মুসা আলাইহিসসালাম যখন ফেরাউনের কাছে দাওয়াত নিয়ে যাওয়া শুরু করলেন, তখন ফেরাউন প্রথমে কয়েকবার বাদানুবাদ করেছে।
কিন্তু যখন বারবার দলিল-প্রমাণে হেরে গিয়েছে, আদর্শ দিয়ে আদর্শের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন সে মুসা আলাইহিসসালামকে পার্সোনাল এটাক করা শুরু করেছিল।
কিন্তু যখন বারবার দলিল-প্রমাণে হেরে গিয়েছে, আদর্শ দিয়ে আদর্শের মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন সে মুসা আলাইহিসসালামকে পার্সোনাল এটাক করা শুরু করেছিল।
আল্লাহ তায়ালা কয়েক যায়গায় এরকম ঘটনা বর্ণনা করেছেন-
“এই হীন লোকটি (মূসা) থেকে কি আমি শ্রেষ্ঠ নই? সে তো স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারে না।” (Zukhruf 43:52)
কখনও কখনো মুসা আলাইহিসসালাম তার কাছে বড় হয়েছে, এসব নিয়েও কথা বলতো, খোটা দিত-
“ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে একটি শিশু হিসেবে আমাদের মধ্যে লালনপালন করিনি? আর তুমি তো তোমার বয়সের অনেকগুলো বছর আমাদের মধ্যে কাটিয়েছো।” (Shu'ara' 26:18)
ফেরাউন আল্লাহর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিল না, মুসা আলাইহিসসালাম তার চেয়ে বয়সে কত ছোট, অথচ আল্লাহ উনাকে মনোনীত করলেন প্রতিনিধি হিসেবে।
যে ছেলে ছোট থেকে তার বাড়িতে, তার কাছেই মানুষ হয়েছে, আজ সেই ছেলের ওপরেই ঈমান আনতে হবে?
যে ছেলে ছোট থেকে তার বাড়িতে, তার কাছেই মানুষ হয়েছে, আজ সেই ছেলের ওপরেই ঈমান আনতে হবে?
ফেরাউন মাঝেমাঝে একদমই হুশ হারিয়ে গালাগালি করতো-
"ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূল নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।" (Shu'ara' 26:27)
মুসা আলাইহিসসালাম কখনো এসব সবরের সাথে হজম করতেন, কখনো হিকমাতের সাথে উত্তর দিতেন।
.
আমাদের সমাজেও এর উদাহরণ অহরহ দেখা যায়। আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা...
এটাকে আমরা "ফেরাউনপন্থা" বলতে পারি
আমাদের সমাজেও এর উদাহরণ অহরহ দেখা যায়। আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা...
এটাকে আমরা "ফেরাউনপন্থা" বলতে পারি
0 comments:
Post a Comment