মুহতারাম মুসা আল হাফিজ বলেছেন-
"বাগানের সফলতা ডালের শাখায় ফুল ফোটানোতে, সমাজ ও সংঘের সফলতা ব্যক্তি ও সদস্যের বিকাশে!"
-
আমার পর্যবেক্ষণ হল একটা সোসাইটি, জামাআত বা সংস্থা হিসেবে তাবলীগ জামায়াতের এই দিকটায় বড় সমস্যা আছে। প্রচলিত তাবলীগ শখসিয়্যাতের বিকাশ ঘটানো দূরের কথা, ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে দেয়।
এটা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানহাজের মুওয়াফিক না। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, ভাবার্থ: মানুষেরা (স্বর্ণরৌপ্যের) খণির মত, জাহেলি যুগে যে উত্তম ছিল, ইসলাম গ্রহণ করেও সে উত্তম, যদি দ্বীনি ইলম অর্জন করে।
- বুখারি ও মুসলিম
.
সম্ভবত দাওরায়ে হাদিসের পরিক্ষা চলাকালীন একদিন, আমাদের শাইখ আল্লামা আহমাদ শফি হাফিযাহুল্লাহুর খাদেম ভাইদের রূমে বসে গল্পগুজব করছিলাম। কিছু তাবলীগি ভাই আসলেন তাশকিল করতে। ওখানে যেসব ছাত্রভাই ছিলেন, উনারা একেকজন বেশ যোগ্যতা সম্পন্ন আলেম। কেউ পরে ইফতার জিম্মাদার হয়েছেন, কেউ দাওয়াহ বিভাগের।
উনাদেরকে তাশকিল করছিল তাবলিগে এক বছর সময় লাগানোর জন্য। মুফতি **** ভাই বললেন, ভাই! অহেতুক আশা না দেই, আসলে আমার সময় নাই, অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আমাদের রূমে একটু আগেই তাশকিল হয়েছে, তবুও আমি তাবলিগি ভাইদের দিকে ঘুরে বসলাম। বললাম- "ভাই! আপনারা না ইলমের কদর করতে জানেন, আর না আহলে ইলমের সময়ের কদর করতে জানেন। এজন্য দ্বীনের ব্যাপারে একজন আনপড় লোকের চল্লিশদিন আর একজন আলেমের চল্লিশদিনের মাঝে আপনারা খুব একটা পার্থক্য খুজে পান না। আপনাদের তো উচিত ছিল একজন আলেম একটা ঘন্টা সময় দিলে সেটাকে গনিমত হিসেবে কদর করা। কি আর বলব ভাই..."
বেচারা ভাইটার চেহারা লাল হয়ে গেছে, বুঝলাম অনেক কষ্টে রাগ/অপমান হজম করছেন। আমি ঝামেলা না বাড়িয়ে আবার অন্য কাজে মন দিলাম।
যাহোক, শেষে আবার বলি, ট্রেডিশনাল তাবলিগ জামায়াত ভাইদের ব্যক্তিত্ব আর প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয়। এবং এটা সত্য...
"বাগানের সফলতা ডালের শাখায় ফুল ফোটানোতে, সমাজ ও সংঘের সফলতা ব্যক্তি ও সদস্যের বিকাশে!"
-
আমার পর্যবেক্ষণ হল একটা সোসাইটি, জামাআত বা সংস্থা হিসেবে তাবলীগ জামায়াতের এই দিকটায় বড় সমস্যা আছে। প্রচলিত তাবলীগ শখসিয়্যাতের বিকাশ ঘটানো দূরের কথা, ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করে দেয়।
এটা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মানহাজের মুওয়াফিক না। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেছেন, ভাবার্থ: মানুষেরা (স্বর্ণরৌপ্যের) খণির মত, জাহেলি যুগে যে উত্তম ছিল, ইসলাম গ্রহণ করেও সে উত্তম, যদি দ্বীনি ইলম অর্জন করে।
- বুখারি ও মুসলিম
.
সম্ভবত দাওরায়ে হাদিসের পরিক্ষা চলাকালীন একদিন, আমাদের শাইখ আল্লামা আহমাদ শফি হাফিযাহুল্লাহুর খাদেম ভাইদের রূমে বসে গল্পগুজব করছিলাম। কিছু তাবলীগি ভাই আসলেন তাশকিল করতে। ওখানে যেসব ছাত্রভাই ছিলেন, উনারা একেকজন বেশ যোগ্যতা সম্পন্ন আলেম। কেউ পরে ইফতার জিম্মাদার হয়েছেন, কেউ দাওয়াহ বিভাগের।
উনাদেরকে তাশকিল করছিল তাবলিগে এক বছর সময় লাগানোর জন্য। মুফতি **** ভাই বললেন, ভাই! অহেতুক আশা না দেই, আসলে আমার সময় নাই, অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আছি। আমাদের রূমে একটু আগেই তাশকিল হয়েছে, তবুও আমি তাবলিগি ভাইদের দিকে ঘুরে বসলাম। বললাম- "ভাই! আপনারা না ইলমের কদর করতে জানেন, আর না আহলে ইলমের সময়ের কদর করতে জানেন। এজন্য দ্বীনের ব্যাপারে একজন আনপড় লোকের চল্লিশদিন আর একজন আলেমের চল্লিশদিনের মাঝে আপনারা খুব একটা পার্থক্য খুজে পান না। আপনাদের তো উচিত ছিল একজন আলেম একটা ঘন্টা সময় দিলে সেটাকে গনিমত হিসেবে কদর করা। কি আর বলব ভাই..."
বেচারা ভাইটার চেহারা লাল হয়ে গেছে, বুঝলাম অনেক কষ্টে রাগ/অপমান হজম করছেন। আমি ঝামেলা না বাড়িয়ে আবার অন্য কাজে মন দিলাম।
যাহোক, শেষে আবার বলি, ট্রেডিশনাল তাবলিগ জামায়াত ভাইদের ব্যক্তিত্ব আর প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয়। এবং এটা সত্য...
0 comments:
Post a Comment