শামনামচাঃ১৫-১২- ২০১৪
-
(আল কোরআনের ভাষায় বলিঃ নিশ্চয় অন্তঃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জন্য এতে রয়েছে শিক্ষা।)
-
আজ বিকেলে কোথায় যাবো, কি করবো কিছু ঠিক ছিলো না। আল্লাহর নাম নিয়ে বের হলাম...
একটু পর একটা যায়গা মাথায় আসলো তা হচ্ছে Airtel head office
কিছুদুর যাওয়ার পর ভাবলাম আমরাতো দেশ প্রেমিক! অতএব টেলিটকের কাষ্টমার ম্যানেজাররা আমার মত প্রেমিক দর্শনের অধিক হকদার!
অতএব গন্তব্য চেইঞ্জড.. জানা ছিলো টেলিটকের অফিস ২৭ নাম্বার রোডের এ ব্লকের ৪১ নাম্বার বাড়ি। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশে দেখলাম এখান থেকে রোড ২৭ শুরু ভাবলাম হয়তো আশেপাশেই হবে। আর এটা ছিলো ব্লক "K" একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ২৭ এর A ব্লক কোথায়? বললেন এই রোড তো অনেকদুর গেছে একদম কবরস্থানেরও ওইপারে, হয়তো একদম শেষে থাকতে পারে!
আমি পাকা-পোক্ত এরাদা করে ফেললাম দেখি তুই কতদুর যাইতে পারিস!
খুজতে খুজতে আনুমানিক এক কিলো (গুগল ম্যাপ বলছে ০.৯ কিঃমিঃ) হাটার পর এ ব্লক পেলাম!
টেলিটক অফিসও পেলাম। তবে এতক্ষনে মাগরিবের আজান হয়ে গেছে, বনানী গোরস্থানের একটা গেট পেয়ে ঢুকে গেলাম মসজিদ পাওয়ার আশায়।
গেট দিয়ে ঢুকতেই অসংখ্য কবর চোখে পড়লো, তারমধ্যে একটা কবরের নামফলকে দেখলাম লেখা "মোসাঃ......লিল ী" সম্ভবত ১৯৭৫ এর দিকের কবর। যাইহোক অনেকদুর পর্যন্ত মসজিদ না পেয়ে ফেরত আসার সময় পুর্বক্ত নামফলকের পেছনে চোখ আটকে গেলো। দেখলাম এই কবরবাসীনিকে নিয়ে একটা কবিতা খোদাই করা! কৌতুহলী হয়ে পড়া শুরু করে দেখলাম রচয়িতার নাম দেয়া! তিনি আর কেউ নন, আমাদের পল্লীকবি জসিমুদ্দীন। আমি অবাক হয়ে নামফলকের সামনে এসে খেয়াল করলাম কবরটি মুলতঃ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রীর
যাই সব কবরবাসীদের ইসলামী রীতি অনুযায়ী সালাম দিয়ে বের হয়ে দেখলাম রাস্তার ধারেই ছিলো মসজিদ; এতক্ষনে জামাত শেষ। আমি কবরস্থানের প্রধান গেট দিয়ে মসজিদে ঢুকলাম। হঠাত বাহিরে চোখ গেলো.. ওহ আল্লাহ! কে জানতো এমন সারপ্রাইজ(!) ছিলো! দেখলাম বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারের কবর এখানে!
নামাজ শেষ করলাম, ততক্ষনে অন্ধকার নেমে এসেছে। যথেষ্ট সাহস থাকায় আর একটু দুরে ল্যাম্পপোষ্টের আলো থাকায় কবরস্থানের দিকে এগুলাম। দেখলাম একজন মসজিদের কাছে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য কি কি যেন পড়ছে! হয়তো দুরে যাওয়ার সাহসে কুলায়নি তাই এখান থেকেই...।
যাই হোক গুনে দেখলাম সম্ভবতঃ ১৭টি কবর, শেখ জামাল আর শেখ মুজিব ব্যাতিত মেবি সবার কবরই আছে। এমনকি বাড়ির কাজের লোকদের দাফনও এখানে পাশাপাশি হয়েছে।
(মোরাল অব দ্যা পয়েন্টঃ তুমি আমি দুনিয়ায় যত যাই হই না কেন ; শেষ গন্তব্য আমাদের একই)
একটু ভিতরে ছিলো জাতীয় ৪ নেতার কবর, শুধু কামারুজ্জামান ছাড়া বাকি ৩ জনের কবর দেখতে পেলাম ।
দেখলাম এখানকার কবরগুলো পরিস্কার করে এখানে দেয়া পুস্পস্তবকগুলো কবরস্থানের লোকেরা একটা খালি যায়গার জমা করে রেখেছে..। হয়তো আগামি কাল আবার পুস্পের পাহাড় জমে যাবেতো তাই...
জাতিয় ৩ নেতাকে সালাম জানিয়ে আবার আসার ইচ্ছা রেখে বনানী গোরস্থান থেকে বের হয়ে আসলাম।
...
বনানী গোরস্থানে রয়েছে এমন অনেক কবর যারা পৃথিবীতে কেউ ছিলেন প্রধান মন্ত্রী কেউ রাষ্ট্রপতি আবার কেউ বা এমপি অথবা মন্ত্রী।
শত ধিক্কার নিজেকে! কেননা, এত কিছু দেখার পর যদি সামান্য বিবেকবোধ আমার মধ্যে জাগতো...!
allahummahdinas siratal mustakeem...
-
(আল কোরআনের ভাষায় বলিঃ নিশ্চয় অন্তঃদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যাক্তিদের জন্য এতে রয়েছে শিক্ষা।)
-
আজ বিকেলে কোথায় যাবো, কি করবো কিছু ঠিক ছিলো না। আল্লাহর নাম নিয়ে বের হলাম...
একটু পর একটা যায়গা মাথায় আসলো তা হচ্ছে Airtel head office
কিছুদুর যাওয়ার পর ভাবলাম আমরাতো দেশ প্রেমিক! অতএব টেলিটকের কাষ্টমার ম্যানেজাররা আমার মত প্রেমিক দর্শনের অধিক হকদার!
অতএব গন্তব্য চেইঞ্জড.. জানা ছিলো টেলিটকের অফিস ২৭ নাম্বার রোডের এ ব্লকের ৪১ নাম্বার বাড়ি। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের পাশে দেখলাম এখান থেকে রোড ২৭ শুরু ভাবলাম হয়তো আশেপাশেই হবে। আর এটা ছিলো ব্লক "K" একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ২৭ এর A ব্লক কোথায়? বললেন এই রোড তো অনেকদুর গেছে একদম কবরস্থানেরও ওইপারে, হয়তো একদম শেষে থাকতে পারে!
আমি পাকা-পোক্ত এরাদা করে ফেললাম দেখি তুই কতদুর যাইতে পারিস!
খুজতে খুজতে আনুমানিক এক কিলো (গুগল ম্যাপ বলছে ০.৯ কিঃমিঃ) হাটার পর এ ব্লক পেলাম!
টেলিটক অফিসও পেলাম। তবে এতক্ষনে মাগরিবের আজান হয়ে গেছে, বনানী গোরস্থানের একটা গেট পেয়ে ঢুকে গেলাম মসজিদ পাওয়ার আশায়।
গেট দিয়ে ঢুকতেই অসংখ্য কবর চোখে পড়লো, তারমধ্যে একটা কবরের নামফলকে দেখলাম লেখা "মোসাঃ......লিল
যাই সব কবরবাসীদের ইসলামী রীতি অনুযায়ী সালাম দিয়ে বের হয়ে দেখলাম রাস্তার ধারেই ছিলো মসজিদ; এতক্ষনে জামাত শেষ। আমি কবরস্থানের প্রধান গেট দিয়ে মসজিদে ঢুকলাম। হঠাত বাহিরে চোখ গেলো.. ওহ আল্লাহ! কে জানতো এমন সারপ্রাইজ(!) ছিলো! দেখলাম বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারের কবর এখানে!
নামাজ শেষ করলাম, ততক্ষনে অন্ধকার নেমে এসেছে। যথেষ্ট সাহস থাকায় আর একটু দুরে ল্যাম্পপোষ্টের আলো থাকায় কবরস্থানের দিকে এগুলাম। দেখলাম একজন মসজিদের কাছে দাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য কি কি যেন পড়ছে! হয়তো দুরে যাওয়ার সাহসে কুলায়নি তাই এখান থেকেই...।
যাই হোক গুনে দেখলাম সম্ভবতঃ ১৭টি কবর, শেখ জামাল আর শেখ মুজিব ব্যাতিত মেবি সবার কবরই আছে। এমনকি বাড়ির কাজের লোকদের দাফনও এখানে পাশাপাশি হয়েছে।
(মোরাল অব দ্যা পয়েন্টঃ তুমি আমি দুনিয়ায় যত যাই হই না কেন ; শেষ গন্তব্য আমাদের একই)
একটু ভিতরে ছিলো জাতীয় ৪ নেতার কবর, শুধু কামারুজ্জামান ছাড়া বাকি ৩ জনের কবর দেখতে পেলাম ।
দেখলাম এখানকার কবরগুলো পরিস্কার করে এখানে দেয়া পুস্পস্তবকগুলো কবরস্থানের লোকেরা একটা খালি যায়গার জমা করে রেখেছে..। হয়তো আগামি কাল আবার পুস্পের পাহাড় জমে যাবেতো তাই...
জাতিয় ৩ নেতাকে সালাম জানিয়ে আবার আসার ইচ্ছা রেখে বনানী গোরস্থান থেকে বের হয়ে আসলাম।
...
বনানী গোরস্থানে রয়েছে এমন অনেক কবর যারা পৃথিবীতে কেউ ছিলেন প্রধান মন্ত্রী কেউ রাষ্ট্রপতি আবার কেউ বা এমপি অথবা মন্ত্রী।
শত ধিক্কার নিজেকে! কেননা, এত কিছু দেখার পর যদি সামান্য বিবেকবোধ আমার মধ্যে জাগতো...!
allahummahdinas
0 comments:
Post a Comment