একটা ভুল প্রচলন মহামারির মত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে, যার কোনো ইলাজ করা হচ্ছেনা। জানা লোকেরা যেন দেখেও দেখতে পাচ্ছেনা, অথবা পজিটিভলি নিলে উনাদের সময়ের অনেক মূল্য বিধায় শুধরে দেয়ার সময়টা পাচ্ছেনা।
.
ইদানীং অনেক ঈমানদার ভাই-বোনকে বলতে দেখা যাচ্ছে "জাযাক আল্লাহ" আমি আপনার জ্ঞাতার্থে সবিনয়পূর্বক বলছি শব্দটি ভূল।
আসলে শব্দটি সেটাই যা আমরা আগে ব্যবহার করতাম, অর্থাৎ জাযাকাল্লাহ। উচ্চারণ এরকম "জাঝা-কাল্ল-হ"
.
বিস্তারিত তাহকীক
----
আরবি ভাষা সম্পর্কে প্রাইমারী লেভেলের জ্ঞান যার আছে তাকেও এই ভূল গেলানো সম্ভব না। এই বাক্যে তিনটা অংশ আছে-
জাযা - ক্রিয়া (ফেয়েল), কা - সর্বনাম (যমির), লফয আল্লাহ ( ফায়েল)
.
এখানে জাযা ফেয়েল, কাফ জমির লফযে আল্লাহ ফায়েলের সাথে ইযাফত হয়েছে। ইযাফত হলে লফযে আল্লাহর আলিফে যায়েদা পড়ে যায়।
তখন শব্দটা এমন হবে- জাযাকাল্লাহ
.
আরবিতে "কা - কি" (তুমি) সর্বনাম শব্দের শেষে আসে। এটা 'যমিরে মানসুবে মুত্তাসিল' জাতীয় সর্বনামের অন্তর্ভুক্ত। এই ধরণের সর্বনাম ১৪টি। এগুলো সবসময় পূর্বের শব্দের সাথে লেগে থাকে। (এজন্যই মুত্তাসিল)
.
হাদিস থেকে উদাহরণ-
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার ভাইকে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলে তাহলে সে পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং- ৩৬৬৪)
.
খেয়াল করুন
----
ﺟﺰﺍﻙ ﺍﻟﻠﻪ সঠিক
ﺟﺰﻙ ﺍﻟﻠﻪ ভূল
.
জাযাক আল্লাহ বললে জাযা শব্দের মাদ্দা/মূলধাতুর আলিফ বাদ পড়ে যাচ্ছে, শব্দটাই পরিপূর্ণ হচ্ছেনা। হাদিসের পূর্ণ ইবারত কমেন্টে দিচ্ছি, লিংকও দিচ্ছি চাইলে দেখে নিতে পারেন। লিংকঃ (লিংক) সেখানে 'ইযহারুত তাশকিল' এ ক্লিক করে যবর-যেরও দেখতে পারবেন।
....
এই ভুলের যারা প্রচলন করেছে দোষ শুধু তাদের একার না, আমাদেরও আছে! আমরা নতুন কিছু পেলেই ভাবি আগেরটা বোধহয় ভূল আর নতুনটাই সঠিক। এই কুধারনা থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা উচিত।
.......
আগামীতে কাউকে ভূল করতে দেখলে অবশ্যই শুধরে দিবেন, অথবা জাস্ট এই পোস্টের লিংক দিয়ে দিবেন।
আর কোরআন-হাদিসের, আরবী ভাষার জ্ঞান ছাড়া ফেসবুকে এসে দাওয়াতের নামে যারা এসব ভাইরাস ছড়ায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
.
- ৭ জানুয়ারি ২০১৭
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1191390490950479&id=100002386190185
.
ইদানীং অনেক ঈমানদার ভাই-বোনকে বলতে দেখা যাচ্ছে "জাযাক আল্লাহ" আমি আপনার জ্ঞাতার্থে সবিনয়পূর্বক বলছি শব্দটি ভূল।
আসলে শব্দটি সেটাই যা আমরা আগে ব্যবহার করতাম, অর্থাৎ জাযাকাল্লাহ। উচ্চারণ এরকম "জাঝা-কাল্ল-হ"
.
বিস্তারিত তাহকীক
----
আরবি ভাষা সম্পর্কে প্রাইমারী লেভেলের জ্ঞান যার আছে তাকেও এই ভূল গেলানো সম্ভব না। এই বাক্যে তিনটা অংশ আছে-
জাযা - ক্রিয়া (ফেয়েল), কা - সর্বনাম (যমির), লফয আল্লাহ ( ফায়েল)
.
এখানে জাযা ফেয়েল, কাফ জমির লফযে আল্লাহ ফায়েলের সাথে ইযাফত হয়েছে। ইযাফত হলে লফযে আল্লাহর আলিফে যায়েদা পড়ে যায়।
তখন শব্দটা এমন হবে- জাযাকাল্লাহ
.
আরবিতে "কা - কি" (তুমি) সর্বনাম শব্দের শেষে আসে। এটা 'যমিরে মানসুবে মুত্তাসিল' জাতীয় সর্বনামের অন্তর্ভুক্ত। এই ধরণের সর্বনাম ১৪টি। এগুলো সবসময় পূর্বের শব্দের সাথে লেগে থাকে। (এজন্যই মুত্তাসিল)
.
হাদিস থেকে উদাহরণ-
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি তার ভাইকে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলে তাহলে সে পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং- ৩৬৬৪)
.
খেয়াল করুন
----
ﺟﺰﺍﻙ ﺍﻟﻠﻪ সঠিক
ﺟﺰﻙ ﺍﻟﻠﻪ ভূল
.
জাযাক আল্লাহ বললে জাযা শব্দের মাদ্দা/মূলধাতুর আলিফ বাদ পড়ে যাচ্ছে, শব্দটাই পরিপূর্ণ হচ্ছেনা। হাদিসের পূর্ণ ইবারত কমেন্টে দিচ্ছি, লিংকও দিচ্ছি চাইলে দেখে নিতে পারেন। লিংকঃ (লিংক) সেখানে 'ইযহারুত তাশকিল' এ ক্লিক করে যবর-যেরও দেখতে পারবেন।
....
এই ভুলের যারা প্রচলন করেছে দোষ শুধু তাদের একার না, আমাদেরও আছে! আমরা নতুন কিছু পেলেই ভাবি আগেরটা বোধহয় ভূল আর নতুনটাই সঠিক। এই কুধারনা থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা উচিত।
.......
আগামীতে কাউকে ভূল করতে দেখলে অবশ্যই শুধরে দিবেন, অথবা জাস্ট এই পোস্টের লিংক দিয়ে দিবেন।
আর কোরআন-হাদিসের, আরবী ভাষার জ্ঞান ছাড়া ফেসবুকে এসে দাওয়াতের নামে যারা এসব ভাইরাস ছড়ায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
.
- ৭ জানুয়ারি ২০১৭
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1191390490950479&id=100002386190185
0 comments:
Post a Comment