ভালোবাসার কি যেন একটা ভাষা আছে, যেটা খুব সহজে মানুষকে কাছে টানে। অক্ষরবাদ কিংবা নিরেট টেক্সট ভিত্তিক দাওয়াহ মানুষকে অত সহজে টানতে পারে না।
নজরুলের কামলিওয়ালা নাতের ব্যাপারে বিভিন্ন অমুসলিমদের রিয়েকশন দেখছিলাম। এক কথায় এমেইজিং। একেতো এমনিতেই শ্রুতি আছে এই নাতের সুর নজরুল দেয়নি, বরং চিত্তরঞ্জন রায় দিয়েছে!! এরপর এতবছর পরও মানুষকে এভাবে টানার বিষয়টা অভূতপূর্ণ।
বলছিলাম ভালোবাসার ভাষার কথা। এই বাররে সগিরের সালাফরা, যারা এই অঞ্চলে ইসলাম এনেছেন। তারা আম মানুষকে কিন্তু এই ভাষাতেই দাওয়াত দিয়েছেন। তবে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে আল-ক্বওলুস সওয়ারিম প্রয়োগ করেছেন, সেটা আওর বাত।
আমার মন বলে, হালজামানায় গণহারে ইরতিদাদের দিকে ছোটার একটা কারণ হল অক্ষরবাদিতা। এটা স্রেফ নজদিদের ঘাটতি না। বরং আমরা অনেকেই এর দ্বারা ইনফেক্টেড।
আপনি মানুষকে কবিতা/শে'র আবৃত্তি করতে দিবেন না। গজল গাইতে দিবেন না। তারা করবেটা কি? লাস্টে কা ফিরদের মত মিউজিকে ডুব দিবে।
শত শত আইটেমের খানা। স্ট্রিমিং করার মত লিমিটলেস উপাদান। জ্ঞান পিপাসুদের জন্যও আছে কোটি টেরাবাইটের তথ্য ভাণ্ডার। তবুও কিসের যেন একটা শূন্যতা চারপাশে।
আত্মার এই অতৃপ্তি থেকে পশ্চিমের বহু মানুষ তাসাউফের দিকে ঝুঁকছে, কিন্তু তাদের খুব সামান্য অংশই মিলছে সালাফদের মানহাজে। অমুসলিমদের মেডিটেশনের দল তো ভারী হচ্ছেই, মুসলিমদের অধিকাংশও থাকছে শিয়াদের মত বিকৃত কিছু রিচ্যুয়ালে সীমাবদ্ধ। এই মানুষগুলোর আত্মা কিছু চায় ভাই! শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় সেটা নাই। কোনো কালেই ছিল না।
-----
৩১ মে, ২০২১। [মূল লেখার লিংক]
..
কমেন্টবক্স থেকে-
ইসলামি সংস্কৃতির কথা বলতে বলতে অনেকে ঘুরেফিরে পশ্চিমাদের সংস্কৃতিরই ইসলামি ভার্শন বের করে। এটার ফলাফল দিনশেষে বড় একটা গোল্লা।
উদাহরণস্বরূপ, মিউজিক দেয়া নাশিদ, রিমিক্স তিলাওয়াত! এগুলা ভাই ওদেরই অনুসরণ। এসবে আমাদের সংস্কৃতি পুনর্জিবন পাবে না।
0 comments:
Post a Comment