[ক]
তরুণদের এক মজলিসে আড্ডা হচ্ছে, বিভিন্ন সংশয়মূলক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর চলছিল, একে অপরের কথা খণ্ডন করে তাঁরা নিজেদের উত্তরগুলো ডেভেলপ করছিল।
তো কথা প্রসঙ্গে একজন বলল – ও হুজুর!
- জি হুজুর বলেন..
- আপনারা তো বলেন কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ, তাইনা?
- হ্যাঁ বলি! তো?
- তাহলে যে অসুখই হবে, কালোজিরা কিনে নিয়ে বাড়িতে বসে বসে খাবেন। ডাক্তারের কাছে যান কেন?
পাশের এক ভাই যোগ করলেন, আহমাদ শফি দা.বা. যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন নাস্তিকরা তখন ব্যঙ্গ করছিল – বিদেশ যাওয়া লাগবে কেন? সুরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দাও গিয়ে…
মনে মনে বললাম - হুম… জটিল প্রশ্ন। দেখা যাক জাতি এবার কি বলে?
.
[খ]
আমাদের আকিদা হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ায় এমন কোন রোগ দেননি, যার চিকিৎসা নাই। বুখারি এবং মুসলিমে হাদিসে এমনই আছে আর এই কথা আমভাবে সর্বপ্রকার রোগের ক্ষেত্রেই আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি এইডস, ক্যান্সার, হাঁপানি, ডায়াবেটিক সবকিছুরই চিকিৎসা সম্ভব। তবে রুগীর কপালে মৃত্যু লেখা থাকলে ভিন্ন কথা।
..
আচ্ছা সংলাপে ফিরা যাক..
হুজুর ১ – আচ্ছা, ইদানীং প্রচণ্ড গ্যাস করছে। আমার এন্টাসিড খাওয়া উচিত, তাইনা?
হুজুর ২ – হ্যাঁ!
- আমি যদি একটা মুখের ঘায়ের ঔষধ খাই। লাভ হবে?
- উঁহু!
- আচ্ছা! ভাই প্যারাসিটামল কি জ্বরের ঔষধ? - হ্যাঁ?
- আর এলাট্রল? - এলার্জি, সর্দি..
- আচ্ছা, আমার সর্দি এবং জর হয়েছে। আমি দশ পাতা নাপা এক্সট্রা, দশ পাতা এলাট্রল কিনলাম। সবগুলো ঔষধ বের করে গরুর গোশতের ঝোল দিয়ে মাখিয়ে ৫মিনিট ওভেনে রাখলাম, এরপর ভাতের বদলে এই দেড় প্লেট ঔষধ খেয়ে রাত্রি যাপনের সিদ্ধান্ত নিলাম। আপনার অনুভূতি কি?
- তুই সকাল বেলা মইরা পইড়া থাকবি -_-
- যদি এই দুই ঔষধের একটা ট্যাবলেট ২০টুকরা করে প্রতিদিন এক টুকরা করে খাই? কিংবা ঔষধ না খেয়ে বরং গুড়া করে পেটে মালিশ করি… রোগ ভালো হবে?
- নাহ!
- কেন ভাই? আমার অসুখের জন্যই তো ঔষধ খাইলাম। জ্বরের জন্য নাপা খেলাম, ঠাণ্ডার জন্য এলাট্রল তুই বলছি অসুখ তো ভালো হবেই না, উল্টা আমি মরে যাব। গ্যাস্ট্রিকের জন্য রিবোফ্লাভিন খাইলাম তুই বলিস কোনই লাভ হবে না!! একেমন বিচার?
.
[গ]
ডাক্তারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দুটি ১. রোগ নির্ণয় করা ২. ডোজ নির্ণয় করা।
কি রোগ এটা খুঁজে বের করা, আর এই রোগের জন্য কোন ঔষধ কি পরিমাণে খেতে হবে বা ব্যবহার করলে আরোগ্য হবে হবে সেটা জানা।
মূলত: চিকিৎসা এটাকেই বলে।
উপরের সংলাপে “হুজুর ১”এর প্রথম রোগ ভালো হবে না কারণ, তার সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আর সে খেয়েছে মুখের ঘায়ের ঔষধ। সে রোগ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
আর পরের রোগ দুটি ভালো না হওয়ার কারণ হচ্ছে, সে ডোজ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
তাহলে শিফার জন্য আমাদের কয়েকটি বিষয় লাগছে –
১. ঔষধ
২. রোগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঔষধ দেয়া
৩. নির্দিষ্ট পরিমাণে ঔষধ খাওয়া অথবা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করা
কালোজিরার ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি – এটা সব রোগের জন্য ঔষধ।
- অর্থাৎ প্রথম দুই ক্রাইটেরিয়া মিলেছে। এবার আমরা যদি প্রতিটা রোগের জন্য সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পন্থায় কালোজিরা নামের ঔষধ ব্যবহার করতে পারি, তাহলে অবশ্যই প্রতিটা রোগ থেকেই শিফা হবে। মৃত্যু ছাড়া!!
.
[ঘ]
সারকথা, খেজুর কালোজিরার মধ্যে শিফা আছে তার মানে তো এটাই আবশ্যক না যে – এক চিমটি কালোজিরা খেলেই শিফা হবে। অন্যান্য ঔষধ-পথ্যের মত এটারও বিভিন্ন মেথড আছে। সুরা ফাতিহার ক্ষেত্রেও একই কথা…
উদাহরণস্বরূপ: কোন রোগের জন্য কালোজিরার তেল সকাল বিকাল মাখতে হবে, কোন রোগের জন্য খালি পেটে মধুর সাথে কারো জিরা খেতে হবে, কোন রোগের জন্য গামছায় মুঠ করে কালোজিরা শুকতে হবে, কখনও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ইউজ করতে হবে। কখনও অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে হালুয়া বানিয়ে খেতে হবে।
যে রোগে যেরকম দরকার, আমরা যদি সেভাবে সঠিক মাপে প্রয়োগ করতে পারি। তাহলেই দেখা যাবে কালোজিরা সকল রোগের শিফা।
এই পরিমাপ আর পদ্ধতি তোমরা গবেষণা করে আবিষ্কার কর। আমরা তো মানা করিনি, বরং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত - রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – তোমরা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা কর, আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা কর না। কারণ, তোমরা এর সামর্থ্য রাখনা!!
---------
এই লেখাটাও দেখা যেতে পারে- https://facebook.com/1181884035245488
তরুণদের এক মজলিসে আড্ডা হচ্ছে, বিভিন্ন সংশয়মূলক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর চলছিল, একে অপরের কথা খণ্ডন করে তাঁরা নিজেদের উত্তরগুলো ডেভেলপ করছিল।
তো কথা প্রসঙ্গে একজন বলল – ও হুজুর!
- জি হুজুর বলেন..
- আপনারা তো বলেন কালোজিরা সকল রোগের ঔষধ, তাইনা?
- হ্যাঁ বলি! তো?
- তাহলে যে অসুখই হবে, কালোজিরা কিনে নিয়ে বাড়িতে বসে বসে খাবেন। ডাক্তারের কাছে যান কেন?
পাশের এক ভাই যোগ করলেন, আহমাদ শফি দা.বা. যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছিলেন নাস্তিকরা তখন ব্যঙ্গ করছিল – বিদেশ যাওয়া লাগবে কেন? সুরা ফাতিহা পড়ে ফুঁ দাও গিয়ে…
মনে মনে বললাম - হুম… জটিল প্রশ্ন। দেখা যাক জাতি এবার কি বলে?
.
[খ]
আমাদের আকিদা হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ায় এমন কোন রোগ দেননি, যার চিকিৎসা নাই। বুখারি এবং মুসলিমে হাদিসে এমনই আছে আর এই কথা আমভাবে সর্বপ্রকার রোগের ক্ষেত্রেই আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি এইডস, ক্যান্সার, হাঁপানি, ডায়াবেটিক সবকিছুরই চিকিৎসা সম্ভব। তবে রুগীর কপালে মৃত্যু লেখা থাকলে ভিন্ন কথা।
..
আচ্ছা সংলাপে ফিরা যাক..
হুজুর ১ – আচ্ছা, ইদানীং প্রচণ্ড গ্যাস করছে। আমার এন্টাসিড খাওয়া উচিত, তাইনা?
হুজুর ২ – হ্যাঁ!
- আমি যদি একটা মুখের ঘায়ের ঔষধ খাই। লাভ হবে?
- উঁহু!
- আচ্ছা! ভাই প্যারাসিটামল কি জ্বরের ঔষধ? - হ্যাঁ?
- আর এলাট্রল? - এলার্জি, সর্দি..
- আচ্ছা, আমার সর্দি এবং জর হয়েছে। আমি দশ পাতা নাপা এক্সট্রা, দশ পাতা এলাট্রল কিনলাম। সবগুলো ঔষধ বের করে গরুর গোশতের ঝোল দিয়ে মাখিয়ে ৫মিনিট ওভেনে রাখলাম, এরপর ভাতের বদলে এই দেড় প্লেট ঔষধ খেয়ে রাত্রি যাপনের সিদ্ধান্ত নিলাম। আপনার অনুভূতি কি?
- তুই সকাল বেলা মইরা পইড়া থাকবি -_-
- যদি এই দুই ঔষধের একটা ট্যাবলেট ২০টুকরা করে প্রতিদিন এক টুকরা করে খাই? কিংবা ঔষধ না খেয়ে বরং গুড়া করে পেটে মালিশ করি… রোগ ভালো হবে?
- নাহ!
- কেন ভাই? আমার অসুখের জন্যই তো ঔষধ খাইলাম। জ্বরের জন্য নাপা খেলাম, ঠাণ্ডার জন্য এলাট্রল তুই বলছি অসুখ তো ভালো হবেই না, উল্টা আমি মরে যাব। গ্যাস্ট্রিকের জন্য রিবোফ্লাভিন খাইলাম তুই বলিস কোনই লাভ হবে না!! একেমন বিচার?
.
[গ]
ডাক্তারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দুটি ১. রোগ নির্ণয় করা ২. ডোজ নির্ণয় করা।
কি রোগ এটা খুঁজে বের করা, আর এই রোগের জন্য কোন ঔষধ কি পরিমাণে খেতে হবে বা ব্যবহার করলে আরোগ্য হবে হবে সেটা জানা।
মূলত: চিকিৎসা এটাকেই বলে।
উপরের সংলাপে “হুজুর ১”এর প্রথম রোগ ভালো হবে না কারণ, তার সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক আর সে খেয়েছে মুখের ঘায়ের ঔষধ। সে রোগ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
আর পরের রোগ দুটি ভালো না হওয়ার কারণ হচ্ছে, সে ডোজ নির্ণয়ে ভুল করেছে।
তাহলে শিফার জন্য আমাদের কয়েকটি বিষয় লাগছে –
১. ঔষধ
২. রোগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ঔষধ দেয়া
৩. নির্দিষ্ট পরিমাণে ঔষধ খাওয়া অথবা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করা
কালোজিরার ক্ষেত্রে আমরা পেয়েছি – এটা সব রোগের জন্য ঔষধ।
- অর্থাৎ প্রথম দুই ক্রাইটেরিয়া মিলেছে। এবার আমরা যদি প্রতিটা রোগের জন্য সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক পন্থায় কালোজিরা নামের ঔষধ ব্যবহার করতে পারি, তাহলে অবশ্যই প্রতিটা রোগ থেকেই শিফা হবে। মৃত্যু ছাড়া!!
.
[ঘ]
সারকথা, খেজুর কালোজিরার মধ্যে শিফা আছে তার মানে তো এটাই আবশ্যক না যে – এক চিমটি কালোজিরা খেলেই শিফা হবে। অন্যান্য ঔষধ-পথ্যের মত এটারও বিভিন্ন মেথড আছে। সুরা ফাতিহার ক্ষেত্রেও একই কথা…
উদাহরণস্বরূপ: কোন রোগের জন্য কালোজিরার তেল সকাল বিকাল মাখতে হবে, কোন রোগের জন্য খালি পেটে মধুর সাথে কারো জিরা খেতে হবে, কোন রোগের জন্য গামছায় মুঠ করে কালোজিরা শুকতে হবে, কখনও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ইউজ করতে হবে। কখনও অন্য কিছুর সাথে মিশিয়ে হালুয়া বানিয়ে খেতে হবে।
যে রোগে যেরকম দরকার, আমরা যদি সেভাবে সঠিক মাপে প্রয়োগ করতে পারি। তাহলেই দেখা যাবে কালোজিরা সকল রোগের শিফা।
এই পরিমাপ আর পদ্ধতি তোমরা গবেষণা করে আবিষ্কার কর। আমরা তো মানা করিনি, বরং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত - রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – তোমরা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা কর, আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা কর না। কারণ, তোমরা এর সামর্থ্য রাখনা!!
---------
এই লেখাটাও দেখা যেতে পারে- https://facebook.com/1181884035245488
0 comments:
Post a Comment