- উম্মে আব্দুল্লাহ
-----------
রুকিয়ার সাথে সম্পৃক্ততার পর থেকে আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন অনেক কিছু দেখা-শুনার সুযোগ করে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আপুরা তাদের নানা সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। সাথে সমাধানের উপায় জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ সরাসরি রুকিয়া করাতে চেয়েছেন। কেউবা আশাই ছেড়ে দিয়েছেন।।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমার সাজেশন ছিলো____
আপু দু'আ করেন, রব্বুল আ'লামীনের কাছে সাহায্য চান আর ইস্তেগফার করেন বেশি বেশি।। সাথে সালাতুল হাজত আর তাহাজ্জুদ তো আছেই।। নিরাশ হবেন না তাঁর উপর ভরসা রাখেন। সবকিছু সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমলের কথাও বলেছি আবার কিছু ক্ষেত্রে রুকিয়া করার কথা বলেছি।।
.
.
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি আপুরা দু'আর ব্যাপারটাকে খুব বেশি গুরুত্বের সাথে দেখেন না। যেখানে দু'আ আর নামাজই হচ্ছে সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম হাতিয়ার। অনেকে আবার ভাবেন আমি তাদের সমস্যাগুলোকে ইগনোর করছি।
আমি নিজেই নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকি,(আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল) আর সবকিছুর মাঝে এই দু'আ আর তাওয়াক্কুলই আমার অক্সিজেন সঞ্চার করে আলহামদুলিল্লাহ।
এ প্রসংগে একটা ঘটনা শেয়ার করি_____
এক্সামের মধ্যে একবার আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শরীরের যে কি হালত ছিলো বুঝাতে পারবোনা। ব্যাথা কমানোর জন্য পেইন কিলার [ডাবল ডোজ]নিয়েও কাজ হচ্ছিলো না। তখন ইনজেকশন নেয়া শুরু করলাম তাতেও কাজ হলো না। তখন মাথায় আসলো সালাতুল হাজতের কথা।[আগেই বলেছি ইমান দুর্বল তাই নামাজের কথাটা আগে মাথায় আসেনি]
এরপর নিয়ম করে সালাতুল হাজত, আর দু'আ করেছি। এরপর আলহামদুলিল্লাহ এতটা সুস্থ্যতা লাভ করেছিলাম যে কল্পনাও করতে পারিনি। না তখন আমি রুকিয়া করিনি। শুধু সালাতের মাধ্যমে রব্বুল আ'লামীনের কাছে সাহায্য চেয়েছি।
শুধু রুকিয়া করেই যে সমস্যার সমাধান মিলবে তা কিন্তু নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এহেন বিশ্বাস আমাদের ইমানকে দুর্বল করে দেয়।
আমাদের তাওয়াক্কুল কমে যায়।
যাদের ইমান মজবুত তাদের হিসেব অবশ্য আলাদা। কিন্তু আমার মত দুর্বল ইমানের বান্দীর জন্য বেশ কঠিন..
এইবার এ প্রসংগে আরেকটা ঘটনা বলি___
এইটা আরেক এক্সামের সময়ের ঘটনা।
তখন আমি রুকিয়া করছি নিয়মিত। আর এর দ্বারা বহু সমস্যায় উপকার পাচ্ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষ করে এক্সামের সময় ভয়ংকর কিছু সমস্যা দেখা দিতো সেগুলা অনেক কন্ট্রোলে চলে আসছিলো আলহামদুলিল্লাহ।
যাই হোক, তখন রুকিয়ার উপর এমন এক বিশ্বাস চলে আসলো যে এক্সাম ভালো হওয়ার জন্য রুকিয়া শুনতে লাগলাম।
আসলে তখন মাথায় এমন একটা বিষয় কাজ করছিলো যে, মনে হতো রুকিয়া করলে চাঁদও হাতে পাওয়া যায়(রব্বুল আ'লামীন মাফ করুন)।
আর এই বিশ্বাসের ফলস্বরুপ এক্সামের ফল যা হলো তা ছিলো ইতিহাস...
আমি বলছিনা যে, রুকিয়া করার কোন দরকার নেই। বরং আমি নিজেই রুকিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর ফায়দাও অনেক পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি শুধু বলছি রুকিয়ার ব্যাপারটা যেন বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি পর্যায়ে না যায়...
-----------
রুকিয়ার সাথে সম্পৃক্ততার পর থেকে আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন অনেক কিছু দেখা-শুনার সুযোগ করে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আপুরা তাদের নানা সমস্যার কথা শুনিয়েছেন। সাথে সমাধানের উপায় জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ সরাসরি রুকিয়া করাতে চেয়েছেন। কেউবা আশাই ছেড়ে দিয়েছেন।।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমার সাজেশন ছিলো____
আপু দু'আ করেন, রব্বুল আ'লামীনের কাছে সাহায্য চান আর ইস্তেগফার করেন বেশি বেশি।। সাথে সালাতুল হাজত আর তাহাজ্জুদ তো আছেই।। নিরাশ হবেন না তাঁর উপর ভরসা রাখেন। সবকিছু সহজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।
কিছু ক্ষেত্রে হয়তো আমলের কথাও বলেছি আবার কিছু ক্ষেত্রে রুকিয়া করার কথা বলেছি।।
.
.
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি আপুরা দু'আর ব্যাপারটাকে খুব বেশি গুরুত্বের সাথে দেখেন না। যেখানে দু'আ আর নামাজই হচ্ছে সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম হাতিয়ার। অনেকে আবার ভাবেন আমি তাদের সমস্যাগুলোকে ইগনোর করছি।
আমি নিজেই নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকি,(আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল) আর সবকিছুর মাঝে এই দু'আ আর তাওয়াক্কুলই আমার অক্সিজেন সঞ্চার করে আলহামদুলিল্লাহ।
এ প্রসংগে একটা ঘটনা শেয়ার করি_____
এক্সামের মধ্যে একবার আমি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শরীরের যে কি হালত ছিলো বুঝাতে পারবোনা। ব্যাথা কমানোর জন্য পেইন কিলার [ডাবল ডোজ]নিয়েও কাজ হচ্ছিলো না। তখন ইনজেকশন নেয়া শুরু করলাম তাতেও কাজ হলো না। তখন মাথায় আসলো সালাতুল হাজতের কথা।[আগেই বলেছি ইমান দুর্বল তাই নামাজের কথাটা আগে মাথায় আসেনি]
এরপর নিয়ম করে সালাতুল হাজত, আর দু'আ করেছি। এরপর আলহামদুলিল্লাহ এতটা সুস্থ্যতা লাভ করেছিলাম যে কল্পনাও করতে পারিনি। না তখন আমি রুকিয়া করিনি। শুধু সালাতের মাধ্যমে রব্বুল আ'লামীনের কাছে সাহায্য চেয়েছি।
শুধু রুকিয়া করেই যে সমস্যার সমাধান মিলবে তা কিন্তু নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এহেন বিশ্বাস আমাদের ইমানকে দুর্বল করে দেয়।
আমাদের তাওয়াক্কুল কমে যায়।
যাদের ইমান মজবুত তাদের হিসেব অবশ্য আলাদা। কিন্তু আমার মত দুর্বল ইমানের বান্দীর জন্য বেশ কঠিন..
এইবার এ প্রসংগে আরেকটা ঘটনা বলি___
এইটা আরেক এক্সামের সময়ের ঘটনা।
তখন আমি রুকিয়া করছি নিয়মিত। আর এর দ্বারা বহু সমস্যায় উপকার পাচ্ছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষ করে এক্সামের সময় ভয়ংকর কিছু সমস্যা দেখা দিতো সেগুলা অনেক কন্ট্রোলে চলে আসছিলো আলহামদুলিল্লাহ।
যাই হোক, তখন রুকিয়ার উপর এমন এক বিশ্বাস চলে আসলো যে এক্সাম ভালো হওয়ার জন্য রুকিয়া শুনতে লাগলাম।
আসলে তখন মাথায় এমন একটা বিষয় কাজ করছিলো যে, মনে হতো রুকিয়া করলে চাঁদও হাতে পাওয়া যায়(রব্বুল আ'লামীন মাফ করুন)।
আর এই বিশ্বাসের ফলস্বরুপ এক্সামের ফল যা হলো তা ছিলো ইতিহাস...
আমি বলছিনা যে, রুকিয়া করার কোন দরকার নেই। বরং আমি নিজেই রুকিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর ফায়দাও অনেক পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আমি শুধু বলছি রুকিয়ার ব্যাপারটা যেন বাড়াবাড়ি ছাড়াছাড়ি পর্যায়ে না যায়...
0 comments:
Post a Comment