#ফ্যাক্ট_১:
ইসলামকিউএ.ইনফো আর ইসলামকিউএ.অর্গ ভিন্ন দুটি ওয়েবসাইট।
একটায় ভিন্ন ভিন্ন মাযহাবের বিভিন্ন দারুল ইফতার ফাতওয়া ইংরেজি ভাষায় সংকলন করা হয়েছে।
অপর ওয়েবসাইটের নিজেদের প্রশ্নোত্তর বিভাগ আছে, সেখানে নতুন-পুরাতন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। সেসব প্রশ্ন বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। এছাড়া সৌদি আরবের বাছাইকৃত কিছু আলেমের প্রবন্ধ প্রকাশ/অনুবাদও করা হয়।
#ফ্যাক্ট_২:
ইসলামকিউএর ফাতওয়া মানেই শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদের ফাতওয়া না। ইসলামকিউএতে প্রকাশিত সব ফাতওয়া উনি রিভিউ করেও দেননি।
আর শাইখ তো এখন জালিমের কারাগারে বন্দি, এখন কি ইসলামকিউএ চলছে না? মিনাসসাতুয যাদি চলছে না? শাইখ তো সেখান থেকে এসবের সম্পাদনা করেন না।
আরেকটা বিষয় হল, ইসলামকিউএতে শাইখ বিন বায, জিবরীন, উসাইমিন রহিমাহুমুল্লাহদের অনেকের প্রবন্ধই আছে। আর শাইখ মুনাজ্জিদ সালাফি আলেম হওয়া সত্ত্বেও উনাদের সাথে অনেক বিষয়েই শাইখের ইখতিলাফ আছে।
সুতরাং, ইসলামকিউএ তে কিছু লেখা আছে মানেই সেটা শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদের উক্তি না।
#ফ্যাক্ট_৩:
ইসলামকিউএ ডট ইনফো'র মন্তব্য বা ফাতওয়াতে কিছু আছে মানেই সেটার ওপর উম্মতের ইজমা— এমন নয়। ইসলামকিউএর বক্তব্য কুরআন হাদীসের নস-ও নয় যে, এটাই ইসলামী ইলমের মূল উৎস কিংবা এর ওপর ঈমান 'রাখতেই' হবে।
এই পোর্টালের প্রতিটা উত্তরদাতা - প্রবন্ধকার যেহেতু নির্দিষ্ট একটি ইসলামী ভাবধারার অনুসারী, অতএব ফাতওয়া দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেকে নিজ-নিজ মানহাজ এবং মাজহাবকেই প্রধান্য দিয়ে থাকেন।
এখন আপনি যদি বলেন ইসলামকিউএ-তে উত্তরদাতা কোরআন হাদিস ইজমা কিয়াসের আলোকে উত্তর দিচ্ছে। তবে আপনার জানা উচিত, আকাবির-আসলাফের মাঝে ইসলামকিউএ'র বিপরীত কোন মত প্রচলিত থাকলে সেটাও কোরআন - হাদীস... এর আলোকেই ছিল।
----
#এপেন্ডিক্স:
শরিয়ার সকল উসুল বিবেচনা না করে যাকে-তাকে তাকফির করা যেমন খুরুজ (খারিজিদের প্রবণতা), তেমনি সালাফের সকল মানহাজ বিবেচনা না করে যাকে-তাকে আহলুস সুন্নাহ থেকে বের করে দেয়া (তাখরিজ করা), কিংবা শুধুমাত্র নিজের মতকেই আহলুস সুন্নাহর মত বলে দাবি করা- এসবও এক ধরনের খুরুজ।
আল্লাহ যেন চিরকাল আমাদেরকে ঈমান ও হিদায়াতের ওপর অবিচল রাখেন।
0 comments:
Post a Comment