Showing posts with label গল্প-ঘটনা. Show all posts
Showing posts with label গল্প-ঘটনা. Show all posts

August 4, 2019

তাবলীগ জামাতে ব্যক্তিত্বের বিকাশ

মুহতারাম মুসা আল হাফিজ বলেছেন-
"বাগানের সফলতা ডালের শাখায় ফুল ফোটানোতে, সমাজ ও সংঘের সফলতা ব্যক্তি ও সদস্যের বিকাশে!"

-
আমার পর্যবেক্ষণ হল একটা সোসাইটি, জামাআত বা সংস্থা হিসেবে তাবলীগ জামায়াতের এই দিকটায় বড় সমস্যা আছে। প্রচলিত তাবলীগ শখসিয়্যাতের বিকাশ ঘটানো দূরের কথা, ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে দেয়।
এটা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানহাজের মুওয়াফিক না। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, ভাবার্থ: মানুষেরা (স্বর্ণরৌপ্যের) খণির মত, জাহেলি যুগে যে উত্তম ছিল, ইসলাম গ্রহণ করেও সে উত্তম, যদি দ্বীনি ইলম অর্জন করে।
- বুখারি ও মুসলিম
.
সম্ভবত দাওরায়ে হাদিসের পরিক্ষা চলাকালীন একদিন, আমাদের শাইখ আল্লামা আহমাদ শফি হাফিযাহুল্লাহুর খাদেম ভাইদের রূমে বসে গল্পগুজব করছিলাম। কিছু তাবলীগি ভাই আসলেন তাশকিল করতে। ওখানে যেসব ছাত্রভাই ছিলেন, উনারা একেকজন বেশ যোগ্যতা সম্পন্ন আলেম। কেউ পরে ইফতার জিম্মাদার হয়েছেন, কেউ দাওয়াহ বিভাগের।
উনাদেরকে তাশকিল করছিল তাবলিগে এক বছর সময় লাগানোর জন্য। মুফতি **** ভাই বললেন, ভাই! অহেতুক আশা না দেই, আসলে আমার সময় নাই, অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আমাদের রূমে একটু আগেই তাশকিল হয়েছে, তবুও আমি তাবলিগি ভাইদের দিকে ঘুরে বসলাম। বললাম- "ভাই! আপনারা না ইলমের কদর করতে জানেন, আর না আহলে ইলমের সময়ের কদর করতে জানেন। এজন্য দ্বীনের ব্যাপারে একজন আনপড় লোকের চল্লিশদিন আর একজন আলেমের চল্লিশদিনের মাঝে আপনারা খুব একটা পার্থক্য খুজে পান না। আপনাদের তো উচিত ছিল একজন আলেম একটা ঘন্টা সময় দিলে সেটাকে গনিমত হিসেবে কদর করা। কি আর বলব ভাই..."
বেচারা ভাইটার চেহারা লাল হয়ে গেছে, বুঝলাম অনেক কষ্টে রাগ/অপমান হজম করছেন। আমি ঝামেলা না বাড়িয়ে আবার অন্য কাজে মন দিলাম।

যাহোক, শেষে আবার বলি, ট্রেডিশনাল তাবলিগ জামায়াত ভাইদের ব্যক্তিত্ব আর প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয়। এবং এটা সত্য...
Share:

May 19, 2019

রমাযানে শয়তান...

সেদিন খুব মজা পাইছি। এক ভাইয়ের জিনের সমস্যা আছে অনেক পুরাতন। তো চাচ্ছিলাম ভালোয় ভালো কথাবার্তা বলে বিদায় করতে। শয়তানটা শুরুতে খুব ভালো ভাব নিচ্ছিল। ওরে আমার থাপড়াইতে মুঞ্চাইলেও অনেক কষ্টে রাগ চেপে রেখে ভদ্র ভাষায় কথা বলছিলাম।
বলছিল- আমরা একদম ছোট থেকে ওকে দেখে শুনে রাখছি, ওর পরিবার কেয়ারই করে এই সেই ব্লা ব্লা... রমযান মাসে অন্যরা ছুটিতে আছে। আমি আর আরেকজন শুধু আছি।
জিগাইলাম কিসের ছুটি?
বলে- সারা বছর তো ওরা দেখাশোনা করে রমজান মাসটা একটু ছুটিতে থাকে।
জিজ্ঞেস করলাম অমুক অমুক অমুক কই? (কয়েকটা শয়তানের নাম বললাম যেগুলা বেশি অত্যাচার করে)
- সবাই ছুটিতে আছে!
তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম- "বাইন্ধা রাখছে তাই না"
- শয়তানটা কয়েক সেকেন্ড থেমে থাকার পর আস্তে করে বলে "হ্যাঁ ওই রকমই" 😂
Share:

August 2, 2016

২০১৪ সনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিপর্যয়, ধোঁকাবাজ দাজ্জাল এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা...

১। আসেম ওমরের ভাষায় শুরু করা যাক-
 ""আপনি পরিবারের কর্তা, আপনার চোখের সামনে আপনার স্ত্রী-সন্তান, পিতামাতা পানির যন্ত্রনায় ছটফট করছে। দরজার সামনে পানি নিয়ে দাজ্জালের ফৌজ দাঁড়িয়ে আছে। শর্ত খুব সহজ... দাজ্জালকে প্রভু মেনে নাও, পানি পাবে। সাথে লোভনীয় অংকের টাকাও পাবে। আর দাজ্জালকে মানবে না? নিজের সন্তানের দিকে একবার তাকাও... তৃষ্ণা যন্ত্রনা কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়েছে, নাকি মারা গেছে?! তোমার মায়ের শুষ্ক মুখটার দিকে তাকাতে পারবে? দুদিন হলো... উনি একঢোক পানিও খেতে পাননি।""
পুরো দৃশ্যটা একবার কল্পনা করুন... পারছেন না? নিচের সত্য অভিজ্ঞতা একবার পড়ে নিন....
.
২। হাতে একটা চিরকুট আসলো! ০১.১১.২০১৪ তারিখের কোনো আরবি দৈনিকের অংশ। শিরোনামের অর্থ এমন- "বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ঘোর অন্ধকারে বাংলাদেশ"
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো ২০১৪সালের বিভৎস সেই তিনটা দিনের কথা।
আমি তখন বনানী জামিয়ায় পড়ছি। তিনদিন যাবত কারেন্ট নাই, অতএব পানিও নাই। কারো ফোনে চার্জ নাই। কল ধরা আর কাটা ছাড়া ফোন কোনো কাজে ব্যাবহার করতে পারিনি। দরকারে কাউকে কল করব? অনেক চার্জের ব্যাপার হে! তবুও তৃতীয়দিনে এসে সবার ফোন বন্ধ। গরমে সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছি ছাত্র-উস্তাদ সবাই। প্রথমবারের মত কোনো কোনো উস্তাযকে ক্লাসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা লাগলো। জেনারটর আছে.. তবে শুধু লাইট জলছে।
.
সবচে বাজে অবস্থা ছিলো পানি নিয়ে। প্রথমদিন রাতেই মাদরাসার ট্যাংকি খালি। রিজার্ভ টাংকে পানি আছে তবে কি দিয়ে তুলবেন? কেউ কেউ রিজার্ভ ট্যাংকির মুখ খুলে কুয়া থেকে পানি তোলার মত করে কিছু পানি তোলার চেষ্টা করলো। দ্বিতীয়দিন দুপুর না গড়াতেই মাদরাসার অধিকাংশ ইস্তিঞ্জাখানা আর ব্যাবহারের উপযোগী ছিলোনা। মসজিদের ট্যাংকিও খালি হয়ে গেলো, খানার পানির জন্য সামনে বিটিসিএল অফিসে ধর্না দিলাম, একটু পর সেটাও শেষ। রাতে অগত্যা মিনারেল ওয়াটার দিয়ে কাজ সারতে হলো। তৃতীয় দিন অবশ্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জেনারেটর দিয়ে মটর চালুর ব্যাবস্থা করেছিলো.... তার কয়েকঘন্টা পর কারেন্ট আসে....
.
আচ্ছা আমার যায়গায় আপনাকে কল্পনা করুন, পাশাপাশি ভাবুন তৃতীয় দিনেও পানির কোনো বিহিত হলো না... দোকানে মিনারেল ওয়াটারের বোতলও শেষে.....
আচ্ছা এরপর প্রথম পয়েন্টের দৃশ্যটা আরেকবার কল্পনা করুন....
.
৩। এটা ছিলো ২০১৪-সালে বাস্তব অভিজ্ঞতার সামান্য বর্ণনা, আপনাদেরও হয়তো আছে। বিশেষতঃ শহুরে ভাইদের... যারা সাপ্লাই অথবা ট্যাংকির পানির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। জানেনই তো, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় শহরের লোকেরা দাজ্জালের ফিৎনায় বেশি আক্রান্ত হবে।
দাজ্জাল যে পানি নিয়ে বিরাট একটা গেম খেলবে এটা মুসলিম শরিফে বর্ণিত তামিম দারী রাযি. এর দাজ্জালের সাথে সাক্ষাত হওয়ার হাদীসটা দেখে বর্তমান দুনিয়ার সার্বিক হালত মিলিয়ে নিলেই বুঝা যায়।
(এবিষয়ে ব্লগে একটা লেখা আছে, খুজে পাইলে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ)
লিংকঃ http://talimtube.blogspot.com/2016/08/blog-post_27.html
.
৪। প্রথমে আমার ভিন্ন কিছু খেয়ালে আসেনি। পত্রিকা মারফত জানলাম কোন এক বিদ্যুৎ গ্রিডে সমস্যার কারণে সারাদেশ কারবালা বনে গেছে। আমি ব্যাপারটা এভাবে ব্যাখ্যা করলাম- যেকোনো ভাবে এখানে হয়তো কানা দাজ্জালের কারসাজী আছে! স্রেফ বিদ্যু বন্ধ করে পুরো একটা দেশকে যে পঙ্গু বানিয়ে দেয়া যায় ২০১৪ এর নভেম্বরের ঘটনা ছিলো এর একটা ডেমো।
.
৫। বলছিলাম আরবি পত্রিকার চিরকুটের কথা... সেখানে একটা অদ্ভুত তথ্য পেলাম। পরে নেটে এসে ইংলিশ নিউজপেপারগুলো ঘেটে দেখলাম ব্যাপার ১০০% সত্য।
 (কিছু নিউজ লিংক কমেন্টে দিবনি) ""২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে। তার একবছর যেতে না যেতেই যে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছিলো সেটায় গোলযোগ দেখা দেয় (পড়ুন গোলযোগ সৃষ্টি করা হয়) আর একারনেই সারা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে কয়েকদিন।""
কি বুঝলেন ?
 এবার বলুন তো, সেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে আমার ব্যাখ্যাটা কি উড়িয়ে দিতে পারবেন?
.
৬। আবার শুরুর সেই কথায় চলে যাই...
আপনার সামনে আপনার বাবা মা, স্ত্রী সন্তান পানির পিপাসায় ছটফট করছে। দরজার বাহিরে দাজ্জাল পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কি করবেন আপনি?

দাজ্জালকে প্রভু হিসেবে মেনে নিবেন? নাকি নিজের চোখের সামনে বাবা মা, স্ত্রী সন্তানকে পানির যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মরতে দেখেবেন?
চ্যুজ ইওর অপশন...


- ৮ আগস্ট ২০১৬
ফেবু লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1048326735256856&id=100002386190185
Share:

May 27, 2016

সালাফের যুগে একজন ওয়াজ ব্যবসায়ীর গল্প...

একদিন আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এবং ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহ. বাগদাদের এক মসজিদে নামাজ পড়ে বসে আছেন। ইতিমধ্যে একজন ওয়াজ ব্যবসায়ী মসজিদে সবার সামনে দাঁড়িয়ে ওয়াজ শুরু করে দিল!
কিছুক্ষণের মধ্যেই সনদসহ একটি হাদীস বর্ণনা করা শুরু করলো- ""আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারা বলেছেন, আমাদের নিকট বর্ণনা করেছে আব্দুর রাযযাক, তার নিকট মা'মার, তার নিকট কাতাদা, তিনি আনাস রা. থেকে বর্ণনা করেছেন- রাসুল সা. বলেন! মানুষ যখন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালিমা পাঠ করে তখন আল্লাহ তার প্রতিটি শব্দ হতে এক-একটি পাখি সৃষ্টি করেন যার ঠোঁট স্বর্ণের আর পালক মুক্তার!....""
এভাবে বলতে বলতে প্রায় ২০ পৃষ্ঠার মত হাদীস বর্ণনা করলো, আর তা শুনে ইমাম আহমাদ এবং ইমাম ইয়াহইয়া অবাক বিস্ময়ে একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলেন। অবশেষে ইয়াহইয়া রহ. বলেই বসলেন 'আপনি এই লোকের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন?' :/
.
ইমাম আহমাদ বললেন 'আল্লাহর কসম! আমি আজ জীবনে প্রথম এই হাদীস শুনলাম, আগে কোনোদিন এসব কথা শুনিওনি!!'  :o
.
যাই হোক, ওয়াজ শেষ হলে ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহ. তাকে ডাকলেন, লোকটা সিরাম ভাব নিয়ে এগিয়ে এল। ইয়াহইয়া রহ. জিজ্ঞেস করলেন 'আপনার নিকট এই হাদীস কে বর্ণনা করেছে?'
লোকটা বললো- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহ.
.
ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন রহ. বললেন- আমি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন আর ইনি ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল!!  আমরা তো আপনার কাছে হাদীস বর্ণনা করিনি।
লোকটা বলে, আগেই শুনছিলাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন একজন বোকা লোক! আজ তার প্রমাণ পেলাম..
ইয়াহইয়া রহ. বললেন, কিভাবে?
বক্তা বললো- দুনিয়ায় কি তোমরা দুজন ছাড়া আর আহমাদ ইবনে হাম্বল বা ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন নাই নাকি? আমি ১৭ জন আহমাদ ইবনে হাম্বল এবং ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন  এর নিকট থেকে এই হাদীস শুনেছি!!!!!! o.O :o

------
ফেবুতেঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/970098593079671
Share:

March 5, 2016

বড়দের গল্পঃ ৫ (কজন বাবার সন্তান?)

আজকের ঘটনা মাওলানা মাসউদ আযহার সাহবের (আল্লাহ যেন উনাকে হিফাজত করে)

হযরত একদিন লাহোরে এসেছিলেন কোনো দরকারে, তো নামাজ শেষে মসজিদের বাহিরে দাড়িয়ে পরিচিতিজন/ভক্তদের সাথে কুশল বিনিময় করছেন
তখন এক গাইরে মুকাল্লিদ এসে বললোঃ ভাই একটা প্রশ্নের উত্তর দাও আমার সব মাসআলার সমাধান হয়ে যাবে! বলো তুমি হানাফী না মুহাম্মাদী? রাসুল সা. কে মানো না আবু হানিফা রহ. কে মানো?

হযরত বললেন স্বাভাবিক ভাষায়ঃ ভাই! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী মানি, আর ইমাম আবু হানিফা রহ.- কে একজন ইমাম, গবেষক, উম্মতের মাঝে একজন উস্তায হিসেবে মানি। রাসুলের কথা তো সবার উপরে..

লোকটা বলেঃ না না না! যে কোনো একটা বলো, রাসুল সা. কে মানো না আবু হানিফা রহ. কে মানো?

হযরত বুঝতে পারলেন এই মাল সুবিধার না! 😔 তিনি বললেনঃ আচ্ছা ভাই, তাহলে তুই আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দে!

লোকটাঃ হ্যা, বলো!

== তুই কার সন্তান? আদম আ. এর নাকি তোর বাপের?

= দুইজনের ই

== উঁহু! একাধিক বাপের সন্তান.... এটাতো ভালো কথা না!!! 😜

লোকটাঃ না না ভাই, এটা এক হিসেবে বাবা, ওটা আরেক হিসেবের! এটাই আমার আসল বাবা আর উনি আমাদের দুনিয়ায় আসার মাধ্যম এই আরকি..
.
হযরতঃ হুম ভাই, কাহিনী এটাই... আসল কথা রাসুলেরই আবু হানিফা শুধু আমাদেরকে ওগুলা সহজভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই আর কি!  😂

-----------
ফেবু লিংকঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/954626167960247
Share:

August 28, 2015

বড়দের গল্প- ৪ (বুখারিওয়ালা যুবক)

আজকের ঘটনা মিরপুর আকবর কম্প্লেক্সের মুহতামীম মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন সাহেব হুজুরের, উনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ঘটনায় যাচ্ছি...
.
এক লোক দাম্মাম থাকে, আগে যখন দেশে আসতো হুজুরের সাথে দেখা সাক্ষাত করতো.. সালাম-কালাম করতো। কিছুদিন আগে বেচারা আসছে কিন্তু হুজুরের সাথে আর দেখা করতে আসে না। হুজুর দেখে যে মসজিদে আসছে নামাজ পড়তে, আবার চলেও যাচ্ছে। কিন্তু হুজুরের সাথে আর দেখা করে না...
একদিন লোকটার শশুর এসে হুজুরকে বলছে- হুজুর 'ও' তো এখন আপনাকে খুব গালাগালি করে!!
হুজুর বললেন- কেন? তার কি ক্ষতি করছি?? 😟
লোকটার শশুর বললো- আপনি হানাফী তো... তাই
হুজুর বললেন- কি করার!! আমিতো মুখে বেড়া দিতে পারবো না...
.
একদিন এশার পরে শশুর আসলেন জামাইকে সাথে নিয়ে, বেচারার হাতে একটা বাংলা বুখারী।
এসে লোকটা বললো- হুজুর আমরা রুকুর সময় হাত তুলি, বুখারী শরিফে আছে, আপনারা তুলে না কেন??
হুজুর বললেন- না তোলার হাদীসও আছে
লোকটা বললো- না তুললে তো নামাজ হবে না!!
হুজুর বললেন- কিভাবে বুঝলেন??
লোকটা বললো- এই যে দেখেন বুখারীতে লেখা আছে..
..
হুজুর দেখলেন সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর হাদীসটার পর এরকম লেখা আছে- ""ইমাম বুখারী রহ. জুযউ রাফউল ইয়াদাইন কিতাবে লেখেছেন 'রুকুর সময় হাত উঠানো ওয়াজিব!! যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে না উঠায় তার নামাজ হবে না; পুনরায় পড়তে হবে। যদি ভুলে বাদ দেয় তাহলে সাহু সিজদা দিলে নামাজ হয়ে যাবে!!!'""
.
একজনকে দিয়ে মাদরাসার লাইব্রেরি থেকে জুযউ রাফউল ইয়াদাইন কিতাব আনালেন, দেখলেন যে ইমাম বুখারী এসব কথা বলেননি। 😒
তখন হুজুর বললেন- দেখেন! আপনার আহলে হাদীস অনুবাদক যে ইমাম বুখারীর নামে কথাগুলো বললো অথচ এই দেখেন কিতাব- এখানে ইমাম বুখারী ওয়াজিবের কথাও বলেননি, নামাজ না হওয়ার কথাও বলেননি, সাহু সিজদার কথাও বলেননি। উনি এতগুলো মিথ্যা কথা হাদীস অনুবাদের সাথে জুড়ে দিয়েছেন.. আর আপনি এই জিনিস নিয়ে আসছেন আমার কাছে!! আর কোন মাসআলার সমস্য বলেন.. প্রত্যেকটা মাসয়ালায় দেখিয়ে দিব তারা এখানে ধোঁকাবাজি করেছে, কারচুপি করেছে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে...
..
বেচারা কথিত বাংলা বুখারী শরীফে এমন জালিয়াতি দেখে নির্বাক চলচিত্র হয়ে গেছে 
এবং আলহামদুলিল্লাহ্‌ কদিন পর ঘোড়ার লেজের মত হাত উঠানো ছেড়ে দিয়েছে।
...
...
পরিশিষ্টঃ
লাউ-মাযহাবীদের এমন কোনো গ্রন্থ নাই যেটাতে তারা মিথ্যাচার বা ধোঁকাবাজি করে না... এখন গাইরে মুকাল্লিদ আর ধোঁকাবাজ দুটি সমর্থক শব্দ হয়ে গেছে।
১। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন- যে আমাদের (মুসলমানদের) ধোকা দেয় সে আমাদের মধ্যে নয়।
-মুসলিম
২। যে যতবড় ধোকাবাজ সে ততবড় লা-মাযহাবী।
-প্রমাণিত
...
এবার সিদ্ধান্ত আপনিই নিন- "আপনি কি মুসলমান হবেন নাকি লা-মাযহাবী হবেন??"

--------
ফেবু লিংকঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/865187606904104
Share:

August 3, 2015

বড়দের গল্পঃ ২ (তালাকদাতা ডাক্তার সাহেব)

আজকের ঘটনাটি আমার মুহতারাম উস্তাদ হাফেজ মুফতী হেদায়াতুল্লাহ সাহেব দাঃবাঃ এর, উনার নিকট আমি জালালাইন শরীফ পড়েছি। উনি শায়খ মানসুর সাহেবের ছাত্র, তরুন আলেম, ইলম-কালাম মাশাআল্লাহ প্রচুর..
আলহামদুলিল্লাহ! হুজুরের মুসল্লি সংখ্যাও অনেক। এমনি ওয়াক্তিয়া নামাজে অন্তত সাড়ে ৫ থেকে ৭ শ, আর জুমার নামাজে আনুমানিক সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মুসল্লি হয়।
..
**অনেকের জানা না থাকতেও পারে, এজন্য ঘটনা শুরুর আগে একটা বিষয় জানিয়ে রাখা প্রয়োজনঃ আহলে হাদীসদের মতে ০+০+১ = ১ আবার ১+১+১ = ১ 😕 তথা এক তালাক দিলে এক তালাক, আবার তিন তালাক দিলেও এক তালাক। 😌😨
..
তো হুজুর একবার মসজিদে জুমার বয়ান করছিলেন, তখন সামনে থেকে এক গাইরে মুকাল্লিদ ডাক্তার সাহেব দাড়িয়ে গেল, হুজুর বয়ান থামিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ কি? কিছু বলবেন?
ডাক্তার সাহেব বললেনঃ একসাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক কিভাবে হয়?
হুজুর বললেনঃ মানে? কি বলতে চান আপনি? কি হবে তাহলে?

**ডাক্তার সাহেব পকেট থেকে ১টাকার ১টা কয়েন বের করে চারপাশের মুসল্লিদের দেখিয়ে বললোঃ আমার কাছে ১টাকার ১টা কয়েন দেখতে পাচ্ছেন, (এরপর ওই ১টাকার কয়েনটি কাউকে দেয়ার মত করে হাত নাড়িয়ে বললো) "আমি আপনাকে ১টাকা দিলাম, ১টাকা দিলাম, ১টাকা দিলাম!!" কত টাকা হলো??
পাশের মুসল্লিরা বললোঃ ১টাকা!
(what the logic) 😕



এবার হুজুর জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনার নাম কি?
লোকটি বললোঃ ডাঃ মিযানুর রহমান
তখন হুজুর নিজের বাম হাত মুসল্লিদের দেখিয়ে বললেনঃ মনে করুন এটা ডাঃ মিযান সাহেবের গাল! (তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে থাপ্পড় দিয়ে বললেন) আমি উনাকে ১ থাপ্পড় মারলাম! ১ থাপ্পড় মারলাম! ১ থাপ্পড় মারলাম! মোট কয় থাপ্পড় হলো?? 😄

 মুসল্লিদের মাঝে এবার হাসির রোল পড়ে গেলঃ সাড়ে ৩হাজার মুসল্লির সামনে ৩টি যৌক্তিক থাপ্পড় খেয়ে ডাক্তার সাহেব বসে গেলেন।
--
هذا ما عندى والعلم عند الله

--------
ফেবু লিংকঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/853703288052536
Share:

August 1, 2015

বড়দের গল্পঃ ১ (দাড়িওয়ালা যুবক)

ঘটনাটি আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী সাহেবের।
হযরতজ্বী একবার ব্রিটেন অথবা ইউএসএতে একটি প্রোগ্রামে ছিলেন, তখন কোনো ওয়াক্তের নামাজ শেষে মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে কুশল বিনিময় করছিলেন, ইমাম সাহেব অনেক পরহেযগার একজন বাংলাদেশী আলেম, বেশ নরম প্রকৃতির।
তখন এক গাইরে মুকাল্লিদ যুবক এসে ইমাম সাহেবকে বললোঃ "হুজুর! আমি দাড়ির মাসাইল জানতে চাচ্ছি, দাড়ি কাটতে কি রাসুল সাঃ কখনো নিষেধ করেছেন??"
ইমাম সাহেব বললেনঃ আপনি যদি দাড়ি কাটতে চান তাহলে এক মুষ্ঠি রাখার পর বাকি অংশ থেকে কাটতে পারেন।
যুবক বললোঃ এটা কোন হাদীসে আছে??
ইমাম সাহেব বললেনঃ এটা আছারে সাহাবা থেকে আমরা জানতে পারি। সাহাবায়ে কিরাম রাঃ সাধারণত এমনটাই করেছেন।
তখন যুবক বলছেঃ আমি সাহাবিকে মানতে যাব কেন? রাসুল সাঃ কি করেছেন সেটা বলেন!! রাসুল সাঃ কখনো দাড়ি কাটতে নিষেধ করেছেন কিনা সেটা বলেন??

** প্রিয় পাঠক, উক্ত ইমাম সাহেব একজন সাধারণ মানুষ, কোনো মহামানব বা অতিমানব নন। এজন্য রাসুল সাঃ এর ১০ লক্ষ হাদীসের মাঝে কোনো দুই-একটা বিষয়ের হাদীস জানা না থাকা এটা মানুষ হিসেবে খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। অথবা জানা থাকলেও হয়তো সেই মুহুর্তে তার স্মরণ না থাকতে পারে। এটিও মানুষ হিসেবে একটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। **

ইমাম সাহেব তখন তাকে বুঝাতে চেষ্টা করলেন যে, সাহাবায়ে কেরামগণ উম্মতের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। তারা সবচেয়ে বেশি মুত্তাকী এবং পরহেজগার, তারা যা করেছেন রাসুল সাঃ এর সম্মতি নিয়ে অথবা সরাসরি রাসুল সাঃ এর আমল প্রত্যক্ষ করেই সে অনুযায়ী করেছেন, আর তাদের কোনো কাজ দেখে যখন রাসুল সাঃ কোনো আপত্তি অথবা মন্তব্য করেননি বুঝতে হবে সেটা ইসলাম সমর্থিত বলেই রাসুল সাঃ নিরব ছিলেন। অতএব সেটাও সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।

কিন্তু যুবক তো নাছোড়বান্দা! তাকে হাদীস দেখানোই লাগবে। তাছাড়া মানবেই না। তখন পাশে বসা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী সাহেব দাঃবাঃ বললেন "হুযুর! আপনি যদি অনুমতি দেন আমি কিছু বলতে পারি।"
ইমাম সাহেব বললেনঃ জ্বী অবশ্যই..
ওলীপুরী সাহেব তো খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন এটা কোন ঘাটের মাঝি, আর একে কোন ডোজ দেয়া উচিত।
তখন হযরত বললেনঃ আপনি তো রাসুল রাসুল সাঃ কে মানবেন তাইনা?
যুবকঃ হ্যা, অবশ্যই!
হযরতঃ রাসুল যা করেননি আপনি তা করবেন না, যা করেছেন শুধু তাই করবেন তাই তো?
যুবকঃ হ্যা, তাই..
হযরতঃ তাহলে আপনি জীবনেও দাড়ি কাটতে পারবেন না। আপনার দাড়ি যত বড় হবে হোক! যদি ১০ হাত লম্বা হয়ে যায় তবুও এতে কাচি বা ব্লেড লাগাতে পারবেন না। কারন রাসুল সাঃ দাড়ি কেটেছেন বা চাচছেন এরকম কথা কোনো হাদিসেই নেই। আর আপনি যদি দাড়ি কাটতেই চান তবে সাহাবা রাঃ দের অনুসরণ করে একমুষ্ঠির পর কাটতে পারেন। 😄

فبهت الذي كفر

--------
ফেবু লিংকঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/852924738130391
Share: