চন্দ্রপূজা বিষয়ক এই কবিতাটার লেখক কে আসলে? এরকম জঘন্য একটা জিনিস আমাদের সমাজে কিভাবে পুশ করে দিয়েছে ভাবতেই গা ঘিন ঘিন করে।
পূরাতন কবিতা পড়েন টিকা-টিপ্পনি দিয়ে। নতুন করে মাথায় ঢুকবে।
-------
আয় আয় চাঁদ মামা [১]
টিপ দিয়ে যা[২]
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।[৩]
"ধান ভানলে কুঁড়ো দেব
মাছ কাটলে মুড়ো দেব
কাল গাইয়ের দুধ দেব
দুধ খাবার বাটি দেব" [৪]
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা।[৫]
--------
টিকাঃ
[১] দেবিকে মা বলে, সেই হিসেবে চন্দ্রদেবতাকে মামা।
[২] দেবতার আশীর্বাদ প্রার্থনা করছে।
[৩] সন্তানকে চাদের মত বিখ্যাত বা প্রশংসনীয় কিছু হওয়ার জন্য আবারও দেবতার আশীর্বাদের অনুরোধ করছে।
[৪] এই কয় লাইন হচ্ছে দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে পুজা হিসেবে কি কি উৎসর্গ করবে তার বর্ণনা।
[৫] এতকিছু দেয়ার বদলেও যেন দেবতা আশীর্বাদ করে সেজন্য অনুরোধ করেছে।
কমেন্ট থেকেঃ
Khandaker Ariful Haque
ভাইয়া এখানে যারা এই কবিতা ব্যবহার করে (মুসলিমরা), তারা কি আপনার বর্ণিত টিকাগুলোর উদ্দেশ্যে আবৃত্তি করে?
Abdullah Almahmud
বাংলা ছড়ার অনেকাংশ মানুষ অর্থ না বুঝেই আবৃত্তি করে। উদ্দেশ্য তো দূর কি বাত। ছন্দ মিলে, বলতে ভালো লাগে, তাই বলে। অনেক শিরকমিশ্রিত হিন্দি গানও একই কারনে গায়।
কিন্তু আমাদের বুঝা দরকার দীর্ঘ একটা সময় বাংলা সাহিত্যের বড় অংশ দাদাদের দখলে ছিল। তারা সাধ্যমতো তাদের ধর্মবিশ্বাস এখানে মিশিয়েছে।
Abdul Qader
বাংলা, হিন্দি, আরবী সবকিছুই মানুষ যাচাই ছাড়া গ্রহণ করে থাকে। এই যেমন- আরবী অক্ষরে লেখা জিনের বাদশাদের নামকেও মানুষ আল্লাহর নাম ভেবে গলায় ঝুলিয়ে রাখে।
Khandaker Ariful Haque
Abdullah Almahmud জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে চাঁদকে উল্লেখ্য করার উদ্দেশ্য যদি দেবতা না হয়, চাঁদ কোন কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক নয়, এটা যদি আকীদা হয়। তবে কি পাঠক শিরক করলো?
Abdullah Almahmud
Khandaker Ariful Haque না। বিশ্বাস ওরকম না হলে এখানে শিরক হবেনা, কিন্তু লা-ইয়ানি কাজ করার গুনাহ হবে। এসব কাজ শিরকের প্রতি সহনশীলতা তৈরি করে, তাই বিরত থাকা জরুরি।
------
0 comments:
Post a Comment