(একটু ধৈর্য নিয়ে পড়ুন নিশ্চিত মজা পাবেন)
-
আমাদের (বনানী) মাদরাসার মসজিদটা বেশ বড়সড়, প্রতি কাতারে আনুমানিক ৯০ থেকে ১০০ জন দাড়াতে পারে, সাধারনত প্রতি ওয়াক্তে ৬ কাতার মুসল্লি হয় অর্থাত্ মোটামুটি ৫৫০ বা ৬০০ লোক।
এখন প্রতিদিন ফজরের পর মুসল্লিরা ৫ ফিরকায় বিভক্ত হয়ে যায় :-P একদল মসজিদের দক্ষিন দিকে বসে যিকির-আযকার করে, আরেকদল উত্তর দিকে বসে কোরআন হাদীস থেকে তালিম করে, আরেকদল বাহিরে বারান্দায় কোরআন শরীফ পড়া শিখে, আর মসজিদের মাঝখানে আমরা ছাত্ররা নিজ নিজ দৈনন্দিন আমল করি আর সুরা ইয়াসিন পড়ি।
কি? ৪টা মাজহাব পাইলেন? :-) এখন আসুন এই চার মাজহাবি ফিরকাকে কোরআন-সুন্নাহর কষ্টি পাথরে যাচাই করি......
১। প্রথম ফিরকার ব্যাপারে দেখুন আল্লাহ কোরআনে কি বলছেনঃ
وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالإبْكَارِ
অর্থঃতুমি তোমার ভুল-ত্রুটির জন্যে ক্ষমা চাও এবং সকাল-সন্ধ্যায় তোমার রবের প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (মুমিন, ৪০/৫৫)
(পবিত্রতা subhanallah, প্রশংসা alhamdulillah, মহিমা allahu akbar)
এছাড়াও সকাল সন্ধ্যায় যিকিরের নির্দেশ এসেছেঃ সুরা সদঃ১৮ আহযাবঃ৪২ ফাতহঃ৯ নুরঃ৩৬
২। দ্বিতীয় ফিরকার ব্যাপারে তো আপনারা জানেনই, এরকম অসংখ্য হাদীস আছে যে, আল্লাহর রাসুল ফজরের নামাজের পর সাহাবাদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেন, নসিহত করতেন, কারো কিছু বলার থাকলে শুনতেন এবং সমাধান দিতেন। এখন যেহেতু আল্লাহর রাসুল সাঃ আমাদের মাঝে নেই তাহলে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করে তার অনুবাদ করা বা শোনা, রাসুল সাঃ এর হাদীস পড়ে তা অনুবাদ করা শোনা কি মসজিদে নববীর সেই সকালের মজলিসের প্রতিনিধিত্ব করছেনা? আর রাসুল সাঃ তো বলেছেনই "সকাল সন্ধ্যায় ইলমের একটি অধ্যায় শিক্ষা করা হাজার রাকাত নফল পড়ার চেয়া উত্তম" (ইবনে মাযাহ)
৩। মসজিদের বারান্দায় বসা তৃতীয় ফিরকা অর্থাত্ কুরআন শিক্ষার্থিদের বেলায় উপরের দুই প্যারার সবই প্রযোজ্য, তারা যেমন সর্বোত্তম জিকির তথা কো রআন তিলাওয়াত করছে আবার দ্বীনি ইলম তো শিখছেই।
৪। আর চতুর্থ ফিরকা ;-) মানে আমরা কয়েকটা হাদীসের ওপর আমল করছি, সুরা ইয়াসিন পড়তে যেমন রাসুল সাঃ বলেছেন তেমন অন্যান্য দোয়া যেগুলো ছাত্ররা পড়ে থাকে সেগুলোও বিভিন্ন হাদীসে এসেছে।
এখন এত কথা বলার অর্থ হচ্ছে এখানে যেমন ৪ দলই কুরআন হাদীসের ওপর আমল করছে, আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুসরন আনুগত্য করছে, এবং ৪ দলই সঠিক! ঠিক তেমনই হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী, হাম্বলী ৪ মাযহাবের অনুসারিরাই কুরআন হাদীসের ওপর আমল করছে, আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুসরন আনুগত্য করছে, এবং ৪ দলই সঠিক ইসলামের ওপর আছে।
আর বাকি থাকলো আরেক ফিরকা তথা গাইরে মুকাল্লিদরা যারা নামাজের পর চার মাযহাব থেকে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে মুড়ি খায় :-P
-----------
0 comments:
Post a Comment