April 1, 2017

আল্লাহর ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ কেন ব্যবহার হয়েছে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো এরকম:
কোরআনে আল্লাহর ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ কেন ব্যবহার হয়েছে? অথচ আল্লাহ এসব থেকে পবিত্র!

জবাবঃ
এই আপত্তি মুলতঃ ব্যাকরণ সম্পর্কে মুর্খতার কারনে উঠেছে!
খেয়াল করুন, পাখা বা ফ্যান (আরবী : মিরওয়াহাতুন) তো স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু আসলেই আপনার ঘরের সিলিং ফ্যানটা কি মেয়ে?
কলম (আরবী : কলামুন) পুং লিঙ্গ, আসলে তাই নাকি?
আরো মজা দেখেন.. তালহা (ﻃﻠﺤﺔ ) কিন্তু শব্দের দিক থেকে দেখলে স্ত্রীলিঙ্গ! অথচ এটা পুরুষের নাম, যয়নব (ﺯﻳﻨﺐ) শব্দের দিক থেকে পুংলিঙ্গ অথচ এটা মেয়েদের নাম!!

বাস্তবতা হচ্ছে আরবিতে সব ইসম - ফেয়েল (বিশেষ্য - ক্রিয়া) যেকোনো ক্যাটাগরিতে ভাগ হয়ে যায়। পুং অথবা স্ত্রী, আপনি বললেন "সে করেছে" ( ﻓﻌﻞ ) অটোমেটিক এটা পুং এর ক্যাটাগরিতে পড়েছে। স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে বলতে চাইতে শেষে আলাদাভাবে 'তা' যোগ করতে হবে (ﻓﻌﻠﺖ ) অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে শব্দ পুংলিঙ্গ হিসেবেই প্রকাশ পায়।
মোটকথা, সব ক্ষেত্রে শাব্দিক গঠনের দিকে বিবেচনা করলে হয়না।
আরবী গ্রামারের বিরাট অংশ সিমাঈ.. মানে আরবে এটার এরকম প্রচলন, অতএব এটাই ব্যাকরণ!! এসব আরবদের কাছে শুনে বুঝতে হয়, ঘটনা আসলে কী...
তো আরবী গ্রামারের নুন্যতম ধারনা না থাকলে এগুলা প্যাচাল মাথার উপর দিয়ে যেতেই পারে, এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে।

তবে এখানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, আল্লাহকে ব্যখ্যা করার মত পর্যাপ্ত শব্দ মানুষের ভাষায় নাই, এজন্য আমরা আমাদের শব্দ দিয়ে সিফাতে বারী তা'আলা অল্পস্বল্প কল্পনা করি...
কবি বলেন.. (উর্দু বাক্য ইয়াদ নাই)
"যাকে এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়েই বুঝে আসে, সে কিভাবে খোদা হতে পারে? অনন্ত অসীম স্রষ্টার ক্ষেত্রে এটাই সমীচীন যে.. তাকে ভাবতে গেলে চিন্তাশক্তি হয়রান হয়ে আত্মসমর্পণ করবে...!"

Share:

0 comments:

Post a Comment