কথাগুলো অনেকের ভালো লাগবে না, তবুও বলতে হচ্ছে।
বিদআতি ব্যক্তির রিওয়ায়েত নেয়ার ব্যাপারে উসুল কী?
এক্ষেত্রে আলেমদের প্রসিদ্ধ উসুল হল, কোনো বর্ণনা যদি তার চিন্তাধারার দিকে আহ্বান করার দলিল হয়, সেটা গ্রহণ করা যাবে না। যেহেতু সে রাবি হওয়ার অন্যান্য যোগ্যতাসম্পন্ন সুতরাং অন্য বিষয়ের বর্ণনা নেয়া হবে। (এই হিসেবে সহিহাইনেও তাফযিলি শিয়াদের বর্ণনা এসেছে। অথচ আলী রা. এর ওপর শাইখাইন রা.কে প্রাধান্য দেয়া আহলুস সুন্নাতের ১০শিয়ারের মাঝে অন্যতম।)
মানুষ পারফেক্ট না। হওয়ার কথাও না। কিছু বিষয়ে মানুষের বিচ্যুতি থাকতেই পারে। আলেমরা যদি কারও এরকম বিষয় মার্ক করে থাকেন, তাহলে ওই ক্ষেত্রে আমরা তার মত মানবো না। (যেমন সৌদি কোনো আলেম এমবিএসের পক্ষে বলেছে, শাসকের আনুগত্যের সবক দিয়ে সবকিছুতে চুপ থাকতে বলেছে, তার মানে এই না তার বলা সবকিছুই ভুল। এই কারনেই তাকে শতভাগ বর্জন করা আবশ্যক না।।)
তবে হালের মডারেটদের ফিতনা অন্য লেভেলের। কেউ এই ফিতনায় আক্রান্ত হলে শরিয়ার সবকিছুতেই ঢিল দিতে থাকে। কোনো আলেমের ব্যাপারে যদি অন্যান্য আলেমরা নিশ্চিত করে থাকে যে, উনি শরিয়ার সব বিষয়ে ছাড়াছাড়ি করে, তাহলে আমভাবে তার ফাতওয়ার বিষয়ে পরহেজ করতে হবে।
প্রথম অংশের আরও স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আহলে হাদিস আলেমদের ভুলত্রুটির কথা যেসব আলেমরা বলেন, তাদের অনেকেই আবার সুলাইমান মানসুরপুরি রহ. অথবা সফিউর রহমান মুবারকপুরি রহ. এর লেখা সিরাত ও প্রাসঙ্গিক বইগুলোর প্রতি মুগ্ধতা জানিয়েছেন। অপরদিকে সুলাইমান নদবী রহ. এর প্রশংসা করার পরেও উনার কিছু কিছু লেখা পড়তে নিরুৎসাহিত করেছেন মানুষকে।
এগুলো কমন সেন্সের বিষয়।
0 comments:
Post a Comment