ভাইলোগ, করোনা থেকে ডেটল কিংবা মদ খাওয়ার গল্প তো জানলেনই। এখন বাংলাদেশের কোন লোকও নাকি এলকোহল এর ভাপ নিতে কুপরামর্শ দিয়েছে, এব্যাপারে সতর্ক থাকেন, পরিবারকে সতর্ক করেন। নইলে পস্তাতে হবে।
.
আর বাস্তবে এসব ক্ষেত্রে কি কি খাওয়া বা ব্যবহার করা উচিত, সেটাও জেনে রাখেন। কোন না কোন সময় কাজে দিবে ইনশাআল্লাহ।
.
১। মধু পান করা। কালোজিরা খাওয়া।
(এক চিমটি কালোজিরা চিবিয়ে খেয়ে এক চামচ মধু খাওয়া। একটু গলা জ্বলতে পারে। কিছুক্ষণ পর পানি খাওয়া যাবে। এভাবে ২বেলা খাওয়া যাবে। সমস্যা বেশি হলে সবগুলো পরিমান বাড়াতে পারেন।
আরেকটা পদ্ধতি হল, কালোজিরা খাওয়া এরপর ১গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১বা ২ চামচ মধু গুলিয়ে খাওয়া।)
২। কালোজিরার তেলের ভাপ নেয়া।
(গরম পানিতে দিয়ে মেন্থলের মত ভাপ নেয়া যায়)
৩৷ কালোজিরা ঝাঁজ নাকে নেয়া।
(বড়বড় ৪-৫ চিমটি কালোজিরা নিয়ে কাপড়ের পুটলি বানান, সেটাকে হাতের তালুতে ঘসে গরম করুন। এরপর নাকের কাছে নিয়ে আস্তে আস্তে লম্বা শ্বাস নিন। এভাবে দিনে কয়েকবেলা, কয়েকবার করে করুন।)
৪। কালো/ইন্ডিয়ান কস্টাসের ড্রপ নেয়া।
(৫ মিলি অলিভ অয়েলে ১চিমটি "কস্টাস পাউডার" মিশিয়ে ভালোভাবে ঝাকান। নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।
এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের বদলে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা যায় নাকি আমার জানা নাই।)
৫। সাদা/সামুদ্রিক কস্টাস গুলিয়ে খাওয়া।
(এক গ্লাস গরম দুধ বা পানিতে ১চামচ সাদা কস্টাসের পাওডার মিশিয়ে পান করা।)
৬। আরও বেশি উপকার পেতে এই জিনিসগুলার মধ্যে সুস্থতার নিয়াতে সুরা ফাতিহা, ইখলাস, ফালাক্ব, নাস, আয়াতুল কুরসি, আয়াতুশ শিফা, কিছু মাসনুন দোয়া- কয়েকবার পড়ে ফুঁ দিতে পারেন।
পরপর কয়েকদিন রুকইয়ার গোসল (যেকোনটা) করতে পারেন।
অথবা সরাসরি "৭দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ" শুরু করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট উপকার হবে।
শাইখ আদিল বিন তাহির মুকবিল হাফি.কে দেখলাম কয়েকদিন আগে টুইটারে ডিটক্সের নিয়মটা আবার শেয়ার করেছেন।
৭। এই সবকিছুর চেয়ে গুরত্বপূর্ণ হল প্রতিদিনের মাসনুন আমল করবেন, সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি এবং সতর্কতাগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আর আল্লাহর কাছে নিয়মিত দোয়া করতে থাকবেন।
--------
অতিরিক্ত টিপস: যাইনাব আল-গাযী আপা একটা রেসিপি শেয়ার করেছে, ওই জিনিসগুলোর ব্যাবস্থা করতে পারলে নিয়মিত খেয়ে দেখেন। ইনশাআল্লাহ উপকার হবে। কিছু ভাই জানাইসে, কাছাকাছি রেসিপিতে অতীতে তারা বেশ ভালো ফল পেয়েছে।
কিছুদিন আগে ফরহাদ ভাই একটা অনূদিত লেখা শেয়ার করেছিল "তিব্বে নববী ব্যবহারে কিভাবে আমি সুস্থ হলাম" সেটাও দেখতে পারেন। কাজে লাগাইলে আল্লাহ চায়তো উপকার হবে।
.
(প্রয়োজনীয় সব লিংক নিচে থাকবে ইনশাআল্লাহ)
..
নোটঃ এসব রেসিপি/বটিকা একটাও আমার নিজের না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উস্তায কিংবা চিকিৎসক ভাইদের থেকে এসব পরামর্শ পেয়েছি, আমি শুধু একত্রে বর্ণনা করলাম। কিছু না বুঝলে সরাসরি কারও সাথে কথা বলে বুঝে নিন।
আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন, সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন। আমিন।
-----------------
ফরহাদ ভাইয়ের লেখা দুইটা -
হিফাজতের জন্য প্রতিদিনের মাসনুন যিকর -
৭ দিনের ডিটক্স রুকইয়াহ -
0 comments:
Post a Comment