February 23, 2023

রুকইয়াহ বইয়ের ভূমিকা (২য় সংস্করণ)

 

 লেখকের কথা (২য় সংস্করণ)

এক.

আলহামদুলিল্লাহ ! দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রুকইয়াহ বইটি এখন আপনার হাতে। বইটির প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ২০১৮ সনের অক্টোবরে। এটা বইয়ের দ্বিতীয় প্রকাশ।

সত্যি বলতে এটা নিয়ে আমার না বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল, আর না তেমন কোনো যোগ্যতা। যখন যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হয়েছে, আল্লাহ্‌ তাআলাই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সকল প্রশংসার হকদার আমার রব আল্লাহ্‌ !

রুকইয়াহ শারইয়ার গুরুত্ব নিয়ে বইয়ের ভেতর আলোচনা হয়েছে, তাই সে প্রসঙ্গে এখানে আর না বলি।

তবে একটা বিষয় কি, যখন দেখতাম জিন শয়তানেরা মানুষকে নিয়ে যেমন ইচ্ছা খেলছে, মানুষ তাদের ভয়ে ফ্যাঁকাসে মুখ নিয়ে রাত কাটাচ্ছে, জীবন থেকে নিরাশ হয়ে যাচ্ছে;  অপরদিকে মানুষ শয়তান-কবিরাজ-জাদুকরগুলো আল্লাহর জমিনে ইচ্ছেমত শয়তানি করে যাচ্ছে, এদের জন্য কারও ঘ্র ভাঙছে, কেউ বছরের পর বছর ধরে অসুস্থ হয়ে থাকছে, কারও বারবার মিসক্যারেজ হচ্ছে, অথচ প্রচন্ড মেধাবী ছাত্রীর দিনে দিনে সব কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে; এত কিছুর পরেও কবিরাজদের কেউ কিছুই বলছে না। তাদের কুফরী- শিরকী কর্মকান্ডের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষ তো বটেই, সামান্য কিছু হলে মাদরাসাপড়ুয়ারা পর্যন্ত কাফির তান্ত্রিক-কবিরাজের দরজায় ধরণা দিচ্ছে। অবচেতন মনে পুরো সমাজ এই শয়তানগুলোকে বসিয়ে রাখছে রবের আসনে। আল্লাহর পানাহ ! আমি তখন এই বিষয়গুলো মেনে নিতে পারতাম না, হিসাব মিলত না, এমন কেন হবে?

আমার কাছে সবচেয়ে বেশি জঘন্য মনে হতো কাউকে নিজের ইচ্ছার বিপরীতে বাধ্য করার বিষয়টা। যেমন ধরুন, একটা মানুষের ওপর জিন ভর করে তার শরীর ব্যবহার করে কথা বলছে, যা খুশি করছে, অথবা কাউকে বশ করে যা ইচ্ছা করানো হচ্ছে, অথবা দুজনের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানো হচ্ছে। আরও খারাপ লাগত যখন দেখতাম মানুষ সেগুলো চেয়ে চেয়ে দেখতে , কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কবিরাজদের দরজায় ঘুরে ঘুরে দুনিয়া-আখিরাত সব নষ্ট করছে। এগুলো আমার কাছে মনুষ্যত্বের অবমাননা মনে হতো। অনুভব করতাম এখানে অন্য কিছু হওয়া উচিত, যা হচ্ছে না।

যা হোক, আল্লাহর শোকর! দেরিতে হলেও আমাদের দেশে রুকইয়াহ শারইয়াহ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে । এখন অনেকেই রুকইয়াহ বিষয়ে জানছে। ইসলাম সম্মত স্প্রিচ্যুয়াল হিলিং দিনদিন জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য হচ্ছে। তবে এতটুকুতেই সন্তুষ্ট হলে চলবে না, শয়তান বসে নেই, আমাদেরও বসে থাকা যাবে না, সচেতন মানুষের সংখ্যা হাজার থেকে লাখে, লাখে থেকে কোটিতে নিয়ে যেতে হবে। সর্বাত্মকভাবে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুমকেই চালু করতে হবে। সত্যি বলতে, জিন –জাদুর সমস্যাগুলো সমাজে মহামারির মত ছড়িয়ে আছে অথচ সমাধান মাত্র গুটিকয়েক মানুষের  হাতে বন্দি থাকবে, এমনটা হওয়ার কথা না। যে জিনিসের প্রয়োজন বেশি তার লভ্যতাও সহজ হওয়া উচিত।

এই গ্রস্থে আমরা সেলফ রুকইয়াহ-তথা প্রফেশনাল কারও সহায়তা ছাড়া, নিজেই নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য রুকইয়াহ করার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং সেভাবেই পুরো গ্রস্থের অধ্যায়গুলো সাজিয়েছি। আমার জানামতে যা প্রচলিত অন্য কোনো গ্রস্থে করা হয়নি। তবে হ্যাঁ! এর পাশাপাশি প্রফেশনাল রাক্বীদের জন্যও এটা উপকারী গাইডবুকের কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

দুই.

বইটি লিখতে গিয়ে বারবার থেমে গিয়েছি। পারপার্শ্বিক অবস্থা, অলসতা আর শয়তানের কুমন্ত্রণার জন্য অল্প কাজ করতেও অনেক দেরি হয়েছে। মাঝেমাঝে উস্তায মুহাম্মদ তিম হাম্বলকে মেইল করেছি ‘উস্তায, আমি আর পারছি না!’ উনি উৎসাহ দিএছেন, সাহস জুগিয়েছেন, দু’আ করেছেন। মাঝেমাঝে উনি আমাকে সূক্ষ্ম বিষয়ে রিমাইন্ডার দিতেন, যেগুলো চলার পথে শক্তি যোগাত। একদম প্রথম মেইলের রিপ্লাইতে বলেছিলেন (ভাবানুবাদ) ‘বাঙালি কমিউনিটিতে এসব শয়তানির চর্চা সবচেয়ে বেশি, তুমি এমন জায়গায় রুকইয়াহ নিয়ে কাজ করছ, যেখানে শয়তানি জাদুর ছড়াছড়ি অথচ সুন্নাহসম্মত স্মাধান খুবই বিরল। খুব সতর্কতার সাথে কাজ করবে আর নিজের শত্রুর চেয়ে গুনাহের ব্যপারে বেশি বয় করবে। কারণ, তোমার শত্রু তোমাকে ধ্বংস করতে পারবে না, কিন্তু তোমার গুনাহ শত্রুকে সুযোগ করে দিতে পারে তোমার ক্ষতি করার।’

এছাড়া অনেক উস্তায, সহপাঠী এবং বড়ভাই এই কাজের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন, সহায়তা করেছেন। আল্লাহ্‌ তাদের উত্তম প্রতিদান দিক।

রুকইয়াহ শারইয়ার কাজটি এতদূর আসা এবং এতদিন এই মেহনতে অটল থাকার পেছনে আরেকজনের বড় অবদান রয়েছে। আমার ভাতিজী। তার জন্য দিল থেকে অনেক অনেক দু’আ রইলো। আল্লাহ্‌ দুনিয়া এবং আখিরাতে সর্বদা তাকে রহমতের চাদরে ঢেকে রাখুক।

জানিয়ে রাখা ভালো, এই বইয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর বিরাট একাংশ জেনেছি উস্তায মুহাম্মদ তিমের প্রবন্ধ, দরস এবং ওয়ার্কশপের আলোচনা থেকে। আরেকটি অংশ পেয়েছি শাইখ ওয়াহিদ আব্দুস সালামের কয়েকটি বই থেকে (এসবের নাম গ্রন্থের শেষে বলা হয়েছে)। ব্যক্তিগত অনুসন্ধান এবং অভিজ্ঞতা তো আছেই, এছাড়া আমার দুজন শাইখ মুফতি কেফায়াতুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ) এবং হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী (রহিমাহুল্লাহ) এর হাদিসের দরস এক্ষেত্রে অনেক উপকারি ভূমিকা পালন করেছে। আল্লাহ্‌ উনাদের ইলম এবং বরকত দ্বারা আমাদের আরও উপকৃত হওয়ার তাওফীক দিক।

তিন.

পেছনের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ, এখানে সেগুলো বলে অহেতুক কালক্ষেপণ না করি। সারাংশ হচ্ছে, ফেসবুকে রুকইয়াহ শারইয়াহ সিরিজ শুরু করার মাসখানের পরেই কিছু ভাই এবং ইস্তায পরামর্শ দিয়েছিলেন সব লেখা একসাথে করে যেন বই বানিয়ে ফেলি। লেখার সংখ্যা প্রায় ৫০ ছাড়িয়ে যাবার পর সেগুলো একত্র করা হয়, এরপর দীর্ঘ সময় নিয়ে সেগুলোকে বইয়ের ধাঁচে নিয়ে আসা হয়। এতে লেখাগুলোর লাইনে লাইনে এসেছে ব্যপক পরিবর্তন। এরপর প্রায় সমপরিমাণ লেখা নতুন করে যোগ হয়। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপের এডমিনরা যথেষ্ট সহায়তা করেছেন, তাদের ছাড়া এই কাজ শেষ করা অনেক কঠিন হত। এরপর প্রকাশনী সংশ্লিষ্ট ভাইয়েরা এবং শ্রদ্ধেয় সম্পাদকদ্বয় প্রচুর ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতা আর ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও উনারা এত বড় কাজটা হাতে নেয়ার সাহস করেছেন, এরপর যত্নের সাথে সমাপ্তও করেছেন। আল্লাহ্‌ যেন সংশ্লিষ্ট সকলকে দুনিয়া এবং আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দেন। ইখলাসের যারা যারা এদেশে রুকইয়াহ শারইয়াহ নিয়ে কাজ করছেন, আগামীতে করবেন সবার ওপর রহমত বাযিল করেন। প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেন, সব ধরনের শয়তানি চক্রান্ত আর বিপদ আপদ থেকে হিফাজত করেন, আমীন।

চার.

বইটি কিভাবে পড়বেন?

১. মানুষ শয়তান এবং জিন শয়তানের ভয় আপনার মন থেকে এখনই বের করে ফেলুন। মনে রাখবেন, আমরা আল্লাহর বান্দা এবং আল্লাহ্‌ই আমাদের জন্য যথেষ্ট ।

২. এই সমাজে কুফরি জাদু যেহেতু খুবই সহজলভ্য, তাই আপনার জন্য উচিত হল এখন থেকেই নিজের হিফাজতের জন্য প্রতিদিনের মাসনূন আমল এবং যিকর-আযকার নিয়মিত পালন করা শুরু করে দেয়। আর মাঝে মাঝে রুকইয়ার গোসল করা। যাতে জিন, জাদু, নজর ইত্যাদির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন, আর সামান্য প্রভাব পড়লেও সেটা বেড়ে ওঠার আগেই যেন ঠিক হয়ে যায়।

৩. এই বইয়ের বেশিরভাগ আলোচনাই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এগিয়ে নেয়া হয়েছে, পরের অধ্যায়গুলোর আলোচনা অনেকাংশেই পূর্বের অধ্যায়ের ওপর নির্ভরশীল। তাই শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে না পড়ে, মাঝ থেকে শুরু করলে অনেকেই অনেক কিছু বুঝবে না। বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত।

৪. আরেকটা বিষয় হল, এই বইয়ে যা পড়বেন, মাঝেমাঝে সেটা নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করুন। সম্ভব হলে সোশ্যাল মিডিয়া বা রোজনামচার খাতায় সারাংশ লেখার চেষ্টা করুন । আর যদি থিওরিগুলো সরাসরি প্রয়োগ করার সুযোগ থাকে, তাহলে প্রথম থেকেই প্রাকটিস শুরু করে দিন। গতানুগতিক আর দশটা বইয়ের মতো শুধু পড়ে এই বইটি শেষ করে দিলে দিন শেষে খুব  বেশি ফায়দা পাবেন না। সাধারণ পাঠক হলে এটা সাধারণ পরামর্শ আর এ বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে চাইলে এটাকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করুন।

৫. এই প্যারানরমাল বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকলে অনেকে এক ধরনের ওয়াসওয়াসায় ভোগে, তখন যেকোনো সমস্যার সাথেই জিনভূতের কানেকশন অথবা জাদুর গন্ধ খুঁজে পায়। ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান এই প্রবণতা থেকে বহুক্রোশ দূরে, তাই সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে এসব থেকে ছুটি নিয়ে কিছুদিন অন্যান্য কাজে সময় দিবেন।

৬. অকারণে ঝুঁকি নিতে যাবেন না, যা বুঝবেন, তা করতে যাবেন না। বিষয়গুলো সহজ ভাষায় উপস্থিতি আপনার জন্য সহজই হবে।

৭. এমন পরিস্থিতিতে যদি পড়েন, কী করতে হবে কিছুই বুঝতে পারছেন না। এই বই উল্লেখিত সব পদ্ধতি অনুসরণ করা শেষ, অথবা এরকম পরিস্থিতে কি করতে হবে সে ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি, তাহলে নফল নামাযে দাঁড়িয়ে যান, আল্লাহর কাছে সাহায্য চান, খুব বেশি বেশি ইস্তিগফার এবং দু’আ করুন। আল্লাহ্‌ আপনার জন্য যথেষ্ট হবেন…

পাঁচ.

 দুটি বিষয়ে বলে রাখা ভালো,

গতবার বই প্রকাশের পর আমার পরিচিত অনেকে যে সমস্যায় পড়েছেন তা হল, অনেক পাঠক আমার সাথে যোগাযোগের ঠিকানা বা ফোন নাম্বারের জন্য পিড়াপীড়ি করেছেন। সত্যি বলতে আমার একার পক্ষে এতজনকে হেল্প করা দুঃসাধ্য ব্যপার, অনেকের তেমন কোনই দরকার নেই, বইয়ের তাঁর চিকিৎসা দেয়া আছে, ‘মনের সান্ত্বনার জন্য’ আমাকে খুঁজে বেড়িয়েছেন ! আগামীতে কেউ এমনটা না করলে ভাল হয়। এই বইয়ে রুকইয়াহ বিষয়ে তথ্য আছে, আল্লাহর ওপর ভরসা সেগুলো অনুসরণ করতে থাকুন। আর একান্তই পরামর্শের দরকার হলে রুকইয়াহ শারইয়াহ নিয়ে আলোচনা এবং একে অপরকে সহায়তার জন্য আমাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে “রুকইয়াহ সাপোর্ট গ্রুপ – Ruqyah Support BD” সেখানে আপনার সমস্যা লিখে পোস্ট করতে পারেন।[1]

আর রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডির একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে, যেখানে রুকইয়াহ বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধ, রুকইয়ার অডিও, ভিডিও, পিডিএফ, অ্যাপস ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পাওয়া যাবে।[2]

ছয়.  

গ্রস্থের এই সংস্করণে কিছু পরিবর্তন এসেছে, জাদু সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কিছু অংশের পুনরাবৃত্তি হয়েছিল, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। ওয়াসওয়াসার আলোচনাটা ঢেলে সাজিয়েছি, সেখানে কিছু অংশ বাদ দিতে হয়েছে। বিভিন্ন অধ্যায়ে উদাহরণ হিসেবে দেয়া পূর্বের ঘটনাগুলোর কিছু বাদ দিয়েছি, আর কিছু নতুন যুক্ত করেছি। কিছু রেফারেন্স বাদ পড়েছিল, সেগুলো যুক্ত করে দেয়া হয়েছে আর মুদ্রণপ্রমাদ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। আর মাঝেমাঝে ছোটখাটো সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। আল্লাহ্‌ যতদিন হায়াতে রেখেছেন, ইনশাআল্লাহ  এই সংশোধনের ধারা চলতে থাকবে।

সাত.

চেষ্টা করেছি আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটা উপস্থাপন করতে। তবুও মানুষের রচিত গ্রস্থ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই কিছু ভুল থেকে যাবে। যদি এমন কিছু আপনার দৃষ্টিগোচর হয়। তাহলে অবশ্যই  আমাকে জানাবেন।[3] ৩ 

আর যে ভাই অথবা বোন এই বইটি পড়বেন, অনুগ্রহ করে আমার জন্য একটু আল্লাহর কাছে দু’আ করবেন। বেঁচে থাকলে যেন হিদায়াতের ওপর থাকি, আর মরে গেলে যেন আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত হই।

আল্লাহ্‌ আমাদের চিরকাল তাঁর সন্তুষ্টির ওপর থাকার তাওফীক দিন, আমীন !

 

আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 



[1] গ্রুপের লিংক- facebook.com/groups/ruqyahbd

[2] ওয়েবসাইটের ঠিকানা- www.ruqyahbd.org

[3] ফেসবুক প্রোফাইল - facebook.com/thealmahmud 

Share:

0 comments:

Post a Comment