রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর "লা-আদওয়া" এর অর্থ সেটাই, যা সর্বযুগের উলামায়ে কিরাম করেছেন। "রোগ নিজে থেকে অন্যজনের মাঝে সংক্রমিত হতে পারে না, আল্লাহ চাইলেই কেবল হতে পারে"।
.
এখন বিষয় হল, আমরা জানি হাঁচি-কাশির সাথে করোনার জিবানু ছড়াচ্ছে। তাহলে এর সামঞ্জস্য আমরা কিভাবে করি?
* হাঁচি-কাশির মাধ্যমে, স্পর্শ করার মাধ্যমে একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে জিবানু প্রবেশ করলেও ইনফেকশন শুধু তারই হবে, যার ব্যাপারে আল্লাহ চাইবেন। শুধু তারই রোগ হবে যার ব্যাপারে আল্লাহ চাইবেন।
কিভাবে?
* হয়তো জীবানুটা ফুসফুসে পৌছাতে পৌছাতে মারা যাবে, দুর্বল হয়ে যাবে, কিংবা শরিরে প্রভাব বিস্তারের আগেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কাছে পরাজিত হবে।
অথবা সবকিছু আক্রান্ত হওয়ার উপযোগি হওয়া সত্ত্বেও তাক্বদীরে না থাকার কারনে অথবা আল্লাহর ফায়সালা না হওয়ার কারনে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হবে না।
আর কারও শরীরে জীবানু না থাকলেও যদি আল্লাহর সিদ্ধান্ত থাকে, তবে সে রোগ আক্রান্ত হয়ে যাবে।
তাহলে কী আমরা সতর্ক হবো না?
* হ্যা, অবশ্যই হব। আমরা উটও বাঁধবো, আল্লাহর ওপর ভরসাও করব।
কিন্তু সতর্ক হতে গিয়ে শরিয়তের বিধানের ওপর ছুরি চালাবো না। আমাদের দ্বীনকে বিকৃত করব না।
যার ঈমান চলে গেল, তার আর কী থাকল?
---
হাইলাইট: কারও শরীরে অন্যের থেকে জীবানু প্রবেশ করতে পারে, কিন্তু এরপর রোগ আক্রান্ত হওয়া না হওয়া শুধু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়।
0 comments:
Post a Comment