পূর্বের বছরগুলোর মত ২০২৩ সনেও Islamic Online Madrasha - IOM থেকে রুকইয়াহ শারইয়াহ বিষয়ে একটি কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল, কোর্সটি মে মাসে শুরু হয় এবং পরবর্তি দুইমাস ক্লাস হয়ে একটি পরীক্ষা ও পুরষ্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয়। কোর্সের একদম শেষদিকে অংশগ্রহণকারীদের কাছে সার্বিক মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। উনারা নিচের মন্তব্যগুলো করেছেন। আপনারা চাইলে একবার দেখতে পারেন, শুকরিয়া! ---
April 7, 2024
January 8, 2024
আপনার পিসির জন্য সিস্টেম রিকোভারি পেন্ড্রাইভ কিভাবে বানাবেন?
January 2, 2024
পিসির জন্য ভয়েস টাইপিং সল্যুশন
মোবাইলে অনেকে আমরা ভয়েস টাইপিং ব্যবহার করি। এটাকে ডিকটেশনও বলা যায়। এখনকার প্রায় সব কিবোর্ডেই এই অপশন থাকে। আগের তুলনায় ভয়েস টাইপিং এখন অনেক ইম্প্রুভ হয়েছে। আর ভয়েস দিয়ে লেখার পর একবার নজর বুলিয়ে দাড়ি কমা বসিয়ে নিলেই বেশ ভালো একটা আউটপুট পাওয়া যায়।
অনেক সময় পরিবেশ কিংবা সময় স্বল্পতার কারণে আমরা ভয়েস টাইপিং এবং ভয়েস মেসেজ প্রেফার করি। দেখা যায়, যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছি সে ভয়েস রেকর্ডিং শুনবেনা, কিন্তু টাইপ করার জন্য আমাদের হাতে বেশি সময় নাই। তখনো ভয়েস দিয়ে লেখা উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। যেসব ভাইয়েরা সাধারণত ব্যস্ত থাকেন, তাদেরকে নিজের প্রয়োজনে মেসেজ দিলে ভয়েসক্লিপ দেয়াটাও দৃষ্টিকটু।
আমি শুনেছি, অনেক অনুবাদক ভাই আস্ত আস্ত বই অনুবাদ করে ফেলেন ভয়েস টাইপিং দিয়ে। পরবর্তীতে প্রুফ রিডাররা বানান মেরামত করে দেয়।
যাই হোক, এন্ড্রয়েড সিস্টেমের কারণে মোবাইলে ভয়েস টাইপিং ইজি হলেও পিসির জন্য বিষয়টা এখনো ঝামেলার রয়ে গেছে। পিসিতে গুগল ডকসের মধ্যে ভয়েস টাইপিং দিয়ে লেখা যায় অনেক বছর যাবত, এছাড়া গুগলের এপিআই ব্যবহার করে বেশ কিছু ওয়েবসাইট এবং এক্সটেনশন তৈরি হয়েছে। সমস্যা হলো, এর মধ্যে সবগুলো আবার বাংলা সাপোর্ট করে না।
---
আপাতত আপনারা পিসিতে তিনটা জিনিস ইউজ করতে পারেন -
১. ভয়েস-ইন এক্সটেনশন : https://is.gd/voicein
ইন্সটল করার পর ভাষা সিলেক্ট করবেন। আর এটাকে ওপরে পিন করে নিবেন। চাইলে রাইট ক্লিক মেনু থেকে টাইপিং অন-অফ করা যাবে। এছাড়া ডিফল্ট শর্টকাট আছে Alt+L চাইলে এটা চেঞ্জ করতে পারবেন।
(এটাই এখন অধিক সুবিধাজনক। ক্রোমের আরো কিছু এক্সটেনশন ছিল, কিন্তু বেশিরভাগ পেইড করে ফেলেছে বা ফাংশন চেঞ্জ করেছে।)
-
২. আগের মত গুগল ডকস (docs.google.com ) এ কোনো ডকুমেন্ট ওপেন করে ctrl+shift+S চাপবেন। (Tools > Voice typing-এ গেলেও পাবেন) এরপর ভাষা সিলেক্ট করে লিখতে পারবেন। গুগল ডকসের একুরেসি সম্ভবত বেশি ভালো।
এছাড়া গুগল ট্রান্সলেটর-এও ভয়েস টাইপিং আছে, এখানে ইন্টারফেস আরও সিম্পল https://translate.google.com/?sl=bn&tl=en
এগুলোতে ভয়েস দিয়ে লেখার পর কপি করে সেটা অন্য সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন।
-
৩. এছাড়া ভয়েস নোটপ্যাড হিসেবে এই সাইটটাও ভালো- https://dictation.io/speech
(এই তিনটা ক্ষেত্রেই পিসির মাইক্রোফোনের এক্সেস দেওয়া বাধ্যতামূলক, নইলে কাজ করবে না। বাকি সেটিংগুলো আপনার একটু নিজ দায়িত্বে এক্সপ্লোর করে নিয়েন।)
-
মজার ব্যাপার হলো, এই পোস্টের বেশিরভাগ অংশ আমি পিসিতে ভয়েস টাইপিং দিয়েই লিখলাম।
বারাকাল্লাহু ফিকুম।
---------
[আমার মূল পোস্ট এর লিংক এখানে]
tags - #VoiceTyping, #SpeechRecognition, #PCProductivity, #DictationSoftware, #PCAccessibility, #VoiceCommand, #HandsFreeComputing, #SpeechToText, #PCSoftware, #WritingTools, #AIAssistants, #EfficiencyBoost
October 14, 2023
নতুন এলেম, বইপত্র এবং দুইচারটা কথা
[ক]
সেদিন সাবের চৌধুরী ভাই বলছিলেন,
"প্রত্যেকটা বই কালোত্তীর্ণ হতে হবে, এটা জরুরি না। একটা বই কিছুদিন - কিছু মানুষের প্রয়োজন পূরণ করেছে, এটাও খারাপ না।"
বিষয়টার সাথে আমি একমত, তবে আমি আরও কিছু কথা যোগ করতে চাই।
[খ]
ওপরের বিষয়টার বড় উদাহরণ হচ্ছে, শরিয়াত। পূর্বে আল্লাহ তা'আলা বিভিন্ন নবীকে শরিয়ত দিয়েছেন, সেগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরে মানসুখ হয়ে গেছে। এরপর নতুন শরিয়াহ এসেছে। সবার শেষের শরিয়তে মুহাম্মাদী ﷺ, এটার উসুল-ফুরু' এতটা মজবুত আর বিস্তৃত যে, এরপর আর কিছুর দরকার নাই। কিয়ামত অব্দি এটাই যথেষ্ট।
কিন্তু পূর্বের নবীদের উম্মতের জন্য যখন যে বিধান দেয়া হয়েছে, সেটা কিন্তু ওই সময়ের জন্য অবশ্যই জরুরি এবং প্রয়োজনীয় ছিল। এটা মাথায় রাখতে হবে।
[গ]
আরেকটা বিষয় হল, আমাদের প্রত্যেকটা বই ইউনিক হতে হবে, এটাও জরুরি না। আব্দুল হক নামে এক লোককে দেখা যায়, আমাদের আলেমদের গালিগালাজ করে, আর মুতাযিলাদের প্রশংসা করে।
আমাদের আলেমদের ক্ষেত্রে তার করা আপত্তির একটা হচ্ছে, 'উনারা চর্বিত চর্বন করে, নতুন কিছু সৃষ্টি করে না।' এখানে বিষয় হল ভাই, ইসলামী ইলমের মাঝে নতুন কিছু আবিষ্কার কেন করবে? এই অধিকার কি কারও আছে? আমাদের শাস্ত্রগুলোর দিকে খেয়াল করেন,
উলুমুল হাদিস – সেই নবীজির কথাগুলোই, বারবার, বিভিন্ন বর্ণনায় আসছে। তাকরার বাদে ইউনিক মতন আর কয়টাই বা আছে। রিজাল শাস্ত্রেও সেই হাদিসের রাবিদের নিয়েই কথাবার্তা। কিন্তু এগুলো আলোচনা কেন বাদ দিব আমরা? এগুলো পুরানাবৃত্তি ও চর্চা রাখাই তো দরকারি।
উলুমুল কোরআন এবং তাফসির – এইখানেও ঘুরেফিরে সেই তাবারি আর রাযীর কথাগুলোই সবাই বলে। যুগে যুগে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে হয়তো সামান্য মন্তব্য যোগ হয়। কিন্তু মূল কথা ঘুরেফিরে প্রায় একই থাকে। আর আল্লাহর কালামের ব্যাপারে মুসলিমদের বুঝ এক হইলেই তো বেশি ভাল, তাইনা? আর আমি কেন কামনা করবো যে, একটি ঘর – একটি আকিদা প্রকল্প গড়ে উঠুক। অদ্ভুত!
এছাড়া আধুনিক তাফসির বা বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যার নামে যা হয়, তার প্রায় শতভাগই আবর্জনা আর গাঁজাখুরি। এছাড়া এখন মিশনারিদের তত্বাবধানেও কোরানিস্ট মতবাদ বাজারজাত হচ্ছে। যাহোক, কথায় ফিরি।
ফিকহ – এখানে নতুনত্বটা কেমন? যার যা মনে হয় লিখে দেয়? না ভাই! আপনি যত আধুনিক বা নতুন মাসয়ালাই নিয়ে আসেন না কেন, সেই হাজার বছর পুরনো উসুল দিয়েই ইস্তিম্বাত হবে, দলিল-আদিল্লা থাকবে সেই কোরআন আর হাদিসই।
হ্যাঁ। এটা হতে পারে যে, অমুক মাসয়ালা নিয়ে আলোচনা করা হয়না, সহজে লেখা হয়না, একাধিক মাজহাবের তাতবিক ভালো মত দেয়া হয়, কেউ একজন করলো। কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই একই শরিয়ত। সেই দেড় হাজার বছরের পুরনো ইসলামের আইনই।
তাজদীদ মানে দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সৃষ্টি করা না। বরং সময়ের ব্যবধানে আল্লাহর দ্বীনের ওপর চেপে বসা জঞ্জাল সাফ করে, আগাছা দূর করে নতুনের মত ঝকঝকে অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। আদি ও আসল দিন ইসলামের চেহারা নতুন করে মানুষকে চিনিয়ে দেয়া।
[ঘ]
ইদানীং ইসলামি বই অনেক বের হচ্ছে তো, বইয়ের ব্যাপারে মন্তব্যকারির পরিমানও অনেক বেড়েছে। এর মাঝে দেখা যায়, অনেকের ইসলামি জ্ঞানের ধারা সম্পর্কে কোনো ধারণা নাই, কিন্তু হুট করে বলে দিচ্ছে – অমুক কাজটা উচিত হয়নাই, অমুক কাজ খারাপ করেছে, এটা কেন করল – সেটা কেন করলো।
ধরেন, বড় একটা বই। হাজার পৃষ্ঠার। কয়জন পড়বে এটা? কেউ যদি এটার সারসংক্ষেপ করে ২০০পেজের মধ্যে কিছু বের করে। অনেকেই গালিগালাজ করবে। অথচ তালখিস করা, মুখতাসার নুসখা তৈরি করা, এসব সালাফদের যুগে হরহামেশাই হত। হিদায়ার লেখক বড় কিতাব (মেবি ৯০খন্ড) লেখার পরে যখন বুঝেছেন এতবড় বই কেউ পড়বে না, তখন উনিই শর্ট করে হিদায়া বানাইছেন।
এছাড়া একাধিক বইয়ের সারাংশ করে লেখার রেওয়াজও ছিল। কিংবা কখনও বইয়ের লাইনের মাঝেমাঝেও শরাহ করা হয়েছে। যেমন আমাদের দরসে পড়া একাধিক বই (শরহে বেকায়া, শরহে জামি, হেদায়া, মেশকাত) আগের বইয়ের ওপর বেজ করে লেখা। ইবনে কাসীরের তাফসির এবং তারিখ দুইটাই আগের কিতাবের ওপর ভিত্তি করে লেখা। এরকম উদাহরণ শত না বরং হাজার হাজার। অনেক ক্ষেত্রে দুইটা বই-ই টিকে গেছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে পরের বইটাই মানুষের জন্য বেশি উপকারী, বেশি যুগোপযোগী বা অধিক সমাদৃত হয়েছে।
এখন তাকি সাহেব থানবী রহ. এর কিতাবের ওপর আলোচনা করছে, রিনোভেট করছে, শরাহ করছে, এজন্য আপনি তাকে গালি দিবেন কেন? গালি দেয়ার শখ থাকলে, একদম ওপর থেকেই শুরু করেন না। নাহু, ফেকাহ, হাদিস, তাফসির কোন শাস্ত্রের ইমামরা বাদ যাবে আপনার তীর থেকে?
[ঙ]
তবে ভাই, ‘নকল করা’ কিন্তু অন্য জিনিস, একই বাজারে (অর্থাৎ অঞ্চল ও সময় কমন) কোনো পণ্য ভাল চলছে, ডুপ্লিকেট বের করে সেটার নাম – ফেম হাতিয়ে নিতে চেষ্টা করা। হয়তো মানহীন জিনিস অন্যের মোড়ক কপি করে বাজারজাত করা। কিংবা অন্যের লেখা/অনুবাদ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া। এটার সাথে অন্য কারও কাজের ওপরে আবার ইলমি কাজ করার বিস্তর ফারাক রয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও বিধেয় দুইটাই ভিন্ন। সুস্থ মস্তিষ্কের সব মানুষেরই বিষয়টা বোঝার কথা।
শুরুর কথা আবার দোহরাই, এটা জরুরি না প্রতিটা বই কেয়ামত অব্দি টিকে থাকতে হবে, কিংবা এটাও জরুরি না প্রত্যেককে হরহামেশা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। একটা লেখা কিছুদিন মানুষের প্রয়োজন মিটিয়ে হারিয়ে যেতে পারে, পুরনো কিংবা ভিনদেশি কাজের ওপরেও নতুন করে কাজ হতে পারে। প্রত্যেকে তার আমল এবং নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান পাবে।
কোরআনে এসেছে ‘ফেনা তো উধাও হয়ে যায়। আর যা মানুষের জন্য উপকারী তা ভূমিতে থেকে যায়। আল্লাহ এভাবেই উপমা দিয়ে থাকেন।‘ (সুরা রা’দ:১৭)
----
September 29, 2023
উবুন্টুর কয়েকটি বাল্ক ফাইল এডিটিং টুল
১.
September 20, 2023
হিজাবি ফেমিনিস্ট এবং সিম্প হুজুরগুলার প্রতারণা
হিজাবি ফেমিনিস্ট এবং সিম্প হুজুরগুলার প্রতারণার ধরন বোঝার চেষ্টা করেন,
১.ফেমিনিস্টরা জরায়ুর স্বাধীনতার অংশ হিসেবে “বাচ্চা না নেয়ার” কথা বলে। মানে ইচ্ছা হলে বাচ্চা নিবে, না হলে নিবে না, শরীর তার - স্বাধীনতা তার। তবে অতি অবশ্যই তারা বাচ্চা নিতে নিরুৎসাহিত করে, যেসব নারীরা অধিক বাচ্চা নেয় তাদের উপহাস ও তাচ্ছিল্য করে। (হুবহু পোশাকের স্বাধীনতার মত অবস্থা এখানেও)।
এদের বাচ্চা না নেয়ার পেছনে কারণ হল, যাতে যেখানে সেখানে শুতে পারে, কাবিনের টাকা কিংবা ৫০% সম্পদ কেড়ে নিয়ে যখন ইচ্ছা ডিভোর্স দিতে পারে, এতে কোনো পিছুটান না থাকে। একই কারণে তারা ভ্রূণ ঽত্তা নরমালাইজের আন্দোলন করে।
সন্তান ও পরিবার যে একটা পূর্ণ ও স্ট্যাবল নারীর সিম্বল, এটা সমাজে প্রতিষ্ঠিত থাকা ওইসব ডাইনিদের জন্য বিব্রতকর। আর এই পুরা বিষয়টা একটার সাথে আরেকটা কানেক্টেড।
এখন সিম্প হুজুরগুলা এই পিওর শয়তানি শ্লোগানের পক্ষাবলম্বন করে কি দেখিয়ে জানেন? বলে, অনেক মানুষের তো চেষ্টা করেও বাচ্চা হয় না, তারা কি খারাপ? কিংবা এটাও বলে, নবীজির অনেক স্ত্রীরও তো বাচ্চা হয়নাই। আস্তাগফিরুল্লাহ।
আরে নর্দামা, একটা হইলো রুচিবিকৃতদের by choice child free life, এরা তো মানবসভ্যতার দুষমন। আর আরেকটা হল স্বাভাবিক মানুষদের পরিবার নিয়ে জীবনযাপন, চেষ্টার পরেও আল্লাহ দেয়নাই তাই হয়নাই। দুইটা কেমনে এক হয়।
আল্লাহর রাসুল অধিক সন্তান নিতে উৎসাহ দিয়েছেন, সাহাবায়ে কিরাম প্রচুর পরিমাণে সন্তান নিয়েছেন, পরবর্তি মুসলিমরাও অধিক সন্তান নেয়ার পক্ষে ছিল - থাকবে। এটাই আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি।
…
২. পিল, কন*ম আর ন্যাপকিন কোম্পানিগুলো দেখবেন নারী অফিসে কাজ করছে, ভার্সিটিতে ট্যুর দিচ্ছে এসব খুব হাইলাইট বা প্রোমোট করে। কারণ তারা বোঝাতে চায়, এগুলো সিনারিওতে নারী নিষিদ্ধ যৌ*তা করবে, তাদের পণ্য এজন্য সহায়তা করছে। বাংলাদেশের টপ মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি থেকে শুরু করে একদম নিম্নমানের গার্মেন্টস পর্যন্ত এমন কোনো কম্বাইন্ড ফ্রি মিক্সিংওয়ালা কর্মক্ষেত্র নাই, যেখানকার নারীরা সহকর্মির দ্বারা হেনস্তার স্বীকার হয়না, হারাম সম্পর্কে জড়ায় না। আর যেসব দেশ নারীদের রাস্তায় নামানোতে আমাদের চেয়ে ১০০বছর এগিয়ে, তাদের অবস্থাও আরও খারাপ। সেখানে এব্রোশন করেনাই কিংবা পিল খেয়ে ফার্টিলিটি নষ্ট করেনাই এরকম কর্মীওয়ালা অফিস খুঁজে পেতে আপনার কষ্ট হবে।
এই প্রসঙ্গেও রেগুলার ফেমিনিস্টদের মত একই সুরে হিজাবি ফেমিনিস্ট নারীর অর্থনৈতিক স্বাধিনতার পক্ষে বলে। ঘরের কাজে নিরুৎসাহিত করে অফিসের কাজে উদ্ধুদ্ধ করে।
এখন আপনি যখন বলবেন নারীর ঘরে থাকা উচিত। এই সিম্পগুলা বলবে, অনেক নারীর পুরুষ অভিভাবক থাকে না, তাদের বাধ্য হয়ে জীবন ধারণের কাজ করতে হয়, বাইরে যেতে হয়।
আরে আবর্জনা, তাবাররুজ আর ইকরাহের হালতে বের হওয়া দুইটা কেমনে এক হয়?
এই যায়গায় ধোঁকা হিসেবে আনে আম্মাজান খাদিজা রা. এর গল্প। কিন্তু বাচ্চা নেয়া বা স্বামীর খেদমতের ক্ষেত্রে কিন্তু খাদিজা রা. এর কথা ভুলেও মুখে আনবে না। এখানে সিম্পগুলা কুৎসিত চেরি পিকিং করে। আরে ভাই! আম্মাজান খাদিজা রা. জাহিলি যুগেও হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হননাই, মাহরাম ছাড়া ট্যুর দিয়ে বেড়াননাই। টাকা ইনভেস্ট করে মানুষকে দিয়ে কাজ করাইছেন। এবং বিয়ের পর নবীজির প্রয়োজনে সব সম্পদ অকাতরে খরচ করেছেন।
এই পুরা বিষয়টা বেগম রোকেয়ার উত্তরসূরিরা চেপে যায়। নবিজি খাদিজা রা.এর কোন গুণগুলোর জন্য উনার কথা বারবার মনে করতেন সেটা ভুলেও উল্লেখ করে না।
…
৩. তৃতীয় উদাহরণ হইলো, ভার্সিটির পড়াশোনা। বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলার অবস্থা হচ্ছে, শতকরা কমপক্ষে ৬০-৭০% ছেলে-মেয়ে হারাম রিলেশনে জড়িত। এবং এর বড় একটা অংশ ভার্সিটিতে ভার্জিনিটিও হারিয়ে ফেলে। এমনকি কিছুদিন আগে খবর বের হল, ফিমেল অনলি কলেজের মেয়েদেরও বড় ভাইদের রুমে যেতে হয় খুশি করতে। আর পড়াশোনার কোয়ালিটি তো ভাই…। উপরন্তু ভার্সিটিতে গিয়ে ইরতিদাদ বা যান্দাকায় আক্রান্ত হবার পরিমানও নারীদের মধ্যে বেশ উদ্বেগজনক। এরপরে দেখা যায়, পুরুষ টিচারদের চেয়ে নারী শিক্ষকগুলাই বেশি অত্যাচার করে।
এখন এই নাপাক গান্ধা অনিরাপদ পরিবেশ থেকে যদি আপনি সন্তানদের বাচানোর কথা বলেন, আকরাম নদভির মত সিম্পগুলা হাদিসের নারী রাবিদের লিস্ট এনে বলবে, এই দেখো মুসলিম নারীরা জ্ঞান চর্চা করসে, মুহাদ্দিসা হইসে।
কত্ত বড় শয়তান হলে মুসলিম খিলাফার স্বর্ণযুগে নিজের ঘরে বসে কিংবা নিজের পরিবারের সাথে থেকে, কিংবা মসজিদে নববিতে নবীজির স্ত্রীর কামরায় বসে ইলম শেখার সাথে এই সব ভার্সিটির নাপাক পরিবেশের আজগুবি পড়াশোনার তুলনা করতে পারে চিন্তা করেন।
… … …
এই অসততা ও প্রতারণার লিস্ট অনেক লম্বা। ফেমিনিজমের মূল প্যাটার্নই হচ্ছে, নারী অধিকারের ধোয়া তুলে নারীবাদ পুশ করা, প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য এদের প্রতিটা ক্লেইমের মধ্যে দুর্বল, অপারগ বা মজলুম নারীদের দুরাবস্থা দেখানো হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকানো থাকবে নারীকে পরিবারের নিরাপদ গণ্ডি থেকে রাস্তায় বের করা আর পুরুষের সাথে অসম ধ্বংসাত্মক প্রতিযোগিতায় নামানোর চেষ্টা। যাতে শ্রমবাজারে কর্মীর সাপ্লাই বেশি থাকে। কম খরচে পুঁজিবাদের অধিক কার্যসিদ্ধি হয়।
এই পুরো ফাঁদটার মলাটে থাকে ‘জীবনকে আরও বেশি – আরেকটু বেশি উপভোগ করা’র তাড়না। অবাধ যৌনতা ও অর্থলোভের হাতছানি।
…
ভাই, আমাদেরকে জাগতে হবে। নিজেদের বাচতে হবে, পরিবারগুলোকে বাচাতে হবে। আমাদের সন্তানদেরকে মুসলিম হিসেবে, আল্লাহর প্রতি সমর্পিত হিসেবে বড় করতে হবে।
এটা আমাদের কাছে দুনিয়ার হক। এই হক আদায় করতে হবে।
আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হয়।
September 7, 2023
ভুতের বাচ্চা সোলাইমান (আংশিক রিভিউ)
পোস্টটা ১৪-০৮-২০১৭ তে লেখা। সম্ভবত লেখা কমপ্লিট করা হয়নি দেখে পোস্ট করা হয়নাই। এই বইটাতে আসলে বাচ্চাদেরকে জাদুটোনা - জিনসাধনা এসবের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। জঘন্য একটা বিষয় আগ্রহোদ্দীপক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাফরিকবাল লোকটা আসলেই খুব বিপদজনক। ইতিহাসে কেউ এর অপরাধকর্মের তালিকা করলে এই বইটার কথাও উল্লেখ করা উচিত।
-----[ক]
রোজার কিছুদিন আগে, তখন হাটহাজারিতে আমাদের বার্ষিক পরীক্ষার সিজন চলছিল। সিনিয়র এক ভাইয়ের রুমে মাঝেমধ্যে গল্প করতে যেতাম। গল্পগুজব হতো, ইলমি মুযাকারা হতো, উনার কাছে নতুন কোনো বই থাকলে পড়া হতো। সেদিন গিয়ে দেখি উনি কিযেন লেখায় মগ্ন, কাছে বসে টুকটাক গল্প জুড়ে দিলাম, উনার টেবিলে চোখ পড়তেই দেখি ভুতের বাচ্চা সোলাইমান রাখা।
হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম, মাত্র কয়েকপৃষ্ঠার বই। তাঁর ওপর বাচ্চাদের (ব্রেইন ওয়াশ করার) জন্য লেখা, এজন্য সহজ ভাষা হেতু পড়তে আরো সহজ হলো।
[খ]
চলুন আপনাদেরকে স্যারের লেখা বইয়ের গল্প শোনাই।
গল্পের প্রধান চরিত্র নিতু। জাফর ইকবাল স্যারের খুব পছন্দের নাম। শুরুটা হয়েছে একজন টিচারের ক্লাস থেকে, যিনি কিনা বোরিং, ক্লাসে বসে ঝিমান, এমনকি ছাত্রছাত্রীরাও ঘুমিয়ে পড়ে ইত্যাদি। আমি জানিনা স্যার নিজে একজন শিক্ষক হয়েও উনার লেখা বইগুলোতে কেন শিক্ষকদের নেগেটিভভাবে রিপ্রেজেন্ট করেন। যাক সে কথা, আমরা গল্পে ফিরি। স্যারের ক্লাসে বসে থাকতে থাকতে নিতুর ঘুম ঘুম ভাব আসছে, তখনই ক্লাস ছুটি হয়।
নিতু স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার পথে ফুটপাথের এক বইওয়ালার থেকে ১০টাকা দিয়ে একটি পুরাতন বই কিনে। বইটি যাদুমন্ত্রের। সেখানে বিভিন্ন রকমের মন্ত্র আছে, আর প্রতিটি মন্ত্রের মার্জিনে কলম দিয়ে মন্তব্যও করেছে কেউ একজন, এটা কার্যকর, এটা ভয়ংকর! এটা প্রাণঘাতী, এটা কাজ করেনা.. ইত্যাদি। অর্থাৎ বইটির স্পেলগুলো এর আগেও কেউ একজন পারফর্ম করেছে, নিতু সেই বইটিতে একটা মন্ত্র পায় ভুত ডেকে আনার মন্ত্র।
[গ]
তো নিতু বই পড়তে পড়তেই বাড়ি যায়, স্যারের মতে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া একটা মেয়ে বই পড়তে পড়তে ফুটপাথ দিয়ে হেটে যাচ্ছে, এটা খুব স্বাভাবিক আর সহজ বিষয়! পরে সেই বইয়ের রিচুয়াল পালন করে নিতু জিন হাজির করে, এবং সেটাকে আবার ফেরত পাঠানো নিয়ে বিভিন্ন ঝামেলা হয়। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়।
তা যাইহোক, এই গল্পে স্যার নতুন এক শ্রেণীর ওপর ঝাল মিটিয়েছেন। স্যার এক লেখায় বলেছিলেন “কি আর করার? ইটের ভাটার মালিকদের আমার কিশোর উপন্যাসের ভিলেন বানিয়েই মনের ঝাল মেটাতে হলো” – এথেকে আমরা বুঝি, স্যার নিজের লেখা (অথবা নকল করা) বইয়ে যাদেরকে বা যে শ্রেণির লোককে ভিলেন বানান, তারা স্যারের চোখের বালি!
এই গল্পের ভিলেন হচ্ছে দবির চাচা। বইয়ের মলাটে সৌদি স্টাইলের জুব্বা আর রুমাল মাথায় দেয়া যাকে দেখা যাচ্ছে, উনি দবির চাচা। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। সবচেয়ে বড় রেমিটেন্সের দুয়ার মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের প্রতি স্যারের এই বিদ্বেষের কারণ কি, তা এখনও জানা যায়নি। দুঃখিত আমি গল্পের মধ্যে রাজনীতি ঢুকাচ্ছিনা, তবে আমরা তো প্রশ্ন রাখতেই পারি – ভারত আম্রিকা টাইপের কোনো দেশের প্রবাসীদের প্রতিও স্যার অনুরূপ মানসিকতা রাখেন কিনা?