১। গতকাল ঈদ নামায পড়তে যাব.. একটু দেরি হয়ে গেলো। মাত্র ১০ মিনিট বাকি। অথচ ওইই পাড়ায় যাওয়া লাগবে।
আম্মা বললো, তুই বেটা আলেম মানুষ(!) হাদিস-কালাম জানিস আগেভাগে যাবি, সামনের কাতারে যেয়ে বসবি.. নামাজ পড়াবি..
আমি, হু.. কইসে তোমাকে... আমরা পোলাপান মানুষ পেছনে গিয়ে নামাজ পড়বো, নামাজ শেষে উঠে দৌড় লাগাবো! আহ কি মজা!!
.
২। নামাজ শেষে ইমাম সাহেব হুজুর খুতবা পড়ছেন, অল্প বয়সি, বিয়েও বোধহয় করেনি। খুতবা শুনে মনেমনে বললাম... আহ ভাইজান! ইবারতটা একবার দেইখা আসলে এত কষ্ট হতো না...।
.
৩। খুতবার মাঝে মাঝে ইমাম সাহেব তাকবিরে তাশরিক পড়ছেন, সাথেসাথে পুরো ঈদমাঠেত সবাই পড়ছে। ঢাকাতে ক্যান্টনমেন্ট থাকতেও একই অবস্থা দেখতাম। আর মনেমনে ভাবতাম... খুতবাহর সময় তো কথা বলা, নামাজ পড়া, যিকির করা সব হারাম... তাহলে এদের কি গুনাহ হচ্ছেনা?
উলামা হযরতরা বলতে পারবেন..
.
৪। জনৈক হুজুর বললেন, মাংস বলা যাবেনা; গোস্ত বলতে হবে! ইহা নাকি হিন্দুদের পরিভাষা
ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? এর পক্ষে সবচে কমন লজিক হচ্ছে- মাংস সন্ধি বিচ্ছেদ করলে নাকি মা+অংশ হয়! হিন্দুরা গরুকে মা বলে তাই গরুর গোস্তকে মাংস বলে!!
.
আমি মাংস না বলিনা, গোস্তই বলি। তবে এই লজিকটা বিলকুল ভুয়া মনে করি...
কারণ, প্রথমত এই শব্দটা "মা+অংশ" থেকে হলে শব্দ হতো "মাংশ" অথচ বাস্তবে লেখা হয় "মাংস" অতএব এই সন্ধি বিচ্ছেদ ভুয়া। দ্বিতীয়ত, যারা মাংস বলে অভ্যস্ত তারা ছাগল-মহিষের গোস্তকেও মাংসই বলেন... অতএব গরুকে মা বলে তাই মাংস বলে এই লজিকও ভুয়া...
.
আমাদের হুজুরদের ভুলধরার লোকের এমনিতেই অভাব নাই, তারপর যদি আমরাও আম লোকের মত গুজব ছড়াই এটাতো খুবই দুঃখজনক কথা....
.
৫। এবার ইমাম সাহেব বললেন, গরুর অমুক অমুক অংগ খাওয়া নিষেধ! শুনে মুরব্বিরা গুণগুণ করে উঠলো... গরু কাটাকুটির সময় পাড়ার কিছু দাদা-চাচাদের সাথে কথা হচ্ছিলো- জানতে পারলাম উনারা এই প্রথম এসব শুনলেন!!!
প্রতিবছর ঈদগাহে ইবরাহিম ও ইসমাইল (আলাইহিমুস সালাম) এর একই গল্প না শুনিয়ে কুরবানির বিধান শোনানো কি বেশি জরুরী ছিলো না?
.
আপনারা হুজুরদের আগেভাগে বলতে রাখতে পারেন, হুজুর! এবার কিন্তু কুরবানির মাসআলা আলোচনা করবেন। আচ্ছা?
আম্মা বললো, তুই বেটা আলেম মানুষ(!) হাদিস-কালাম জানিস আগেভাগে যাবি, সামনের কাতারে যেয়ে বসবি.. নামাজ পড়াবি..
আমি, হু.. কইসে তোমাকে... আমরা পোলাপান মানুষ পেছনে গিয়ে নামাজ পড়বো, নামাজ শেষে উঠে দৌড় লাগাবো! আহ কি মজা!!
.
২। নামাজ শেষে ইমাম সাহেব হুজুর খুতবা পড়ছেন, অল্প বয়সি, বিয়েও বোধহয় করেনি। খুতবা শুনে মনেমনে বললাম... আহ ভাইজান! ইবারতটা একবার দেইখা আসলে এত কষ্ট হতো না...।
.
৩। খুতবার মাঝে মাঝে ইমাম সাহেব তাকবিরে তাশরিক পড়ছেন, সাথেসাথে পুরো ঈদমাঠেত সবাই পড়ছে। ঢাকাতে ক্যান্টনমেন্ট থাকতেও একই অবস্থা দেখতাম। আর মনেমনে ভাবতাম... খুতবাহর সময় তো কথা বলা, নামাজ পড়া, যিকির করা সব হারাম... তাহলে এদের কি গুনাহ হচ্ছেনা?
উলামা হযরতরা বলতে পারবেন..
.
৪। জনৈক হুজুর বললেন, মাংস বলা যাবেনা; গোস্ত বলতে হবে! ইহা নাকি হিন্দুদের পরিভাষা
ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? এর পক্ষে সবচে কমন লজিক হচ্ছে- মাংস সন্ধি বিচ্ছেদ করলে নাকি মা+অংশ হয়! হিন্দুরা গরুকে মা বলে তাই গরুর গোস্তকে মাংস বলে!!
.
আমি মাংস না বলিনা, গোস্তই বলি। তবে এই লজিকটা বিলকুল ভুয়া মনে করি...
কারণ, প্রথমত এই শব্দটা "মা+অংশ" থেকে হলে শব্দ হতো "মাংশ" অথচ বাস্তবে লেখা হয় "মাংস" অতএব এই সন্ধি বিচ্ছেদ ভুয়া। দ্বিতীয়ত, যারা মাংস বলে অভ্যস্ত তারা ছাগল-মহিষের গোস্তকেও মাংসই বলেন... অতএব গরুকে মা বলে তাই মাংস বলে এই লজিকও ভুয়া...
.
আমাদের হুজুরদের ভুলধরার লোকের এমনিতেই অভাব নাই, তারপর যদি আমরাও আম লোকের মত গুজব ছড়াই এটাতো খুবই দুঃখজনক কথা....
.
৫। এবার ইমাম সাহেব বললেন, গরুর অমুক অমুক অংগ খাওয়া নিষেধ! শুনে মুরব্বিরা গুণগুণ করে উঠলো... গরু কাটাকুটির সময় পাড়ার কিছু দাদা-চাচাদের সাথে কথা হচ্ছিলো- জানতে পারলাম উনারা এই প্রথম এসব শুনলেন!!!
প্রতিবছর ঈদগাহে ইবরাহিম ও ইসমাইল (আলাইহিমুস সালাম) এর একই গল্প না শুনিয়ে কুরবানির বিধান শোনানো কি বেশি জরুরী ছিলো না?
.
আপনারা হুজুরদের আগেভাগে বলতে রাখতে পারেন, হুজুর! এবার কিন্তু কুরবানির মাসআলা আলোচনা করবেন। আচ্ছা?
0 comments:
Post a Comment