[ক.]
প্রথম ঘটনা বর্ণনা করছিলেন জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ার একজন উস্তায। উনি দাওরায়ে হাদীস শেষ করেছেন এই মাদরাসা থেকেই..
উনি বলছিলেন, "আমাদের শেষ বর্ষে.. শায়খুল হাদীস রহ. সে বছর অনেক অসুস্থ ছিলেন। তখন আমরা দু'আ করতাম, হে আল্লাহ! আমাদের উস্তাযকে এবছর জীবিত রাখো.. আমরা যেন বুখারীটা হুজুরের কাছে শেষ করতে পারি!!
এটা একটা ভয়াবহ দু'আ ছিলো.. তখন বুঝতামনা, এখন বুঝতে পারি।"
.
[খ.]
শায়খুল হাদীস রহ. আল্লাহর কাছে চলে গেছেন অনেক বছর হলো। এরপর অনেক প্রদীপ নিভে গেছে। অনেক আকাবিরকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের উস্তায শাইখুল ইসলাম আহমাদ শফী দামাত বারাকাতুহুমের অবস্থাও খুব নাজুক।
গতকাল বুখারীর দরসে বসে আছি.. ক্লাসের মাঝেই হুজুরের অসুস্থতা বেড়ে গেলো। আমি আসলে বুঝতে পারিনি কেন হুজুর কথার মাঝে বারবার থেমে যাচ্ছেন। উপস্থিত বুদ্ধি কম তো.. তবে উস্তাযজ্বির নিশ্বাসের আওয়াজ বেড়ে যাচ্ছিলো, ধারণা করলাম শ্বাসকষ্ট। পাশেরজনকে জিজ্ঞেস করলাম..
- তার মুখ থেকে বের হলো সেই ভয়াবহ কথা! "বয়স হয়ে গেছে না? দু'আ করে যেন বছরের শেষ পর্যন্ত বেচে থাকে!!"
হায় খোদা! এর মানেতো হুজুরকে কোনোমতে এবছরটা বাচায়া রাখো তারপর মরলে সমস্যা নাই(!?)
.
এটা দুয়া হলো, নাকি বদদোয়া?
ভাই এসব ভয়াবহ দু'আ থেকে বেচে থাকা চাই...
.
[গ.]
আমার এক আত্মীয়া, আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুক। দীর্ঘ একটা সময় তাঁর একটার পর একটা সমস্যা লেগেই ছিল। এখনকার খবর আল্লাহ মা'লুম।
একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি দু'আ করেন?
- কেন কি করবো?
-- আপনি মনে হয় দুয়া করেন, 'আল্লাহ! আমাকে বিপদেআপদে ধৈর্য ধরার তাওফিক দাও!'
- হ্যা তাইতো!
--- এরমানে তো "আল্লাহ্ আমাকে আরো বড়বড় বিপদ দিতে থাকো এবং সেই বিপদে সবর করার তাওফিকও দাও!!"
অথচ আপনার উচিত ছিলো দুয়া করা.. "আল্লাহ! আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো এবং আগামির বিপদআপদ থেকে হিফাজত করো!"
কিন্তু আপনে চাইতেছেন বিপদ! আল্লাহ আপনাকে দিবে কি?
.
এই মহামানবীর আরেকটা ঘটনা!
গত বছর, আমার কোনো পরিক্ষার রেজাল্ট বের হচ্ছে... ফোন দিয়ে বললাম- আমার জন্য দুয়া কইরেন, যেন প্লাস পাই!
বলছে 'এই দোয়া করা ঠিক হবে? আল্লাহ নারাজ হবে তো!!'
- মানে উনার কথা হচ্ছে আমি কোনোদিন ক্লাস করিনি, হুট করে এসে পরিক্ষা দিলাম আমার জন্য এ+ পাওয়ার দুয়া করা কি উচিৎ হবে?
আরে ভাই, আল্লাহ্ যদি আমারে গোল্ডেন দিতে চায় কারো কোনো সমস্যা? যাহোক, আল্লাহই জানে উনি কি দোয়া করছিলেন.. তবে আখেরে আমার প্লাস পাওয়া হয়নি! বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে চাইছিলাম, কিন্তু ফ্যামিলিরে বুঝাইতে পারিনি যে, আমার পক্ষেও ভালো পরিক্ষা দেয়া সম্ভব!
.
[ঘ.]
একজন সাহাবী.. গ্রামে থাকেন, কোনো কারণে শহরে এসেছেন। (হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযীতে আছে) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসে আছেন অন্য সাহাবীদের সাথে। বেদুইন সাহাবী মসজিদের কোনায় নামাজ পড়ছিলেন। নামাজের পর দু'আ করলেন- "আল্লাহ! আমার প্রতি আর মুহাম্মাদ সা.-এর ওপর রহম করেন, আমাদের সাথে আর কারো ওপর রহম কইরেন না..!!"
দু'আ শুনে রাসূল সা. তাঁর দিকে ফিরলেন.. বললেন, "তুমি একটা প্রশস্ত জিনিশকে সংকীর্ণ করে ফেলছো..!"
অর্থাৎ আল্লাহর রহমত তো প্রশস্ত, এটা এত সহজে ফুরানোর জিনিশ না! তুমি চাওয়ার সময় হুদাই কমাইয়া চাইবা কেন?
-২৩ নভেম্বর, ২০১৬
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1151738291582366&id=100002386190185
প্রথম ঘটনা বর্ণনা করছিলেন জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ার একজন উস্তায। উনি দাওরায়ে হাদীস শেষ করেছেন এই মাদরাসা থেকেই..
উনি বলছিলেন, "আমাদের শেষ বর্ষে.. শায়খুল হাদীস রহ. সে বছর অনেক অসুস্থ ছিলেন। তখন আমরা দু'আ করতাম, হে আল্লাহ! আমাদের উস্তাযকে এবছর জীবিত রাখো.. আমরা যেন বুখারীটা হুজুরের কাছে শেষ করতে পারি!!
এটা একটা ভয়াবহ দু'আ ছিলো.. তখন বুঝতামনা, এখন বুঝতে পারি।"
.
[খ.]
শায়খুল হাদীস রহ. আল্লাহর কাছে চলে গেছেন অনেক বছর হলো। এরপর অনেক প্রদীপ নিভে গেছে। অনেক আকাবিরকে হারিয়েছি আমরা। আমাদের উস্তায শাইখুল ইসলাম আহমাদ শফী দামাত বারাকাতুহুমের অবস্থাও খুব নাজুক।
গতকাল বুখারীর দরসে বসে আছি.. ক্লাসের মাঝেই হুজুরের অসুস্থতা বেড়ে গেলো। আমি আসলে বুঝতে পারিনি কেন হুজুর কথার মাঝে বারবার থেমে যাচ্ছেন। উপস্থিত বুদ্ধি কম তো.. তবে উস্তাযজ্বির নিশ্বাসের আওয়াজ বেড়ে যাচ্ছিলো, ধারণা করলাম শ্বাসকষ্ট। পাশেরজনকে জিজ্ঞেস করলাম..
- তার মুখ থেকে বের হলো সেই ভয়াবহ কথা! "বয়স হয়ে গেছে না? দু'আ করে যেন বছরের শেষ পর্যন্ত বেচে থাকে!!"
হায় খোদা! এর মানেতো হুজুরকে কোনোমতে এবছরটা বাচায়া রাখো তারপর মরলে সমস্যা নাই(!?)
.
এটা দুয়া হলো, নাকি বদদোয়া?
ভাই এসব ভয়াবহ দু'আ থেকে বেচে থাকা চাই...
.
[গ.]
আমার এক আত্মীয়া, আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুক। দীর্ঘ একটা সময় তাঁর একটার পর একটা সমস্যা লেগেই ছিল। এখনকার খবর আল্লাহ মা'লুম।
একদিন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি দু'আ করেন?
- কেন কি করবো?
-- আপনি মনে হয় দুয়া করেন, 'আল্লাহ! আমাকে বিপদেআপদে ধৈর্য ধরার তাওফিক দাও!'
- হ্যা তাইতো!
--- এরমানে তো "আল্লাহ্ আমাকে আরো বড়বড় বিপদ দিতে থাকো এবং সেই বিপদে সবর করার তাওফিকও দাও!!"
অথচ আপনার উচিত ছিলো দুয়া করা.. "আল্লাহ! আমাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করো এবং আগামির বিপদআপদ থেকে হিফাজত করো!"
কিন্তু আপনে চাইতেছেন বিপদ! আল্লাহ আপনাকে দিবে কি?
.
এই মহামানবীর আরেকটা ঘটনা!
গত বছর, আমার কোনো পরিক্ষার রেজাল্ট বের হচ্ছে... ফোন দিয়ে বললাম- আমার জন্য দুয়া কইরেন, যেন প্লাস পাই!
বলছে 'এই দোয়া করা ঠিক হবে? আল্লাহ নারাজ হবে তো!!'
- মানে উনার কথা হচ্ছে আমি কোনোদিন ক্লাস করিনি, হুট করে এসে পরিক্ষা দিলাম আমার জন্য এ+ পাওয়ার দুয়া করা কি উচিৎ হবে?
আরে ভাই, আল্লাহ্ যদি আমারে গোল্ডেন দিতে চায় কারো কোনো সমস্যা? যাহোক, আল্লাহই জানে উনি কি দোয়া করছিলেন.. তবে আখেরে আমার প্লাস পাওয়া হয়নি! বোর্ড চ্যালেঞ্জ করতে চাইছিলাম, কিন্তু ফ্যামিলিরে বুঝাইতে পারিনি যে, আমার পক্ষেও ভালো পরিক্ষা দেয়া সম্ভব!
.
[ঘ.]
একজন সাহাবী.. গ্রামে থাকেন, কোনো কারণে শহরে এসেছেন। (হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযীতে আছে) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসে আছেন অন্য সাহাবীদের সাথে। বেদুইন সাহাবী মসজিদের কোনায় নামাজ পড়ছিলেন। নামাজের পর দু'আ করলেন- "আল্লাহ! আমার প্রতি আর মুহাম্মাদ সা.-এর ওপর রহম করেন, আমাদের সাথে আর কারো ওপর রহম কইরেন না..!!"
দু'আ শুনে রাসূল সা. তাঁর দিকে ফিরলেন.. বললেন, "তুমি একটা প্রশস্ত জিনিশকে সংকীর্ণ করে ফেলছো..!"
অর্থাৎ আল্লাহর রহমত তো প্রশস্ত, এটা এত সহজে ফুরানোর জিনিশ না! তুমি চাওয়ার সময় হুদাই কমাইয়া চাইবা কেন?
-২৩ নভেম্বর, ২০১৬
ফেবুতে- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1151738291582366&id=100002386190185
0 comments:
Post a Comment