[ক]
কোরআনুল কারিমের অনেকগুলো আয়াতে এমন কিছু বাক্য এসেছে- অধিকাংশ লোকই পথভ্রষ্ট, অধিকাংশ লোকই কাফির, অধিকাংশ লোকই ঈমান আনে না, অধিকাংশ লোকই আল্লাহকে বিশ্বাস করে সাথে শিরকও করে। ইত্যাদি..
ইদানীং এই আয়াতগুলোর অপব্যবহার হয়। বিশেষত: বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তার লোকেরা এগুলোকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে।
[খ]
তাদের কোন কাজের ব্যাপারে যদি আপনি আপত্তি তোলেন, “মুসলমানদের মাঝে তো এর প্রচলন নাই! কই পাইছেন এটা? অথবা আপনারা দু’চারজনই খালি ইসলাম বুঝলেন? বাকি সব মুসলমান গোমরাহ? অথবা সালাফদের বা বর্তমানের বড় বড় আলেমদের আদর্শের সাথেও তো আপনাদের যায় না।”
তখন তারা কোরআনের এই আয়াতগুলো দেখিয়ে বলবে, দেখসো? এখানে বলছে “অধিকাংশ মানুষই খারাপ”
[গ]
তখন আপনিও হয়তো বলবেন তাইতো!! কিন্তু আপনি যে জিনিসটা মিস করবেন, তা হচ্ছে- এই আয়াতগুলোতে অধিকাংশ মুসলিম বা অধিকাংশ আলেমের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে “অধিকাংশ মানুষ”।
আর মুসলমানদের চেয়ে যেহেতু কাফিরদের সংখ্যা অনেক বেশি। উইকি বলছে বিশ্বের জনসংখ্যার ২৪.১% মুসলমান, এখান থেকে আবার ৪% এর মত বাদ যাবে শিয়া হিসেবে। তাহলে ধরেন ২০% মানুষ মুসলমান। বাকি ৮০% কাফির। তাহলে তো কোরআন কথা ঠিকই আছে। অধিকাংশ মানুষ কাফির, মুশরিক, পথভ্রষ্ট ইত্যাদি…
কিন্তু এর দ্বারা তো কোনভাবেই প্রমাণ হয় না, অধিকাংশ মুসলমান অথবা অধিকাংশ আলেম পথভ্রষ্ট। (আল্লাহর পানাহ)
আল্লাহ যা বলেননি, সেটা দাবি এবং প্রচার করলে স্থায়ী ভ্রষ্টতা অবধারিত হয়।
[ঘ]
তার মানে আবার এটা মনে করবেন না, যে অধিকাংশ মুসলমান কিছু করলেই সেটা সঠিক হয়ে যাবে।
একটা হাদিস আছে এরকম- রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম বলেছেন, নিশ্চয় আমার উম্মত গোমরাহের ওপর একমত হবে না। (ইবনে মাযাহ, তাবারানী)
উম্মত বলতে যদি সমগ্র উম্মত উদ্দেশ্য হয়, তবে কোরআন আয়াত এটার সমর্থন করে এবং সে বিবেচনায় হাদিসের অর্থ সহিহ। কিন্তু এর সনদের ব্যাপারে মুহাদ্দিসিনের আপত্তি আছে, উমদাতুল ক্বারিতে বদরুদ্দিন আইনি রহ. এটাকে জয়ীফ বলেছেন।
এত কিছুর পরেও কেউ কেউ এই হাদিস দেখিয়ে বলতে চান, “অধিকাংশ মুসলমান গোমরাহ হবে না।” দুঃখিত এই হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণ হয় না! আর অধিকাংশ মুসলমান কোন কাজ করার দ্বারা ইজমা প্রমাণ হয় না। ইজমার শর্ত ভিন্ন…
[ঙ]
উপসংহার হচ্ছে, সংখ্যা কখনওই হক্বের মাপকাঠি না। এটা গণতন্ত্রে মোড়লগিরির মাপকাঠি। (কেউ বলেছিল, সংখ্যালঘুর ওপর সংখ্যাগুরুর শাসন চাপিয়ে দেয়াকে গণতন্ত্র বলা হয়!)
.
বেশিরভাগ অথবা অল্প সংখ্যক মুসলমান কোন কাজ করলে সেটা সহিহ বা গলত কোনটাই প্রমাণ হয় না। কোন কাজ সহিহ কিনা জানতে কোরআন-সুন্নাহ দেখতে হবে, সাহাবাদের ইত্তিবা করতে হবে, সালাফের বুঝ গ্রহণ করতে হবে।
.
তবে হ্যাঁ! শরিয়তে জমহুর (অধিকাংশ) আলেমদের মত, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। অনুরূপভাবে যাল্লাত শুযুযাত (বিরল ও বিচ্ছিন্ন মত) বাহ্যদৃষ্টে মজবুত মনে হলেও পরিহার্য।
..
আল্লাহ আমাদের হক্ব বুঝার এবং মানার তাওফিক দিক, আমীন!
কোরআনুল কারিমের অনেকগুলো আয়াতে এমন কিছু বাক্য এসেছে- অধিকাংশ লোকই পথভ্রষ্ট, অধিকাংশ লোকই কাফির, অধিকাংশ লোকই ঈমান আনে না, অধিকাংশ লোকই আল্লাহকে বিশ্বাস করে সাথে শিরকও করে। ইত্যাদি..
ইদানীং এই আয়াতগুলোর অপব্যবহার হয়। বিশেষত: বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তার লোকেরা এগুলোকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে।
[খ]
তাদের কোন কাজের ব্যাপারে যদি আপনি আপত্তি তোলেন, “মুসলমানদের মাঝে তো এর প্রচলন নাই! কই পাইছেন এটা? অথবা আপনারা দু’চারজনই খালি ইসলাম বুঝলেন? বাকি সব মুসলমান গোমরাহ? অথবা সালাফদের বা বর্তমানের বড় বড় আলেমদের আদর্শের সাথেও তো আপনাদের যায় না।”
তখন তারা কোরআনের এই আয়াতগুলো দেখিয়ে বলবে, দেখসো? এখানে বলছে “অধিকাংশ মানুষই খারাপ”
[গ]
তখন আপনিও হয়তো বলবেন তাইতো!! কিন্তু আপনি যে জিনিসটা মিস করবেন, তা হচ্ছে- এই আয়াতগুলোতে অধিকাংশ মুসলিম বা অধিকাংশ আলেমের কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে “অধিকাংশ মানুষ”।
আর মুসলমানদের চেয়ে যেহেতু কাফিরদের সংখ্যা অনেক বেশি। উইকি বলছে বিশ্বের জনসংখ্যার ২৪.১% মুসলমান, এখান থেকে আবার ৪% এর মত বাদ যাবে শিয়া হিসেবে। তাহলে ধরেন ২০% মানুষ মুসলমান। বাকি ৮০% কাফির। তাহলে তো কোরআন কথা ঠিকই আছে। অধিকাংশ মানুষ কাফির, মুশরিক, পথভ্রষ্ট ইত্যাদি…
কিন্তু এর দ্বারা তো কোনভাবেই প্রমাণ হয় না, অধিকাংশ মুসলমান অথবা অধিকাংশ আলেম পথভ্রষ্ট। (আল্লাহর পানাহ)
আল্লাহ যা বলেননি, সেটা দাবি এবং প্রচার করলে স্থায়ী ভ্রষ্টতা অবধারিত হয়।
[ঘ]
তার মানে আবার এটা মনে করবেন না, যে অধিকাংশ মুসলমান কিছু করলেই সেটা সঠিক হয়ে যাবে।
একটা হাদিস আছে এরকম- রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকম বলেছেন, নিশ্চয় আমার উম্মত গোমরাহের ওপর একমত হবে না। (ইবনে মাযাহ, তাবারানী)
উম্মত বলতে যদি সমগ্র উম্মত উদ্দেশ্য হয়, তবে কোরআন আয়াত এটার সমর্থন করে এবং সে বিবেচনায় হাদিসের অর্থ সহিহ। কিন্তু এর সনদের ব্যাপারে মুহাদ্দিসিনের আপত্তি আছে, উমদাতুল ক্বারিতে বদরুদ্দিন আইনি রহ. এটাকে জয়ীফ বলেছেন।
এত কিছুর পরেও কেউ কেউ এই হাদিস দেখিয়ে বলতে চান, “অধিকাংশ মুসলমান গোমরাহ হবে না।” দুঃখিত এই হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণ হয় না! আর অধিকাংশ মুসলমান কোন কাজ করার দ্বারা ইজমা প্রমাণ হয় না। ইজমার শর্ত ভিন্ন…
[ঙ]
উপসংহার হচ্ছে, সংখ্যা কখনওই হক্বের মাপকাঠি না। এটা গণতন্ত্রে মোড়লগিরির মাপকাঠি। (কেউ বলেছিল, সংখ্যালঘুর ওপর সংখ্যাগুরুর শাসন চাপিয়ে দেয়াকে গণতন্ত্র বলা হয়!)
.
বেশিরভাগ অথবা অল্প সংখ্যক মুসলমান কোন কাজ করলে সেটা সহিহ বা গলত কোনটাই প্রমাণ হয় না। কোন কাজ সহিহ কিনা জানতে কোরআন-সুন্নাহ দেখতে হবে, সাহাবাদের ইত্তিবা করতে হবে, সালাফের বুঝ গ্রহণ করতে হবে।
.
তবে হ্যাঁ! শরিয়তে জমহুর (অধিকাংশ) আলেমদের মত, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। অনুরূপভাবে যাল্লাত শুযুযাত (বিরল ও বিচ্ছিন্ন মত) বাহ্যদৃষ্টে মজবুত মনে হলেও পরিহার্য।
..
আল্লাহ আমাদের হক্ব বুঝার এবং মানার তাওফিক দিক, আমীন!
--------
0 comments:
Post a Comment