রশ্নটা করার পর প্রশ্নকারী ভ্রাতা একখান তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, আর ভাবে... করছি একখান প্রশ্ন... :/
.
চলেন.. কোরআন হাদীসের আলোকে আমরা চেষ্টা করি একটা সমাধানে পৌঁছাতে..!
.
[খ.]
 গাযওয়ায়ে আহযাব অথবা খন্দক যুদ্ধের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক।
খন্দকের মূল থিম আমরা সবাই জানি.. যখন মুশরিকিনে মক্কা এবং বনু কুরাইজা গোত্রের ইহুদীদের বিরাট বাহিনী একসাথে মদীনা আক্রমণের প্রস্তুতি নিল, তখন রাসুল সা. সাহাবীদের সাথে পরামর্শে বসলেন.. কি করা যায়। উপস্থিত সাহাবী রা.-দের মাঝে সালমান ফারসি রা. ছিলেন অনেক প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তি। তিনি বললেন, আমাদের পারস্যে শহর রক্ষার জন্য বড় বড় গর্ত খনন করার প্রচলন আছে। যাতে শত্রুরা ঘোড়া নিয়ে লাফ দিয়ে পার হতে না পারে, আর তারপরেও গর্ত পার হতে গেলে, ওরা গর্তে নেমে আবার উঠতে উঠতে তীর মেরে ধরাশায়ী করে ফেলা যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই সিস্টেমটা পছন্দ হলো, উনি সাহাবাদের সাথে গর্ত খুড়তে শুরু করলেন...
এই যুদ্ধের নামে কোরআনে বেশ বড়সড় একটা সুরা আছে..
.
[গ.]
এখন এখানে বুঝার বিষয় হচ্ছে, এই যে যুদ্ধের সিস্টেমটা.. এটাতো পারস্যের অগ্নিপূজকদের, অথচ রাসুল সা. আমাদের যুদ্ধে এই ট্রিকস ব্যাবহার করলেন। তো আমরা এখান থেকে বুঝতে পারি....
.
কি বুঝতে পারি? :O
"কাফেরদের বিরুদ্ধে কাফেরদের প্রযুক্তি ব্যাবহার করা জায়েজ!"
Share:

December 2, 2016

গর্ভের সন্তানের ব্যাপারে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা; আসলে কি তাই?

বিয়ে নিয়ে ইয়ে প্রশ্ন করতে করতে গুরুজ্বীকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছি, বাধ্য হয়ে বলে ফেললেন- এখনি বিয়া করবি তুই? এত কিছু জেনে লাভ কী?বুঝলাম গুরুজী যথেষ্ট বিরক্ত, আর কথা বাড়ানো উচিত না। 'আচ্ছা গুরুজী আজকের মত আসি?'
- থামথাম! তখন কি যেন বলছিলি কোরআন নিয়ে কি প্রশ্ন আছে?
-- ওহ! জ্বি, না মানে ওইটাও বউ বিষয়ক..
- বলে ফেল..
.
-- নাস্তিকের বলে... মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে এটা নাকি শুধু আল্লাহ জানেন? এখন তো আল্ট্রাস্নো করে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানা যায়!!
তাহলে কি কোরআনে ভুল আছে? নাকি কোরআন এই জামানায় অচল?
.
- কোরআন এর কোথায় আছে?
-- ২১পারায় নাকি আছে?
- সুরা লোকমান এর শেষ আয়াত?
-- মনে হয়!
- আচ্ছা দেখো.. কি বলছে সেখানে
.
""নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আর তিনি তা জানেন গর্ভাশয়ে যা থাকে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন যায়গায় সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।" (31:34)
.
এটাতো তাইনা?
-- জ্বি গুরুজী!
- আচ্ছা প্রথমে শোনো, সালাফে সালেহীন থেকে এর জবাব খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবেনা, কারণ এই প্রশ্ন তো তৈরিই হয়েছে এই জামানায় মেশিনপত্র আবিষ্কারের পর। তাই এবিষয়ে তাফসীর ঘাটতে চাইলে এই জামানার আলেমদের তাফসীর দেখবা। যেমনঃ তাফসীরে মাজেদী (ইংলিশ ভার্শন), তাফসীরে উসমানী, বয়ানুল কোরআন, তাওযিহুল কোরআন এসব দেখতে পারো। এর মাঝে দুইটার অনুবাদ পাবে, আর দুইটা হয়তো পাবেনা। আর কেউ কেউ নাস্তিকতা বিষয়ে জবাব দিতে তাফসীর ফি যিলালিল কোরআন সাজেস্ট করে। তবে সেটা আমি পড়িনি কখনো, তাই হাল-হাকিকত জানিনা।
.
এবার আমি যা বলি শোনো, আসলে কোরআন এর কোথাও এই কথা নাই যে, "মায়ের গর্ভে কি সন্তান আছে এটা শুধু আল্লাহই জানেন"
আয়াতের দিকে খেয়াল করে দেখো, এখানে বলছে "..আর তিনি তা জানেন গর্ভাশয়ে যা থাকে.."
এখানে কোথায় পাইলা যে তিনি ছাড়া আর কেউ জানেনা?
.
বৃষ্টির ক্ষেত্রেও কাহিনী একই!
এই আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলছেন- "...এবং তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন.." এখানে এরকম কিছু নাই যে, কখন বৃষ্টি হবে বা কোথায় হবে এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। অতএব, এখন আবহাওয়ার খবর দেখে কেউ যদি আপত্তি করে তাহলে সেটাও গ্রহণযোগ্য হবে না।
.
কোরআন যেটা বলেইনি, সেটার দায় আমরা কেন নিবো? কেউ যদি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এরকম কিছু বলে তাহলে সেটা তার ব্যাখ্যা, কোরআন এর আয়াত তো না!
.
এই আয়াতে ২টা বিষয়ের কথা বলা হয়েছে যা আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ জানেনা।
১। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে
২। কেউ জানে না কোঁথায় সে মৃত্যুবরণ করবে
.
এখানে বলা হচ্ছে- "গর্ভে কি আছে সেটা আল্লাহ জানেন" এতে কি বোঝায় আর কেউ জানেনা?
.
আমি বললাম- "আমি মানুষ!" এতে কি বোঝালো? খালি আমিই মানুষ, বাদবাকি তোমরা সব ভুত

.
.
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1163827423706786&id=100002386190185
.
---
কমেন্টবক্স থেকেঃ
১। হুম, তাফসীরে ক্লাসে আমাদের উস্তায এমনটা বলেছিলেন।
কারণ-
এখানে ما শব্দ ইউজ করেছে, যাদ্বারা ক্লীবলিঙ্গ বোঝায়। জড়বস্তুর ক্ষেত্রে হয়। এজন্য এর দ্বারা বাচ্চার লিঙ্গ না বরং অন্যন্য বিষয় বোঝায়। যেসবের ক্ষেত্রে ক্লীবলিঙ্গ এর শব্দ ইউজ করা যায়। এখন খুঁজতে থাকো গর্ভে বাচ্চা বাদে কোন জড়বস্তু থাকে.. যেদিন খুঁজে পাবে, সেদিন এর অর্থ বুঝতে পারবে!!
.
২।  এ ব্যাপারটা আমি জেনেছিলাম এভাবে যে,--"আর তিনিই জানেন গর্ভাশয়ে কি আছে"! এটা মায়ের গর্ভে কেবল সন্তানের ভ্রুন লিঙ্গের কথাকেই নির্দেশ করেনা বরং সন্তানের সার্বিক অবস্থার প্রতি নির্দেশ করে কেননা আলট্রাসনোগ্রাফী তো কেবল সন্তানের লিঙ্গই প্রকাশ করতে সক্ষম এর অধিক কিছু নয় কিন্তু আল্লাহ জানেন যা মায়ের গর্ভে আছে অর্থাত-সেই সন্তান সৌভাগ্যবান নাকি দূর্ভাগা, জান্নাতি না জাহান্নামী, ভালো স্বভাবের নাকি মন্দ স্বভাবের,নেককার নাকি বদকার,....ইত্যাদী ।সকল বিষয়ে আল্লাহ জানেন -এ কথাকেই নির্দেশ করে॥ কুরআন হচ্ছে টেলিগ্রাফিক বার্তা। যদি কুরআনে সকল বিষয় বিষদভাবে বলা হতো তাহলে তা এই ত্রিশ পারার কিতাবে স্থান সংকুলান হতো না বরং তার জন্য বিশাল বিশাল ভবনের সমান বই প্রয়োজন হতো যেখানে পৃথিবীর যাবতীয় রহস্যের নিগূঢ় সমাধান দেয়া আছে। কুরআন নিদর্শনের(sign)বই যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ইঙ্গিত করে বলা আছে যার তাফসীর আলেমেদ্বীনগণ বের করেছেন আহাদীসের আলোকে.....ইত্যাদী॥
 
Share:

November 28, 2016

কোরআনে বর্ণিত "সুর্য ডোবা দেখা.." সঠিক না ভুল?

            "অবশেষে তিনি (যুলকারনাইন) যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন.."

 সুরা কাহাফের ৮৬নং আয়াত! এটা নিয়ে নাস্তিকদের ব্যাপক চুলকানি আছে, অনেক সরল ভাইয়েরাও ওদের কথায় বিভ্রান্ত হয়।
 তো এবিষয়ে মতামত জানতে আমরা (কল্পনায়) মুখোমুখি হয়েছি গুরুজীর সাথে..


- গুরুজী! সালাম..
-- ওয়া'আলাইকুম! হে বৎস..
- আচ্ছা গুরুজী! বাস্তবে তো সুর্য ডোবেনা, সুর্য নিজ এলাকায় ঘুরতে থাকে.. পৃথিবীও ঘুরে। সুর্য এপাশ থেকে ওপাশ হয় এভাবে রাতদিন যায়। অথচ কোরআনে বলা হয়েছে "তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন.." এটা কি সায়েন্টিফিক ভুল না?
.
-- সে যা দেখেছে তাইতো আছে এখানে, ভুল হলো কিভাবে? আচ্ছা তোমার মতে এখানে কি বলা উচিত ছিল?
"..তখন তিনি সুর্যকে পৃথিবীর এক সাইড থেকে ঘুরে আরেক সাইডে যেতে দেখলেন!" এরকম?
.
- না না.. ব্যাপারটা এরকম না। আসলে 'কোরআনে বলা হয়েছে সুর্য জলাশয়ে ডুবে যাওয়ার কথা!'
-- কোথায় বলা হয়েছে? এই আয়াতেই তো তাইনা?
- জ্বি!
-- তাহলে চলো আবার দেখি সেখানে কি বলা হচ্ছে....
.
.."অবশেষে যুলকারনাইন যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছুলো; তখন সে সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবে যেতে দেখলো.."
পক্ষান্তরে তুমি জানো আমিও জানি "সুর্য ডুবে না! বরং ঘোরার কারণে পৃথিবীর একেক যায়গার আকাশে একেক সময় দেখা যায়" তাইতো?
- জ্বি!
-- আচ্ছা! এই সুর্য আর পৃথিবীর ঘোরাঘুরি কি যুলকারনাইন দেখতে পাচ্ছিলো?
- না!
-- তাহলে সে কি দেখলো?
- সে দেখলো সুর্য পানিতে ডুবে গেলো!
.
-- তাহলে এবার বলো, যদি সেখানে লেখা থাকতো '..অত:পর যুলকারনাইন দেখলো পৃথিবী ঘোরার কারণে সুর্য অন্য সাইডে চলে গেল..!!" এটা ভুল হতো না ঠিক হতো?
- ভুল হতো!
-- তাহলে এবার বলো কোরআনে ভুল আছে না সঠিক?

-২৮ নভেম্বর, ২০১৬
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1156300704459458&id=100002386190185 
Share:

September 30, 2016

শুকরিয়া আদায় করলে নিয়ামাত বৃদ্ধি পায়?

সুরা ইবরাহীমের একটা আয়াত অনেক উলামা হযরতদের মুখে শোনা যায়, আয়াতটি হচ্ছে-
.
 وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ  
যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। (১৪: ৭) 
.
আমি তাফসিরে জালালাইন পড়েছি ৪জন উস্তাযের কাছে, তাদের মাঝে কে যেন আয়াতটার চমৎকার ব্যখ্যা করেছিলেন, ঠিক খেয়াল নাই :(
ক্লাসে ছাত্ররা কত রকম প্রশ্নই তো করে তাইনা? এই আয়াত প্রসঙ্গে আমরাও বললাম, হুজুর আয়াতটা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন..
হুজুর বললেন- যেমন?
বললাম- অনেক কাফের বা নাস্তিক আছে যারা অনেক ধনী! এবং তাদের সম্পদ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে... তাদের কোনো শাস্তি হতেও দেখা যাচ্ছেনা। :/
তিনি বলছিলেন- এখানে আল্লাহ বলছেন "যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব" তারমানে আখিরাতে আরো বাড়িয়ে দেব, 'la azidannakum' ai 'la azidannakum fil akhirati' এরপর আল্লাহ বলছেন "এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর" এটাও আখিরাতে।
.
অর্থাৎ কেউ যদি দুনিয়ার নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে, তাহলে তাকে আখিরাতে আরো অনেক বেশি দেয়া হবে, আর যদি কেউ শুকরিয়া জ্ঞাপন না করে, কুফরি করে তাহলে তার কঠোর শাস্তি হবে, সেটাও আখিরাতে।
আর কৃতজ্ঞতার জন্য যদি দুনিয়ায় কাউকে বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সেটা এক্সট্রা বোনাস! আসল প্রতিদান পরকালে অপেক্ষা করছে...
আমরা যদি আয়াতের ব্যখ্যাটা এভাবে করি তাহলে সম্ভবত: উত্তম হবে!

-৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1096552610434268&id=100002386190185
Share:

May 10, 2015

মাজার পুজারীরা কি হানাফী?


মাজার পুজারীগং কি হানাফী?
---
কিছু ভাই মুর্খের মত যুক্তি দিয়ে থাকে যে, "আহলে শিন্নি, বেরেলভীরা বিদআত করে, আবার তারা হানাফী অতএব হানাফীরা বেদআতী!" কিংবা "বেদআতীরা হানাফী"
জাহাজ পানিতে চলে, মাছও পানিতে চলে। অতএব, জাহাজ = মাছ 😊
গরু পানি খায়, মানুষও পানি খায়। অতএব, মানুষ = গরু 😊
নাইস ইকুয়েশন তাইনা?

আসল বাস্তবতাকে জানতে চলুন ঘটনার গভীরে! ;)

প্রথমতঃ ইতিহাস সাক্ষী যে, লা-মাযহাবী ও বেরেলভীদের উৎপত্তি একই উদ্দেশ্যে বৃটিশদের হাতে বৃটিশ আমলে।
দ্বিতীয়তঃ শিন্নি ওয়ালারা নিজেদের হানাফী দাবী করলেও বিতর্কিত বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কিন্ত আহলে মাজার আর আহলে হদসগং একই সঙ্গমে* মিলিত হয়েছে।
(*ইহা মতিউর মাদানির থেকে শেখা ভাষা, অতএব লেখক দায়ী নহে)
খেয়াল করুন, আপনি যদি বেদাতীদের জিজ্ঞেস করেন করেন নামাজের অমুক মাসায়েল কোথায় আছে? তারা বলবে হেদায়াহতে আছে, কানযুদদাকায়েকএ, ফাতওয়ায়ে শামীতে আছে, রোজার কথা জিজ্ঞেস করুন একই হিসাব, হজ্জ-যাকাতের কথা জিজ্ঞেস করলেও কাহিনী একই।

কিন্তু যখনই আপনি বলবেন এই মিলাদ-ক্বিয়াম কই পাইছো? বলবে হাদীসে আছে! বলবেন শিন্নি খাওয়া পাইছো কই বলবে, হাদীসে আছে! 😋 মাজারের কাছে গিয়া নাচানাচি করে গান বাজনা করা পাইছো কই? আমি ১০০% গ্যারেন্টি দিয়ে বলছি তখন তারা আর হেদায়া, কানয, শামী এসবের কথা বলবে না বরং এসব ক্ষেত্রে ফতওয়ার গুল্লি মারি! এখন খালি কোরান আর হাদীস মানি!😎

কি বুঝলেন?!!
বুঝা গেল, তারা কোন কোন সময় হানাফি থাকলেও শিরক-বিদআত করার সময় আহলে হাদিস হয়ে যায়!!

Share: