[ক]
আমাদের কাওমির ছাত্র ভাইদের মাঝে বেশ ক'বছর ধরে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। "আমাকে সাহিত্যিক হতে হবে, লেখক হতে হবে, বক্তা হতে হবে।"
এই প্রবণতা উস্কে দেয়ার পেছনে কে দায়ী আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আমার মনে হয়, অ-যায়গায় সেক্যুলার সাংবাদিকদের সাহিত্যিকদের সুনাম-দুর্নাম গাওয়া বড়রা সম্পূর্ণ নির্দোষ না।
উনারা ছোটদের সামনে হাহুতাশ করেন, সেক্যুলারদের এই আছে - সেই আছে, আমাদেরকেও বাংলা সাহিত্যের ময়দানে কাজ করতে হবে, মিডিয়া বানাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা দেখান না। এসব বয়ান শুনে যখন ছোটদের জযবা ওঠে, লেখক হব – সাহিত্যিক হব – এই ময়দানে কাজ করব বলে দিক্বিদিক ছুটতে থাকে, তখন আর সেই মোটিভেশন দাতা হযরতদের গাইড দেয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যায় না।
.
[খ]
শুরুতে যদিও এবিষয়ে জযবাধারী ছোটদের আগ্রহ থাকে সাম্বাদিক - সাহিত্যিক হয়ে দ্বীনের খিদমত করব। কিন্তু যথাযথ গাইড না পাওয়ায়, ফাঁকা মরুভূমিতে ঘুরে ঘুরে এক পর্যায়ে শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এরা যথাযথ গাইড না পেয়ে যেখানে যা পায় গিলতে থাকে, রাম-বামদের মজলিস - সাহিত্যের আসর হ্যানত্যানে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ কাওমিয়ানের তলাই যেহেতু মজবুত থাকে না, নির্দিষ্ট লক্ষ্যও থাকে না, ফলে কদিন যেতে না যেতেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়।
তারা বিভিন্ন দ্বীনি ঘরনার লেখকদের বই পড়ে না পূর্ব বিতৃষ্ণা অথবা হীনমন্য ভাব থাকার কারণে। (*১) অন্য মানহাজের লেখকদের বই পড়ে না, সেব্যাপারে এলার্জির জন্য, আর সেইম মানহাজের লেখকদের ব্যাপারে তো আগে থেকেই আগ্রহ নাই। (*২) কারণ মোটিভেশনদাতা হুজুরের কাছে তো সেক্যুলারদের প্রশংসাই শুনেছে তাইনা?
যে ছেলেটা দ্বীনের জন্য কলমযোদ্ধা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, তার থেকে সে দ্বীনের খিলাফ আচার-আচরণ প্রকাশ পেতে থাকে। ছবি তোলার সময় সে মাথায় টুপি রাখতে অস্বস্তিবোধ করে, জাফর ইকবালের সাথে সেলফি তোলে, ফেসবুকে বই সংক্রান্ত গ্রুপে গিয়ে মেয়েদের সাথে রসালো আলাপে লিপ্ত হয়, চিঠির গ্রুপে নারী লেখিকার জন্মদিন উইশ করে চিঠি লিখে, আবার কখনো ভাস্কর্য বা মন্দিরের সামনে নমস্কার দেখিয়ে ছবি খিঁচে বিকৃত আনন্দ লাভ করে।
.
এদের অধিকাংশের শেষ পরিণতি দেখা যায়, এরা দিন শেষে না ভালো আলেম হতে পারে, আর না ভালো সাহিত্যিক। বরং বেসিক দিনিয়্যাতেই ঘাটতি এসে যায়। শুরুতে এসব উল্টাপাল্টা বেদ্বীনি কাজকে তাবিল-ওযর ইত্যাদির মুখোস পরিয়ে হালালাইজ করলেও কদিন পর শরিয়তের প্রতি ড্যাম কেয়ার ভাব চলে আসে।
খসিরাদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ...
.
[গ]
টিকা-১: দুই-তিন বছর আগে এক দৈনিক পত্রিকার ইসলাম-ধর্ম পেইজের এডিটরকে ক্লাস নিতে দেখেছিলাম ‘মারকায যায়েদ বিন সাবেত’এ। সে হুমায়ুন আজাদ এবং আব্দুল্লাহ আবু সাইদের প্রশংসা করে ফাটাইয়া ফেলতেসিল। এবং ছাত্রদের হাইলি রিকোমেন্ড করতেসিল যেন এদের বই পড়া হয়। কিন্তু অন্য তার কথায় মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ পাচ্ছিল বলে মনে হয়েছে। ক্যান ইউ ইম্যাজিন?
আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সহিত্যের(!) জযবাধারিদের বিরাট একাংশ শাহবাগী মোল্লা ফরিদ মাসুদের ফ্যান এবং মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবের প্রতি এলার্জিক!
.
….
এতক্ষণ আমি আপনাদের কাল্পনিক গল্প শোনাইনি, বরং দুই চোখে যা দেখেছি তাতে অনুভব করেছি পরিস্থিতি এরচেয়ে অনেক ভয়াবহ। আর আমার লেখা এর ভার বহন করতে সক্ষম নয়!
আমি জানিনা এর সমাধান কী, তবে এতটুকু জানি ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর এমন লাইনচ্যুত ছেলেদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। আমি আপনাদের কাছে দুই হাত জোড় করে বলছি, প্লিজ এর সমাধান খোঁজেন।
আমাদের কাওমির ছাত্র ভাইদের মাঝে বেশ ক'বছর ধরে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। "আমাকে সাহিত্যিক হতে হবে, লেখক হতে হবে, বক্তা হতে হবে।"
এই প্রবণতা উস্কে দেয়ার পেছনে কে দায়ী আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আমার মনে হয়, অ-যায়গায় সেক্যুলার সাংবাদিকদের সাহিত্যিকদের সুনাম-দুর্নাম গাওয়া বড়রা সম্পূর্ণ নির্দোষ না।
উনারা ছোটদের সামনে হাহুতাশ করেন, সেক্যুলারদের এই আছে - সেই আছে, আমাদেরকেও বাংলা সাহিত্যের ময়দানে কাজ করতে হবে, মিডিয়া বানাতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু রাস্তা দেখান না। এসব বয়ান শুনে যখন ছোটদের জযবা ওঠে, লেখক হব – সাহিত্যিক হব – এই ময়দানে কাজ করব বলে দিক্বিদিক ছুটতে থাকে, তখন আর সেই মোটিভেশন দাতা হযরতদের গাইড দেয়ার জন্য খুঁজে পাওয়া যায় না।
.
[খ]
শুরুতে যদিও এবিষয়ে জযবাধারী ছোটদের আগ্রহ থাকে সাম্বাদিক - সাহিত্যিক হয়ে দ্বীনের খিদমত করব। কিন্তু যথাযথ গাইড না পাওয়ায়, ফাঁকা মরুভূমিতে ঘুরে ঘুরে এক পর্যায়ে শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এরা যথাযথ গাইড না পেয়ে যেখানে যা পায় গিলতে থাকে, রাম-বামদের মজলিস - সাহিত্যের আসর হ্যানত্যানে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ কাওমিয়ানের তলাই যেহেতু মজবুত থাকে না, নির্দিষ্ট লক্ষ্যও থাকে না, ফলে কদিন যেতে না যেতেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়।
তারা বিভিন্ন দ্বীনি ঘরনার লেখকদের বই পড়ে না পূর্ব বিতৃষ্ণা অথবা হীনমন্য ভাব থাকার কারণে। (*১) অন্য মানহাজের লেখকদের বই পড়ে না, সেব্যাপারে এলার্জির জন্য, আর সেইম মানহাজের লেখকদের ব্যাপারে তো আগে থেকেই আগ্রহ নাই। (*২) কারণ মোটিভেশনদাতা হুজুরের কাছে তো সেক্যুলারদের প্রশংসাই শুনেছে তাইনা?
যে ছেলেটা দ্বীনের জন্য কলমযোদ্ধা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, তার থেকে সে দ্বীনের খিলাফ আচার-আচরণ প্রকাশ পেতে থাকে। ছবি তোলার সময় সে মাথায় টুপি রাখতে অস্বস্তিবোধ করে, জাফর ইকবালের সাথে সেলফি তোলে, ফেসবুকে বই সংক্রান্ত গ্রুপে গিয়ে মেয়েদের সাথে রসালো আলাপে লিপ্ত হয়, চিঠির গ্রুপে নারী লেখিকার জন্মদিন উইশ করে চিঠি লিখে, আবার কখনো ভাস্কর্য বা মন্দিরের সামনে নমস্কার দেখিয়ে ছবি খিঁচে বিকৃত আনন্দ লাভ করে।
.
এদের অধিকাংশের শেষ পরিণতি দেখা যায়, এরা দিন শেষে না ভালো আলেম হতে পারে, আর না ভালো সাহিত্যিক। বরং বেসিক দিনিয়্যাতেই ঘাটতি এসে যায়। শুরুতে এসব উল্টাপাল্টা বেদ্বীনি কাজকে তাবিল-ওযর ইত্যাদির মুখোস পরিয়ে হালালাইজ করলেও কদিন পর শরিয়তের প্রতি ড্যাম কেয়ার ভাব চলে আসে।
খসিরাদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ...
.
[গ]
টিকা-১: দুই-তিন বছর আগে এক দৈনিক পত্রিকার ইসলাম-ধর্ম পেইজের এডিটরকে ক্লাস নিতে দেখেছিলাম ‘মারকায যায়েদ বিন সাবেত’এ। সে হুমায়ুন আজাদ এবং আব্দুল্লাহ আবু সাইদের প্রশংসা করে ফাটাইয়া ফেলতেসিল। এবং ছাত্রদের হাইলি রিকোমেন্ড করতেসিল যেন এদের বই পড়া হয়। কিন্তু অন্য তার কথায় মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেবের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ পাচ্ছিল বলে মনে হয়েছে। ক্যান ইউ ইম্যাজিন?
আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সহিত্যের(!) জযবাধারিদের বিরাট একাংশ শাহবাগী মোল্লা ফরিদ মাসুদের ফ্যান এবং মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবের প্রতি এলার্জিক!
.
….
এতক্ষণ আমি আপনাদের কাল্পনিক গল্প শোনাইনি, বরং দুই চোখে যা দেখেছি তাতে অনুভব করেছি পরিস্থিতি এরচেয়ে অনেক ভয়াবহ। আর আমার লেখা এর ভার বহন করতে সক্ষম নয়!
আমি জানিনা এর সমাধান কী, তবে এতটুকু জানি ইতিমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর এমন লাইনচ্যুত ছেলেদের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। আমি আপনাদের কাছে দুই হাত জোড় করে বলছি, প্লিজ এর সমাধান খোঁজেন।
-----
(দ্বিতীয় টিকা এবং অল্প কিছু কথা বাকি আছে, আরেকদিন বলব ইনশাআল্লাহ)
(দ্বিতীয় টিকা এবং অল্প কিছু কথা বাকি আছে, আরেকদিন বলব ইনশাআল্লাহ)
0 comments:
Post a Comment