রুকইয়াহ নিয়ে যত কথা.. (১)
- উম্মে আব্দুল্লাহ
--------
[ক]
রুকিয়া নিয়ে যদিও আমি কোন পোষ্ট দেইনি তারপরেও Abdullah এর পোষ্টে মেনশন করার ফলে অনেক আপু আমাকে ইনবক্স করেন তাদের সমস্যার জন্য। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য।
[সমাধান দেয়া না। সমস্যা সমাধানের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ্ ]
.
খেয়াল করে দেখলাম অধিকাংশ আপুদের সমস্যা একই.. এরপর Jumana Puspo আপুদের ইসলামিক গ্রুপে এ্যাড হবার পরে দেখি একই অবস্থা। তাই মনে হলো এই ব্যাপারটা নিয়ে আপুদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা দরকার..
.
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও রুকিয়ার সাথে বেশ ভালোভাবে জড়িত। আর সফলতার মাত্রাও আলহামদুলিল্লাহ সন্তুষ্টিজনক..
আগে আমার অনেকগুলো সমস্যা ছিলো যেমন-
১. মন মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকতো, মাথা ভারি হয়ে থাকতো আর ব্যাথা করতো।
২. ঘুম ঠিকঠাক হতো না, ঘুমালেও শুধু ভয়ংকর আর বাজে স্বপ্ন দেখতাম...
৩. শরীর ব্যাথা হয়ে থাকতো। জ্বর জ্বর লাগতো সবসময় আর ডায়রিয়া তো লেগেই থাকতো।
৪. আর যাদের বেশি ভালোবাসি তাদের সাথেই সবথেকে বেশি খারাপ বিহ্যাভ করতাম। সহ্যই হতো না ওদের মাঝে মাঝে।
৫. পড়াশুনা করতে গেলে প্রবলেম আরো বাড়তো আর এক্সামের সময় তো কথাই নেই..
৬. সবসময় মানসিক অশান্তিতে ভুগতাম; কোন কারন ছাড়াই। কি করতাম কিছুই মনে থাকতো না। নিজেকে একদম মেনটাল পেশেন্ট মনে হতো..
৬. কোন কাজেই মন বসতো না।
৭. চেহারা পরিবর্তন হতো, চুল পড়তো খুব
৮.আর সবথেকে বড় সমস্যা ছিলো নামাজ কালামে মন বসতো না, কুর'আনুল কারীম পড়তে গেলেই হাপিয়ে উঠতাম।
আরো খুঁটিনাটি অনেক সমস্যা লেগেই থাকতো সময়। জীবনটা একেবারে তেঁতো হয়ে গেছিলো আমার। কত ডাক্তার, কত কবিরাজ কোন কিছুতেই কাজ হয় না। সামান্য জ্বর হলেও ভালো হতো না সহজে।
.
এরপর আব্দুল্লাহর পরামর্শমত রুকিয়া শুনার নিয়্যাত করলাম। নিয়্যাত যদিও করেছিলাম, কিন্তু শুনতেই পারতাম না। বেশ বিরক্ত লাগতো। শুনবো না বলে ইজি কাজে বিজি থাকতাম। আবদুল্লাহর কত যে ঝাড়ি খাইছি এই গাফিলতির জন্য। বেশ বিরক্ত লাগতো ওর উপরেও। আবার যখন জোর করে শুনতাম তাতে কষ্টটা আরো বাড়তো নতুবা ঘুম আসতো। অনেক গভীর ঘুম।
.
রুকিয়া শুনার ব্যাপারটা খুব সহজ ছিলো না! আমার ক্ষেত্রে যা করেছিলাম তা হলো সমস্যাগুলো আলাদা করে নিয়ে, আলাদা আলাদা বিষয়ে রুকিয়া শুনেছি।
প্রথমে বদনজরের রুকিয়া দিয়ে শুরু করেছিলাম। সাথে গোসলও করেছি। এইটা অনেক ইফেক্টিভ ছিলো আলহামদুলিল্লাহ।
এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, ওষুধ খেয়ে ফল পাইনি কিন্তু রুকিয়া শুনে আর গোসল করেই সুস্থ্য হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
তাই যে সব আপুরা আমার মত সমস্যায় ভুগছেন আর রুকিয়া করতে চাচ্ছেন তাদের কাছে আমার রিকুয়েস্ট আপনারা ধৈর্য্যহারা হবেন না। একটু সময় নিয়ে আর রুকিয়ার রুলস গুলো মেনে চলুন, ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ....
.
[খ]
সব আপুরই একটা কমন প্রশ্ন- কোন রুকিয়া শুনবো?
এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনারা আগে সমস্যা গুলো খুঁজে বের করেন এরপর রুকিয়ার পোষ্টে দেয়া সমস্যাগুলোর সাথে মেলান। তাহলেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন রুকিয়া শুনা উচিত। আর যদি একান্তই না বুঝতে পারেন, তাহলে বদনজরের রুকিয়া শুনেন প্রথমে। কারন বেশিরভাগ মানুষেরই বদনজরের কারনে সমস্যা হয়..
আর শুনার পর যদি সমস্যা বাড়ে তাহলে বুঝবেন বাস্তবেই আপনার সমস্যা আছে। যারা হোমিও ওষুধ খেয়েছেন তারা ব্যাপারটা ভালো বুঝবেন।
ওষুধ খাওয়ার পরে প্রথমে সমস্যা বাড়ে, এরপর আস্তে আস্তে সমস্যা কমতে থাকে। সেসময় ঠিকমত ডোজ কমপ্লিট করে ওষুধ খেলে, একসময় সেরে যায় আলহামদুলিল্লাহ।
.
একটা ব্যাপার সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে সমস্যা পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে রুকিয়ার ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এই ভুলটা করি। সমস্যা একটু কমলেই ট্রিটমেন্ট বন্ধ করে দেই। এতে আমাদের সমস্যা পুরোপুরি নির্মুল হয়না, আর কিছুদিন পর তা আবার ফিরে আসে।
যেহেতু আমাদের লক্ষ্য সমস্যার পূর্ণ সমাধাঁ করা, তাই ধৈর্য্য ধরে পুরো ট্রিটমেন্টই চালিয়ে যেতে হবে ..... আর সেই সাথে কিছু রুলস ফলো করতে হবে..
সামনে পোষ্টে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ.....
- উম্মে আব্দুল্লাহ
--------
[ক]
রুকিয়া নিয়ে যদিও আমি কোন পোষ্ট দেইনি তারপরেও Abdullah এর পোষ্টে মেনশন করার ফলে অনেক আপু আমাকে ইনবক্স করেন তাদের সমস্যার জন্য। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য।
[সমাধান দেয়া না। সমস্যা সমাধানের মালিক তো একমাত্র আল্লাহ্ ]
.
খেয়াল করে দেখলাম অধিকাংশ আপুদের সমস্যা একই.. এরপর Jumana Puspo আপুদের ইসলামিক গ্রুপে এ্যাড হবার পরে দেখি একই অবস্থা। তাই মনে হলো এই ব্যাপারটা নিয়ে আপুদের সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা দরকার..
.
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও রুকিয়ার সাথে বেশ ভালোভাবে জড়িত। আর সফলতার মাত্রাও আলহামদুলিল্লাহ সন্তুষ্টিজনক..
আগে আমার অনেকগুলো সমস্যা ছিলো যেমন-
১. মন মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকতো, মাথা ভারি হয়ে থাকতো আর ব্যাথা করতো।
২. ঘুম ঠিকঠাক হতো না, ঘুমালেও শুধু ভয়ংকর আর বাজে স্বপ্ন দেখতাম...
৩. শরীর ব্যাথা হয়ে থাকতো। জ্বর জ্বর লাগতো সবসময় আর ডায়রিয়া তো লেগেই থাকতো।
৪. আর যাদের বেশি ভালোবাসি তাদের সাথেই সবথেকে বেশি খারাপ বিহ্যাভ করতাম। সহ্যই হতো না ওদের মাঝে মাঝে।
৫. পড়াশুনা করতে গেলে প্রবলেম আরো বাড়তো আর এক্সামের সময় তো কথাই নেই..
৬. সবসময় মানসিক অশান্তিতে ভুগতাম; কোন কারন ছাড়াই। কি করতাম কিছুই মনে থাকতো না। নিজেকে একদম মেনটাল পেশেন্ট মনে হতো..
৬. কোন কাজেই মন বসতো না।
৭. চেহারা পরিবর্তন হতো, চুল পড়তো খুব
৮.আর সবথেকে বড় সমস্যা ছিলো নামাজ কালামে মন বসতো না, কুর'আনুল কারীম পড়তে গেলেই হাপিয়ে উঠতাম।
আরো খুঁটিনাটি অনেক সমস্যা লেগেই থাকতো সময়। জীবনটা একেবারে তেঁতো হয়ে গেছিলো আমার। কত ডাক্তার, কত কবিরাজ কোন কিছুতেই কাজ হয় না। সামান্য জ্বর হলেও ভালো হতো না সহজে।
.
এরপর আব্দুল্লাহর পরামর্শমত রুকিয়া শুনার নিয়্যাত করলাম। নিয়্যাত যদিও করেছিলাম, কিন্তু শুনতেই পারতাম না। বেশ বিরক্ত লাগতো। শুনবো না বলে ইজি কাজে বিজি থাকতাম। আবদুল্লাহর কত যে ঝাড়ি খাইছি এই গাফিলতির জন্য। বেশ বিরক্ত লাগতো ওর উপরেও। আবার যখন জোর করে শুনতাম তাতে কষ্টটা আরো বাড়তো নতুবা ঘুম আসতো। অনেক গভীর ঘুম।
.
রুকিয়া শুনার ব্যাপারটা খুব সহজ ছিলো না! আমার ক্ষেত্রে যা করেছিলাম তা হলো সমস্যাগুলো আলাদা করে নিয়ে, আলাদা আলাদা বিষয়ে রুকিয়া শুনেছি।
প্রথমে বদনজরের রুকিয়া দিয়ে শুরু করেছিলাম। সাথে গোসলও করেছি। এইটা অনেক ইফেক্টিভ ছিলো আলহামদুলিল্লাহ।
এমন বহু ঘটনা ঘটেছে, ওষুধ খেয়ে ফল পাইনি কিন্তু রুকিয়া শুনে আর গোসল করেই সুস্থ্য হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
তাই যে সব আপুরা আমার মত সমস্যায় ভুগছেন আর রুকিয়া করতে চাচ্ছেন তাদের কাছে আমার রিকুয়েস্ট আপনারা ধৈর্য্যহারা হবেন না। একটু সময় নিয়ে আর রুকিয়ার রুলস গুলো মেনে চলুন, ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ....
.
[খ]
সব আপুরই একটা কমন প্রশ্ন- কোন রুকিয়া শুনবো?
এক্ষেত্রে আমি বলবো আপনারা আগে সমস্যা গুলো খুঁজে বের করেন এরপর রুকিয়ার পোষ্টে দেয়া সমস্যাগুলোর সাথে মেলান। তাহলেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন রুকিয়া শুনা উচিত। আর যদি একান্তই না বুঝতে পারেন, তাহলে বদনজরের রুকিয়া শুনেন প্রথমে। কারন বেশিরভাগ মানুষেরই বদনজরের কারনে সমস্যা হয়..
আর শুনার পর যদি সমস্যা বাড়ে তাহলে বুঝবেন বাস্তবেই আপনার সমস্যা আছে। যারা হোমিও ওষুধ খেয়েছেন তারা ব্যাপারটা ভালো বুঝবেন।
ওষুধ খাওয়ার পরে প্রথমে সমস্যা বাড়ে, এরপর আস্তে আস্তে সমস্যা কমতে থাকে। সেসময় ঠিকমত ডোজ কমপ্লিট করে ওষুধ খেলে, একসময় সেরে যায় আলহামদুলিল্লাহ।
.
একটা ব্যাপার সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে সমস্যা পুরোপুরি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে রুকিয়ার ট্রিটমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এই ভুলটা করি। সমস্যা একটু কমলেই ট্রিটমেন্ট বন্ধ করে দেই। এতে আমাদের সমস্যা পুরোপুরি নির্মুল হয়না, আর কিছুদিন পর তা আবার ফিরে আসে।
যেহেতু আমাদের লক্ষ্য সমস্যার পূর্ণ সমাধাঁ করা, তাই ধৈর্য্য ধরে পুরো ট্রিটমেন্টই চালিয়ে যেতে হবে ..... আর সেই সাথে কিছু রুলস ফলো করতে হবে..
সামনে পোষ্টে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ.....
0 comments:
Post a Comment