May 7, 2020

আমাদের পরের প্রজন্ম যেন মুসলমান থাকে...

জনৈক খ্রিষ্টান হয়নি তবে...

[ক]
সে খ্রিষ্টানদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছে, তাদের এলাই(মিত্র) হয়েছে। 

এই পয়েন্টটা গুরুত্বপূর্ণ, খেয়াল করুন- শয়তান যখন দেখে লোকদেরকে কোন বিভ্রান্ত বা অভিশপ্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না, তখন চেষ্টা করে কমসে কম তাদের এলাই বা মিত্র বানাতে। 
যেমন,  LGBTQA টার্মে লাস্টের এ ফর এলাই, অর্থাৎ যারা সমকামী - ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়, কিন্তু তবুও তাদের সহযোগী সমর্থক। 
এতে শয়তানের লাভ হল, এই লোকগুলো কখনওই উক্ত সম্প্রদায়ের পাপ কাজে বাধা দিবে না, বরং কেউ বাধা দিলে সে পথভ্রষ্টদেরই পক্ষ নেবে!!

শয়তানি বাইবেলের লিবারেলিজম চ্যাপ্টারের খোলাসা এটাই। এরা শয়তানের উপরি ইনকামের মত হলেও মাঝেমাঝে এদের দ্বারাই মেইন জবের চেয়ে বেশি লাভ হয়!!

[খ]
আমরা জানি, ঈমানের ৩টা স্তর আছে - 
১ম স্তর, হাত (অর্থাৎ শক্তি) দিয়ে বাধা দেয়া। 
২য় স্তর, মুখ দিয়ে (নিষেধ করে, প্রতিবাদ করে, অন্য কাউকে অভিযোগ করে) অন্যায়ে বাধা দেয়া।
৩য় স্তর হল, অন্তর দিয়ে বাধা দেয়া! (অন্তর দিয়ে বাধা দেয়ার অর্থ শুধু পাপকে ঘৃণা করা না, বরং রবের অবাধ্যতাকে ঘৃণার সাথে সাথে অন্তরে কষ্ট অনুভব করা, অন্তরে আফসোস করতে থাকা যে রবের অবাধ্যতা হওয়ার পরেও বন্ধ করতে পারছি না, অন্তর লাগিয়ে এটা বন্ধের ফিকির করা এবং আল্লাহর কাছে এজন্য দোয়া করা। - অন্তরের এই অবিরত আমলগুলোই সবচেয়ে দূর্বল ঈমানের কাজ। 
কারো ঈমান যদি এরচেয়েও নিচে নামে, তাহলে তার ঈমান আদৌও আছে কি না, সেটা বিবেচনা করে দেখতে হবে।

[গ] 
পূর্বের কথায় ফিরি। সেন্ট জোসেফে পড়া এবং ব্র‍্যাকে কর্মরত জনৈক সেলেব এরকম লিখেছে - আমি সেন্ট জোসেফে এতদিন পড়েছি, কই খ্রিষ্টান হয়ে যাইনি তো! ব্রাদারদের সাথে কত ঘুরেছি, তখন একবার ডাকলেই তো গির্জায় চলে যেতাম..! end q.

খেয়াল করেন, লোকটির অন্তর থেকে সেখানে পড়াবস্থাতেই কুফরের প্রতি ঘৃণা চলে গেছে, এখন এই পর্যায়ে এসে সে জনসম্মুখে মিশনারীদের কার্যক্রমকে জাস্টিফাই করছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান এবং ইস্কনিদের পক্ষ নিচ্ছে।
সে টেরই পায়নি, কখন সে শয়তানের এলাই বনে গেছে, আর সর্বনিম্ন স্তরের ঈমানটাও তার মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে!

কি বুঝলেন, সেন্ট জোসেফের মিশনে সেখানকার প্রিস্টরা কি সফল হয়নি?!! আপনার সুস্থ বিবেকের কাছে আপিল রইলো।

[ঘ]
আমরা সচেতন না হলে "কুফর এবং পাপাচারের প্রতি অনুভূতিহীনতা" - এই জিনিসটা হয়তো আমাদের নেক্সট জেনারেশনকে সবচেয়ে বেশি ভোগাবে। যেমনটা আমরা ভুগছি ফেমিনিজম আর এলজিবিটি ফিতনা নিয়ে, হয়তো এরচেয়ে অনেক বেশি। 
ফলাফল - দলে দলে মানুষের রিদ্দার দিকে ছোটা।

গতকালের ওয়েবিনারে উস্তায ড্যানিয়েল হাকিকাতজু এরকম বলেছিলেন, "কিছু মানুষ প্রাচ্য থেকে ওয়েস্টের মরিচিকার পেছনে ছুটে যায়, এরা কোনমতে ঈমান নিয়ে বেচে যেতে পারলেও এদের পরের প্রজন্ম যায় ফেঁসে। স্রষ্টার অবাধ্যতার কাজগুলো দেখতে দেখতে তাদের কাছে গা সওয়া হয়ে যায়। ফলে...।"

উনার কথাটা আমি শেষ করে দেই "ফলে.. মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও সন্তানরা কাফির হয়ে কবরে যায়।"

--------
Share:

0 comments:

Post a Comment