পোস্ট ১
বনি ইসরাইলকে আল্লাহ বসিয়ে রেখে মান্না-সালওয়া খাওয়াচ্ছিলেন। তাদের আল্লাহর এই নিয়ামত পছন্দ হইল না। তারা পেয়াজ-রসুন, ডাইল চাষ করে খাওয়ার জন্য আল্লাহর নিয়ামতের না-শোকরি করলো। ফলে আল্লাহর নিয়ামত তো উঠে গেলই। লানতও বর্ষন হইল।
আল্লাহ নারীদের জন্য স্বাভাবিক নিয়ম করছে স্বামীর ওপর ভরণপোষণের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে ঘর দেখাশোনা করো। সন্তান মানুষ করো। স্বামীর ভালোমন্দ খেয়াল রাখো। এরপর কারও "কোনো জরুরত ছাড়াই" যদি এক্সট্রা ইনকাম কইরা পিয়াজ-রশুন খাওয়ার শখ থাকে, তাহলে করো...।
এর কয়দিন পর me_too হ্যাশট্যাগ দিয়ে কোন যায়গায় কেমনে হেনস্তা হইছো সেই গল্প লেখবা এই আরকি...
(আল্লাহ নারীদের আখিরাতও সহজ করে দিয়েছে। হাদীসে বলা মাত্র ৪-৫টা জিনিস মেন্টেন করলেই জান্নাত নিশ্চিত। ছেলেদের জন্য তো বহুত পেইন। বুঝলি নারে বোন....।)
পোস্ট ২
পৃথিবীর সবাই যদি অভাবহীন হয়ে যায়। তবে দুনিয়ার সব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। চাউলের দোকানদারের অভাব না থাকলে কেন দোকান খুলবে? আর গোশতের দোকানিই বা কেন গোশত বিক্রির জন্য বসে থাকবে, যদি তার কোনো প্রয়োজনই না থাকে?
প্রকৃতির রীতিই এরকম যে একজন অন্যজনের ওপর নির্ভরশীল, বাঘ-হরিণ থেকে শুরু করে আপনি আমি পর্যন্ত।
যদি খাদ্যের জন্য কারও কোনো কোনো দোকান, বাজার বা সুপারশপের স্মরনাপন্ন না হওয়া লাগে, তাহলে উনারা কি খেয়ে বাঁচবে? আমি একজনের ওপর নির্ভরশীল, সে আরেকজনের প্রতি, সে আরেকজনের প্রতি। এটা একটা চেইন।
সুতরাং কারও ওপর নির্ভরশীল হওয়া মানেই খারাপ না। এটা দুনিয়ার নিজাম। আল্লাহ আমাদের মাঝে প্রয়োজন সৃষ্টি করেছেন, যাতে আমরা বেঁচে থাকি।
.
ফেমিনাতসিরা শেখায় হাজব্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল হইয়ো না, অনেক রিস্ক।
যদি - ডিভোর্স দেয়, মরে যায়, যদি না দেখে... ইত্যাদি। এগুলো কাল্পনিক ভীতি দেখিয়ে সংসার থেকে সরিয়ে রাখতে চায়।
এখান বিষয় হল, এই সমস্যাগুলোর পরিমাণ কত পার্সেন্ট? হাজারে কয়জন মানুষের সাথে এসব হয়েছে?
এরপর প্রশ্ন আসবে, নিজে ইনকাম করা কি রিস্ক ফ্রি?
যদি অফিসে যাওয়ার পথে নিজে মারা পড়েন, এক্সিডেন্টে পঙ্গু হয়ে যান, রেP হন, মলেস্T হন, ছিনতাইকারির হাতে পড়েন, অফিসের বস যদি লুচু হয়, পরিবার ছেড়ে কারও সাথে হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে যান, অফিসের নিয়ম মানতে গিয়ে যদি আল্লাহর অবাধ্য হন and so on....
এবং এই সমস্যাগুলোতে আক্রান্তের পরিমাণ কত পার্সেন্ট?
..
তাহলে আমরা দেখছি নারীরা নিজে কাজ করতে গেলে ঝুঁকি আরও শতগুণ বেশি। এবং এসব বিপদে অহরহই পড়ে। খুব কমই বাঁচতে পারে।
সুতরাং স্বামীর ওপর জীবিকার পেরেশানি ছেড়ে দিয়ে নিজে চিন্তামুক্ত হওয়াই বহুগুণ নিরাপদ। নইলে আরও বহুজনের দয়ার ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। বহুজনের দ্বারা 'আক্রান্ত' হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
---------
এবং এই সবগুলো অহেতুক পেরেশানির উৎস হচ্ছে আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল না থাকা।
ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন হাজেরা আলাইহাস সালামকে মক্কায় রেখে এসেছিলেন, তখন উনি আল্লাহর ওপর ভরসা না করে, স্বামীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলে আজকে উনার নামের পর কি আমরা দোয়া পড়তাম?
0 comments:
Post a Comment