August 28, 2015

বড়দের গল্প- ৪ (বুখারিওয়ালা যুবক)

আজকের ঘটনা মিরপুর আকবর কম্প্লেক্সের মুহতামীম মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন সাহেব হুজুরের, উনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা ঘটনায় যাচ্ছি...
.
এক লোক দাম্মাম থাকে, আগে যখন দেশে আসতো হুজুরের সাথে দেখা সাক্ষাত করতো.. সালাম-কালাম করতো। কিছুদিন আগে বেচারা আসছে কিন্তু হুজুরের সাথে আর দেখা করতে আসে না। হুজুর দেখে যে মসজিদে আসছে নামাজ পড়তে, আবার চলেও যাচ্ছে। কিন্তু হুজুরের সাথে আর দেখা করে না...
একদিন লোকটার শশুর এসে হুজুরকে বলছে- হুজুর 'ও' তো এখন আপনাকে খুব গালাগালি করে!!
হুজুর বললেন- কেন? তার কি ক্ষতি করছি?? 😟
লোকটার শশুর বললো- আপনি হানাফী তো... তাই
হুজুর বললেন- কি করার!! আমিতো মুখে বেড়া দিতে পারবো না...
.
একদিন এশার পরে শশুর আসলেন জামাইকে সাথে নিয়ে, বেচারার হাতে একটা বাংলা বুখারী।
এসে লোকটা বললো- হুজুর আমরা রুকুর সময় হাত তুলি, বুখারী শরিফে আছে, আপনারা তুলে না কেন??
হুজুর বললেন- না তোলার হাদীসও আছে
লোকটা বললো- না তুললে তো নামাজ হবে না!!
হুজুর বললেন- কিভাবে বুঝলেন??
লোকটা বললো- এই যে দেখেন বুখারীতে লেখা আছে..
..
হুজুর দেখলেন সেখানে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এর হাদীসটার পর এরকম লেখা আছে- ""ইমাম বুখারী রহ. জুযউ রাফউল ইয়াদাইন কিতাবে লেখেছেন 'রুকুর সময় হাত উঠানো ওয়াজিব!! যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে না উঠায় তার নামাজ হবে না; পুনরায় পড়তে হবে। যদি ভুলে বাদ দেয় তাহলে সাহু সিজদা দিলে নামাজ হয়ে যাবে!!!'""
.
একজনকে দিয়ে মাদরাসার লাইব্রেরি থেকে জুযউ রাফউল ইয়াদাইন কিতাব আনালেন, দেখলেন যে ইমাম বুখারী এসব কথা বলেননি। 😒
তখন হুজুর বললেন- দেখেন! আপনার আহলে হাদীস অনুবাদক যে ইমাম বুখারীর নামে কথাগুলো বললো অথচ এই দেখেন কিতাব- এখানে ইমাম বুখারী ওয়াজিবের কথাও বলেননি, নামাজ না হওয়ার কথাও বলেননি, সাহু সিজদার কথাও বলেননি। উনি এতগুলো মিথ্যা কথা হাদীস অনুবাদের সাথে জুড়ে দিয়েছেন.. আর আপনি এই জিনিস নিয়ে আসছেন আমার কাছে!! আর কোন মাসআলার সমস্য বলেন.. প্রত্যেকটা মাসয়ালায় দেখিয়ে দিব তারা এখানে ধোঁকাবাজি করেছে, কারচুপি করেছে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে...
..
বেচারা কথিত বাংলা বুখারী শরীফে এমন জালিয়াতি দেখে নির্বাক চলচিত্র হয়ে গেছে 
এবং আলহামদুলিল্লাহ্‌ কদিন পর ঘোড়ার লেজের মত হাত উঠানো ছেড়ে দিয়েছে।
...
...
পরিশিষ্টঃ
লাউ-মাযহাবীদের এমন কোনো গ্রন্থ নাই যেটাতে তারা মিথ্যাচার বা ধোঁকাবাজি করে না... এখন গাইরে মুকাল্লিদ আর ধোঁকাবাজ দুটি সমর্থক শব্দ হয়ে গেছে।
১। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেন- যে আমাদের (মুসলমানদের) ধোকা দেয় সে আমাদের মধ্যে নয়।
-মুসলিম
২। যে যতবড় ধোকাবাজ সে ততবড় লা-মাযহাবী।
-প্রমাণিত
...
এবার সিদ্ধান্ত আপনিই নিন- "আপনি কি মুসলমান হবেন নাকি লা-মাযহাবী হবেন??"

--------
ফেবু লিংকঃ https://web.facebook.com/thealmahmud/posts/865187606904104
Share:

0 comments:

Post a Comment