Showing posts with label টেকনোলজি. Show all posts
Showing posts with label টেকনোলজি. Show all posts

November 15, 2024

qBittorrent ব্যাকআপ এবং রিস্টোর টুল : সহজ গাইড

আপনি যদি qBittorrent ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনার টরেন্ট ডেটা নিরাপদে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার অপারেটিং সিস্টেম পুনরায় ইনস্টল করতে হয় বা নতুন পিসিতে যান, তবে ব্যাকআপ এবং রিস্টোরের কাজে এটি সহায়ক হতে পারে। এখানে দুটি ব্যাচ স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার qBittorrent ডেটা ব্যাকআপ এবং রিস্টোর করতে পারবেন।

স্ক্রিপ্টগুলো কী?

এই দুটি স্ক্রিপ্ট (Download link):

  • backup_qBittorrent.bat: qBittorrent ডেটা ব্যাকআপ করবে।
  • restore_qBittorrent.bat: ব্যাকআপ থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার করবে।

ধাপ ১: ব্যাকআপ নেয়া

  1. স্ক্রিপ্ট ডাউনলোড করুন: GitHub repo থেকে স্ক্রিপ্টগুলো ডাউনলোড করুন।
  2. ব্যাকআপ স্ক্রিপ্ট চালান: backup_qBittorrent.bat ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন, ব্যাকআপ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
  3. ব্যাকআপ সম্পন্ন: ব্যাকআপ নেয়া শেষে কনফার্মেশন দেখাবে, যেমন: “Backup completed”

ধাপ ২: রিস্টোর করা

  1. qBittorrent পুনরায় ইনস্টল করুন (যদি নতুন সিস্টেমে চলে যান, তাহলে অন্তত একবার রান করুন)।
  2. qBittorrent সম্পূর্ণ ক্লোজ/এক্সিট করুন। (File>>Exit)। টাস্ক ম্যানেজার থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন যে বন্ধ আছে।
  3. Restore স্ক্রিপ্ট চালান: restore_qBittorrent.bat ফাইলটি ডাবল ক্লিক করুন এবং আপনার ব্যাকআপ ডেটা রিস্টোর হয়ে যাবে।

ব্যাকআপ লোকেশন পরিবর্তন

স্ক্রিপ্টের শুরুতেই ব্যাকআপ/রিস্টোর পাথ লেখা আছে, আপনি চাইলে এটা পরিবর্তন করতে পারেন।
যেমন: set backupPath=E:\Backup

সতর্কতা

  • ড্রাইভ লেটার পরিবর্তন: উইন্ডোজ পুনরায় ইনস্টল করলে ড্রাইভ লেটার পরিবর্তন হতে পারে, সুতরাং নিশ্চিত করুন আগে আপনার ফাইল যে ড্রাইভে ছিল, এখনও তার ড্রাইভ লেটার একই আছে কি না।
  • Permission সমস্যা: যদি স্ক্রিপ্ট রান করতে কোনো ত্রুটি হয়, ব্যাচ ফাইলটি "Run as administrator" দিয়ে চালান।

এই স্ক্রিপ্টগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার qBittorrent ডেটা ব্যাকআপ এবং রিস্টোর করতে পারবেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য গিটহাব রিপোজিটরির readme.md পড়তে পারেন। 

Share:

How Backup and Restore qBittorrent Easily

qBittorrent Backup and Restore Scripts: A Simple Guide to Restore Your Seeds

If you're an avid user of qBittorrent, you know how important it is to keep your torrenting data safe and secure. This includes your download history, settings, preferences, and more. Reseeding all the files one by one can be a major headache, especially if you need to reinstall Windows or move to a new machine. But don't worry, we have a simple solution!

In this blog post, we'll explain how you can easily back up and restore your qBittorrent data using two batch scripts. Whether you're looking to reinstall your OS or simply want a backup, these scripts make the process easy and quick.

What Are These Scripts?

The qBittorrent Backup and Restore Scripts are two batch files that allow you to back up your qBittorrent data (such as configuration files and torrent settings) and later restore them when needed. These scripts work on Windows, and they automate the backup and restoration process so you don’t have to do everything manually.

Here’s what you’ll get:

  • `backup_qBittorrent.bat`: This script will back up your qBittorrent data to a specified folder (for example, `D:\qBittorrentBackup`).
  • `restore_qBittorrent.bat`: This script will restore your data from the backup folder to its original location when you need to.

Step-by-Step Instructions

Step 1: Backing Up Your Data

First, let’s look at how you can back up your qBittorrent data.

  1. Download and Prepare the Scripts:
    Download the backup_qBittorrent.bat and restore_qBittorrent.bat files from the GitHub repository. Place these files in a folder where you want to run them (you can place them in your Documents or Desktop).
  2. Run the Backup Script:
    Simply double-click the backup_qBittorrent.bat file, and the script will begin the backup process automatically. The script will copy your qBittorrent data from the %localappdata% and %appdata% folders and save them in a backup directory (D:\qBittorrentBackup by default).
  3. Wait for the Backup to Complete:
    When the backup is done, you’ll see a message that says: “Backup complete. Files have been saved to D:\qBittorrentBackup”.

That’s it! Your qBittorrent data is now safely backed up.

Step 2: Restoring Your Data

Now let’s look at how to restore the data if you need to.

  1. Reinstall qBittorrent:
    If you’ve reinstalled Windows or moved to a new machine, make sure to install qBittorrent first. Run it once to create the default configuration files.
  2. Close qBittorrent:
    Before restoring the data, close qBittorrent. Use Ctrl+Q to quit the application and confirm that it's not running through Task Manager.
  3. Run the Restore Script:
    Double-click the restore_qBittorrent.bat script. It will restore the data from the backup folder (D:\qBittorrentBackup by default) back to its original location.
  4. Open qBittorrent:
    Once the restore is complete, open qBittorrent, and your torrents, settings, and preferences should be exactly as they were before.

Optional: Change the Backup Location

If you want to change the backup folder location (say, you want to back up to E:\Backup instead of D:\qBittorrentBackup), you can easily do so by editing the backup path in both scripts.

  1. Open the backup_qBittorrent.bat file in any text editor (like Notepad).
  2. Change the backupPath variable to your preferred folder path, like so:
    set backupPath=E:\Backup
  3. Save the file and run the scripts again, and your backup will now go to the new location.

Important Warnings

  • Drive Letter Changes: When reinstalling Windows, the drive letters (such as D:, E:) may change. If your torrent files were on D:\Downloads and now your D: drive is changed to E:, you’ll need to adjust the drive letters to avoid missing files. You can do this through Windows Disk Management (diskmgmt.msc).
  • Backup Path: The default backup path is D:\qBittorrentBackup, but you can change this if needed (as shown above). Make sure the backup path is correct to avoid any errors.

Troubleshooting

  • "Invalid path" Errors: If you see any errors saying “Invalid path,” ensure the backup directory exists and that the path is correct. Also, make sure that you’re running the batch files with administrator privileges.
  • Permission Issues: If you encounter permission issues, right-click the batch file and select Run as administrator.

Example of Scripts

Backup Script (`backup_qBittorrent.bat`)

@echo off
set backupPath=D:\qBittorrentBackup

echo Creating backup directory if it doesn't exist...
mkdir "%backupPath%\localappdata"
mkdir "%backupPath%\appdata"

echo Backing up qBittorrent data...
xcopy "%localappdata%\qBittorrent" "%backupPath%\localappdata" /s /e /y
xcopy "%appdata%\qBittorrent" "%backupPath%\appdata" /s /e /y

echo Backup complete. Files have been saved to %backupPath%
pause
            

Restore Script (`restore_qBittorrent.bat`)

@echo off
set backupPath=D:\qBittorrentBackup

echo Restoring qBittorrent data...
xcopy "%backupPath%\localappdata" "%localappdata%\qBittorrent" /s /e /y
xcopy "%backupPath%\appdata" "%appdata%\qBittorrent" /s /e /y

echo Restore complete. Your qBittorrent data has been restored.
pause
            

Conclusion

With these simple batch scripts, you can easily back up and restore your qBittorrent data, saving you from the hassle of reconfiguring everything when you reinstall your OS or move to a new system. Just remember to back up your data regularly, and always make sure your torrent files are stored on the same drive and location.

For more detailed instructions, you can also refer to the manual backup guide.

Share:

June 9, 2024

গরমে টেকসই চার্জার ফ্যানের আইডিয়া

গরমের দিনে বিদ্যুৎ না থাকাকালীন সাপোর্ট নিতে চাইলে আপনারা কম খরচে এই টাইপের সেটআপ নিতে পারেন। শুরুতে একটু ঝামেলা করে সব কালেক্ট করতে পারলে এরপর রেডিমেড এসি-ডিসি ফ্যানের চেয়ে ভালো সার্ভিস দিবে ইনশাআল্লাহ। 

image

এই ছবিটা অন্য এক গ্রুপে একজন পোস্ট করে বলেছে ৫০০০ টাকা। তবে এর চেয়ে একটু ভালো নিতে হবে, তাইলে ভালো সুবিধা পাবেন। 

------

কি কি নেয়া যেতে পারে একটা প্রাথমিক আইডিয়া দেই, কেনার আগে কয়েক দোকান ঘুরেফিরে দেখে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সাথে কথা বলে আরেকটু নিশ্চিত হয়ে কিনবেন।   --

১। বাতাস খাওয়ার জন্য ১২ অথবা ১৬ ইঞ্চি ডিসি ফ্যান। (একাধিক মানুষের জন্য ১৬ইঞ্চি নিলে বেটার) - ১৪শ - ১৬শ টাকা।

২। ব্যাটারি - এক্ষেত্রেও দুইটা অপশন বলি -

  ক. পুরাতন ভ্যানের ব্যাটারি ৪০এম্প (লেখা থাকে ৯৫-১২০এম্প) নিতে পারেন - ৩০০০৳ এর আশেপাশে। পারফরম্যান্স কমে গেলে অল্প কয়েকশ টাকা দিয়ে আবার পাল্টিয়ে নিতে পারবেন। নতুন ব্যাটারির দাম হয়তো ডাবল পড়বে। (৭-১০ঘন্টা চলার কথা)

 খ. ছবির মত ৯এম্প কালো ব্যাটারি। এগুলো নতুনই সম্ভবত হাজার-বারোশো টাকার মত নিবে দাম। (৪-৬ঘন্টা চলার কথা)

৩। চার্জ দেয়ার জন্যও দুইটা অপশন। টাকা ও যায়গা থাকলে দুইটাই নিতে পারেন। 

  ক. চার্জার - ১এম্প থেকে ৫এম্প পর্যন্ত নিতে পারেন। - দাম আনুমানিক ৩৫০-৮০০৳ (যদি ৯এম্প ব্যাটারি নেন, তাইলে ১এম্প চার্জারই নিয়েন, নইলে দ্রুত চার্জ করতে গিয়ে ব্যাটারি দ্রুত যাবে।)

  খ. সোলার ৪০ থেকে ৬০ ওয়াটের। সাথে সোলার কন্ট্রোলার লাগবে। সাইজ অনুযায়ী খরচ পড়বে ২ থেকে ৩ হাজার।

৪। কিছু তার-টেপ-সকেট হ্যানত্যানের জন্য আর ৩০০৳ ধরে রাখেন। (সোলার নিলে তারের খরচ বেশি হয়।)

৫। (অপশনাল) চাইলে আর এক-দেড়শ টাকা যোগ করে একটা ২০-৩০ওয়াটের ডিসি লাইটও নিতে পারেন। দরকার হলে ব্যাটারির সাথে লাইন দিয়ে ইউজ করবেন আরকি।

নোটঃ এই দামগুলো পোস্ট লেখা সময়ের অনুপাতে হিসাব করা হয়েছে, বছরের বিভিন্ন সময়ে দাম ওঠানামা করতে পারে। সাধারণত শীতকালে এসবের দাম আরও কম থাকে।

-----

সামারি করা যাক -

১। ১২ইঞ্চি ফ্যান + ৯এম্প নতুন ব্যাটারি + ১এম্প চার্জার + আনুষঙ্গিক = ৩৩০০৳

২। ১৬ইঞ্চি ফ্যান + ৯এম্প ব্যাটারি + ৫এম্প চার্জার + আনুষঙ্গিক = ৩৯০০৳

৩। ১৬ইঞ্চি ফ্যান + ৪০এম্প পুরাতন ব্যাটারি + ৫এম্প চার্জার + আনুষঙ্গিক = ৫৮০০৳

৪। ১৬ইঞ্চি ফ্যান + ৪০এম্প ব্যাটারি + ৬০ওয়াট সোলার + আনুষঙ্গিক = ৮২০০৳

(যদি সোলার + বিদ্যুতের চার্জার দুইটাই নেন তাহলে ৯০০০ হবে)

৫। ১৬ইঞ্চি ফ্যান ২টা + ৪০এম্প ব্যাটারি + ৬০ওয়াট সোলার + ৫এম্প চার্জার + আনুষঙ্গিক = ১০৭০০৳

------

কোথায় পাওয়া যাবে -

* একটু ভালো ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে প্রায় সবগুলো জিনিসই পাবেন ইনশাআল্লাহ। উপজেলা-জেলা সদরে এরকম দোকানে দেখবেন যেখানে খুটিনাটি অনেক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। (নিজ নিজ এলাকার মেকানিক ভাইব্রাদাররা খোজ দিতে পারবে)

* ভ্যানের পুরাতন কিন্তু ভালো ব্যাটারির খোজ দিতে পারবে রিক্সা-ভ্যানের মেকাররা। এক-দেড়বছর ইউজের পর ডাউন হয়ে গেলে তখন ওদের কাছেই বেচে দিবেন, সাথে ২-৪শ টাকা যোগ করে আরেকটা ব্যাটারি নিতে পারবেন।

-----

- ৩০.০৪.২০২৪ [মুল পোস্ট]

Share:

January 8, 2024

আপনার পিসির জন্য সিস্টেম রিকোভারি পেন্ড্রাইভ কিভাবে বানাবেন?

প্রথমে একটা পেন্ড্রাইভে Ventoy (বা এরকম কিছু) ইন্সটল করবেন। ফলে আপনি অনেকগুলো iso ফাইল একটা পেন্ড্রাইভ থেকেই বুট করতে পারবেন, প্রত্যেকটা ফাইল আলাদা-আলাদাভাবে বুটেবল বানানোর ঝামেলা ছাড়াই। 
ভেন্টয় এর লিংক - https://www.ventoy.net/en/download.html

১. এটা প্রথমে আপনার পিসিতে আনজিপ করে Ventoy2Disk ফাইলটা ওপেন করবেন, এরপর এখান থেকে পেন্ড্রাইভ সিলেক্ট করে ফরম্যাট ও বার্ন করবেন। 
২. এরপর দেখবেন আপনার পেন্ড্রাইভে দুইটা পার্টিশন/ড্রাইভ তৈরি হয়েছে, একটার সাইজ মাত্র ৩০-৪০এমবি। অন্যটা কয়েক গিগাবাইট, অর্থাৎ আপনার পেন্ড্রাইভের বাকি অংশ এখানে। 
৩. এবার ventoy নামের এই বড় পার্টিশনের মাঝে আপনি যতগুলো iso ফাইল রাখবেন, সবগুলো অটোমেটিক বুটেবল হয়ে যাবে। (যদি আপনি ৩রকম উইন্ডোজ আর ৩রকম লিনাক্সের ফাইল ওখানে রাখেন, তাহলে সবগুলোতেই বুট করতে পারবেন ইজিলি)
৪. চাইলে দরকারি অন্যান্য ফাইলও এখানে রাখতে পারবেন। তবে রিকোভারির জন্য আলাদা পেন্ড্রাইভ কাছে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। (আমার নাই)
৫. আপনি পিসি রিস্টার্ট করে যখন ভেন্টয় দেয়া পেনড্রাইভে বুট করবেন, দেখবেন ভেতরে কি কি আছে তার একটা লিস্ট চলে এসেছে। কিবোর্ড থেকে এন্টার চেপে সিলেক্ট করেই এগুলোতে বুট করতে পারবেন। 

প্রশ্ন হলো, কি কি ফাইল রাখবেন এই সিস্টেম রিকোভারি পেন্ড্রাইভে -
---
1. Rescatux - পিসির অনেক রিপিয়ার টুলস আছে এর মধ্যে। বিস্তারিত - https://www.supergrubdisk.org/rescatux/
2. Supergrub2 - কেউ একাধিক ওএসের মাঝে সুইচ করতে করতে বুট ম্যানেজার ফেইল করলে এটা কাজে দিবে - https://sourceforge.net/projects/supergrub2/
3. Hiren's Boot - এটাও দারুণ কাজের, এর মাঝে আস্ত একটা পোর্টেবল উইন্ডোজ দেয়া আছে, যার মাঝে পিসি রিপিয়ার করতে দরকারি অনেক সফটওয়ার ইন্সটল দেয়া থাকে, শুধু বুট করেই ইউজ করা যাবে - https://www.hirensbootcd.org/download/
4. IM Magic Partition Resizer or similar kisur bootable iso file. - যেন হার্ডডিস্কের পার্টিশনে কোনো চেঞ্জ বা রিকোভারির দরকার লাগলে করতে পারেন। পার্টিশন টুলস অবশ্য ১ এবং ৩নং এর মধ্যেও থাকবে।
5. আপনার ফেভারিট 'stable' windows and/or linux er iso file. - উইন্ডোজের স্টেবল ফাইল রাখবেন অবশ্যই, যেটা ইউজ করেছেন আগে। নইলে দরকারের সময় সময় যখন উইন্ডোজ ইন্সটল করতে যাবেন, তখন ফাইল নষ্ট পেলে লাভ হবে না আর।
 একবার আমি উইন্ডোজ ১১ দিতে গিয়ে দেখলাম ওই ফাইলে tpm বাইপাস করা নাই, আর এটা যেহেতু rufus দিয়ে বুট করা হয়নি, সুতরাং অরিজিনাল উইন্ডোজের সব ঝামেলাই থেকে গেছে, কি এক মুশকিল...।

যাহোক, এগুলো রেডি রাখলে আর সময়মত ব্যবহার করলে আশা করি আপনার উইন্ডোজ বা লিনাক্সের মেজর অনেক ঝামেলা থেকে খুব সহজে রিকোভার করতে পারবেন।
- - - 

hirens boot এর মত আরও কিছু টুলস আছে, চাইলে সেগুলোও ঘুরেফিরে দেখতে পারেন :
---

সবাইকে শুকরিয়া


image
Share:

January 2, 2024

পিসির জন্য ভয়েস টাইপিং সল্যুশন

মোবাইলে আমরা অনেকে ভয়েস টাইপিং ব্যবহার করি। এটাকে ডিকটেশনও বলা যায়। এখনকার প্রায় সব কিবোর্ডেই এই অপশন থাকে। আগের তুলনায় ভয়েস টাইপিং এখন অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে। আর ভয়েস দিয়ে লেখার পর একবার নজর বুলিয়ে দাড়ি কমা বসিয়ে নিলেই বেশ ভালো একটা আউটপুট পাওয়া যায়। 

অনেক যায়গায় পরিবেশ কিংবা সময় স্বল্পতার কারণে আমরা ভয়েস টাইপিং এবং ভয়েস মেসেজ প্রেফার করি। দেখা যায়, যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছি সে ভয়েস রেকর্ডিং শুনবেনা, কিন্তু টাইপ করার জন্য আমাদের হাতে বেশি সময় নাই। তখনো ভয়েস দিয়ে লেখা উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। যেসব ভাইয়েরা সাধারণত ব্যস্ত থাকেন, তাদেরকে নিজের প্রয়োজনে মেসেজ দিলে ভয়েসক্লিপ দেয়াটাও দৃষ্টিকটু।

আমি শুনেছি, অনেক অনুবাদক ভাই আস্ত আস্ত বই অনুবাদ করে ফেলেন ভয়েস টাইপিং দিয়ে। পরবর্তীতে প্রুফ রিডাররা বানান মেরামত করে দেয়।

যাই হোক, এন্ড্রয়েড সিস্টেমের কারণে মোবাইলে ভয়েস টাইপিং ইজি হলেও পিসির জন্য বিষয়টা এখনো ঝামেলার রয়ে গেছে। পিসিতে গুগল ডকসের মধ্যে ভয়েস টাইপিং দিয়ে লেখা যায় অনেক বছর যাবত, এছাড়া গুগলের এপিআই ব্যবহার করে বেশ কিছু ওয়েবসাইট এবং এক্সটেনশন তৈরি হয়েছে। সমস্যা হলো, এর মধ্যে সবগুলো আবার বাংলা সাপোর্ট করে না।

উইন্ডোজ ১১তে (সম্ভবত ১০এও) একটা বিল্ট-ইন ভয়েস টাইপিং টুল আছে, এটা win+H চাপলে এক্টিভ হয়, পুরা পিসিতেই এটা হয়তো চলবে কিন্তু সমস্যা হলো এতেও বাংলা নাই। টুকটাক ইংরেজি টাইপের কাজে এটা ইউজ করতে পারবেন। 


Share:

September 29, 2023

উবুন্টুর কয়েকটি বাল্ক ফাইল এডিটিং টুল

১.

লিনাক্সের ফাইল বাল্ক রিনেম করার জন্য mmv টুল খুব কাজের মনে হল। যদিও কিছু bash কমান্ড দিয়ে করা যায়, তবে ঝামেলা লেগেছে ওইসব। সে তুলনায় mmv অনেক ইজি, আর সেইফ মনে হয়েছে।
ইন্সটল কমান্ড: sudo apt-get install mmv

টিউটোরিয়ালের লিংক https://ostechnix.com/how-to-rename-multiple-files-at-once-in-linux

এছাড়া xfce desktop এর সাথে বিল্টইন দেয়া Thunar - Bulk Rename Files টাও ভাল।

২.
ভিডিও সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে ffmpeg টুল বেশ ভাল কাজে দেয়। মার্জ, স্প্লিট, কনভার্ট অনেক কিছু করা যায়।
বিশেষ করে একাধিক ভিডিও মার্জ করা লাগলে ফাইল ভেঙ্গে নতুন করে এনকোড করার ঝামেলায় না গিয়েই কয়েকটা ভিডিও ফাইল জোড়া দেয়া যায়।

৩.
to be continued ...


লাস্ট আপডেট: 29-9-2023
Share:

February 27, 2022

প্রয়োজনীয় ৭টি ব্রাউজার এক্সটেনশন

 কয়েকটা ব্রাউজার এক্সটেনশন শেয়ার করি, অনেকের কাজে লাগতে পারে -

১. ভয়েস টাইপিং - এখানে মাইক ক্লিক করলে বা শর্টকাট বাটন প্রেস করলে ভয়েস টাইপিং শুরু হয়ে যাবে, এটা সম্ভবত ফায়ারফক্সে নাই - https://tinyurl.com/yckzkzf7
২. ওসিআর : ইমেজ রিডার - ব্রাউজারে দেখানো পিকচারের এরিয়া সিলেক্ট করলেই সেখান থেকে টেক্সট জেনারেট করে দিবে। এটা মেজর ৩ ব্রাউজারেরই আছে- https://add0n.com/ocr.html
(এগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী ভাষা সেট করে নিয়েন। কই যেন দেখছিলাম, গুগল ডকে আর এই দুইটা এক্সটেনশনে একই ভয়েস/ওসিআর এপিআই ব্যবহার করা হইসে, এজন্য স্পিড আর একুরেসি অন্যগুলোর চেয়ে ভাল।)
৩. অটো-প্লে স্টপার - অনেক পেজে ঢুকলে হুটহাট ভিডিও প্লে হতে থাকে, এটা একে তো বিরক্তিকর, আবার লিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের জন্য সমস্যার। এক্ষেত্রে এই এডন্সটা খুব উপকারী - https://tinyurl.com/ytcadnts
৪. টিউনেবল ইমেজ ব্লকার - আপনি যত কেবি সেট করে রাখবেন সর্বোচ্চ ততটুকু পর্যন্ত পিকচার লোড হবে - চাইলে ফুল ইমেজও দেখতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ctrl অথবা shift চেপে ধরে ইমেজের ওপর কার্সরটা নাড়াচাড়া করতে হবে। - এটাও ৩ ব্রাউজারেই চলবে। - https://tinyurl.com/2t8sf92t for ffox https://tinyurl.com/2xwmeey8
৫. গুগল ট্রান্সলেটর পপ-আপ ভিউ - ওয়েবপেজের কোনো লেখা সিলেক্ট করলে একটা আইকন দেখাবে, ওটায় ক্লিক করলে পপ-আপ উইন্ডোতে গুগল ট্রান্সলেটর ওপেন হয়ে অনুবাদ হয়ে যাবে- - এটাও ৩ ব্রাউজারেই আছে। - https://add0n.com/dictionary.html
৬. রোট্যাটি : ইমেজ রোটেটর - অনেকসময় পিকচার উল্টা বা একদিকে কাত হয়ে থাকে, এবং সেইটা লেখা পড়া লাগে বা স্ন্যাপ নেয়া লাগে। মোবাইলে ঘুরিয়ে পড়া ইজি হলেও পিসিতে একটু ঝামেলা হয়, এক্ষেত্রে এই এডন্সটা কাজে দিবে - https://tinyurl.com/mvkaxptt
৭. ভিউ ইমেজ - আগে গুগলে কোনো ইমেজ সার্চ করলে এখান থেকেই ইমেজ ডাউনলোড করা যেত। পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে এটা বন্ধ করে দিয়েছে। এই এক্সটেনশন ব্যবহার করলে গুগলে আবার ইমেজ ডাউনলোড করার অপশন দেখাবে। - https://tinyurl.com/5xvr9fz7
...
** Bonus ** বুকি - বুকমার্কার - এটা মেইনলি একটা ওয়েবসাইট। এদের ব্রাউজার এক্সটেনশনও আছে। এখানে ক্যাটাগরি ও সাব-ক্যাটাগরি অনুযায়ী বুকমার্ক সেভ করে রাখা যায়। ব্রাউজারে সব দরকারি জিনিস সেভ না করে এখানেও সাজিয়ে রাখতে পারেন। আর ইম্পোর্ট/এক্সপোর্ট অপশনও আছে - https://booky.io/
Share:

November 1, 2021

August 7, 2021

পিসিতে অন্য সফটওয়ার ব্যবহার করার সময় ইউটিউব দেখার উপায়

পিসিতে ইউটিউব দেখার সময় ফ্লোটিং উইন্ডো দরকার হয় অনেকের। মোবাইলের ইউটিউব প্রিমিয়াম অথবা ভেন্সড ইউটিউবে PiP Modeএর কথা অনেকে জানলেও পিসির কথা কম মানুষই জানে।

যাহোক, লং স্টোরি শর্ট। ইউটিউব ভিডিওর ওপর প্রথমবার রাইট ক্লিক করলে যে কন্টেক্সট মেনু আসে, এর পরপরই আরেকবার ক্লিক করলে অন্য আরেকটা মেনু আসবে। 

প্রথমটা ইউটিউবের মেনু, আর পরেরটা ব্রাউজারের কন্টেক্সট মেনু। ব্রাউজারের সাদা মেনুগুলোর মাঝের দিকেই Picture in Picture অপশন পেয়ে যাবেন। উইন্ডোজ ১০এ এভাবে ভিডিও দেখার ফাংশনটা আছে, অন্য ওএস দিয়ে চেক করে দেখিনি।

সেখানে ক্লিক করলে নিচের ডান কোনায় ভিডিও উইন্ডো চালু হবে। এরপর সেটা যেকোনো সফটওয়ারে গেলেও চলতে থাকবে। চাইলে সেটা পজ-প্লে-ক্লোজ করতে পারবেন, অথবা মাউস চেপে উইন্ডোটা ছোট-বড় করতে বা অন্য কোথাও সরাতে পারবেন।

এমনিতে ইউটিউবে মিনিপ্লেয়ার যেটা আছে, আই i চাপলে আসে, ওটা আসলে শুধু ইউটিউবের মধ্যেই কাজ করে। অন্য ট্যাব অথবা সফটওয়ারে গেলে সেটা দেখা যায় না।

আশা করছি আজকের টিপস অনেকের কাজে লাগবে।



Share:

July 2, 2021

কিভাবে আপনার এন্ড্রয়েড (৭, ৮, ৯, ১০, ১১) ফোন রুট করবেন? (magisk বাংলা টিউটোরিয়াল)

 লং স্টোরি শর্ট। 

এন্ড্রয়েড ললিপপ ৫.১ পর্যন্ত রুট করার বিষয়টা সহজ ছিল, King Root বা সমগোত্রীয় এপ ইন্সটল করে কয়েকটা বাটন চেপেই রুট করা যেত। পরে আস্তে আস্তে সিকিউরিটির কথা বলে এটা কঠিন করে ফেলেছে। 

লক্ষণীয়ঃ নিজ দায়িত্বে ঝুঁকি নিয়ে এই টিউটোরিয়াল ফলো করুন। ফোন রুট করার অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও এটা বেশ রিস্কের কাজ। রুট করতে গিয়ে সমস্যা হলে ফোন ব্রিক করতে পারে, রিসেট হয়ে সব অ্যাপ/ফাইল ডিলিট হয়ে যেতে পারে, চালু হওয়ার সময় আটকে যেতে পারে। ইত্যাদি ইত্যাদি। এসবের জন্য আমাকে দোষারোপ করতে পারবেন না। সম্ভব হলে পিসি থেকে পুরো সিস্টেমের ব্যাকআপ নিয়ে নিন, যাতে পরবর্তি দরকারে নিজেই ফ্ল্যাশ করে ফোন ঠিক করতে পারেন।

Pre-Requirement :

1. আমাদের দরকার হবে একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল, যেখানে ইচ্ছামত fastboot এবং adb কমান্ড রান করানো যায়

  • [প্রথমে ফোনে Developer Setting এবং USB Debugging চালু করা লাগবে, এজন্য setting > about phone > build number এর নাম্বারের ওপর অনেকবার (৭বারের মত) প্রেস করতে হবে। তখন টোস্ট নোটিফিকেশনে বলবে ডেভলেপার ফাংশন চালু হয়েছে। এরপর সেটিং এ ফেরত আসলে একটা নতুন অপশন পাবেন Developer *** নামে। সেখানে প্রবেশ করুন এবং USB Debugging চালু করুন]

২. ফোনের বুটলোডার লক করা থাকলে আনলক করতে হবে।

  • ইদানীংকালে অনেক মোবাইল কোম্পানি তাদের বুটলোডার লক করে রাখে। ফলে চাইলেই সেখানে কোনো রম ফ্ল্যাশ করা যায় না, fastboot কমান্ড রান করানো যায়না। এরকম ক্ষেত্রে আপনার ফোনের ব্র্যান্ড এবং মডেল অনুযায়ী নিয়ম ফলো করে বুটলোডার আনলক করতে হবে। এসব বয়ান করতে গেলে আলোচনা অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তাই কিভাবে বুটলোডার খোলা যায় এব্যাপারে গুগলের সহায়তা নিন।

৩. একটা পিসি, যেখানে adb, fastboot ও এন্ড্রয়েডের ড্রাইভার ইন্সটল করা আছে। 

৪. আপনার ফোনের জন্য উপযোগী কাস্টম রিকোভারি ইমেজ

  • [এখানে খুঁজুন আপনার ফোনের জন্য twrp recovery | এখানে আছে orangefox, প্রাথমিকভাবে twrp এর স্ট্যাবল ভার্শন ব্যবহার করা ভাল]

৫. ম্যাজিস্ক magisk রুট ম্যানেজার চলার উপযোগী ফোন

  • [এই ঠিকানায় গিয়ে Magisk manager apk ডাউনলোড করুন, আপনার ফোনে magisk.apk এপটা ইন্সটল করে নিন। এরপর এটার নাম পরিবর্তন করে লিখুন apk এর যায়গায় zip করে দিন, অর্থাৎ আমাদের কাছে আগে ছিল magisk.**.apk এখন হবে magisk.**.zip এই জিপ ফাইলটা পরে লাগবে।]
  • এবার Magisk অ্যাপ ওপেন করে প্রথম সেকশন খেয়াল করুন- Ramdisk YES বলছে কি না। যদি ইয়েস বলে, তাহলে এই ফোনে ম্যাজিস্ক রুট চলবে। 
  • যদি আপনার ফোন Samsung হয়, আর SAR YES বলে, তবে আপনাকে আরও কিছু ঝামেলা করতে হবে। সেটা ম্যাজিস্ক রেপোর গাইড থেকে দেখে নিন। 


এরপর আসুন কর্মক্ষেত্রে : (১ম পদ্ধতি)

১. পিসির একটা ফোল্ডারে প্রয়োজনীয় সব ফাইল একত্রে রাখুন। রিকোভারি ইমেজ ফাইলের নাম পরিবর্তন করে recovery.img বানান।

২. ক্যাবল দিয়ে আপনার ফোন পিসিতে কানেক্ট করুন। 

৩. এরপর fastboot মুডে চালু করুন। একেক ফোনের একেক নিয়ম থাকে। সহজ নিয়ম হল adb থেকে করা।


    shift চেপে রাইটক্লিক করুন, এরপর command promote / powershell এ গিয়ে কমান্ড লিখুন adb devices এরপর এন্টার চাপুন। আপনার ফোন সঠিকভাবে কানেক্ট হলে লিস্টের মধ্যে দেখতে পাবেন। 

   এরপর কমান্ড লিখুন adb reboot fastboot এবং এন্টার চাপুন। কোনো কোনো ফোনে adb reboot bootloader লিখলে কাজ হতে পারে। 

 এরপর যদি ফোনে কোনো পারমিশন চায় দিয়ে দিন। আশা করা যায় এবার ফোন রিস্টার্ট নিয়ে ফাস্টবুটে চলে যাবে। 

৪. ফোনে ফাস্টবুট শো করলে কানেক্ট হয়েছে কি না চেক করুন এই কমান্ড লিখে এন্টার দিয়ে fastboot devices


৫. এবার রিকোভারি চালু করার পালা। আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি যে ফোল্ডারে কমান্ড প্রোমোট চালু করেছেন সেখানেই recovery.img ফাইলটা আছে কি না। থাকলে লিখুন 

fastboot boot recovery recovery.img
৫. আপনার ফোন রিবুট নিয়ে রিকোভারি চালু হবে। এবার install এ গিয়ে magisk.**.zip ফাইলটা সিলেক্ট করুন। এবং ফ্ল্যাশ করুন। 
৬. ফ্ল্যাশ হয়ে গেলে রিবুট বাটন চেপে ফোন রিস্টার্ট করুন।
ম্যাজিস্ক ফ্ল্যাশ করার পর রিমুভ/ওয়াইপ ক্যাচ বাটন চাপবেন না। কারণ এই সময় কিছু দরকারি কনফিগারেশন ফাইল থাকতে পারে সেখানে। সেটা মুছে ফেললে পরে সমস্যা হতে পারে। বরং Reboot Device চেপে ফোন রিস্টার্ট দিন।
৭. ব্যাস, শেষ। আপনার ফোনে সফলভাবে magisk ইন্সটল করা হয়েছে, এবং রুট করা হয়েছে। Magisk অ্যাপের মধ্যে ঢুকে সব পারমিশন ম্যানেজ করতে পারবেন। রুট hide/show করতে পারবেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।

আনরুট / রুট পারমিশন রিমুভ করার নিয়ম 

১. পূর্বে ডাউনলোড করা সেই magisk.**.zip ফাইলটার নাম চেঞ্জ করে uninstall.zip বানান। এরপর রিকোভারি থেকে ফ্ল্যাশ করুন। এরপর ফোন রিবুট দিন। ব্যাস আনরুট হয়ে যাবে।

ফুটনোট

রুট / আনরুট করার বিকল্প একটা পদ্ধতি পাবেন ম্যাজিস্ক ম্যানেজারের ওয়েবসাইটে এবং রেপোতে। এজন্য আপনার ফোনের কার্নেল (boot.img) লাগবে। সংক্ষেপে বললে, 
১. প্রথমে আপনার ফোনের boot.img ব্যাকআপ নিয়ে বা কোথাও থেকে ডাউনলোড করে আপনার ফোনে রাখুন। (গুগলে সার্চ করে বুট ইমেজ ব্যাকআপ নেয়ার পদ্ধতি জেনে নিন।)
২. এরপর আগের মতই ম্যাজিস্ক ইন্সটল করুন। এরপর ম্যাজিস্ক অ্যাপে প্রবেশ করে দেখুন Ramdisk YES বলে কি না।  এপর install > Select and Patch a File এ গিয়ে এবং boot.img ফাইলটা সিলেক্ট করে প্যাচ করুন।
৩. এরপর আগের নিয়মেই রিকোভারিতে প্রবেশ করে ইন্সটল অপশনে যান, এরপর Install Image এ যান, আপনার ম্যাজিস্ক দিয়ে প্যাচ করা magisk_patched boot.img সিলেক্ট করুন, এবং পার্টিশন নাম সিলেক্ট করতে বললে boot/karnel সিলেক্ট করুন।
৪. ফ্ল্যাশ করা হয়ে গেলে ফোন রিবুট দিন। আশা করি আপনার ফোন রুট হয়ে যাবে। 

আর্টিকেল উপকারে লাগলে বলুন জাযাকাল্লাহু খাইরান
Share:

June 29, 2021

অনেক পুরাতন কিন্তু দারুণ কাজের Image Resizer (ইমেজ রিসাইজার) - মাত্র ১এমবি

 এটা শুরুতে উইন্ডোজ এক্সপির জন্য মাইক্রোসফটের নাম না জানা এক ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছিল। এরপর মাইক্রোসফট আর এটার আপডেট করেনি, অফিশিয়ালি প্রোমোটও করেনি। যেহেতু বিরাট সংখ্যক ইউজার এটা পছন্দ করতো, ফলে সবাই এর শূন্যতায় ভুগছিল। 

 

পরে Brice Lambson নামে এক প্রোগ্রামার এটাকে রিইনোভেট করে, ফলে এরপরের সকল উইন্ডোজে খুব ভালোভাবে চলতে থাকে। আর সে-ই ১২বছর এটার মেন্টেন্স করেছে, আপডেট এনেছে। আমি অনেক বছর যাবত তার ক্লোন করা শুরুর দিকের ২.১ ভার্শন ব্যবহার করেছি। অধিকাংশ ইউজারও এটাই করেন। পরে দেখলাম উনি ডিজাইন এবং ফাংশন কিছুটা আপডেট করেছেন, UI বানিয়েছেন উইন্ডোজ ১০এর মত।

যাহোক, পরিশেষে ২০১৯ সালে মাইক্রোসফট তার সাথে যোগাযোগ করে, এবং তার থেকে কোডগুলো নিয়ে PowerToys টুলবক্সের মধ্যে এটাকে একটা ফাংশন হিসেবে এড করে নেয়। এখন আপনি চাইলে মাইক্রোসফটের পুরা পাওয়ারটয়স ইউজ করতে পারেন, সাইজ ৪৫এমবি+। চাইলে ল্যাম্বসনের নতুন আপডেট ব্যবহার করতে পারেন, সাইজ মাত্র ১এমবি+
আর চাইলে সেই ঐতিহাসিক ২.১ সংস্করণটাও ব্যবহার করতে পারেন, সাইজ ৩৫২কেবি! 🙂

ব্যবহার: এই সফটওয়ারটা ইন্সটল দেয়ার পর আপনি যেকোনো পিকচারে রাইট ক্লিক করলে Resize Pictures অপশন পাবেন। সেটায় গেলেই কোনো প্রিসেট সাইজ, বা নিজের ইচ্ছামত ছোটবড় করার অপশন পাবেন। ইচ্ছেমত সাইজ লিখুন, এরপর এন্টার চাপুন। দেখবেন ওখানেই নতুন সাইজ করা ইমেজ চলে এসেছে। চাইলে কয়েকটা পিকচার একসাথে মার্ক করেও রিসাইজ করতে পারবেন। এখানে দেয়া দ্বিতীয় পিকচারটা এই সফটওয়ার দিয়েই রিসাইজ করা। এটা খুবই সিম্পল এবং লাইটওয়েট।

ডাউনলোড লিংক: 
Share:

June 27, 2021

সকল উইন্ডোজে ড্রাইভার সিগনেচার ভেরিফিকেশন বন্ধ করার উপায়

উইন্ডোজ ইউজারদের নতুন ড্রাইভার ইন্সটল করা নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। ইচ্ছামত ড্রাইভার দেয়া যায়না। ইনকমপ্লিটেড ইন্সটলেশনের জন্য দেখা যায় প্রয়োজনের সময় ডিভাইস ঠিকমত পায় না। উইন্ডোজ ১০এ এসব কিছুটা কমলেও আসলে সমস্যাটা যায়নি। যাহোক, ড্রাইভার সিগনেচার ভেরিফিকেশন বন্ধ করলে আমরা যেকোনো ড্রাইভার সহজে ইন্সটল করতে পারব।

তাই আজ আমরা শিখব বর্তমানের উইন্ডোজ ১০, ১১ এবং অতীতের উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, ৭, ৮ এবং ৮.১ তে কিভাবে ড্রাইভার সিগনেচার এনফোর্স‌মেন্ট / ভেরিফিকেশন বন্ধ করা যায়। 


সাময়িকভাবে ড্রাইভার সিগনেচার ভেরিভাই বন্ধ করার নিয়ম-

উইন্ডোজ ৭এ - আপনার পিসি চালু/রিস্টার্ট হওয়ার সময় বারবার F8 চাপতে থাকুন, তাহলে কয়েকটা অপশন আসবে, সবার নিচে থাকবে Disable driver signature enforcement, সেটা সিলেক্ট করুন। এরপর পিসি চালু হবে, এখন যে ড্রাইভার ইন্সটল দিতে চান দিতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০ এ - Shift চেপে স্টার্ট মেনু থেকে পিসি রিস্টার্ট দিন। পিসির এডভান্স বুট মেনু চালু হবে। সেখানে অনেকগুলো অপশন পাবেন, ৭নাম্বারে থাকবে Disable driver signature enforcement, আমাদের এটাই দরকার। F7 চাপলে এটা সিলেক্ট হবে এবং পিসি রিস্টার্ট নিবে। এবার যেটা ইন্সটল করা দরকার করে ফেলুন। 

এসব নিয়মে একবার পিসি বন্ধ করলে আবার ভেরিফিকেশন চালু হয়ে যাবে।


স্থায়ীভাবে ড্রাইভার সিগনেচার ভেরিভাই বন্ধ করার নিয়ম-

১. প্রথমে Command Promote ওপেন করতে হবে – 

এজন্য উইন্ডোজ বাটন চেপে start মেনু বের করুন, এবং cmd লিখে সার্চ করুন, তাহলে Command Promote নামটি দেখা যাবে। এতে রাইট ক্লিক করে Run as Administrator করুন।



২. আপনার সামনে কমান্ড লেখার যায়গা কমান্ডলাইন ইন্টারফেস চালু হবে।

৩. এরপর উইন্ডোজ ৭, ৮, ৮.১ ইউজাররা নিচের কমান্ড দুইটি লিখুন বা কপিপেস্ট করুন, প্রতি লাইনের শেষে এন্টার চাপুন। (দুই লাইনে মোট দুইবার)

bcdedit.exe -set loadoptions DDISABLE_INTEGRITY_CHECKS

bcdedit.exe -set TESTSIGNING ON

উইন্ডোজ ১০ এবং উইন্ডোজ ১১ ইউজাররা নিচের কমান্ডগুলো লিখুন এরপর এন্টার চাপুন।

bcdedit.exe /set nointegritychecks on

৪.  স্ক্রিনে দেখাবে The operation completed successfully.

৫. এরপর কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন। ঝামেলা শেষ। 


স্থায়ীভাবে ড্রাইভার সিগনেচার এনফোর্সমেন্ট বন্ধ করার আরেকটা পদ্ধতি

এটা অনেক পুরনো নিয়ম। উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, ২০০০ ইত্যাদিতে কাজ করত। পরেরগুলোতে হবে নাকি নিশ্চিত না। 
১. প্রথমে windows বাটন + R চাপুন, রান ডায়লগ চালু হবে
২. এবার লিখুন gpedit.msc এবং এন্টার চাপুন groups policy editor চালু হবে।
৩. এবার ধারাবাহিকভাবে নিচের অপশনগুলোতে যান - 
User Configuration > Administrative Templates > System > Driver Installation > 
৪. আপনি driver Installation এ গেলে ডানে ৩টা অপশন পাবেন- Code Signing for Device Drivers এ রাইট ক্লিক করুন। 

৫. এরপর Edit সিলেক্ট করুন, একটা নতুন উইন্ডো চালু হবে। 
৬. প্রথমে নট কনফিগার্ড এর যায়গায় Enabled সিলেক্ট করুন, তাহলে when detect a driver file without... লেখার নিচে একটা ড্রপডাউন মেনু দেখা যাবে। সেখানে Ignore সিলেক্ট করুন।

৭. এপ্লাই এবং ওকে বাটন চেপে বেরিয়ে আসুন। এরপর পিসি রিস্টার্ট দিন।

এরচেয়ে অবশ্য নতুন কমান্ড প্রোমোট এ লেখার নিয়মটাই বেশি সহজ। যেটা আপনাদের কাজে লাগে সেটা ব্যবহার করুন। সবাইকে শুকরিয়া। 
উপকার হলে বলুন "জাযা-কাল্লাহু খাইরান"
Share:

April 28, 2021

সাদামাটা চমৎকার একটি বুকমার্ক ম্যানেজার booky.io

কোনো সাইট ভালো বা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে নোট করে রাখার অভ্যাস আছে ছোট থেকেই। কিন্তু ব্রাউজারের বুকমার্কে বেশি সাইট জমালে গ্যাদারিং হয়ে যায়, পরে দরকারি জিনিস খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়। পরে এর সমাধান খুঁজে পেলাম বুকমার্ক ম্যানেজার। যেখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ ভাগ করে দরকারি সাইটগুলো সাজিয়ে রাখা যাবে।

যেমন- booky.io একটা চমৎকার ক্লাউড বেজড বুকমার্ক ম্যানেজার। বহু বহু সাইট দেখে অবশেষে এটা ভালো লেগেছে। 

 


ক্রোম ও এজের এক্সটেনশন আছে, আর ওয়েবসাইটের ইন্টারফেসও ভালো। আলাদা আলাদা কালেকশন পেজের অধীনে ক্যাটাগরি বানিয়ে ভাগ ভাগ করে রাখা যায়। মোবাইল + পিসি দুইটা থেকেই ইজিলি ব্যবহার করা যায়। আর এক্সপোর্ট - ইম্পোর্ট এর সুযোগও আছে, ফলে ব্রাউজারের বুকমার্কগুলোও এখানে নিতে পারবেন। সবমিলিয়ে অল্পের মধ্যে ভালোই।

উন্নত বুকমার্ক টেকিং সাইটগুলাতে আপনি চাইলে কোনো ওয়েবপেজের অংশ নোট করে বা স্ন্যাপশট তুলে রাখতে পারবেন, পুরা পেজ মিরর করে নির্দিষ্ট অংশ হাইলাইট করে রাখতে পারবেন। booky তে অতকিছু নেই। এটা সিম্পলি একটা নাম আর ডিটেলস লিখে প্রয়োজনীয় এড্রেস সেভ করে রাখার জন্য।

এছাড়া এরকম আরও কিছু সাইট আছে। যেমন ফায়ারফক্সের কোম্পানির getpocket.com অনেকে আবার ডিগোলেট diigo.com ব্যবহার করে, এটাও মোটামুটি ভালো। বিখ্যাত সাইট পিন্টারেস্ট-ও একধরনের বুকমার্ক ম্যানেজার। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত ফাংশন আর গুনাহের আসবাব বেশি থাকার কারণে ব্যবহার করিনা।

say Jazaakallahu Khairan

---

২৮-৪-২০২১ [সোর্স]

Share:

February 5, 2021

ওয়াইফাই বা ল্যান দিয়ে ফাইল ট্রান্সফার করুন খুব সহজে

একই ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য File Mirror App খুব চমৎকার কাজে দেয়। এর নাম পাল্টিয়ে এখন Wifi file transfer দিয়েছে, কিন্তু আপনি আগের নামে প্লেস্টোরে সার্চ করলেই সহজে খুজে পাবেন। 



অন্যান্য এপের সাথে এর পার্থক্য হলো, এটার জন্য প্রতিবার আলাদা নেটওয়ার্কে কানেক্ট করা লাগে না, এরপর আবার কষ্ট করে 162.4w7.157... কোড লিখে ঢোকা লাগে না। উপরন্তু এটা বাই-ডিরেকশনাল, অর্থাৎ পিসি আর ফোন কানেক্ট করলে দুই ডিভাইস থেকেই ফাইল লেনদেন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে computer to/from phone, phone to/from phone ট্রান্সফার করতে পারবেন। কোনো এক ডিভাইসে এই এপ দরকার হবে, অন্য ডিভাইসে দরকার হবে সাধারণ গতানুগতিক কোনো ব্রাউজার। 

.
step by step guide:
ধরে নিচ্ছি আমাদের একটা এন্ড্রয়েড ফোন আর একটা পিসি আছে। দুইটাতেই ওয়াইফাই আছে, অথবা অন্য কোনোভাবে দুইটা এক নেটওয়ার্ক (ওয়াইফাই বা ল্যান) এ সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপর-
.
১. প্রথমে এন্ড্রয়েড ফোনে এই এপটা ডাউনলোড এবং ওপেন করতে হবে- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.filemirrorapp
২. এরপর নিশ্চিত দেখে নিতে হবে ফোন আর পিসি একই নেটওয়ার্কে আছে কি না।
৩. তারপর অন্য ডিভাইস থেকে filemirrorapp.com এ ঢুকতে হবে। সেখানে একটা qr code দেখা যাবে।
৪. ফোনের এপে নিচে ডান কোনায় একটা বাটন 📺 দেখা যাবে, সেটা চাপলে qr code স্ক্যান করার ক্যামেরা আসবে। এবার কোডটা স্ক্যান করুন।

(প্রথমবার এই সময় ক্যামেরা আর ফাইলের একসেস চাইবে, এলাও করতে হবে।)

৫. সব ঠিক থাকলে স্ক্যান করা মাত্রই আপনার ডিভাইসের ফোন মেমোরি ব্রাউজারে লোড নেয়া শুরু হবে।


এবার এফটিপির মত এখান থেকে যেটা প্রয়োজন রিনেম, ডিলিট অথবা ডাউনলোড করতে পারবেন। আর কোনো কিছু ফোনে পাঠাতে চাইলে ফোল্ডারের ওপরে upload ⬆️ সেকশন চেপে ফাইল সিলেক্ট করুন, অথবা ড্রাগ-ন-ড্রপ করে ওই যায়গায় ফাইল ছেড়ে দিন, ফাইলটা ওই ফোল্ডারে আপলোড হয়ে যাবে।
.....
সব মিলিয়ে বেশ ভালোই মনে হয়েছে। রেটিং 8/10 দেয়া যায়। মাঝেমধ্যে ডিসকানেক্ট হওয়া আর হ্যাং করার সমস্যা না থাকলে, আর idm থেকে মাল্টিপল ফাইল ডাউনলোড অপশন থাকলে আরো বেশি দেয়া যেত।

এই ডেভেলপারের আরেকটা এপ আছে, স্ক্রিন-মিরর এপ (screenmirrorapp.com) এটা ফোনের স্ক্রিন পিসি বা আরেক ফোনে মিরর করার  জন্য কাজে দেয়। লিংক- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.screenmirrorapp

এটা ব্যবহারের নিয়মও একই।

Share:

December 22, 2020

খুব সহজে এড ব্লক করা যায় Private DNS দিয়ে

[ক]
প্রথমে আমরা ডিএনএস এর সাথে পরিচিত হব, এরপর ব্যবহার মোবাইল এবং বিভিন্ন ব্রাউজারে প্রাইভেট ডিএনএস সেট করার পদ্ধতি জানবো। অন্যান্য পিসি/ম্যাক/রাউটার ডিভাইসে dns সেট করার নিয়ম দেখুন নিচে দেয়া লিংকে। 

DNS কি?
DNS মানে ডোমেইন নেইম সিস্টেম। ডোমেইন নেম মানে google.com বা facebook.com এর মত এড্রেস। আর এই ডোমেইন গুলোর সাথে জুড়ে থাকে একটি ইউনিক আইপি। যেমন 192.168.0.197 একটি আইপি, 2401:f40:1008:35e:4500:973f:b6df:25cf একটা আইপি। এভাবে প্রতিটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে আপনি তাদের সার্ভারের আইপি (এবং হোম ডিরেক্টরি) লিখে প্রবেশ করে সাইট পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যা হলো এভাবে আইপি ঠিকানা মনে রাখা এবং এক নজরে চিনতে পারা অনেক কষ্টকর, ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব। 
এই সমস্যা সমাধানের জন্য ডোমেইন নেম এবং ডিএনএস সার্ভার ব্যবহার করা হয়। এই server গুলো ডিকশনারির মত কাজ করে। আপনি যখন google.com লিখে প্রবেশ করেন তখন এটি DNS এ যায়। তারপরে এর আইপি ঠিকানা খুজে বের করে এবং গুগলের সার্ভার থেকে আপনার জন্য ডেটা নিয়ে আসে।
Private DNS কি?
ব্যক্তিগত কোন উদ্দেশ্যে তৈরি dnsকে প্রাইভেট ডিএনএস বলা যায়। যেমন ধরে নিচ্ছি এড-ব্লক করার জন্য adguard নামে একটা সার্ভার বানানো হল, এবার সেই সার্ভারে ৫০০টি এড কোম্পানির ওয়েবসাইটের একটা dns তালিকা তৈরি করা হল। এরপর আপনার ফোন বা পিসিকে adguard dns এর সাথে লিংক করতে হবে। এরপর থেকে আপনার ফোনে সব সাইট ঠিকভাবেই দেখাবে, কিন্তু যখনই কোন এপ এড দেখাতে চাইবে, মাঝ থেকে adguard server ছাঁকনির মত সেটাকে আটকে দিবে। ফলে আপনার ফোন থাকবে এড মুক্ত। এজন্য কেউ কেউ এটাকে বলে "Network Based Firewall"
একইভাবে ম্যালওয়ার, পর্ণ, ভাইরাস, ট্র্যাকার ব্লক করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন dns server. তবে খেয়াল করার বিষয় হল, এতে ব্রাউজিং স্পিডের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে, ফলে কখনও স্বাভাবিকের চেয়ে কম স্পিড পেতে পারেন, কখনও আবার বেশি। এজন্য সবসময় ভালো কোন সার্ভার ব্যবহার করা উচিত।

কিছু প্রসিদ্ধ dns সার্ভার এর লিস্ট পাবেন এই লিংকে অথবা এই লিংকে ব্যাকআপ
 
[খ]
এন্ড্রয়েড ৯+ ইউজারদের ফোনে এড এবং এডাল্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে private dns ব্যবহার করা। 
এটা মাত্র কয়েক মিনিটের কাজ। অতিরিক্ত কোনো সফটওয়্যার লাগবে না, রুট করাও লাগবে না। 

কিভাবে সেটিং করবেন?
নিচের মেনুতে যান:
🔖 setting > Network & Internet > Advanced > Private DNS.
** কিছু ফোনে Network & Internet এর বদলে Connection & Sharing অপশন থাকবে, এর মধ্যেই Private DNS পাবেন।

🔖 প্রাইভেট dns এ যাওয়ার পর  Private DNS provider hostname সিলেক্ট করুন।
নিচে একটা লেখার যায়গা আসবে, সেখানে নিচের যেই dns-over-TLS সার্ভার আপনার জন্য ভালো মনে করছেন, সেটার ঠিকানা পেস্ট করুন। যেমন এডগার্ড ফ্যামিলির ঠিকানা- dns-family.adguard.com

🔖 সবশেষে ওপরে save অথবা ✔ প্রেস করে সেভ করে নিন।
ইনশাআল্লাহ এটুকুই যথেষ্ট।
 
(ছবিতে দেখছেন ক্লাউডফ্লার ডিএনএস সার্ভার ব্যবহার করা হয়েছে)

নোটঃ 
১. যেভাবে লেখা আছে, সেভাবেই লিখবেন। শুরুতে বা শেষে কিছু যোগ করবেন না।
২. এডগার্ড এবং xda ওয়েবসাইটে অন্যান্য পিসি/ম্যাক/রাউটার ডিভাইসে dns সেট করার নিয়ম দেয়া আছে। দেখুন লিংক-১লিংক-২, অথবা লিংক-৩
৩. পুরাতন ভার্শনের এন্ড্রয়েডে ইউজ করতে চাইলে প্লে স্টোর থেকে DNSet pro এপটা ইনস্টল করতে পারেন, এরপর ওপরের লিংকে গিয়ে IPv4 ঠিকানা দুটো নিয়ে এপে বসিয়ে কানেক্ট করতে হবে।

আরও কিছু dns-over-TLS সার্ভার লিস্ট:
* নিচের ১নং এড, ট্র্যাকিং, ফিশিং ইত্যাদি ব্লক করে, ২নং এক-এর সব + এডাল্ট সাইট ব্লক করে, সেফসার্চ চালু করে। * ৬নংটা ১মটার মতই, তবে ফিল্টার বেশি স্ট্রিক্ট আর একটু স্লো।
* ৩নং ফিশিং, ম্যালওয়ার, ভাইরাসের ইত্যাদি ব্লক করে, ৪নং ব্লক করবে তিন এর সব + এডাল্ট সাইট। ক্লাউডফ্লেয়ারের সার্ভারগুলো সম্ভবত বেশি দ্রুত রেসপন্স করে। 
* ৫নংটা ব্রাউজিং একটু ফাস্ট করবে, দেশীয় dns রিসলভার বাইপাস করবে বেশি কিছু না। 

1. Adguard regular:
dns.adguard.com

2. Adguard family:
dns-family.adguard.com

3. 
Cloudflare Security:
security.cloudflare-dns.com

3.2
CleanBrowsing Security:
security-filter-dns.cleanbrowsing.org

4.
 Cloudflare family:
family.cloudflare-dns.com

4.2
 CleanBrowsing family:
family-filter-dns.cleanbrowsing.org

5. Cloudflare Public:
1dot1dot1dot1.cloudflare-dns.com

6. keweon dns
k1ns-sp-001.keweon.center


[গ]
ক্রোম ব্রাউজারে private dns দিয়ে এড ব্লক করবেন যেভাবে
------------------
☞ আপনার মোবাইলে গুগল ক্রোম ওপেন করুন > setting > privacy and security > Use Secure DNS > (অফ থাকলে অন করুন) > choose another provider > 
☞ এখানে আগে থেকেই বেশ কয়েকটা দেয়া আছে, সেগুলোর মাঝে clean browsing (family) সিলেক্ট করতে পারেন। 
অথবা চাইলে custom সিলেক্ট করে নিজের ইচ্ছামত কোনো DNS-over-HTTPS ঠিকানা দিতে পারেন। যেমন: adguard (family) ভালো, এদের dns ঠিকানা -
এটা ওখানে বসিয়ে দিন, এবার ব্যাক চলে আসলেই হয়ে যাবে। 
....
কখনও এটা বন্ধ করতে চাইলে, একই যায়গায় গিয়ে শুধু use secure dns অফ করে দিবেন৷
---------
নোটঃ
১। কেউ অপশনটা খুজে না পেলে অথবা কাজ না করলে লেটেস্ট ভার্শনের ক্রোম ব্যবহার করে দেখুন। তবুও না পেলে নিচের স্টেপ ফলো করুন-
☞ প্রথমে এড্রেসে chrome://flags লিখে প্রবেশ করুন > সার্চের যায়গায় লিখুন dns > এরপর যে অপশনগুলো পাবেন সেগুলোতে কিছু চেঞ্জ করতে হবে-
☞ Support for HTTPSSVC records in DNS - এনাবল করুন
☞ Async DNS Resolver - ডিসেবল করুন।
এবার ক্রোম রিস্টার্ট দিন। আশা করছি সব ফাংশন পেয়ে যাবেন।

২। পিসির ব্রাউজারে ব্যবহার করার নিয়ম 
setting > privacy and security >  security > Use Secure DNS > (অফ থাকলে অন করুন) > with (custom সিলেক্ট করুন) >  এরপর পছন্দসই DNS-over-HTTPS এড্রেস বসিয়ে দিন।
যেমন:  https://dns-family.adguard.com/dns-query (আরও সার্ভারের লিংক পাবেন এখানে গিয়ে)।
পিসির জন্য বিস্তারিত টিউটোরিয়ার লাগলে এই লিংকে দেখুন। তবে পিসিতে adblock plus কিংবা ublock origin এর মত এক্সেনশন থাকায় এগুলো তেমন লাগে না। 

আপডেট: শোনা যাচ্ছে আগামী বছর থেকে ক্রোম ব্রাউজারের এড ব্লকার এক্সটেনশনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে এটা বেশ কাজে লাগবে।

[ঘ]
DNS নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে ভালো একটা জিনিস পেয়েছিলাম। nextdns । 
এটা এক্সপার্ট ইউজারদের জন্য, অন্যরা এখানে ঢুকলে এত ফাংশন দেখে খেই হারিয়ে ফেলবেন।
এডগার্ড সফটওয়ারের মত এটাও বেশ এডভান্স সিস্টেম। কিন্তু পুরোটাই নেটওয়ার্ক বেইজড। অর্থাৎ সাইটের কন্ট্রোল প্যানেলে সব সেটিং করতে হবে, এরপর ব্যক্তিগত dns ঠিকানা আপনার ডিভাইসে সেট করে নিলেই কাজ হবে। 
এখানে একাউন্ট খোলার পর বিভিন্ন এড, সিকিউরিটি, এডাল্ট ইত্যাদি ব্লক করার লিস্ট পাওয়া যাবে। প্রাইভেসি এবং প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন আছে। সেখানে অনেক কিছু কাস্টমাইজ করতে পারবেন।। এরপর সেটাপ পেইজ থেকে ওদের দেয়া DNS-over-TLS এর ঠিকানা আপনার মোবাইলের সেটিং এ বসাতে হবে। এন্ড্রয়েড 9 এর আগের ভার্শনগুলোর জন্য next dns এর এপ ইন্সটল করে সেখানে শুধু ওই কনফিক ID টা দিলেই হবে। ব্রাউজারে সেট করতে DNS-over-HTTPS ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। আর অন্যান্য ডিভাইসের নিয়মও ওই সাইটে দেয়া আছে।
সব সেটিং চেঞ্জ করা হলে কানেকশন পেতে একটু সময় নিতে পারে, কিছুক্ষণ পর নেট অন-অফ করলে রিফ্রেশ করলেই দেখবেন বলছে All good! This device is using NextDNS with this configuration.
আরেকটা বিষয় হল, এখানকার logs পেজ থেকে কোন কোন সাইটে ঢোকা হচ্ছে, কি কি ঠিকানায় কুয়েরি হচ্ছে, কি কি ব্লক করছে, সেসব দেখা যাবে। যদি প্রয়োজনীয় কোনো ঠিকানা ব্লক করে, তাহলে whitelist করার সুযোগ আছে। প্রয়োজনে কাস্টমার সাপোর্ট এর সাথে চ্যাট করতে পারবেন। 

একটা একাউন্ট থেকে মাসে ৩০০k পর্যন্ত কুয়েরি রিকুয়েষ্ট ফ্রি, যেটা সহজে রিচ হওয়ার কথা না।
সবমিলিয়ে মোটামুটি ভালোই...। বিস্তারিত দেখুন তাদের সাইটে- www.nextdns.io

আপডেট: নেক্সট ডিএনএস এর অনুসরণ করে এডগার্ডও কাস্টমাইজ করার সুবিধাযুক্ত প্রাইভেট ডিএনএস সেবা চালু করেছে। দুইটার সিস্টেম প্রায় একই, অল্প কিছু পার্থক্য আছে। ওদের গাইড ফলো করলে আশা করি বুঝতে সমস্যা হবে না। দেখুন - adguard-dns.io

আজ এ পর্যন্তই, আমার জন্য দোয়া করবেন। বারাকাল্লাহু ফিকুম।

শেষ আপডেটঃ ০৫-মে-২০২৪
Share:

June 3, 2020

আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ কিনতে গিয়ে ধোকা খাইয়েন না

ইদানীং কিছু এড দেখা যায় ফেসবুকে, এব্যাপারে সতর্ক থাকা কাম্য -

#**আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ স্পেস আজীবনের জন্য *** টাকায়।**

- এক্ষেত্রে তারা বাস্তবে আপনার ড্রাইভের স্পেস বাড়িয়ে দিবে না, আজীবন মেয়াদও দিবে না, ইভেন গুগল থেকেও এরকম বিশেষ কোন অফার দেয়া হয়নি। 
.
তারা যে কাজটা করে, বেশ কিছু সাইটে ফ্রি শেয়ারড ড্রাইভ / টিম ড্রাইভ / স্টুডেন্ট ড্রাইভের একসেস পাওয়া যায়। আপনার মেইল ঠিকানা নিয়ে সেখানে একটা রিকুয়েস্ট দিবে। সেটা একসেপ্ট হলে, কিছুক্ষণ পর আপনার গুগল ড্রাইভে একটা এক্সট্রা অপশন আসবে। সেখানে ফাইল রাখা যাবে। এটা করতে কোনো টাকা লাগে না, ১-২মিনিটের কাজ।
.
খেয়াল করেন, যেহেতু শেয়ারড ড্রাইভ, সুতরাং প্যারেন্ট একাউন্ট থেকে আপনার ফাইলগুলো দেখা যাবে + চাইলে যেকোনো সময় আপনাকে কিক আউট করে দেয়া যাবে। আর এসবের বেশিরভাগই হয় স্টুডেন্ট ড্রাইভের একসেস, সুতরাং একাউন্টের মেয়াদ বিবেচনায় কয়েকবছর পর ড্রাইভ চলে যাবে, ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল থাকলে সেগুলোও হারিয়ে যাবে।
সবচেয়ে বড় কথা হল, যেহেতু এটা লিগ্যাল কোনো ওয়ে না, সুতরাং নিশ্চিত থাকতে পারেন এটা সবসময় থাকবেও না।
.
সুতরাং, আর কেউ ধরা না খায় এজন্য সতর্ক করে দিচ্ছি। 

আর যদি কারও সাময়িক প্রয়োজনে বড় ফাইল শেয়ার বা স্টোরের জন্য শেয়ারড ড্রাইভ একসেস লাগে, তাহলে কমেন্টে এক ভাই লিংক দিয়েছে দেখেন, সেখানে মেইল আর ক্যাপচা দিয়ে ফ্রিতেই রিকুয়েস্ট পাঠান। (http://td.fastio.me ekhon kaj kore na, google theke "shared drive generator" likhe new link khujte hobe)  কিছুক্ষণ পর দেখবেন ড্রাইভ এড হয়ে গেছে।
উপকার পেলে "জাযাকাল্লাহু খাইরান" বলে দিলেই চলবে।।

----
Share:

June 20, 2018

ফেসবুকের বিরক্তিকর ট্রেন্ড থেকে বাচার উপায়...

ফেসবুকে বিভিন্ন অহেতুক বিষয় নিয়ে অসুস্থ লোকদের পোস্ট দেখে দেখে যারা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, ক্রীড়া বা বিনোদন বিশ্লেষকদের আনফ্রেন্ড করতে করতে যারা হাঁপিয়ে গেছেন, তাদের জন্য বহুত উপকারী একটি ঔষধ।



ব্রাউজার এক্সটেনশনঃ Social Fixer
ডাউনলোড লিংকঃ https://socialfixer.com/download.html
ব্যবহারবিধিঃ options > hide posts > এখানে ফিল্টারগুলা দিবেন প্রতি লাইনে একটা করে। এরপর সেভ করে রিফ্রেশ করুন।
আরও সহজে বুঝতে উপরের স্ক্রিনশট দেখুন।

এক্সট্রা টিপসঃ মোবাইল ইউজারদের ক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে, এই টপিকের পোস্ট সামনে আসলে বারবার Hide post দিতে হবে। তাহলে আস্তে আস্তে কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

peace!

--------
Share:

January 25, 2018

আমার পছন্দের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলো [updated]

নিচের সফটওয়্যারগুলো প্রায়ই আমার দরকার পড়ে, এজন্য এগুলো সাধারণত আমার ফোনে সবসময়ই রাখি। দেখুন কোনোটা আপনার পছন্দ হয় কি না!!

....
Update 25-01-2018: যেগুলোর সাথে (ex) লিখা আছে, সেসব এখন আর ইউজ করি না
---

A
Advanced Download Manager



এখন ফোনের ডিফল্ট অটো কল রেকর্ডার আছে

B


Blogger

BSPlyer

C

Chrome 43.0.2357.93
https://www.apkmirror.com/apk/google-inc/chrome/

ColoreNote

Cheetah Launcher

(ex) আগে ইউজ করতাম 360 Launcher
https://apkpure.com/p/com.qihoo360.launcher

D

E


F

File Manager
https://apkpure.com/file-manager/com.ape.filemanager
ফোনের ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজারের বদলে এটা ইউজ করি


K


রুট করার পর KingSU ইউজ করি 
https://apkpure.com/kingsu/com.cafeteam.user

L

Lucky Patcher
http://lucky-patcher.en.uptodown.com/android

M


MX Player Codec (ARMv7)
https://apkpure.com/p/com.mxtech.ffmpeg.v7_vfpv3d16


OfficeSuite Pro + PDF 8.4

(ex) আগে Office Documents Viewer ইউজ করতাম
https://m.apkpure.com/p/de.joergjahnke.documentviewer.android.free

R


S

Skype lite
https://apkpure.com/skype-lite-free-video-call-chat/com.skype.m2
আগে Whatsapp ইউজ করতাম

SHAREit
https://m.apkpure.com/shareit-file-transfer-sharing/com.lenovo.anyshare.gps

(ex) Shake Flash
https://m.apkpure.com/shake-flash/com.vedantasoft.www.flashlight
এখন ফোনের ডিফল্ট ফ্ল্যাশ উইজেট ইউজ করি

T


(ex) Tiger Arcade
http://apps.tigerplay.net/arcade.html
এখন আর তেমন গেম খেলা হয় না
  
U


V

Voice Recorder

W

X


------
আজ এপর্যন্তই, আল্লাহ চায় তো ভবিষ্যতে আবার আপডেট হবে।
বারাকাল্লহু ফিকুম
Share: