১। আজ দুপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত ছিলো, আক্বিকার খাইদাই...
আসার পথে আব্বুকে বললাম, আমাদের পাড়ায় কোনো হিন্দু নাই তাইনা?
- না..
-- আশেপাশের পাড়াগুলাতেও নাই?
- নাহ.!
মনেমনে ভাবলাম, তাহলে তো অনেক পুরুষ ধরে আমরা মুসলমান.. মিনিমাম ৩-৪শ বছর তো হবেই... বাহ!
বললাম, এই পাড়ার লোকেরা কবে মুসলমান হইছে?
- মোটামুটি... ৮০-৯০ বছর হবে!
- মাত্র? তাই নাকি?!!
- হুমম.. [আব্বু বলতে শুরু করলো...]
"আগে এই পাড়া, পুর্ব পাড়া এখানে বেশিরভাগই হিন্দু ছিলো, অল্প কিছু মুসলমান ছিলো ওইদিকে.. তাও হিন্দুর মতই.. পুজাটুজা সব করতো! আমরা ছোট বেলায় দেখেছি অমুকের বাপ... মুসলমান অথচ পুজা করতো!!
এখানে বহুত ছিল এরকম যে, মুসলমান অথচ পুজা করতো..."
-
-
এবার মনেমনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম। কারণ, অল্প কদিন আগে আমাদের এখানে ইসলামের আলো পৌছালেও আলহামদুলিল্লাহ সাথে কোনো শিরক-বিদ'আত ঢুকেনি, আজ পর্যন্ত আমাদের পাড়ায় কোনোদিন মিলাদ দেখেছি বলে মনে হয়না। অথচ কিছুদিন আগেও আমার নানা বাড়ির এলাকায় (কয়েক কি.মি. দূরে) মিলাদ-কিয়াম নিয়ে কি ঝামেলাটাই না হলো। মিলাদ নিয়ে কথা হচ্ছিলো তখন এক ডাক্তার সাহেব নাকি বলছে 'এরা তো নামাজই পড়েনা! মিলাদ-টিলাদ দিয়ে কিহবে? যে নামাজ পড়েনা ও তো মুসলমানই না' যেই না এই কথা বলছে, আর যায় কই? দরুদ শরিফের বিরুদ্ধে কথা বলছে! এত বড় সাহস!!!
ইদানীং সেখানে মাজার করার ব্যাপারেও নাকি পরিকল্পনা চলছে!! নাউযুবিল্লাহ... (পাড়ার গাঁজাখোরেরা নাকি স্বপ্নে ঘনঘন অমুক শাহ রহঃ এর ১২হাত লম্বা কবর দেখতে পাচ্ছে) -_-
কি বুঝলেন?
।
২। মাওলানা মাসউদ আযহার সাহেব হাফিজাহুল্লাহুর ঘটনা, সম্ভবতঃ উনি তখন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। এক জেল পরিদর্শক মাঝেমধ্যে বন্দিদের দেখতে আসতো, লোকটা একটু বাঁচাল টাইপের।
সে একদিন এসে বললো, মাওলানা! ভাবছি এবার মুসলমান হয়ে যাব...
হযরত বললেন তাইনাকি?
- হুম! এমনিতেই তো হাজার হাজার দেবতার পূজা করি, আর দুইজন মানে আল্লাহ আর মোহাম্মদকেও না হয় প্রভু মেনে নিলাম সমস্যা কি!!!!
.
হযরত এই ঘটনা বর্ণনা করার সময় বলছিলেন, "আমি তখন খুব ভালোভাবে অনুধাবন করলাম; ইসলামের কালিমা কেন 'লা-ইলাহা'এর তরবারি (কোন প্রভু নেই...) দিয়ে শুরু হয়েছে।"
.
.
ওই অফিসারটা আরেকদিন বলছে কি.. মাওলানা সাহেব! আজ আপনাদের অমুক মাজারে গিয়েছিলাম জানেন? মান্নত করার জন্য... আগেও অমুক অমুক মাজারে মান্নত করেছিলাম। কিছু কিছু আশা পূরণও হয়েছিলো!!
.
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে হযরত বলতেন, মুসলমান যদি মাযারে গিয়ে প্রার্থণা করে তবে হিন্দু মুশরিক আর মুসলমানের মাঝে পার্থক্য থাকলো কী? হিন্দুরাও গাইরুল্লাহর কাছে চাচ্ছে (কথিত) মুসলমানরাও গাইরুল্লাহর কাছে চাচ্ছে।
দুটোই তো শিরক।
আসার পথে আব্বুকে বললাম, আমাদের পাড়ায় কোনো হিন্দু নাই তাইনা?
- না..
-- আশেপাশের পাড়াগুলাতেও নাই?
- নাহ.!
মনেমনে ভাবলাম, তাহলে তো অনেক পুরুষ ধরে আমরা মুসলমান.. মিনিমাম ৩-৪শ বছর তো হবেই... বাহ!
বললাম, এই পাড়ার লোকেরা কবে মুসলমান হইছে?
- মোটামুটি... ৮০-৯০ বছর হবে!
- মাত্র? তাই নাকি?!!
- হুমম.. [আব্বু বলতে শুরু করলো...]
"আগে এই পাড়া, পুর্ব পাড়া এখানে বেশিরভাগই হিন্দু ছিলো, অল্প কিছু মুসলমান ছিলো ওইদিকে.. তাও হিন্দুর মতই.. পুজাটুজা সব করতো! আমরা ছোট বেলায় দেখেছি অমুকের বাপ... মুসলমান অথচ পুজা করতো!!
এখানে বহুত ছিল এরকম যে, মুসলমান অথচ পুজা করতো..."
-
-
এবার মনেমনে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম। কারণ, অল্প কদিন আগে আমাদের এখানে ইসলামের আলো পৌছালেও আলহামদুলিল্লাহ সাথে কোনো শিরক-বিদ'আত ঢুকেনি, আজ পর্যন্ত আমাদের পাড়ায় কোনোদিন মিলাদ দেখেছি বলে মনে হয়না। অথচ কিছুদিন আগেও আমার নানা বাড়ির এলাকায় (কয়েক কি.মি. দূরে) মিলাদ-কিয়াম নিয়ে কি ঝামেলাটাই না হলো। মিলাদ নিয়ে কথা হচ্ছিলো তখন এক ডাক্তার সাহেব নাকি বলছে 'এরা তো নামাজই পড়েনা! মিলাদ-টিলাদ দিয়ে কিহবে? যে নামাজ পড়েনা ও তো মুসলমানই না' যেই না এই কথা বলছে, আর যায় কই? দরুদ শরিফের বিরুদ্ধে কথা বলছে! এত বড় সাহস!!!
ইদানীং সেখানে মাজার করার ব্যাপারেও নাকি পরিকল্পনা চলছে!! নাউযুবিল্লাহ... (পাড়ার গাঁজাখোরেরা নাকি স্বপ্নে ঘনঘন অমুক শাহ রহঃ এর ১২হাত লম্বা কবর দেখতে পাচ্ছে) -_-
কি বুঝলেন?
।
২। মাওলানা মাসউদ আযহার সাহেব হাফিজাহুল্লাহুর ঘটনা, সম্ভবতঃ উনি তখন শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। এক জেল পরিদর্শক মাঝেমধ্যে বন্দিদের দেখতে আসতো, লোকটা একটু বাঁচাল টাইপের।
সে একদিন এসে বললো, মাওলানা! ভাবছি এবার মুসলমান হয়ে যাব...
হযরত বললেন তাইনাকি?
- হুম! এমনিতেই তো হাজার হাজার দেবতার পূজা করি, আর দুইজন মানে আল্লাহ আর মোহাম্মদকেও না হয় প্রভু মেনে নিলাম সমস্যা কি!!!!
.
হযরত এই ঘটনা বর্ণনা করার সময় বলছিলেন, "আমি তখন খুব ভালোভাবে অনুধাবন করলাম; ইসলামের কালিমা কেন 'লা-ইলাহা'এর তরবারি (কোন প্রভু নেই...) দিয়ে শুরু হয়েছে।"
.
.
ওই অফিসারটা আরেকদিন বলছে কি.. মাওলানা সাহেব! আজ আপনাদের অমুক মাজারে গিয়েছিলাম জানেন? মান্নত করার জন্য... আগেও অমুক অমুক মাজারে মান্নত করেছিলাম। কিছু কিছু আশা পূরণও হয়েছিলো!!
.
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে হযরত বলতেন, মুসলমান যদি মাযারে গিয়ে প্রার্থণা করে তবে হিন্দু মুশরিক আর মুসলমানের মাঝে পার্থক্য থাকলো কী? হিন্দুরাও গাইরুল্লাহর কাছে চাচ্ছে (কথিত) মুসলমানরাও গাইরুল্লাহর কাছে চাচ্ছে।
দুটোই তো শিরক।
0 comments:
Post a Comment