তাফসিরে মা'রিফুল কোরআন; হাল জামানার জন্য, আমার দেখা সেরা তাফসির।
এখানে রয়েছে কোরআন থেকে আলোচনা, হাদিস থেকে আলোচনা, সালাফের উদ্ধৃতি, বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ইত্যাদি।
হাঁ! এরেচেয়ে তথ্যবহুল তাফসির আছে, তাফসিরে রাযি (তাফসিরে কাবির নামেও পরিচিত) তাফসিরে কুরতুবি - এগুলোতে অনেক অনেক কিছু আছে, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত কলেবরে মাত্র ৮খন্ডে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোথাও নাই।
----
১. ইবনে কাসির কেন নয়? কেউ প্রশ্ন করতে পারেন।
উত্তর হচ্ছে, মারিফুল কোরআন পড়লে ইবনে কাসিরের তেমন কিছু বাদ থাকবে না আপনার, ক্ষেত্র বিশেষে ইবনে কাসিরের চেয়ে এখানে আরও বেশি পাবেন। উপরন্তু ভাষা সাবলীল এবং এই জামানার লেখা বিধায় বুঝতেও সহজ হবে।
স্রেফ হাদিসের জন্য বিশুদ্ধতার বিবেচনা করলে ইবনে কাসিরের চেয়ে তাফসিরে মাযহারিই এগিয়ে যাবে, মা'রিফুল কোরআন তো আরো উপরে। তবে হ্যাঁ.! আপনি ইবনে কাসির পড়তে পারেন, কোন সমস্যা নাই। আমি নিজেও দুইটাই দেখি।
-
২. আরেকটু বিস্তারিত বলেন -
: মারিফুল কোরআন মূলতঃ মুফতি শফি রহ. পাবলিক রেডিওতে ধারাবাহিক তাফসির আলোচনা করেছিলেন, সেটার লিখিত রূপ। তাই এটা মোটামুটি এ টু জেড জনসাধারণের উপযোগী।
আমার জানামতে, ইবনে কাসির হচ্ছে, তাফসিরে কুরতুবির সংক্ষিপ্ত রূপ, এর সাথে ইবনে কাসির রহ. অল্পকিছু কথা যোগ করেছেন। এখানে অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের জন্য অপ্রয়োজনীয়, অনেক কিছুই দুর্বোধ্য। (একভাই জানালেন, তাফসিরে তাবারিরর সংক্ষিপ্ত রূপ, আর ইফার অনুবাদের ভূমিকায় লিখেছে তাবারির এবং কুরতুবি দুইটার.. আল্লাহু আ'লাম, আমার ভুল হতে পারে)
যেমনঃ অনেক আয়াতের ক্ষেত্রে শুধু ব্যকরণ আর শব্দের আলোচনা করে ছেড়ে দিয়েছে, এবিষয়ে সালাফের কোন মন্তব্য বা হাদিস আনা হয়নি। এগুলা মাথার উপর দিয়ে যাবে, নইলে হুদাই মনে হবে। আর এটার মেইন ভার্শন, অর্থাৎ তাফসিরে কুরতুবি পড়তে গেলে প্রথম পারার তাফসির পড়ে শেষ করতে করতে বেশিরভাগ পাবলিকের ধৈর্য শেষ হয়ে যাবে।
তাফসিরে কাবির আরও বড় এবং তথ্যবহুল, তবে কিতাব নিয়ে সারাদিন বসে থাকলেও ক্লান্ত হবে না - এরকম জ্ঞানপাগল মানুষ ছাড়া এটা বেশিদূর পড়ার ধৈর্য হবে না। এজন্য এই জামানার মানুষদের জন্য সংক্ষিপ্ত এবং মাঝারি আকারের তাফসির পড়তে বলাই উত্তম। যেমন ময়দানের আলেমরাও এখন বলেন, মানুষের ধৈর্য কম, তাই অনলাইনের লেকচারগুলো শর্ট করতে।
-
৩. মারেফুল কুরআন সবখন্ড একত্রে একটা আছে (এটাই প্রসিদ্ধ) আরেকটি আছে ৮ খন্ডে। দুটি একই?
: না তবে সংক্ষিপ্ত টাতেও অনেক কিছুই চলে এসেছে। মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিযাহুল্লাহু) হুজুর ৮খন্ডটার ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েছেন। আমারও মনে হয়েছে সম্পূর্ণ ফায়দা পেতে ফুল ভার্শন পড়া উচিত।
তবে আপাতত হিসেবে সংক্ষিপ্তটা দেখতে সমস্যা নাই, বড়টা রিভিউ দিয়েই যেহেতু সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, তাই কিছু যায়গায় সংক্ষিপ্ত অনুবাদটা আরও উন্নত হয়েছে।
-
৪. অনেকে তো বিরোধিতা করে..
: এদের সবার অবস্থা মোটামুটি নিম্নরূপ -
১. "যেহেতু এটা আমাদের ফিরকার কারও সংকলিত না। সুতরাং এটা যত ভালোই হোক এটা বাদ। এটার ব্যাপারে মানুষের সামনে সত্য-মিথ্যা যা ইচ্ছা বলা যাবে.."
(এটা হচ্ছে শায়খ বা আলেম টাইপের কিছু লোকের মানসিকতা)
২. "এটা ওহাবিদের কিতাব, এরা মিলাদ করে না। মাজারে যায় না। সুতরাং এদের বই পড়া যাবে না.."
৩. "যদিও বা আমি জানিনা এখানে কি আছে, তবে যেহেতু আমার শায়খ অথবা পীর বা এটার বিরোধিতা করেছেন। সুতরাং এটার নামে সত্য-মিথ্যা যা খুশি বলা যাবে.."
(এটা শায়খ বা পীরদের অন্ধ অনুসারী বা পাগল ভক্তদের মানসিকতা)
৪. "ভাই! কথাগুলা ফেসবুকে পাইসি, তাই কপি মারলাম। এর বেশি কিছু জানিনা.."
(এরাই লিজেন্ড!)
.
বাদবাকি আপনার অন্তর আর আকল যদি মরে না যায়, তবে আপনাকে মারিফুল কোরআন পড়তে স্বাগতম। ইনশাআল্লাহ নিরাশ হবেন না...
হা! আওয়ামদের জন্য মুফতি শফি রহ. এর মারিফুল কোরআন। আর আলেমরা তো জানেনই... আপনাদের জন্য এটার সাথে ইদরিস কান্ধলভী রহ. এর মারিফুল কোরআনটাও দরকারি।
.
(পিডিএফ লিংক দেয়া হল, তবে কাগুজে বইয়ের মজা পিডিএফ-এ নাই, তা আর বলা লাগে?)
এখানে রয়েছে কোরআন থেকে আলোচনা, হাদিস থেকে আলোচনা, সালাফের উদ্ধৃতি, বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ইত্যাদি।
হাঁ! এরেচেয়ে তথ্যবহুল তাফসির আছে, তাফসিরে রাযি (তাফসিরে কাবির নামেও পরিচিত) তাফসিরে কুরতুবি - এগুলোতে অনেক অনেক কিছু আছে, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত কলেবরে মাত্র ৮খন্ডে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কোথাও নাই।
----
১. ইবনে কাসির কেন নয়? কেউ প্রশ্ন করতে পারেন।
উত্তর হচ্ছে, মারিফুল কোরআন পড়লে ইবনে কাসিরের তেমন কিছু বাদ থাকবে না আপনার, ক্ষেত্র বিশেষে ইবনে কাসিরের চেয়ে এখানে আরও বেশি পাবেন। উপরন্তু ভাষা সাবলীল এবং এই জামানার লেখা বিধায় বুঝতেও সহজ হবে।
স্রেফ হাদিসের জন্য বিশুদ্ধতার বিবেচনা করলে ইবনে কাসিরের চেয়ে তাফসিরে মাযহারিই এগিয়ে যাবে, মা'রিফুল কোরআন তো আরো উপরে। তবে হ্যাঁ.! আপনি ইবনে কাসির পড়তে পারেন, কোন সমস্যা নাই। আমি নিজেও দুইটাই দেখি।
-
২. আরেকটু বিস্তারিত বলেন -
: মারিফুল কোরআন মূলতঃ মুফতি শফি রহ. পাবলিক রেডিওতে ধারাবাহিক তাফসির আলোচনা করেছিলেন, সেটার লিখিত রূপ। তাই এটা মোটামুটি এ টু জেড জনসাধারণের উপযোগী।
আমার জানামতে, ইবনে কাসির হচ্ছে, তাফসিরে কুরতুবির সংক্ষিপ্ত রূপ, এর সাথে ইবনে কাসির রহ. অল্পকিছু কথা যোগ করেছেন। এখানে অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের জন্য অপ্রয়োজনীয়, অনেক কিছুই দুর্বোধ্য। (একভাই জানালেন, তাফসিরে তাবারিরর সংক্ষিপ্ত রূপ, আর ইফার অনুবাদের ভূমিকায় লিখেছে তাবারির এবং কুরতুবি দুইটার.. আল্লাহু আ'লাম, আমার ভুল হতে পারে)
যেমনঃ অনেক আয়াতের ক্ষেত্রে শুধু ব্যকরণ আর শব্দের আলোচনা করে ছেড়ে দিয়েছে, এবিষয়ে সালাফের কোন মন্তব্য বা হাদিস আনা হয়নি। এগুলা মাথার উপর দিয়ে যাবে, নইলে হুদাই মনে হবে। আর এটার মেইন ভার্শন, অর্থাৎ তাফসিরে কুরতুবি পড়তে গেলে প্রথম পারার তাফসির পড়ে শেষ করতে করতে বেশিরভাগ পাবলিকের ধৈর্য শেষ হয়ে যাবে।
তাফসিরে কাবির আরও বড় এবং তথ্যবহুল, তবে কিতাব নিয়ে সারাদিন বসে থাকলেও ক্লান্ত হবে না - এরকম জ্ঞানপাগল মানুষ ছাড়া এটা বেশিদূর পড়ার ধৈর্য হবে না। এজন্য এই জামানার মানুষদের জন্য সংক্ষিপ্ত এবং মাঝারি আকারের তাফসির পড়তে বলাই উত্তম। যেমন ময়দানের আলেমরাও এখন বলেন, মানুষের ধৈর্য কম, তাই অনলাইনের লেকচারগুলো শর্ট করতে।
-
৩. মারেফুল কুরআন সবখন্ড একত্রে একটা আছে (এটাই প্রসিদ্ধ) আরেকটি আছে ৮ খন্ডে। দুটি একই?
: না তবে সংক্ষিপ্ত টাতেও অনেক কিছুই চলে এসেছে। মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিযাহুল্লাহু) হুজুর ৮খন্ডটার ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েছেন। আমারও মনে হয়েছে সম্পূর্ণ ফায়দা পেতে ফুল ভার্শন পড়া উচিত।
তবে আপাতত হিসেবে সংক্ষিপ্তটা দেখতে সমস্যা নাই, বড়টা রিভিউ দিয়েই যেহেতু সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, তাই কিছু যায়গায় সংক্ষিপ্ত অনুবাদটা আরও উন্নত হয়েছে।
-
৪. অনেকে তো বিরোধিতা করে..
: এদের সবার অবস্থা মোটামুটি নিম্নরূপ -
১. "যেহেতু এটা আমাদের ফিরকার কারও সংকলিত না। সুতরাং এটা যত ভালোই হোক এটা বাদ। এটার ব্যাপারে মানুষের সামনে সত্য-মিথ্যা যা ইচ্ছা বলা যাবে.."
(এটা হচ্ছে শায়খ বা আলেম টাইপের কিছু লোকের মানসিকতা)
২. "এটা ওহাবিদের কিতাব, এরা মিলাদ করে না। মাজারে যায় না। সুতরাং এদের বই পড়া যাবে না.."
৩. "যদিও বা আমি জানিনা এখানে কি আছে, তবে যেহেতু আমার শায়খ অথবা পীর বা এটার বিরোধিতা করেছেন। সুতরাং এটার নামে সত্য-মিথ্যা যা খুশি বলা যাবে.."
(এটা শায়খ বা পীরদের অন্ধ অনুসারী বা পাগল ভক্তদের মানসিকতা)
৪. "ভাই! কথাগুলা ফেসবুকে পাইসি, তাই কপি মারলাম। এর বেশি কিছু জানিনা.."
(এরাই লিজেন্ড!)
.
বাদবাকি আপনার অন্তর আর আকল যদি মরে না যায়, তবে আপনাকে মারিফুল কোরআন পড়তে স্বাগতম। ইনশাআল্লাহ নিরাশ হবেন না...
হা! আওয়ামদের জন্য মুফতি শফি রহ. এর মারিফুল কোরআন। আর আলেমরা তো জানেনই... আপনাদের জন্য এটার সাথে ইদরিস কান্ধলভী রহ. এর মারিফুল কোরআনটাও দরকারি।
.
(পিডিএফ লিংক দেয়া হল, তবে কাগুজে বইয়ের মজা পিডিএফ-এ নাই, তা আর বলা লাগে?)
পিডিএফ ডাউনলোডঃ http://almodina.com/site_906.xhtml
------
Thanks you
ReplyDeleteBangla Islamic Song Download