June 20, 2018

একাই

[ক]
আল্লাহর রহমতে একটা জেনারেশন তৈরি হচ্ছে, যারা সাধারণ মতপার্থক্য পেছনে রেখে ইসলামের বৃহৎ স্বার্থ বিবেচনায় কাজ করতে পারছে। এটা অনেক বড় একটা সুসংবাদ।
এখন অনেকেই বুঝতে শিখছে, আরশের মাসআলা কিংবা রাফউল ইয়াদাইনের মাসআলার চেয়ে খিলাফতের মাসআলা নিয়ে চিন্তা করা বেশি জরুরী।

[খ]
কথাটা সম্ভবতঃ মাওলানা কলিম সিদ্দীকি হাফিযাহুল্লাহু এর।
তোমার কাজে ইখলাস আছে নাকি কিভাবে বুঝবে? যদি কেউ ইসলামের এমন কোন কাজ করে যেটা তোমার দ্বারাও হতে পারত; এরপর সেই কাজ দেখে যদি তোমার দিল খুশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে তোমার অন্যান্য খিদমাতগুলো খালিস ছিল। আর যদি অন্যকে কাজ করতে দেখে হিংসা লাগে, তবে বুঝতে হবে তোমার আমলে ভেজাল আছে।
এই কথাটার সূত্র ধরেই বলা যায়, অন্য কোন মুসলিম জামাআতের কেউ ইসলামের জন্য উপকারী কোন কাজ করলে, সেটা দেখে যদি আপনিও আনন্দিত হন, গর্ববোধ করেন, অনুভব করেন যে "আমরা" এগিয়ে যাচ্ছি। তাহলে বুঝতে হবে আপনার মধ্যে আসলেই ঐক্যের তামান্না আছে, আপনার খিদমাতে আসহাবিয়্যাত নাই।

[গ]
যখন আপনি নিজেকে মাত্রাতিরিক্তভাবে কোন দলের গণ্ডিতে আটকে ফেলবেন, তখন ইসলামের অন্য তা'ইফার কেউ বিশেষ কোন খিদমাত করলে সেটার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না, বরং হিংসায় জ্বলে যাবেন।
পক্ষান্তরে আপনি যখন মেনে নিবেন "আমি প্রথমে মুসলিম, পরে অন্য কিছু" তখন আপনি দেওবন্দি হলেও একজন সালাফির ইসলামের খিদমাত দেখে আনন্দিত হবেন।

[ঘ]
ফিরাকে বাতিলা নিয়ে কাজ করতে গেলেও নিয়াত নিয়ে অনেকের সমস্যা হয়ে যায়, "অমুক দলের লোকেরা আমাদের বিরোধিতা করেছে, তাই আমরাও তাদের বিরোধিতা করেছি।"
এটা ভাই খুবই খারাপ চিন্তা। ফিরাকে বাতিলা নিয়ে কাজ করলে নিয়্যাত হওয়া চাই, "তাঁরা ইসলামের ক্ষতি করছে, তাই আমি তাদের বিরোধিতা করছি"
.
গতকাল এক ভাইয়ের আসহাবিয়্যাত দেখে বিরক্ত হয়ে বলেছিলাম, "সবাই তো বাতিল! সুতরাং কাউরে লাগবে না। যান, আপনি একাই গিয়ে ইসলাম কায়েম করে ফেলেন"

[ঙ]
ইখতিলাফ ইখতিলাফের টেবিলে, আর দ্বীনের হয়ে কাজ যখন করব তখন সবাই এক! সবাই মুসলিম। এই বিশ্বাস ছড়িয়ে দেয়া উচিত।
.
এটা আগে বুঝা উচিত, আমি মুসলিম; এজন্যই আমি হানাফি। আমি মুসলিম; এজন্যই আমি দেওবন্দি। মুসলিম না হয়ে কেউ দেওবন্দি হয় না, কেউ হানাফিও হয় না।
ইসলামের জন্যই দেওবন্দ, ইসলামের জন্যই হানাফি মাজহাব। সুতরাং আমি এবং আমার দল, সব কিছুর চেয়ে ইসলাম বড়। তাই ইসলামের স্বার্থকেই আগে দেখতে হবে।
এই বুঝ যতদিন না হবে, ততদিন আমাকে মুখলিস লিদ্বীন বলা যাবে না।
Share:

0 comments:

Post a Comment