এক বিয়ের মাসয়ালার সাথে দুই-চার বিয়ের মাসয়ালায় খুব বেশি একটা পার্থক্য নেই।
প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রেও হক আদায় করা জরুরি, চতুর্থ বিয়ের ক্ষেত্রেও তাই।
যে একটাও বিয়ে করেনাই, আর বিয়ে না করলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা আছে, তার সামর্থ্য থাকলে প্রথম বিয়ে ওয়াজিব। একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়, যে আরেকটা বিয়ে না করলে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশংকা আছে, সামর্থ্য থাকলে তার আরেকটা বিয়ে ওয়াজিব। বউ মাইন্ড করলে তো ওয়াজিব রহিত হবে না, আমলনামা লেখার ফেরেশতাও গুনাহ লেখা বন্ধ করবে না, তাইনা?
নেগেটিভ সাইড থেকেও একই কথা, যার সামর্থ্য নাই, তার জন্য একটা বিয়ে করাও দুরস্ত নাই। হাদিসের ভাষ্য "ফা ইন লাম ইয়াসতাত্বিই..." (যদি কারও সামর্থ্য না থাকে, সে গুরুত্বের সাথে রোজা রাখুক) থেকে তো এটাই বের হচ্ছে। একাধিক স্ত্রীর ওপর জুলুম করা জায়েজ নাই, এক স্ত্রীর ওপর জায়েজ আছে নাকি?
নাকি দুদিন পর হক নষ্ট হওয়ার দোহাই দিয়ে সমগ্র বিবাহরীতির বিরুদ্ধেই সেক্যুদের সাথে সুর মেলাবেন?
পরের বিষয় হল, সক্ষমদের জন্য একাধিক বিয়েই ন্যাচারাল। এজন্য আল্লাহ তা'আলা আগে ২, ৩, ৪ বিয়ের কথা বলেছেন, এরপর বলেছেন না-পারলে একটাই করো। এখানে বিষয় হল, মানবজাতি টিকে থাকা, উপরন্তু নিজের চরিত্র হিফাজত করা। এজন্য যার যার প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুসারে বিয়ে করবে। এখন এটাকে কেন আপনারা নেগেটিভলি দেখবেন? কারণটা কী?
সোর্স- https://web.facebook.com/almahmud1234/posts/594985665166898
0 comments:
Post a Comment