- উম্মে আব্দুল্লাহ
[ক]
এই শীতের মৌসুমে বাচ্চাদের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা লেগেই থাকে। জ্বর, সর্দিকাশি একেবারে কমন হয়ে যায়। তো কথা হচ্ছে, শীতের সময় এমন সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু সমস্যা সারানোর জন্য ওষুধ পথ্যে একেবারেই কাজ হয় না। সাধারণ সর্দি জ্বরের ওষুধ থেকে এন্টিবায়োটিক সবকিছুই যখন হার মানে, তখন আসলেই নিজেদের বেশ অসহায় লাগে। তো আজ এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
এই শীতের মৌসুমে বাচ্চাদের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা লেগেই থাকে। জ্বর, সর্দিকাশি একেবারে কমন হয়ে যায়। তো কথা হচ্ছে, শীতের সময় এমন সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু সমস্যা সারানোর জন্য ওষুধ পথ্যে একেবারেই কাজ হয় না। সাধারণ সর্দি জ্বরের ওষুধ থেকে এন্টিবায়োটিক সবকিছুই যখন হার মানে, তখন আসলেই নিজেদের বেশ অসহায় লাগে। তো আজ এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
[খ]
সেদিন সন্ধ্যায় তিলাওয়াত করছিলাম, সেসময় পিচ্চি এসে কোলে বসলো। আমি বললাম আসো তোমার রুকইয়াহ করি। ও মাথা মুখের কাছে নিয়ে আসলো। আমি তো অবাক!! ও এমনিতে তিলাওয়াত শুনে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু রুকইয়াহর কথা শুনলে পালায়। আজ কি মনে করে কাছে আসলো!!
তখনই মাথায় আসলো ওর সমস্যার কথা। গতকাল রাতে নাকি খুব জ্বালিয়েছে, ঘুমাতে পারছিলো না, শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। এখনো বেশ কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন হাতে ঠাণ্ডার রুকইয়াহ পড়ে ওকে বললাম জোরে শ্বাস নাও। ও সত্যিই লম্বা শ্বাস নিলো।
এরপর জিজ্ঞেস করলাম, শ্বাস নিতে পারছো?
বেশ দৃঢ়তার সাথে উত্তর দিলো, হুউউউ....
ও এতটাই আরাম পেয়েছে যে নিজেই বিসমিল্লাহ ইয়াসীন (এইটা ওর রুকইয়াহ!!) পড়ে শ্বাস নিতে শুরু করলো (মাশা-আল্লাহ!)
সেদিন সন্ধ্যায় তিলাওয়াত করছিলাম, সেসময় পিচ্চি এসে কোলে বসলো। আমি বললাম আসো তোমার রুকইয়াহ করি। ও মাথা মুখের কাছে নিয়ে আসলো। আমি তো অবাক!! ও এমনিতে তিলাওয়াত শুনে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু রুকইয়াহর কথা শুনলে পালায়। আজ কি মনে করে কাছে আসলো!!
তখনই মাথায় আসলো ওর সমস্যার কথা। গতকাল রাতে নাকি খুব জ্বালিয়েছে, ঘুমাতে পারছিলো না, শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। এখনো বেশ কষ্ট হচ্ছে। আমি তখন হাতে ঠাণ্ডার রুকইয়াহ পড়ে ওকে বললাম জোরে শ্বাস নাও। ও সত্যিই লম্বা শ্বাস নিলো।
এরপর জিজ্ঞেস করলাম, শ্বাস নিতে পারছো?
বেশ দৃঢ়তার সাথে উত্তর দিলো, হুউউউ....
ও এতটাই আরাম পেয়েছে যে নিজেই বিসমিল্লাহ ইয়াসীন (এইটা ওর রুকইয়াহ!!) পড়ে শ্বাস নিতে শুরু করলো (মাশা-আল্লাহ!)
এইটা শীতের শুরুর দিকের ঘটনা। পিচ্চিটার বেশ জ্বর ছিলো। আমরা সবাই ভাবলাম ঠাণ্ডা লেগেছে বোধহয়। এন্টিবায়োটিক চলছিলো। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয় না। ও এমনিতে অনেক চঞ্চল আর হাসিখুশি। কিন্তু জ্বরে একেবারে খিটমিটে আর কেমন জানি হয়ে গেলো। তখন ঝাড়ফুঁকের ব্যাপারটা মাথায় আসলো। দুপুরবেলা ও যখন ঘুমিয়ে ছিলো তখন গিয়ে ও মাথায় হাত দিয়ে বদনজরের দুয়া আর তিনকুল পড়ছিলাম। হাত এত বেশি গরম হয়ে যাচ্ছিলো বলার মত না। যাই হোক, আয়াতগুলো পড়া শেষে ওর ঘুম ভাঙ্গলো। বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে ঘুম থেকে উঠলো আলহামদুলিল্লাহ। কারন জ্বর চলে গেছে আলহামদুলিল্লাহ।
আচ্ছা, রুকইয়াহর পাশাপাশি ওষুধও খাইয়েছিলাম কিন্তু!
আচ্ছা, রুকইয়াহর পাশাপাশি ওষুধও খাইয়েছিলাম কিন্তু!
[গ]
শীতকালে যারা বাচ্চাদের সমস্যা নিয়ে পেরেশানি তে আছেন। তাদের জন্য এই পোস্ট একটা রিমাইন্ডার মাত্র। আপনার বাচ্চা অসুস্থ থাকলে ওষুধের পাশাপাশি রুকইয়াহ করুন। দ্রুত শিফা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
এই লেখায় বলা রুকইয়াহগুলোর লংক কমেন্টে পাবেন।
আর একটা কথা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রুকইয়াহর প্রভাব খুবই দ্রুত হয়, আলহামদুলিল্লাহ। শুধু আপনি ইয়াক্বীনকে মজবুত করুন।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ উত্তম ফল পাবেন।
শীতকালে যারা বাচ্চাদের সমস্যা নিয়ে পেরেশানি তে আছেন। তাদের জন্য এই পোস্ট একটা রিমাইন্ডার মাত্র। আপনার বাচ্চা অসুস্থ থাকলে ওষুধের পাশাপাশি রুকইয়াহ করুন। দ্রুত শিফা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
এই লেখায় বলা রুকইয়াহগুলোর লংক কমেন্টে পাবেন।
আর একটা কথা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রুকইয়াহর প্রভাব খুবই দ্রুত হয়, আলহামদুলিল্লাহ। শুধু আপনি ইয়াক্বীনকে মজবুত করুন।
তাহলেই ইনশাআল্লাহ উত্তম ফল পাবেন।
এই সময়টায় বাচ্চাদের যত্নে কিছু টিপস_____
১. বাচ্চার ঠাণ্ডা যেন না লাগে এবিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গরম কাপড় পরান। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন বাচ্চা যেন আবার ঘেমে না যায়।।
পোশাকের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও বিশেষ নজর দিন। প্রতিদিন গোসল না করালেও চেঞ্জ করাবেন অবশ্যই।
পোশাকের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও বিশেষ নজর দিন। প্রতিদিন গোসল না করালেও চেঞ্জ করাবেন অবশ্যই।
২. রাতে ডায়াপার পরাতে পারেন। আর হ্যা ডায়াপার শুষ্ক থাকলেও ছয় ঘন্টা অন্তর চেঞ্জ করুন।
৩. ধুলা-বালি থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখুন। সম্ভব হলে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করান।
৪. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল খাওয়ান। মাল্টা, কমলা, আঙ্গুর, আমলকী ইত্যাদি। এছাড়া শীতকালীন সবজি খাওয়াতে পারেন।
৫. অনেকেই আছেন বাচ্চাদের গোসল করান না শীতের কারনে। অথচ এই সময়টায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেয়া আরো বেশি জরুরি। একদিন পরপর অন্তত বাচ্চাকে কুসুম গরম পানিতে হলেও গোসল করান। আর হ্যা! যত দ্রুত সম্ভব গোসল করিয়ে শরীর ভালো করে মুছে দিন। সম্ভব হলে বাচ্চাকে হালকা রোদে বসাতে পারেন।
৬. গোসলের পর অলিভওয়েল মাখিয়ে দিন। অবশ্য একজিমা থাকলে অনেকে অলিভওয়েল না ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এ জাতীয় সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৭. প্রতিদিন, আদা / তুলসি সেদ্ধ করে একটু ঠাণ্ডা করে বা রস করে গরম করে তারপর মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এটা খুবই উপকারী এক ভেষজ পথ্য।
আদা, তুলসি, মধু এগুলো শুধু বাচ্চাদের না বড়দের জন্যও উপকারী।
আদা, তুলসি, মধু এগুলো শুধু বাচ্চাদের না বড়দের জন্যও উপকারী।
শেষকথা হল, এই সময় বাচ্চাদের দিকে বিশেষ নজর দিন। শরীর বেশি খারাপ লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
আর অবশ্যই অবশ্যই নামাজ-কালাম ও মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করুন।
আর বেশি বেশি করে সন্তানের জন্য দু'আ করুন....
আর অবশ্যই অবশ্যই নামাজ-কালাম ও মাসনুন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে করুন।
আর বেশি বেশি করে সন্তানের জন্য দু'আ করুন....
রব্বুল আ'লামীন আমাদের বাচ্চাদেরকে যাবতীয় অসুস্থতা ও বালা মুসিবত থেকে দূরে রাখুন।। (আমীন)
0 comments:
Post a Comment