বিভিন্ন হাদিস থেকে আমরা কয়েকটি দোয়ার সংকলন করেছি, এগুলো পাঠ করে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
April 16, 2023
May 7, 2022
শাওয়াল মাসের বিয়ে
নবীজির শাওয়াল মাসে বিয়ের বিষয়টা ছিল ওই সময়ের কুসংস্কার, অপসংস্কৃতি, কিংবা ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য। মুহাদ্দিসদের আলোচনা থেকে এটাই পাওয়া যায় যে, জাহেলি যুগ থেকে মানুষ ভাবতো শাওয়াল মাসে বিয়ে করা খারাপ বা অশুভ।
এখন বিষয় হল, এখন আমাদের অঞ্চলে বিয়ে নিয়ে কি কি কুসংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা আর অপসংস্কৃতি প্রচলিত আছে? আর এগুলো দূর করার জন্য আমরা কি করছি?
১. এখানে কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান না করলে খারাপ ভাবা হয়।
২. কনের বাড়ি থেকে বিশেষ কিছু না নিলে খারাপ ভাবা হয়। কনের পরিবারই অপমানজনক ভাবে।
৩. বিয়ের আগে একদল নারী-পুরুষ যায় পাত্রী দেখতে, বিয়ের পর এলাকার সব মানুষ দল বেঁধে মেয়েকে দেখতে আসে। অনেক সময় অবস্থা এমন হয় যে, জামাইয়ের জন্য দেখা হালাল, অথচ সে বাদে বাকি সবাই দেখে ফেলেছে। গাইরতহীন জামাই মিন-মিন করে আর অন্যদের ফরমায়েশি করে।
৪. এখানে এখানে বিয়ের মধ্যে হাজারটা শয়তানি রিচুয়াল ঢুকে গেছে। (আগের রাতে 'কুমারী পূজা'র মত মিষ্টি খাওয়া আর চান্দা তোলা থেকে শুরু করে, এরপর গাইর মাহরাম মহিলারা গোসল দেয়ানো, বিয়েতে মালা বদল করা, গেট বেঁধে চাঁদাবাজি, বিদায়ের সময় সপে দাড় করিয়ে সপে দেয়া, অশ্লীল গানবাজনা - নাচগান, গাইরতহীনের মত ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, মোহর দেয়ার ইচ্ছা না রেখে সাধ্যের সীমার বাইরে অংক ধার্য্য করা ইত্যাদি।)
শুধুমাত্র ইজাব-কবুল আর নগদ কিছু মোহর দেয়া- এই দুইটা বাদে ইসলামের কোনো বিধানের তোয়াক্কাই এখনকার বিয়ের মধ্যে করেনা।
আপনারা শাওয়াল মাসে বিয়ে করে লাভ কি তাহলে?
May 2, 2022
ঈদের আনন্দ এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য
[এক]
April 12, 2020
ইসলামকিউএ ফ্যাক্টস এবং তাখরিজ প্রসঙ্গ...
February 27, 2020
শত্রুর দৃষ্টি থেকে গোপন থাকার আমল
April 21, 2019
জয়ীফ হাদিস এবং সম্ভাবনা
-----
যয়িফ হাদিসের ব্যাপারে কিছু ভাই বলে থাকেন "এটা সত্যও হতে পারে, মিথ্যাও হতে পারে, সম্ভাবনা ৫০—৫০"
দুঃখিত, এটা হয়তো ভাইদের ভুল ধারণা অথবা অজ্ঞতা অথবা "অন্য কিছু..."
বাস্তবতা হল, যয়িফ হাদিসের বহুত স্তর আর বহুত কিসিম আছে। সব যয়িফ হাদিসের ওপর যেমন ভরসা করা যায় না, তেমনি সব হাদিস একদম ফেলেও দেয়া যায় না। কোন হাদিসের সনদ সহিহ, শুধু কথাটা এভাবেই বলেছে কি না- এতে সন্দেহ আছে, এরকমও হতে পারে।
কোন কোন হাদীসের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার ৫০-৫০ হতে পারে, কোন কোন হাদীসের ক্ষেত্রে ৭০-৩০ হতে পারে, কোন ক্ষেত্রে সম্ভাবনা ৩০-৭০ কিংবা ৯০-১০ হতে পারে।
--
এখন যদি সহিহ যয়িফের বিস্তারিত কাহিনি বর্ণনা করা শুরু করি, তাহলে আপনি যেমন বিরক্ত হবেন, সেরকম আমারও সময় নষ্ট হবে। অতেব আপাতত বিশ্রাম নেন, আর সব সংশোধনী মূলক লেখার সবকিছু বিশ্বাস কইরেন না। পোস্ট শেয়ারকারী সেলিব্রিটি যতই বলুক "ইহা আমার দেখা সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ পোস্ট"
June 20, 2018
তাফসিরে মা'রিফুল কোরআন; এই সময়ের সেরা তাফসির!
এখানে রয়েছে কোরআন থেকে আলোচনা, হাদিস থেকে আলোচনা, সালাফের উদ্ধৃতি, বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ইত্যাদি।
হাঁ! এরেচেয়ে তথ্যবহুল তাফসির আছে, তাফসিরে রাযি (তাফসিরে কাবির নামেও পরিচিত) তাফসিরে কুরতুবি - এগুলোতে অনেক অনেক কিছু আছে, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত কলেবরে মাত্র ৮খন্ডে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোথাও নাই।
----
১. ইবনে কাসির কেন নয়? কেউ প্রশ্ন করতে পারেন।
উত্তর হচ্ছে, মারিফুল কোরআন পড়লে ইবনে কাসিরের তেমন কিছু বাদ থাকবে না আপনার, ক্ষেত্র বিশেষে ইবনে কাসিরের চেয়ে এখানে আরও বেশি পাবেন। উপরন্তু ভাষা সাবলীল এবং এই জামানার লেখা বিধায় বুঝতেও সহজ হবে।
স্রেফ হাদিসের জন্য বিশুদ্ধতার বিবেচনা করলে ইবনে কাসিরের চেয়ে তাফসিরে মাযহারিই এগিয়ে যাবে, মা'রিফুল কোরআন তো আরো উপরে। তবে হ্যাঁ.! আপনি ইবনে কাসির পড়তে পারেন, কোন সমস্যা নাই। আমি নিজেও দুইটাই দেখি।
-
২. আরেকটু বিস্তারিত বলেন -
: মারিফুল কোরআন মূলতঃ মুফতি শফি রহ. পাবলিক রেডিওতে ধারাবাহিক তাফসির আলোচনা করেছিলেন, সেটার লিখিত রূপ। তাই এটা মোটামুটি এ টু জেড জনসাধারণের উপযোগী।
আমার জানামতে, ইবনে কাসির হচ্ছে, তাফসিরে কুরতুবির সংক্ষিপ্ত রূপ, এর সাথে ইবনে কাসির রহ. অল্পকিছু কথা যোগ করেছেন। এখানে অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের জন্য অপ্রয়োজনীয়, অনেক কিছুই দুর্বোধ্য। (একভাই জানালেন, তাফসিরে তাবারিরর সংক্ষিপ্ত রূপ, আর ইফার অনুবাদের ভূমিকায় লিখেছে তাবারির এবং কুরতুবি দুইটার.. আল্লাহু আ'লাম, আমার ভুল হতে পারে)
যেমনঃ অনেক আয়াতের ক্ষেত্রে শুধু ব্যকরণ আর শব্দের আলোচনা করে ছেড়ে দিয়েছে, এবিষয়ে সালাফের কোন মন্তব্য বা হাদিস আনা হয়নি। এগুলা মাথার উপর দিয়ে যাবে, নইলে হুদাই মনে হবে। আর এটার মেইন ভার্শন, অর্থাৎ তাফসিরে কুরতুবি পড়তে গেলে প্রথম পারার তাফসির পড়ে শেষ করতে করতে বেশিরভাগ পাবলিকের ধৈর্য শেষ হয়ে যাবে।
তাফসিরে কাবির আরও বড় এবং তথ্যবহুল, তবে কিতাব নিয়ে সারাদিন বসে থাকলেও ক্লান্ত হবে না - এরকম জ্ঞানপাগল মানুষ ছাড়া এটা বেশিদূর পড়ার ধৈর্য হবে না। এজন্য এই জামানার মানুষদের জন্য সংক্ষিপ্ত এবং মাঝারি আকারের তাফসির পড়তে বলাই উত্তম। যেমন ময়দানের আলেমরাও এখন বলেন, মানুষের ধৈর্য কম, তাই অনলাইনের লেকচারগুলো শর্ট করতে।
-
৩. মারেফুল কুরআন সবখন্ড একত্রে একটা আছে (এটাই প্রসিদ্ধ) আরেকটি আছে ৮ খন্ডে। দুটি একই?
: না তবে সংক্ষিপ্ত টাতেও অনেক কিছুই চলে এসেছে। মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিযাহুল্লাহু) হুজুর ৮খন্ডটার ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েছেন। আমারও মনে হয়েছে সম্পূর্ণ ফায়দা পেতে ফুল ভার্শন পড়া উচিত।
তবে আপাতত হিসেবে সংক্ষিপ্তটা দেখতে সমস্যা নাই, বড়টা রিভিউ দিয়েই যেহেতু সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, তাই কিছু যায়গায় সংক্ষিপ্ত অনুবাদটা আরও উন্নত হয়েছে।
-
৪. অনেকে তো বিরোধিতা করে..
: এদের সবার অবস্থা মোটামুটি নিম্নরূপ -
১. "যেহেতু এটা আমাদের ফিরকার কারও সংকলিত না। সুতরাং এটা যত ভালোই হোক এটা বাদ। এটার ব্যাপারে মানুষের সামনে সত্য-মিথ্যা যা ইচ্ছা বলা যাবে.."
(এটা হচ্ছে শায়খ বা আলেম টাইপের কিছু লোকের মানসিকতা)
২. "এটা ওহাবিদের কিতাব, এরা মিলাদ করে না। মাজারে যায় না। সুতরাং এদের বই পড়া যাবে না.."
৩. "যদিও বা আমি জানিনা এখানে কি আছে, তবে যেহেতু আমার শায়খ অথবা পীর বা এটার বিরোধিতা করেছেন। সুতরাং এটার নামে সত্য-মিথ্যা যা খুশি বলা যাবে.."
(এটা শায়খ বা পীরদের অন্ধ অনুসারী বা পাগল ভক্তদের মানসিকতা)
৪. "ভাই! কথাগুলা ফেসবুকে পাইসি, তাই কপি মারলাম। এর বেশি কিছু জানিনা.."
(এরাই লিজেন্ড!)
.
বাদবাকি আপনার অন্তর আর আকল যদি মরে না যায়, তবে আপনাকে মারিফুল কোরআন পড়তে স্বাগতম। ইনশাআল্লাহ নিরাশ হবেন না...
হা! আওয়ামদের জন্য মুফতি শফি রহ. এর মারিফুল কোরআন। আর আলেমরা তো জানেনই... আপনাদের জন্য এটার সাথে ইদরিস কান্ধলভী রহ. এর মারিফুল কোরআনটাও দরকারি।
.
(পিডিএফ লিংক দেয়া হল, তবে কাগুজে বইয়ের মজা পিডিএফ-এ নাই, তা আর বলা লাগে?)
June 9, 2017
সারসংক্ষেপ রুকইয়া শারইয়্যাহ
(সংক্ষেপে বিভিন্ন সমস্যার জন্য ইসলাম সম্মত ঝাড়ফুঁক)
- রুকইয়াহ পরিচিতি
- শারীরিক অসুস্থতা
- বদনজর
- জিনের আসর
- ওয়াসওয়াসা রোগ
- কালো যাদু
- রকইয়ার আয়াত
- মাসনুন আমল
[১] অবতরণিকাঃ
[২] প্রাথমিক ধারণাঃ
- নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
- ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
- মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)।
[৩] সাধারণ অসুস্থতার জন্য রুকইয়াহ:
[৪] বদনজর আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
- কোন কাজে মনোযোগ না থাকা। নামায, যিকর, পড়াশোনাতে মন না বসা।
- প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
- বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা। মেজাজ বিগড়ে থাকা।
- অতিরিক্ত চুল পড়া। প্রচুর গ্যাস হওয়া। এতে ঔষধ-পথ্যে তেমন ফায়দা না হওয়া।
- একেরপর এক অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘ চিকিৎসাতেও রোগ ভালো না হওয়া।
- ব্যবসায়-লেনদেনে ঝামেলা লেগেই থাকা। সব কিছুতেই লস হওয়া।
- জ্বর থাকলেও কিন্তু থার্মোমিটারে না ওঠা। অন্য রোগও আছে, কিন্তু টেস্টে না ধরা পড়া।
[৫] বদনজরের জন্য রুকইয়াহ:
[৬] রুকইয়ার গোসল:
[৭] জিন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
- রাতে ঠিকমত ঘুমাতে না পারা।
- প্রায়শই ঘুমের মাঝে বোবা ধরা।
- ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। উঁচু থেকে পড়ে যেতে, কোন প্রাণীকে আক্রমণ করতে দেখা।
- দীর্ঘ মাথাব্যথা, অথবা অন্য কোন অঙ্গে সবসময় ব্যাথা থাকা।
- নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া।
- মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, একটুতেই রেগে যাওয়া।
- আযান বা কোরআন তিলাওয়াত সহ্য না হওয়া।
[৮] জ্বিনের আসরের জন্য রুকইয়াহ:
[৯] বাড়িতে জ্বিনের উৎপাত থাকলে:
[১০] ওয়াসওয়াসা রোগের জন্য রুকইয়া:
1. এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। প্রতি নামাজের আগে-পরে, অন্যন্য ইবাদতের সময়, কোন গুনাহের জন্য ওয়াসওয়াসা অনুভব করলে এটা পড়া -أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ، مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ، وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْم
[১১] যাদু আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
[১২] যাদু / ব্ল্যাক ম্যাজিক / বান মারার জন্য রুকইয়া:
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُوْنَ - فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُونَ - فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوْا صَاغِرِيْنَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِيْنَ -قَالُوْا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِيْنَ - رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُوْن
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُمْ بِهِ السِّحْرُۖ إِنَّ اللّٰهَ سَيُبْطِلُهُۖ إِنَّ اللّٰهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِيْنَ - وَيُحِقُّ اللّٰهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْكَرِهَ الْمُجْرِمُونَ -
وَأَلْقِ مَافِي يَمِيْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْاۖ إِنَّمَا صَنَعُوْا كَيْدُ سَاحِرٍۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتٰى
[১৩] যাদুর কোন জিনিশ অথবা তাবিজ খুঁজে পেলে:
[১৪] যাদু, জ্বিন, বদনজর সম্পর্কিত একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে:
[১৫] রুকইয়ার আয়াত:
- সুরা ফাতিহা
- সুরা বাকারা ১-৫
- সুরা বাকারাহ ১০২
- সুরা বাকারাহ ১৬৩-১৬৪
- সুরা বাকারাহ ২৫৫
- সুরা বাকারাহ ২৮৫-২৮৬
- সুরা আলে ইমরান ১৮-১৯
- সুরা আ'রাফ ৫৪-৫৬
- সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২
- সুরা ইউনুস ৮১-৮২
- সুরা ত্বহা ৬৯
- সুরা মু'মিনুন ১১৫-১১৮
- সুরা সফফাত ১-১০
- সুরা আহকাফ ২৯-৩২
- সুরা আর-রাহমান ৩৩-৩৬
- সুরা হাশর ২১-২৪
- সুরা জিন ১-৯
- সুরা ইখলাস
- সুরা ফালাক
- সুরা নাস
[১৬] যাদু, জিন, শয়তান ইত্যাদির ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়:
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ
- সর্বশেষ আপডেটঃ (৪.৩) চতুর্থ সংস্করণ, ০১ - ডিসম্বর – ২০১৭
- উইকিপিডিয়াঃ https://bn.wikipedia.org/wiki/রুকইয়াহ_শারইয়াহ
- রুকইয়াহ সাপোর্ট ফেসবুক গ্রুপঃ http://facebook.com/groups/ruqyahbd
March 9, 2017
খারাপ নারীরা খারাপ পুরুষদের জন্য, ভাল নারীরা ভাল পুরুষদের জন্য! তাই নাকি??
[ক]
বিখ্যাত একটি আয়াত.. এটা নিয়ে অনেক রসালো গল্প রচিত হতে দেখা যায়। অবিয়াইত্তা পোলাদের কেউ এজন্য তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, আর কেউ কপাল থাপড়ায়.. যাহোক! নারী দিবস উপলক্ষে এই আয়াতের দিকে আমরা কিছুক্ষণ মনযোগী হতে চাচ্ছি..
.
এই আয়াতের ওপর একটা ইশকাল বা আপত্তি উত্থাপন করে কেউকেউ। যার সারকথা হচ্ছে, "অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রী খুব দ্বীনদার অথচ স্বামী বেদ্বীন। স্ত্রী অনেক নম্রভদ্র অথচ স্বামীটা বজ্জাত, কিংবা এর বিপরীতও দেখা যায়.. স্বামী বেচারা ভালো মানুষ, কিন্তু স্ত্রীটা জান ত্যানা ত্যানা করে দিচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে উল্লেখিত আয়াতের যথার্থতা কি? এটা কি ইউনিভারসাল ট্রুথ? অর সামথিং এল্স.."
.
প্রশ্নটা কোনো এক ভাই কয়েকদিন আগে করেছিলো, পরে উত্তর দিব বলে ব্যাপারটা একদমই ভুলে গিয়েছিলাম, আজ ইয়াদ হওয়ায় কিছু মুতালা'আ করে উনাকে সংক্ষেপে বললাম। আর মনে হলো বিস্তারিত পোস্ট লিখলে মন্দ হয় না..
.
ইসলাম ওয়েবে একটি প্রশ্ন ছিলো উপরেরটার মতই, তবে সাথে উদাহরণ হিসেবে লুত আ. এর স্ত্রীর কথা ছিলো..
যে লুত আ. তো নিখাদ ভালো মানুষ, অথচ উনার স্ত্রী কাফির! ইত্যাদি ইত্যাদি.. তো আমরা সংক্ষেপে আয়াতটার দিকে খেয়াল করি..
.
[খ]
সুরা নূর, ২৬নং আয়াতের শব্দগুলো দেখুন-
এখানে الْخَبِيثَاتُ এবং َالْخَبِيثُونَ এর বেশ কয়েকটি অর্থ হতে পারে, এর অর্থ যেমন দুশ্চরিত্রের নারী - পুরুষ হতে পারে, তেমনি খবিসাত দ্বারা যেকোনো খারাপ কথা বা কাজও বুঝায়, নাপাকিও বুঝায়। মোটকথা, খারাপ কথা, কাজ, বস্তু, ব্যক্তি, জ্বিন সবকিছুর ক্ষেত্রেই খবীস শব্দ ব্যাবহার হয়।
অনুরূপভাবে, الطَّيِّبَاتُ দ্বারা ভালো বা পবিত্র কথা কাজ ব্যক্তি ইত্যাদি বুঝানো হয়।
.
তো আমাদের বাংলা উর্দুর প্রসিদ্ধ অনুবাদগুলোতে সম্ভবত খবিসাত তায়্যিবাত দ্বারা ব্যক্তি ধরে নিয়ে অনুবাদ করা হয়েছে, এজন্য আমাদের মাঝে "দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য.. সচ্চরিত্রা নারীরা সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য" এটা প্রসিদ্ধ।
আমি বলছিনা যে, সালাফের মাঝে এর নজির নাই বরং আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের অনুবাদপ্রিয়তা এবং ভাষার সীমাবদ্ধতার দরুন এটা প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। যার কারণে উপরিউক্ত আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ হচ্ছে- "কতশত ভালো মহিলা আছে যার স্বামী বজ্জাত!"
পক্ষান্তরে আপনি ইংলিশ অনুবাদ Saheeh International টা যদি দেখেন.. সেখানে কিন্তু আমাদের মত অনুবাদ নাই!
সেখানে আপনি পাবেন: "Evil words are for evil men, and evil men are [subjected] to evil words. And good words are for good men, and good men are [an object] of good words. Those [good people] are declared innocent of what the slanderers say. For them is forgiveness and noble provision."
দেখুন- https://quran.com/24/26
.
[গ]
এই প্রশ্নটা উত্থাপনই হতো না, যদি আমাদের অধিকাংশ মুফাসসিরিনে কিরামের মতামতটা জানা থাকতো। আচ্ছা, প্রথমে প্রচলিত অর্থের ব্যাপারে আলাপ করি, এর নিকটবর্তী মন্তব্য পাওয়া যায় ইমাম কুরতুবী রহ. এর। যা মুফতি শফি রহ. এর মারিফুল কোরআন মন্তব্যের অনুরূপ।
উনারা খবিসাত - তায়্যিবাত এর ক্ষেত্রে ব্যক্তি অর্থ নিয়ে ব্যাপারটা এভাবে ব্যখ্যা করেছেন-
"স্বাভাবিকভাবে খারাপ লোকদের আকর্ষণ খারাপ মেয়েদের প্রতি থাকে, আর পরহেজগার লোকদের আকর্ষণ দ্বীনদার পরহেজগার মেয়েদের প্রতি থাকে। আর জীবনসঙ্গী হিসেবে এরকমই মানানসই! মানে দ্বীনদারদের উচিত দ্বীনদার সঙ্গি বেছে নেয়া.." (মানে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা বর্ণিত হয়েছে এখানে..) এই আর কি...!
.
খুবই চমৎকার এবং সাধাসিধা ব্যাখ্যা, এটা মেনে নিলেও কোনো আপত্তির অবকাশ থাকে না।
.
[ঘ]
তবে মুফাসসিরিনে কিরামের মাঝে আরেকধরণের ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে, যা আয়াতের শানে নুযুলের সাথে অধিক মানানসই।
জমহুর (অধিকাংশ) মুফাসসির এটার যা ব্যাখ্যা দেন তার সারকথা হচ্ছে-
"এখানে খবিসাত বা তায়্যিবাত দ্বারা ব্যাক্তি নয় বরং কথা বা কাজ উদ্দেশ্য! অর্থাৎ ভালো কথা ভালো লোকেরাই বলে, খারাপ কথা খারাপ লোকেরা বলে এটা তাদের জন্য মানানসই..."
মুলতঃ আয়েশা রা. এর ওপর অপবাদ দেয়ার ঘটনায় যেসব আয়াতটা নাযিল হয়েছিল, তার মাঝে এটা একটা.. আয়াতের বাকি অংশও খেয়াল করুন-
.
অধিকাংশ সালাফের মত বিবেচনায় নিলে পুরো আয়াতের অর্থ এরকম দাড়াচ্ছে-
"নোংরা কথা বা কাজ নোংরা লোক বা নারীদের জন্য, পবিত্র কাজ পবিত্র লোক বা নারীদের জন্য। তাদের সম্পর্কে লোকেরা যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।"
.
তাহলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আয়াতের ভাবার্থ এরকম,
"আয়েশা রা. এর নামে যারা অপবাদ ছড়িয়েছে, ওরা খারাপ লোক.. খারাপ কাজ খারাপ লোকদেরকেই মানায়, ওসব খারাপ কাজের সাথে আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-র কোনো সম্পর্ক নাই। উনি এসব থেকে পবিত্র, বরং উনার জন্য দুনিয়া আখিরাতের উত্তম প্রতিদান রয়েছে।"
.
এই ব্যাখ্যাটা যারা করেছেন তারা হচ্ছে- "আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, সাঈদ ইবনে যুবায়ের, মুজাহিদ রা. পরবর্তি আলেমদের মাঝে ইবনে কাসির রহ. এবং ইবনে তাইমিয়া রহ.-ও এরকমই অর্থ করেছেন।"
.
এই আয়াতের আলোচনায় আর বাকি থাকে লুত আ.এর স্ত্রীর কথা, ইবনে কাসিরওয়ালা উত্তরে বলেছেন- কাফির হওয়া আর চরিত্র খারাপ হওয়া আলাদা বিষয়, লুত আ. স্ত্রী কাফের ছিলেন কিন্তু তবুও উনি কখনো ব্যভিচার করেননি।
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন...
.
[চ]
বিস্তারিত জানতে তাফসিরে কুরতুবী, ইবনে কাসীর, মারিফুল কোরআন, রুহুল মা'আনীতে সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর দেখা যেতে পারে। এছাড়াও ইসলাম ওয়েবের সুওয়াল জাওয়াবের লিংক দিয়ে দিচ্ছি, আগ্রহীরা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
১. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=198413
২. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=53577
৩. http://fatwa.islamweb.net/fatwa/index.php?page=showfatwa&Option=FatwaId&Id=33972
.
যাহোক, সব মিলিয়ে আশা করছি আপনাদের কাছে বিষয়টা এখন পরিষ্কার।
নারী দিবস শেষে আপাতত আপাতত এটাই ছিল আমার নারী দিবসের স্ট্যাটাস... :) :)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ!
.
---
লেখাটি ফেসবুকে- https://facebook.com/thealmahmud/posts/1247195052036689
November 17, 2016
ঘুম না আসলে কী করবেন?
-
নিচের দোয়াটি পড়ে ডান কাত হয়ে চুপচাপ শুয়ে থাকুন, অথবা অন্যান্য তাসবিহ-তাহলিল পড়ুন, ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত ঘুম চলে আসবে।
...........
{এই দোয়াটি সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০৫০, এছাড়াও এটা বুখারী, মুসলিম এবং নাসাঈ শরীফে আছে...}
...
সতর্কীকরনঃ ঘুমের আগের অন্য গুরুত্বপূর্ণ দোয়া বা কোরআনের আয়াত (যেমন সুরা ইখলাস ফালাক নাস, আয়াতুল কুরসি) পড়ার পরে এইটা পড়বেন। নইলে এমন অনেকবার হয়েছে, এই দোয়া পড়ার আর তিনকুল পড়ে শেষ করতে পারিনি, আগেই ঘুমায় গেছি। তখন তো আরেক সমস্যা...
![]() |
রাইট ক্লিক করে সেভ করে নিন |
- ১৭ নভেম্বর ২০১৬
ফেবুতে- https://m.facebook.com/photo.php?fbid=1146747935414735&id=100002386190185
September 30, 2016
শুকরিয়া আদায় করলে নিয়ামাত বৃদ্ধি পায়?
.
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ.
যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। (১৪: ৭)
আমি তাফসিরে জালালাইন পড়েছি ৪জন উস্তাযের কাছে, তাদের মাঝে কে যেন আয়াতটার চমৎকার ব্যখ্যা করেছিলেন, ঠিক খেয়াল নাই :(
ক্লাসে ছাত্ররা কত রকম প্রশ্নই তো করে তাইনা? এই আয়াত প্রসঙ্গে আমরাও বললাম, হুজুর আয়াতটা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন..
হুজুর বললেন- যেমন?
বললাম- অনেক কাফের বা নাস্তিক আছে যারা অনেক ধনী! এবং তাদের সম্পদ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে... তাদের কোনো শাস্তি হতেও দেখা যাচ্ছেনা। :/
তিনি বলছিলেন- এখানে আল্লাহ বলছেন "যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেব" তারমানে আখিরাতে আরো বাড়িয়ে দেব, 'la azidannakum' ai 'la azidannakum fil akhirati' এরপর আল্লাহ বলছেন "এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর" এটাও আখিরাতে।
.
অর্থাৎ কেউ যদি দুনিয়ার নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে, তাহলে তাকে আখিরাতে আরো অনেক বেশি দেয়া হবে, আর যদি কেউ শুকরিয়া জ্ঞাপন না করে, কুফরি করে তাহলে তার কঠোর শাস্তি হবে, সেটাও আখিরাতে।
আর কৃতজ্ঞতার জন্য যদি দুনিয়ায় কাউকে বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সেটা এক্সট্রা বোনাস! আসল প্রতিদান পরকালে অপেক্ষা করছে...
আমরা যদি আয়াতের ব্যখ্যাটা এভাবে করি তাহলে সম্ভবত: উত্তম হবে!
-৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1096552610434268&id=100002386190185
February 25, 2016
মডার্ন মুফাসসির; যাহাদের ছাগু বলা বৈধ মনে করি...
.
"যারা কোরআন কে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ করতে এর মনগড়া ব্যাখ্যা করা পুণ্যের কাজ ভাবেন তাদের হিদায়াত কামনায়...."
.
তখন কথাগুলো ততটা বুঝিনি, তবে আমার নীতি হচ্ছে 'বুঝি না বুঝি পড়ে যাই! পরে কোনোদিন বুঝে আসলে আসতেও পারে'
এজন্য গলধকরণ করেছিলাম, আজ হযরতের কথাগুলো ভাবি..
একবার এক ছাগলের লেখা বই পড়লাম, ছাগলটা কোনো এক কলেজে অধ্যাপনা করে। সে জানপ্রাণ দিয়ে এটা প্রমাথ করতে চেষ্টা করেছে যে, "বিবর্তনবাদ কোরআন সমর্থিত, আর এব্যাপারে বহু আগেই কোরআনে বলা হয়েছে। অতএব কোরআন বিজ্ঞানসম্মত বই!!" উনি কোত্থেকে কোত্থেকে আয়াত এনে আজগুবি ব্যাখ্যা করলেন- "আসলে মানুষ ব্যতীত বাকি সব প্রাণী বিবর্তনের মাধ্যমেই পৃথিবীতে বিস্তারলাভ করেছে!!" হেঁহেঁ.. মানে ইসলামিক বিবর্তনবাদ আর কি! :/
.
আরেক ভাইয়ের পোস্টে দেখলাম বেচারা এলিয়েনের কথা কোরআনে আছে এটা প্রমাণের জন্য বেশ পরিশ্রম করছেন। অথচ সার্বিক বিবেচনায় দেখা যায়, জ্বিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য বেজ্ঞানীদের একটা বাহানা হচ্ছে এলিয়েন। (এছাড়া তাদের আরও অনেক কিচ্ছা শক্তিশালী করতে এসব এলিয়েন তত্ব কাজে দেয়। পরে কোনোদিন শুধু এবিষয়ে হবে ইনশাআল্লাহ)
এই মডার্ন মুফাসসিরদের খাতা বেশ দীর্ঘ,
সুরা নাযিয়াত ৩০ আয়াতে আল্লাহ যে বলেছেন- "wal arda ba'da zaalika dahaahaa.." পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন ..(৭৯:৩০)
একবার এক ডাক্তার সাহেব বললেন এই দাহাহা মানে নাকি ডিম, খালি ডিম বলেই তিনি ক্ষ্যামা দিলেন না। তিনি বললেন- আসলে দাহাহা শব্দ দ্বারা উটপাখির ডিম বুঝায়। অর্থাৎ ১৪০০ বছর আগে আল্লাহ কোরআনে বলেছেন পৃথিবীর আকৃতি উটপাখির ডিমের মত!! আল্লাহই জানে উনি এই অর্থ কই পাইছেন।
উনি উনার বক্তব্য দিয়ে দায়মুক্ত হয়ে গেলেন, অথচ এরপর দীর্ঘদিন যাবত মুক্তমনা, ইস্টিশন, সামু আর নাগরিকব্লগে এটা নিয়ে হাসি তামাশা চললো। যদি উনাকে বা কোনো আম মানুষ নিয়ে নাস্তিকদের তামাশা সীমাবদ্ধ থাকতো তবে হয়তো হজম করা যেত কিন্তু এটা যখন কোরআন পর্যন্ত পৌছুলো তখন সেটা সহ্য করা আমাদের পক্ষে অনেক কষ্টকর ব্যাপার ছিল। অথচ আমাদের কিছু বলারও ছিলো না...
কারণ এখানে অপরাধ তো আমারই কোনো এক ঈমানদার ভাইয়ের, এখন কাকে কী বলব?
এরপরেও কি আপনাদের ঘুম ভাঙ্গবে না? এই হীন মানসিকতা পরিত্যাগ করবেন না?
স্থলে ও জলে বিপর্যয় ছড়ায় মানুষের কৃতকর্মের দরুন... (সুরা রুম, ৪১)
-----
ফেবু লিংক
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=949536688469195&id=100002386190185